রেসিপি: পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি।
ABB 28 - জানুয়ারি ২০২৪
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। সত্যি বলতে আমার কাছে পাঙ্গাস মাছ খেতেই সবথেকে বেশি ভালো লাগে। কারণ এই মাছে একদমই কাঁটা বাঁচতে হয় না। তাই জন্য ভাব লাম এই মাছটাই যথেষ্ট। তাছাড়া এভাবে একটু ছোট ছোট টুকরো করে ভুনা করলে আমার কাছে অনেক বেশি মজা লাগে। বিশেষ করে এই রেসিপিটার মধ্যে একটু বেশি ঝাল দিলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আমি বেশিরভাগ সময় বাজারে গেলে পাঙ্গাস মাছ কিনা থাকি। তাছাড়া আমাদের ঘরের সবাই এইভাবে রান্না করলে খেতে খুবই পছন্দ করে। তার জন্য আজকে আপনাদের মাঝে এই রেসিপিটা শেয়ার করলাম। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি ভালো লাগবে।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাঙ্গাস মাছ | ৭ টুকরো |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ২ টেবিল চামচ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
টমেটো কুচি | ১ কাপ |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদ | পরিমাণমতো |
মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে পাঙ্গাস মাছগুলোকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে নেওয়া হলো। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নেওয়া হলো।
ধাপ 2️⃣
তারপর একটা পাতিলের মধ্যে তেল দিয়ে চুলায় বসিয়ে দেওয়া হলো। তেল গরম হওয়ার পরপরই কাঁচামরিচ কুঁচি, পেঁয়াজ কুঁচি, টমেটো কুঁচি, সব কিছু দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 3️⃣
তারপরে কিছু পানি দিয়ে দেওয়া হল এবং কিছুক্ষণ পর্যন্ত চুলায় এভাবে রেখে দেওয়া হলো।
ধাপ 4️⃣
তারপরে মাছের ছোট ছোট টুকরোগুলোকে গুলোকে পাতিল এর মধ্যে দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 5️⃣
মাছের টুকরো গুলো দেওয়ার পর আবারও কিছু পরিমাণ পানি দিয়ে দেওয়া হলো।
ধাপ 6️⃣
এভাবে অনেকক্ষণ পর্যন্ত চুলায় জ্বাল করে নেওয়া হলো। তারপরে পরিবেশনের জন্য আরেকটা পাতালে নিয়ে নেওয়া হলো। এরপর একটা প্লেটে পরিবেশন করা হলো গরম গরম। এভাবেই আজকের রেসিপিটা তৈরি করা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের কাছে এই রেসিপিটা ভালো লাগবে।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | Samsung S23 Ultra |
পোস্ট তৈরি | narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
অনেকদিন থেকে এভাবে পাঙ্গাস মাছ ভুনা করে খাওয়া হয় না। আর ছোট ছোট পিস করার কারণে দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হয়েছিল। ভাই আপনি অনেক সুন্দর করে এই মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
যেহেতু অনেকদিন ধরে খাওয়া হয়নি, তাই খেয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।
https://twitter.com/NARocky4/status/1751545521422860654?t=M6ntEVlgoyZ5TQeDahBYxg&s=19
প্রথমে ভাবলাম পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি লেখা কিন্তুু এতো মাংস পরে তো দেখলাম দারুণ ইউনিক পদ্ধতিতে মাছের পিস ছোট ছোট করে কেটে রান্না করেছেন যা একদমই মাংসের মতো লাগছে। খেতে যে চমৎকার হয়েছে তা তো পরিবেশের ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ভীষণ লোভনীয় হয়েছে ভাইয়া রেসিপিটি।ধাপে ধাপে দারুন করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটু লোভনীয় রেসিপি আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আসলেই এই রেসিপিটা অনেক বেশি লোভনীয় ছিল।
বাহ্ ! বেশ মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাইয়া ৷ পাঙ্গাস মাছ ছোট ছোট করে কেটে দারুণ ভাবে ভুনা করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো ৷ আপনার এই রেসিপি দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর এবং লোভনীয় হয়েছে ৷ বিশেষ করে রেসিপির কালার দারুণ হয়েছে
এভাবে ছোট ছোট করে কেটে ভুনা করলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়।
বাহ্! দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ভাই। পাঙ্গাস মাছের ভুনা রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। যদিও পাঙ্গাস মাছ কেউ খেতে চায় না আমাদের বাসায়। তবে কোরিয়াতে থাকা অবস্থায় আমি বেশ কয়েকবার পাঙ্গাস মাছ খেয়েছিলাম। খেতে দারুণ লেগেছিল। বাজারে গিয়ে নদীর পাঙ্গাস মাছ খুঁজি প্রায়ই, তবে নদীর পাঙ্গাস পাওয়া যায় না এখন। নদীর পাঙ্গাস মাছ বেশ কয়েক বছর আগে খেয়েছিলাম এবং সেই স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে রয়েছে। যাইহোক পাঙ্গাস মাছের টুকরা গুলো ছোট ছোট করে কেটে রান্না করায়,খেতে মনে হচ্ছে আরও বেশি সুস্বাদু লেগেছিল। এই মাছে কাটা খুব কম থাকে বিধায়, খেতে তেমন ঝামেলা হয় না। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের এই দিকে তো পাঙ্গাস মাছ অনেক বেশি পাওয়া যায়। ঠিক কাটা কম থাকার কারণ খেতে ঝামেলা হয় না।
পাঙ্গাস মাছ খেতে বেশ ভালই লাগে। খুব একটা খাওয়া হয় না আমার কিন্তু এই মাছ ভাজা খেতে ভীষণ ভালো লাগে
আপনি আজকে দেখছি দারুন দক্ষতায় মাছটির রেসিপি সম্পন্ন করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
পাঙ্গাস মাছ খেতে আসলেই খুব ভালো লাগে। আপনি অবশ্যই এভাবে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। দেখবেন খুব ভালো লাগবে।
আমিতো প্রথমে ভেবেছিলাম মনে হয় মুরগির মাংস। তার পর টাইটেল দেখে বুজলাম যে পাঙ্গাশ মাছ। যাইহোক পাঙ্গাশ মাছ খেতে আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। কারন অন্য মাছের তুলনায় পাঙ্গাশ মাছ বেশি কাটা না থাকায় খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। রেসিপি কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিলো। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার কাছে ও কাঁটা কম থাকার কারণে বেশি ভালো লাগে। আসলে এটা অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
পাঙ্গাস মাছ খুব কমই খাওয়া হয়। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। এভাবে টমেটো দিয়ে ভুনা করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রান্না করার ধাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন । মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন টমেটো দিয়ে ভুনা করলে বেশি সুস্বাদু হয় এবং খেতে ভালো লাগে।
বাহ্ দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করলেন তো। পাঙ্গাস মাছ যে এত সুন্দর করে ভূনা করা যায় সেটা আপনার আজকের রান্না না দেখলে হয়তো বিশ্বাস হতো না। বেশ দারুন করে রেসিপির প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পাঙ্গাস মাছের এই রেসিপিটা তৈরি করবেন, দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগবে।
বেশ সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি কালার দেখতে বেশ দুর্দান্ত লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। যদিও আমি পাঙ্গাস মাছ খাই না তবে আপনার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো। এত দুর্দান্ত রেসিপি চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আসলেই ভাই মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছিল এই রেসিপিটা। আর সবাই খুব মজা করে খেয়েছিল।