রেসিপি: করলা ভাজি রেসিপি।
ABB ৪- জুলাই ২০২৩
বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলাইকা ইয়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো সুস্থ আছি। আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে নতুন ব্লগ করলাম। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো রেসিপি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আমার কাজগুলো শেয়ার করতে অনেক ভালো লাগে। আমি আশা করি আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের আজকে করলা ভাজি রেসিপি রেসিপি ভালো লাগবে।
আজকে আমি করলা ভাজির একটা রেসিপি তৈরি করেছি। আসলে মাঝে মাঝে এরকম রেসিপি এগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। এই রেসিপিটা তৈরি করার পরে যদিও সবাই বলছিল করলা তিতা লাগে, কিন্তু খাওয়ার পরে বুঝতে পারলাম আসলে এটা অনেক বেশি মজাদার ছিল। মাঝে মাঝে এরকমের রেসিপি খেতে খুব খারাপ লাগে। মাঝে মাঝে ভিন্ন খাবার খেতে অনেক মজাদার লাগে। করোলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কিন্তু অনেক ভালো এটা অনেক উপকারী। আর আমাদের সবারই উচিত এরকম খাবার গুলো মাঝে মাঝে খাওয়া। আশা করছি আপনারা খুব পছন্দ করবেন আমার তৈরি এই রেসিপিটা।
উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
করলা | 500 গ্রাম |
আলু | ২ টা |
পেঁয়াজ কুচি | ১ কাপ |
রোসন বাটা | ১ কাপ |
কাঁচা মরিচ | ৫/৬ টা |
লবন | পরিমাণমতো |
তেল | পরিমাণমতো |
হলুদ | পরিমাণমতো |
মরিচ | পরিমাণমতো |
ধাপ 1️⃣
প্রথমে আমি করলা এবং আলু কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিলাম।
ধাপ 2️⃣
এরপর একটা কড়াই এর মধ্যে তেল দিয়ে দিলাম। তারপরে পেঁয়াজ কুঁচি এবং কাঁচামরিচের কুঁচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ 3️⃣
তারপরে ভালো ভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ পর্যন্ত নেড়ে নিলাম।
ধাপ 4️⃣
তারপরে করলা এবং আলু দিয়ে দিলাম কড়াই এর মধ্যে।
ধাপ 5️⃣
এরপর এগুলো ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম।
ধাপ 6️⃣
এরপর হলুদ মরিচ পরিমাণ মতো সবগুলো দিয়ে দিলাম।
ধাপ 7️⃣
তারপরে ভালোভাবে নেড়েচেড়ে নিলাম। এভাবে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। আর এভাবেই ভালোভাবে ভেজে নিলাম।
ফাইনাল আউটপুট
আমি আশা করি আজকের রেসিপি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে। রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে এজন্য বর্তমানে রেসিপি পোস্ট করার চেষ্টা করি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ক্যামেরা | রিয়েলমি ৭আই |
পোস্ট তৈরি | #narocky71 |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
"নিজেকে নিয়ে কিছু কথা"
আমার নাম নুরুল আলম রকি। আমার steemit I'd narocky71। আমি বাংলাদেশী নাগরিক । বাংলাদেশে বসবাস করি। তার সাথে সাথে আমি বিশ্বনাগরিক। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি। বাংলা ভাষায় মনের ভাব প্রকাশ করি। আমি বাংলা ভাষাকে ভালবাসি। আমি ফটোগ্রাফি করতে ও ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে জল রং দিয়ে পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। যখনই আমার সময় এবং হাতে টাকা থাকে তখন ভ্রমণ করতে বেরিয়ে পড়ি। বিশেষ করে আমি ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। আমি অনেক বছর আগ থেকে ফটোগ্রাফি করে থাকি। কিন্তু বিশেষ করে ম্যাক্রো ফটোগ্রাফি বেশি করা হয়। বর্তমানে তার সাথে আর্ট করতে অনেক ভালোবাসি। বর্তমানে আমি বেশি সময় কাটাই আর্ট শিখতে। বর্তমানে আমার স্বপ্ন, আমি একজন ভালো ফটোগ্রাফার, ও একজন ভালো আর্টিস্ট হব। ( ফি আমানিল্লাহ)
করলা ভাজি আমার পছন্দ না। খেতে আমার কাছে খুবই তিতা লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে লোভনীয় লাগছে। পরিবেশন টা খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে গুছিয়ে লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার কাছেও করলা খেতে আগে ভালো লাগতো না। কিন্তু একবার খাওয়ার পরে বুঝতে পারলাম এটা আসলে অনেক সুস্বাদু্।
https://twitter.com/NARocky4/status/1676081565506629632?t=-EqOKCm2E74D5n4PpzNyRQ&s=19
আমিও আজকে বাসায় করলা ভাঁজি করেছি। আপনার করলা ভাঁজি দেখে লোভ লাগলেও নিজেরটা খেয়ে কিছুটা লোভ সংবরণ করা যাবে। করলা ভাঁজি অনেক বেশি তেল দিয়ে ভাঁজি করলে তিতা ভাব চলে যায়। আপনার করলা ভাঁজি দেখে মনে হচ্ছে যে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল।
আরে আপনার সাথে তো তাহলে আমার মিলে গিয়েছে। হ্যাঁ আপু অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এই করলা ভাজি।
আগে একটা সময় ছিল যখন আমি করলা খেতে একদম পছন্দ করতাম না। তবে আমার মা প্রায় সময় আমাকে জোর করে করে এই করলা ভাজি খাওয়াতেন। অল্প করে খেতে খেতে আজ এমন একটা সময় এসেছে যে আমি বাজার গেলে করলা নিয়ে আসি ভাজি করে খাওয়ার জন্য। গরম গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি, ও পাতলা মসুরের ডাল সেই সাথে এক টুকরো লেবু, তাহলে খাওয়াটা বেশ জমে উঠে। যাইহোক ভাই, করলা তিতা হলেও আমার কাছে খুব প্রিয়। আর আমার প্রিয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
করলা তিতা হলেও আমারও খুব প্রিয়, আর আপনারও প্রিয় এটা জেনে ভালো লাগলো। সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লেগেছে।
করলা খুব পছন্দ করি।গরমকালে বেশিরভাগ দিনই করলা ভাজি দিয়ে ভাত খাওয়া হয়।করলা দিয়ে ভর্তা মাছের ঝোল চচ্চড়ি সবকিছুই আমার খুব পছন্দের।ভাইয় আপনার করলা ভাজি দেখে তো মনে হয় এক প্লেট গরম ভাত নিয়ে আপনার করলা ভাজি দিয়ে খেয়ে ফেলি।😁 যাইহোক ভাইয়া অনেক সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন তার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
এমনিতে কিন্তু গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি খুব ভালো লাগে খেতে। তৈরি করবেন তাহলে গরম ভাতের সাথে খেতে পারবেন।
তিতার জন্য আমিও করলার রেসিপি তেমন একটা খাইনা। এমনকি ধরেন শুধু করলার তরকারি আছে আর কিছু নাই তাহলে আমি সেদিন ভাতই খাইনা। তবে করলা ভাজি রেসিপি ভালো লাগে আমার। গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি অনেক ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটি দারুণ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। গরম ভাতের সাথে খেতে পারলে দারুণ হতো।
আমার কাছেও গরম ভাতের সাথে করলা ভাজি খেতে খুব ভালো লাগে। আর এই করলা ভাজিও গরম ভাতের সাথে খাওয়া হয়েছিল।
যেকোনো সবজি তরকারি খাওয়া দেহের জন্য খুবই উপকার। করলা বেশ উপকারী একটি সবজি। যদিও করলা ভাজি খেতে ভীষণ তিতে। তাই এটি খাওয়ার সময় একটু বিরক্তবোধই হয়। তারপরও ভাজি করে খেতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে করলা ভাজি রেসিপি তৈরি করেছেন। তৈরি ধাপ গুলো বেশ সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
এটা ঠিক বলেছেন, যে কোন রকমের সবজি খাওয়া আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আসলে আমার কাছে এই করলা ভাজি খেতে একেবারেই তিতে লাগেনি।
ভাইয়া আমার সব থেকে ফেভারিট খাবারের রেসিপি শেয়ার করলেন। আমি সব থেকে বেশি করলা খেয়ে থাকি। করলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমার এক ফ্রেন্ড কাঁচা করলা খেয়ে ফেলে, হা হা হা।
ঠিক বললেন করলা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আমি ভাজি করে এবং রান্না করে খেয়েছি, কিন্তু কাঁচা খাওয়ার কথা কখনো শুনিনি ভাই। আপনার বন্ধুর কাঁচা করলা খাওয়া কিন্তু একটা ক্যাডেট,হা হা হা।
আমি এই করলা ভাজি শুধুমাত্র একটা ভয়ে খায় না সেটা হচ্ছে অনেক বেশি তিতা লাগে খুব ছোটবেলা থেকেই করলার প্রতি আমার অন্যরকম এক অনীহা কাজ করে। তবে আপনার এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে করলা তিতা হয় এটা আমরা সবাই জানি। তবে এই করলা ভাজি একেবারেই তিতা লাগে নিয়ে আমার কাছে খেতে।
করলাম ভাজি খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। অনেকে কিন্তু করলা তিতার কারণে খেতে চায় না ।কিন্তু এই তিতাটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে ।গরম ভাত দিয়ে খাবার মজাই আলাদা।
ঠিক বলেছেন গরম ভাত দিয়ে এরকম করলা ভাজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।