মোবাইল ফোন।
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন
সকলের জন্য সুস্থতা কামনা করছি। আলহামদুলিল্লাহ আমি ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সাথে উপস্থিত হয়ে গেলাম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে। আমাদের নিত্য ব্যবহারকৃত যন্ত্র মোবাইল ফোন নিয়ে আপনাদের সাথে কিছু কথা শেয়ার করব।
ছবিটি এখানে হতে সংগ্রহ করা হয়েছে
আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনে যেভাবে কল্যাণ বয়ে নিয়ে আসছে ঠিক একইভাবে আমাদের জীবন ধ্বংসের পথে এই আধুনিক প্রযুক্তি রয়েছে। এর মধ্যে অনেক বড় একটি উদাহরণ হল মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোন আমাদের জীবনে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অনেক সহজতার করেছে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তথ্য আদান প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছি আমরা এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে । মোবাইলের মাধ্যমে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগ করতে পারছি এবং পৃথিবীর সব জায়গার খবরা খবর রাখতে পারছি। মুহূর্তের মধ্যেই দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খবর আমরা দেখতে পাচ্ছি।
ঠিক একই ভাবে মোবাইল ফোন আমাদের জীবন ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে যদি না মোবাইল ফোন আমরা সঠিক কাজে ব্যবহার করি । মোবাইল ফোনে দিন দিন আসক্তি হচ্ছে সকলেই বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা। তারা সময় অসময় গেম খেলেই দিন পার করছে। বাহিরের খেলা থেকে তারা এখন একদমই বিরত। আর মাঠে খেলার মধ্যে শারীরিক ও মানসিকভাবে বাচ্চারা সুস্থ থাকে। কিন্তু তা না করে তারা ঘরে বন্দী হয়ে থাকে মোবাইল এই আসক্ত হয়ে। এমনকি অনেকে পড়ালেখায় অমনোযোগী এই মোবাইলের জন্য। শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তারা মোবাইলে বিভিন্ন সাইটে বন্ধু গড়ে তুলছে এবং অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছে। বর্তমানে উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীরা অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় ও কিশোর অপরাধে সামিল হয় । এখন সবাই ঘুমোতে গেলেও মোবাইল দেখতে দেখতে মধ্যরাত হয় কারো আবাবা ভোর ঘনিয়ে আসে।
আগে নানু বাড়িতে সব আত্মীয় একসাথ হলে গল্প আড্ডায় মেতে উঠতাম কিন্তু এখন সবাই আড্ডা দিলেও হাতে হাতে মোবাইল নিয়ে ব্যাস্ত থাকে।বর্তমানে সন্তানদের বাবা মা অনেক অসচেতন। তারা সন্তানদেরকে এই ক্ষতিকর বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন করে না। বাবা-মা সন্তানদের সঠিক ভাবে দিক নির্দেশনা দিলে ও সন্তানদের মোবাইলের খারাপ দিক সম্পর্কে সচেতন করলে এই মোবাইল আসক্তির কিছুটা প্রভাব কমে আসবে।
আমাদের সকলের উচিত প্রযুক্তিকে আমাদের ভালো ও কল্যাণের কাজে নিযুক্ত করা। অকল্যাণমূলক কাজে ব্যবহার করলে আমরা আমাদের সমাজ ও আমাদেরকে ধ্বংসের মুখে নিজ হাতেই ঠেলে দিই। পরিশেষে বলি মোবাইল ফোনে আসক্ত হওয়ার ফলে আমরা শারীরিক মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই আমাদের উচিত এই স্মার্টফোন প্রয়োজন অনুসারে ব্যবহার করা। নিজেরা সচেতন হওয়া এবং সমাজের মানুষকে সচেতন করা। আজ এই পর্যন্তই।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনি ঠিক বলেছেন মা-বাবারা অনেক অসেচতন। তাদের একটু সময়ের জন্য একটু মুক্ত থাকার জন্য, সন্তানদের হাতে মোবাইল দিয়ে রাখে এটা আছে তাদের সন্তানদের জন্য কতটা ক্ষতিকর্তা তারা কল্পনাও করতে পারছেনা। ঠিক বলেছেন আগে আমরা সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিতাম গল্প করতাম কিন্তু এখন মোবাইলের জন্য সেগুলো আর হয়ে ওঠে না একটুখানি গল্প করতে বসলেও সবার হাতে হাতে মোবাইলটা যেন আয়নার মতো থাকে।আপনার আজকের পোস্টটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
মোবাইল ছোট বাচ্চাদের হাতে থাকা কতটা ক্ষতিকর তা কল্পনা করা অনেক কঠিন। যেখানেই যাই সবার হাতে হাতেমোবাইল থাকে।
আরে আপু কি আর বলব বলেন, কারো বাসায় বেড়াতে গেলেও যা। আবার কেউ আমার বাসায় বেড়াতে আসলে তাই। তখন তো মনে হয় মোবাইল তাদের আত্মীয়-স্বজন। মোবাইল যে এত আপন সবার সেখানে আমার কোন মূল্য নেই। সবাই ভুলে যায় ভালোবাসা আত্মীয়তা। আমার তো মনে হয় মোবাইল ফোন না থাকলেই ভাল হত। অনেক সুন্দর পোস্ট শেয়ার করলেন আপু।
মাঝে মাঝে আমিও বলি আপু মোবাইল ফোন না থাকলে মনে হয় ভালো হতো। যাইহোক আপু অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিকই বলেছেন মোবাইল এক দিক দিয়ে আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে যেমন সহজ করে তুলেছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে যুব সমাজকেউ ধ্বংস করে দিচ্ছে । আবার আমরা যখন সবাই মিলে একসাথে হই তখন এই মোবাইলে কারণে সবাই মিলে গল্পটাও ঠিকমতো জমে উঠে না । মোবাইলের ভালো মন্দ দুটি দিকই রয়েছে ।
মোবাইল যোগাযোগ ব্যবস্থা যেমন সহজ করে তুলেছে ঠিক একইভাবে সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর এখন বর্তমানে মোবাইলের জন্যই সবাই একসাথে গল্প করা হয় না।
খুব সুন্দর একটি পোস্ট লিখেছেন আপনি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন আপনি দিন দিন সবার মোবাইলের প্রতি এত আসক্ত হচ্ছে। বড়দের পাশাপাশি ছোটরা ও গেমস কার্টুন নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকে। এখন এমন একটা সময় এসে গেছে মনে হয় যে মোবাইল ছাড়া এক মিনিটও চলা যায় না। তাই আমাদের উচিত প্রযুক্তি কে কল্যাণের কাজে ব্যবহার করা। ধন্যবাদ আপনাকে।
ছোট বাচ্চারা প্রচুর পরিমাণে গেমস ও কার্টুন এ আসক্ত হয়ে পড়েছে। আর আপনার মত আমার মনে হয় মোবাইল ছাড়া এখন এক মিনিটও থাকা সম্ভব হয় না। প্রযুক্তি এসেছে আমাদের কল্যাণের জন্য কিন্তু আমরা আমাদের সমাজকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছি।
বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ মোবাইলের প্রতি এতো আসক্ত হয়েছে, যা বলার মতো নয়। দেখা যায় একই জায়গায় কয়েকজন বসে থাকলেও, সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। কারো সাথে মন খুলে কথা বলার সময় নেই। অথচ একটা সময় সবাই একসাথে বসে আড্ডা দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা পার করে দিয়েছে। মোবাইল ব্যবহারে আরো অনেক খারাপ দিক রয়েছে। আবার অনেক ভালো দিকও রয়েছে। যাইহোক সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।