কালিবাউশ মাছের স্বাদে চাল কুমড়োর মজাদার রেসিপি।
সবাই কেমন আছেন?
আশাকরি আপনারা সবাই সৃষ্টিকর্তার রহমতে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও তার রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। রেসিপিটি হলো কালিবাউশ মাছের স্বাদে চাল কুমড়োর মজাদার রেসিপি😋।চাল কুমড়া আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি। এতে প্রচুর পরিমাণে মিনারেল ভিটামিন থাকে যাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপা ইত্যাদির জন্য চাল কুমড়া খাওয়া প্রয়োজন। আর সবচেয়ে বড় কথা হল এই কুমড়ার আমার খুবই পছন্দ। কুমড়ার বিচি শুকিয়ে ভেজে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। কিন্তু কোন কুমড়ার বিচি তা আমি জানিনা। আম্মুর সামনে এনে দেয় আমি খাই। হিহিহি,,
যাইহোক কথা না বাড়িয়ে রেসিপির মধ্যে যাওয়া যাক।
আমি নিচে রেসিপিটি তৈরির পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়েছি। আশা করি এটি আপনাদের ও ভালো লাগবে। |
---|
- চাল কুমড়া
- কালিবাউশ মাছ
- পেঁয়াজ কুঁচি
- কাঁচা মরিচ
- হলুদের গুঁড়া
- মরিচেরগুঁড়ো
- জিরে গুঁড়া
- লবণ ও সরিষার তেল
- প্রথমে মাছের টুকরো গুলোর মধ্যে হলুদও লবণ মাখিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম। এবং চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে দিলাম।
- তারপর পাতিলে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম। মাছগুলোকে ভালোভাবে ভেজে চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
- এখন পাতিলে পেঁয়াজ কুঁচি ও কাঁচামরিচ কুঁচি দিয়ে দিলাম। কিছু ভেজে নিলাম। কিছুক্ষণ পর মসলার সব গুলো উপকরণ দিয়ে দিলাম। তারপর পানি দিয়ে মিক্সিং করে নিলাম।
- এখন ভাজা মাছগুলো দিয়ে দিলাম ও নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে অপেক্ষা করলাম।
- এখন পাতিলে কেটে রাখা কুমড়ো গুলো দিয়ে দিলাম ও মসলার সাথে মিশিয়ে নিলাম।
- কিছুক্ষণ পর কাঁচামরিচ দিয়ে দিলাম ও রান্না হয়ে আসলে তা চুলা থেকে নামিয়ে নিলাম।
আশা করি আপনাদের সকলের কাছে আমার আজকের এই রেসিপির পোস্টটি ভালো লেগেছে। কেমন লেগেছে তা অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন। ভুলক্রটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
চাল কুমড়ো দিয়ে মজাদার কালবাউশ মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপিটি প্রত্যেকটা ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু এত সুন্দর ভাবে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
জি ভাইয়া এটি আসলেই অনেক হয়েছিল এবং আপনাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছিলাম আমি।
কালিবাউশ মাছের সাথে চাল কুমড়োর রেসিপি খুবই লোভনীয় হয়েছে আপু। যে কোন মাছ দিয়ে চাল কুমড়ো রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা এই রেসিপি আমার কাছে ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এই মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থেকেছেন তার জন্য।
কালিবাউশ মাছ অনেক স্বাদের মাছ তাই যা দিয়েই রান্না করা হোক না কেন খেতে সুস্বাদু হবে। চালকুমড়া দিয়ে কালিবাউশ মাছের রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপু রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এই মাছ দিয়ে যাই রান্না করা হয় না কেন খেতে দারুন লাগে।
কালিবাউশ মাছের স্বাদে চাল কুমড়োর মজাদার রেসিপি। এভাবে রান্না করে কখনো খাইনি তবে আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করবো। ধন্যবাদ আপনাকে
কি বলছেন ভাইয়া তাহলে জলদি এভাবে তৈরি করে ফেলুন খেতে ভালো লাগবে।
চাল কিমড়া দিয়ে মজাদার কালিবাউশ মাছের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে এলো। আসলে আপু এভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। একদিন অবশ্যই রান্না করে খাব।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি অবশ্যই চেষ্টা করবেন আপু ধন্যবাদ এই সুন্দর মন্তব্যের জন্য শুভকামনা রইল।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। চালকুমড়া তরকারি অনেক টেস্টি হয়।মাছ ভাজি করলে সুস্বাদু টা একটু বেশি হয় ।কালবাউস মাছ তো সুস্বাদু একটি মাছ।এই মাছ তাজা হলে খেতে ভিশন মজা লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তরকারি রান্না করার আগে মাছ ভেজে রান্না করলে আসলে খেতে সুস্বাদু হয়। ধন্যবাদ ভাইয়া আমার পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য।
চাল কুমড়া ও মাছ দিয়ে সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করে আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি বলতে আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। কিন্তু আপনার রেসিপি তৈরি দেখে মনে হচ্ছে আপনার রেসিপিতে হলুদের পরিমাণ একটু কম হয়েছে জানিনা খেতে কেমন লাগবে একটু দিলে খেয়ে দেখতাম কেমন লাগে আপু।
তরকারির মধ্যে বেশি রং হলে আম্মু খেতে একদমই পছন্দ করে না। হলুদের গুঁড়া তো শুধু কালারের জন্যই ব্যবহার করা হয়। দিলে রঙ হয় সামান্য দিলে রঙ কম হয়। যাইহোক খেতে কিন্তু দারুন ছিল।
আপনার তৈরি করা কালিবাউশ মাছের স্বাদে চাল কুমড়োর মজাদার রেসিপি। দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার রেসিপিটি খুবই অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মতামত শেয়ার করার জন্য।
আপনি ঠিকই বলেছেন চাল কুমড়ো আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী। আমি এটা মাঝে মাঝে বাসায় রান্না করি। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদ হয়েছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অনেক সুস্বাদু একটি রেসিপি টি। ধন্যবাদ আপনাকে আপু সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।