গুড্ডু - দ্বিতীয় পর্ব
প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ বাসিন্দা
আজ আপনাদের সাথে সেয়ার করবো আমার গুড্ডু এর দ্বিতীয় পর্ব
যারা প্রথম পর্ব এখনো দেখেননি, দেখে নিতে পারেন।
গুড্ডু - প্রথম পর্ব
বিড়ালকে সৃষ্টি কর্তা এমন শক্তি দান করেছেন, যার সাথে জ্বীনের শক্তিও হার মানে, এমন কী আমদের যখন অতিরিক্ত পেষারে মাথা ব্যাথা করে তখন বিড়াল আমাদের ভেতরে তৈরি হওয়া নেগেটিভ এনার্জি গুলো শুষে নিতে পারে ফলে আমাদের মানসিক চাপ কমতে থাকে। তাই আমার কাছে এটা মনে হয় বিড়াল পোষা অনেকটা জরুরি।
গুড্ডু দ্বিতীয় পর্ব
পরের দিন আমি ঘুম থেকে উঠার আগেই গুড্ডু'র ঘুম ভেংগে যায় এবং তার "মিউ মিউ" ডাকে আমারও ঘুম ভেঙে যায়।
আমি উঠেই ওকে পারুটি খেতে দেই, কিন্তু একটু গন্ধ শুকে না খেয়ে আবার মিউ মিউ করে উঠে।
ভালো করে খেয়াল করে দেখি, রাতে যে চোখ ময়লাদিয়ে বন্ধ হয় ছিলো সেটা এখন আবার বন্ধ হয়ে গেছে।
রাতের মত করে আবারো নরম কাপর ভিজিয়ে চোখ পরিষ্কার করে দেই।
আমাকেও যে ডিউটিতে যেতে হবে, তাই আমার স্ত্রী কে ফোন করে বলে দেই ও কিছুই খাচ্ছে না।
ফ্রেশ হয়ে চলে যাই ডিউটিতে,
সোহাগ ভাইয়ের কাছে সব সেয়ার করি এবং পরামর্শ আদান-প্রদান করি।
তার কথা শুনে একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করি। আর সেটা হলো "বাচ্চা বিড়াল দুধ ছাড়া কোন কিছুই খায় না"
দুপুরে লাঞ্চ করতে বাসায় চলে আসি এবং বাসায় এসে দেখি আমার স্ত্রী গুড্ডুকে গোসল করিয়ে রোদে রেখে দিয়েছে।
এবং গুড্ডুর জন্য সে দুধ নিয়ে এসেছে।
আমার স্ত্রী খুবই বিড়াল প্রিয়, ও ছোট বেলা থেকেই বিড়াল পোষার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
তাই ওর যত্ন কিভাবে নিতে হবে, আমার চাইতে ভালো জানে।
গুড্ডুর প্রকৃতিক কাজ সাড়ার জন্য একটা ছোট কাটুনে কিছু বালি এনে রেখেছে, যাতে করে গুড্ডু সেখানে প্রকৃতিক ডাকে সাড়া দিয়ে কাজ শেষ করে নিতে পারে।
এটা অনেক বড় ধরনের সমস্যা ছিলো, আমরা চার তলায় থাকতাম। যেহেতু ভাড়াটিয়া হিসেবে সেখানে আমাদের পরিচয়। এজন্য সাবর চক্ষু আড়ালে গুড্ডুকে রাখতে হবে।
প্রথম কয়েক দিন বিছানায় ভুল বসতো হিসু করে দিয়েছে।
গুড্ডুর খাওয়ার ২-৫ মিনিটের ভেতরে হিসু করেছে, এটা মেইনটেইন করেই খাওয়ার পর পরই ওকে বালির কাটুনে রেখে দিয়েছে আমার স্ত্রী।
সময়ের সাথে সাথে গুড্ডু ট্রেনিং পেয়ে যায় এবং ৪-৫ দিন পর থেকে নিজে নিজেই ওখান ওর প্রাকৃতিক কাজ করতে শুরু করে।
ও প্রথম মাস বয়স পর্যন্ত শুধু দুধ খেয়ে কাটিয়ে দেয়।
ছবিঃ ১০ ডিসেম্বর ২০২১
দিন যতই পার হতে থাকে গুড্ডু আরো আমাদের কাছে প্রিয় হতে থাকে।
টয়লেটের পানি গড়ার শব্দ শুনলে টয়লেট ঢুকে বসে থাকতো।
ছবিঃ ১২ ডিসেম্বর ২০২১
যখন আমি রাতে ডিউটি শেষ করে আসতাম ও আমার কাছে এসেই আমার ছোয়া পাওয়ার জন্য মিউ মিউ করে আমার গায়ে ঘসাঘসি শুর করতো যতক্ষণ না ওকে একটু কাছে টেনে না নিতাম।
ছবিঃ ২০ ডিসেম্বর ২০২১
গুড্ডুকে এভাবে নিয়ে পাব্জি খেলতাম
কিছুক্ষণ এভাবে থাকতো আমার খেলার প্রতি মনযোগ দেখে চলে যেতো।
তো প্রিয়, আমার বাংলা ব্লগ বাসিন্দা আজ এ পর্যন্তই।
গুড্ডুর শেষ দিন পর্যন্ত আপনাদের সাথে সেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। ততক্ষণে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই, আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়
আমার বাড়ি পাবনা জেলায়
বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমি আমার মাতৃভাষাকে ব্যবহার করতে ভালোবাসি, এ ভাষায় আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করে শান্তি লাভ করি। এই ভাষাতে ব্লগিং করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শবে মাত্র শুরু। বর্তমানে আমি লেভেল ৩এ ক্লাসরত আছি
আমার বাংলা ব্লগ, বাংলা ভাষার ঐতিহ্য
A-Purrrrov-ed.😽 And resteemed!
বিড়াল পোষা সত্যিই অনেক বড় একটি শখের কাজ। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্টটি পড়ে। গুড্ডু বিড়ালকে নিয়ে তৃতীয় পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
অসাধারণ, দেখতে দেখতে তো গুডডু বড় হয়ে যাচ্ছে। কোমলতা ও দুষ্টামিও বাড়তেছে । অসম্ভব সুন্দর হয়েছে ছবিগুলো। টয়লেটের পানি গড়ার শব্দে টয়লেটে বসে থাকার ছবিটা অস্থির হয়েছে।