গুড্ডু - প্রথম পর্ব
আচ্ছালামু আলাইকুম, আমার প্রিয় ব্লগারগণ আসা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছেন, আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
সবাইকে পবিত্র ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা
গুড্ডু
গুড্ডু আমার পোষা বিড়ালের নাম। আজকে তারই জীবন যুদ্ধ আপনারদের সাথে সেয়ার করতে যাচ্ছি।
আসা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং পুরোটা পড়লে আপনার মেমরিতে সংরক্ষণ থাকবে।
যারা বিড়াল পছন্দ করেন তাদের অনেক উপকারে আসবে ইনশাআল্লাহ।
৭ডিসেম্বর ২০২১,
সন্ধা ৬ থেকে ৭টা নাগাদ হবে,
আমাদের মার্কেটের ছাদে উঠার শিরিতে দুইটা বিড়ালের বাচ্চার খবর পাওয়া যায়।
মার্কেটের ঐ সিড়িটায় লোক জনের যাতায়াত খুবই কোম। এমনকি শুধুমাত্র মার্কেটের লোকজন ছাড়া কেও ঐ সিড়িতে যাতায়াত করে না বললেই চলে।
সময় | ৭ডিসেম্বর ২০২১ |
---|---|
ডিভাইসঃ | ওপ্পো এফ ১৯ প্রো |
এজন্য হয়তো বিড়াল ছানার মা নিরাপদ জায়গা মনে করে সেখানেই রেখে গিয়েছে।
সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমার সাথে মেলানোর জন্যই এমন ভাবে ওদের পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।
আমার সহ কর্মী (সোহাগ) বিড়াল দুটো দেখে আমাকে জানায়
এবং প্রস্তাব রাখে,
আমি যদি একটা নেই সে একটা নিয়ে যাবে।
আমি খুশি মনে তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই এবং আমার স্ত্রীকে অবগত করি যে একটা কিউট বিড়ালের বাচ্চা পেয়েছি।
আমার স্ত্রী আমার চেয়েও বিড়াল ছানার প্রতি বেশি দূর্বল। আর বিড়ালের বাচ্চা গুলোও অনেক গুলুমুলু দেখতে।
শীতের দিন ওরকম জায়গায় ওরা থাকলে মারা যাবে নিশ্চিত, তাই আমার বিড়াল পাগল স্ত্রীকে একটা ছবিতুলে পাঠিয়ে দিলাম সাথে জানিয়ে দিলাম নিয়া আসতেছি।
ডিউটি শেষে ভাগা ভাগি করে সোহাগ ভাইয়েরটা সোহাগ ভাই এবং আমারটা আমি নিয়ে আসি। আসার সময় খাবর হিসেবে পারুটি নিয়ে আসি।
কারন, আমার স্ত্রী বাসায় ছিল না, তিনি তাহার বাবার বাড়িতে গিয়েছেন।
বাসায় এনে একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখলাম ওর একটা চোখ খুলতে পারছে না ময়লা জমে শক্ত হয়ে আছে। কি করব বুঝতে পারছিরাম না, তাই আমার স্ত্রীকেই অবগত করলাম এবং কি করত হবে সে জানালো। তার কথা অনুযায়ী একটুকরো নরম কাপর ভিজিয়ে নিলাম এবং আলত করে সেই শক্ত ময়লাকে ভেজানোর চেষ্ট করলাম।
কিছুক্ষনের ভেতরেই চোখ খুলে গেলো এবং আমার দিকে মায়ার দৃষ্টি দিয়ে "মিউউ" বলে উঠলো।
আমার কাছে মনে হলো ওবলছে "খেতে দাও"।
বাজার থেকে পারুটি নিয়ে আসছিলাম ওকে খাওয়াবো আর আমি খাবো।
ওকে ওখানে রেখে আমি ফ্রেশ হতে যাই এবং ফিরে এসে দেখি শীতের জন্য ওর গায়ের লোম গুলো দাড়িয়ে যাচ্ছে, বুঝতে কষ্ট হলো না ওর কষ্ট হচ্ছে।
এরকম দেখে ওর গায়ে নরম কাপর জরিয়ে দেই এবং সোহাগ ভাই কি করছে সেইটা জানার চেষ্ট করি।
সেও আমার মতই চেষ্টা করছে। কিন্তু, কোন কাজের কাজ হয়নি। অবশেষে আমিই বুঝিয়ে দেই কী ভাবে কী করতে হবে।
আমি ওকে খাওয়ানোর চেষ্টা করলাম কোন মতে কিছুটা জোর করে খাওয়ালাম, খেতে পারছিলো না,,,,
এবার রাতে ঘুমানোর পালা,
ওকে ফ্লোরে এক কোনে ঘর বানিয়ে দেই এবং শীতের কাপর দিয়ে সুন্দর করে গুছিয়ে দেই।
লাইট অফ করার পরেই শুরু করে দেয় "মিউ" "মিউ" করা।
অবশেষে আমার কম্বোলের নিচে নিয়েই শুয়ে পরি এবং দুজনে শান্তির ঘুম দেই।
আজ এ পর্যন্তই,
ইনশাআল্লাহ, আগামি পর্বে সেয়ার করবো এর পরের ঘটনা গুলো, সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আমার পরিচয়
আমার বাড়ি পাবনা জেলায়
বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমি আমার মাতৃভাষাকে ব্যবহার করতে ভালোবাসি, এ ভাষায় আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করে শান্তি লাভ করি। এই ভাষাতে ব্লগিং করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শবে মাত্র শুরু। বর্তমানে আমি লেভেল ৩এ ক্লাসরত আছি
আমার বাংলা ব্লগ, বাংলা ভাষার ঐতিহ্য
মামুন ভাই আপনার হৃদয় অনেক পরিষ্কার। যার হৃদয় পশু পাখির ওপর সদায় ওমান তারা কখনো ঘৃণিত কাজ করতে পারেনা। যাই হোক ভালো ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে এই সমাজে দাঁড় করিয়ে উচ্চ করেন শির। বিড়াল আমারও খুব প্রিয়। আপনার গুড্ডু অনেক মায়াবী। ওকে যত্নে রাখবেন। তাকে নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য। আপনার প্রতি শুভকামনা ও ভালোবাসা দ্বিগুণ বেড়ে গেল।