ঈদের দ্বিতীয় দিনের ঘুরাঘুরি - ঈদুল আজহা ২০২২
আচ্ছালামুয়ালাইকুম, প্রিয় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সদস্য, আসা করি আল্লাহর রহমতে ভালোই
আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি।
ঈদের দ্বিতীয় দিন
১১ জুলাই, ২০২২
সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতের মেসেজিং এর কথা মনে পরে।
মিম এর সাথে মেসেজিং হয়েছিলো, ঈদের কয়েকদিন আগে ওদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য কথা দিয়েছিলাম।
রাতে ও মেছেজ দিয়ে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
ঘটনা সেয়ার করার পূর্বে এই মিম এর পরিচয়টা আগে জানা দরকার।
মিম হলো আমার ছোট বোনের ননোদ, এক কথায় বলা যায় আমার 'বিয়াইনসাব'।
যদি ওদের বাড়িতে যাই তাহলে যেনো কালকেই যাই, তা নাহলে সে তার বাপের বাড়িতে চলে আসবে।
মিমের বিয়ে হয়েছে ৭-৮ মাস হবে। ওর বিয়েতে হলুদ সন্ধ্যা এবং বিয়ের দিন শুধু ছিলাম পরের দিন যে বউ ভাতের দিন, সেই দিন আর যাওয়া হয়েছিলো না বরের বাড়ি।
পরিবারের সবাই গিয়েছিল কিন্তু আমার যাওয়া হয়েছিরো না।
শুনেছিলাম ওদের বাড়ি যেতে একটা নদী পারি দিতে হয়।
নদী ভ্রমন আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
কারন নদীতে রাস্তার মত জ্যাম থাকে না, কোন বাজে গন্ধও লাগে না।
যাইহোক ওদের বাড়ি যাওয়ার পূর্বে আমার ছোট বোনের বাড়িতে যেতে হবে।
তাই দেরি না করে তারা তারি ফ্রেশ হয়ে হাল্কা নাস্তা করে নেই। এবং আমি আমার স্ত্রী ও আমার ছোট ভাই তিন জনে রওনা দেই।
ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে প্রায় তিন বছরের একটু বেশি হবে।
আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় ২০ কিঃমিঃ দুরে, যাতায়াতের জন্য সি.এন.জি এবং অটো পাওয়া যায়।
আমার একটা অটোরিকশা নিয়ে রওনা দেই। কিন্তু, অটো রিকশা অলা অর্ধেকটা পথ পর্যন্ত নিয়ে যায় এর পরে একটা সি.এন.জি ধরে চলে যাই।
সেখান থেকে বোনের শশুর এবং ছোট বোনকে নিয়ে একটা অটো ভ্যান নিয়ে রওনা হই যমুনার নৌকা ঘাটে।
ছবিঃ ১১ জুলাই, ২০২২ |
---|
যমুনার পানি আর ঘাটে ভেরানো নৌকা দেখে মনের ভেতরে একটু ফ্রেশ ফ্রেশ লাগে।
কারন, কিছুক্ষণ আগে সি.এন.জির ঝ্যানঝ্যানানি শব্দে মাথা ব্যাথা শুরু হয়েছিলো।
এর পূর্বে এই ঘাটে এবং এই রাস্তায় কোন দিন যাওয়া হয়নি। তাই যানতাম না কতক্ষণ নৌকায় থাকতে হবে।
নৌওকায় লোক ভরার পর নৌকা ঘাট থেকে ছাড়ে তার পূর্বে ছাড়ে না। তাই বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।
প্রায় ১০ মিনিট পরে নদীর অপারে নামিয়ে দিলো, জায়গাটা বেশ ভালোই ছিলো।
মানুষ জনের চিপায় থাকার কারনে যে অস্থিরতা তৈরি হয়, এখানে এসে সেই অস্থিরতা বিদায় নেয়।
যারা এমন জায়গায় গিয়েছেন তারা এইটা উপলব্ধি করেছেন।
এবার আরেকটা নৌকা নিয়ে মিম দের বাড়িতে যেতে হবে। এই রাস্তায় বর্ষার মৌসুমে শুধু নৌকা প্রয়োজন হয়। আর এই কারনেই আবারো নৌকা নিয়ে পাড়ি দিতে হবে ৩-৪ কিলোমিটার এর একটা বিল।
আমিও নৌকা ভ্রমনের জন্যই এসেছি, ভালোই লাগছিলো। তবে আসা করেছুলাম মিনিমা এক ঘন্টা হয়তো নৌকা ভ্রমন হবে।
বাড়িতে পৌছে সবার সাথে সালাম বিনিময়ে পরিচিত হই।
সেখানকার লোকেরাও অনেক সুন্দর ভাবে আদর আপ্পায়ন করে, দুপুরে নদীর পানিতে গোছুল করে আরো ভালো লাগে।
এবার বিদায়ের পালা, সেখান থেকে বিদায় নিয়ে পূর্বের রাস্তা দিয়ে আগের মত করে ফিরে আসি।
ছবিঃ ১১ জুলাই, ২০২২ |
---|
সেখান থেকে ফিরে মিম কে রেখে চলে আসি নিজ আপন বাড়িতে।
এটাই ছিলো ঈদের দ্বিতীয় দিনের ঘুরাঘুরি, ঈদের তৃতীয় দিনেও বেশ ঘুরে ছিলাম, আগামী পোষ্টে সেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
ততক্ষণ ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ
আমার পরিচয়
আমার বাড়ি পাবনা জেলায়
বাংলা আমার মাতৃভাষা, আমি আমার মাতৃভাষাকে ব্যবহার করতে ভালোবাসি, এ ভাষায় আমি আমার মনের ভাব প্রকাশ করে শান্তি লাভ করি। এই ভাষাতে ব্লগিং করার জন্য "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আমার পথ চলা শবে মাত্র শুরু। বর্তমানে আমি লেভেল ৩এ ক্লাসরত আছি
আমার বাংলা ব্লগ, বাংলা ভাষার ঐতিহ্য
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 3/7) Get profit votes with @tipU :)
মোটামুটি সুন্দর একটি পোস্ট তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখি আমার খুবই ভালো লেগেছে। অবশ্যই ঈদের উপলক্ষে অনেকে অনেক জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে গিয়েছে। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে গিয়েছে। আর এমন ঘোরাঘুরি মুহূর্তটা খুবই ভালো লাগার। আশা করি পরবর্তী লেভেলে মার্ক ডাউনের কাজ ভালোভাবে শিখে পোস্টগুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন।
প্রিয় মানুষগুলোর সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে কার না ভালো লাগে। আপনার পোস্টটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।আপনি খুবই সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। এই ঈদে তেমন একটা ঘোরাঘুরি হয়নি অসুস্থতার জন্য ।
ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।।
ঈদের দিনে সবাই ঘুরাঘুরি করতে বেশি পছন্দ করে। আপনার ঈদের দ্বিতীয় দিনের ঘোরাঘুরি মুহূর্তটি সত্যিই চমৎকার ছিল। আমি অনেক জায়গা ঘোরাঘুরি করেছি ভালো লাগলো।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া
অসাধারণ মুহূর্ত ও ছোট বোনের সাথে নদী পাড়ি দিয়ে যাওয়ার দৃশ্যগুলো উপভোগ করলাম ও সেই সাথে স্মৃতির আদলে দৃশ্যগুলোকে মনের মধ্যে ধারণ করলাম। প্রকৃতি কতটা সুন্দর, আর এত সুন্দর ভাবে যে ধারণ করেছে তার ধারণ করার কলা কৌশল অবশ্যই বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। গল্পের তাৎপর্য ও ঈদের আনন্দ সবমিলিয়ে প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ মামুন ভাই এভাবেই রাস্তা পাড়ি দিতে থাকেন। শুভকামনা রইল
অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রিয় ভাই, আপনার অসাধারন মন্তব্য আমাকে উৎসাহের সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে। শুভকামনা আপনার জন্যও
যনুনায় অনেকবার গিয়েছি। আমাদের বাসা থেকে যনুনার দূরত্ব প্রায় ৪০ কিলো তবে বাইক ড্রাইভ করে যেতে ভালোই লাগে। আপনার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ভালোই লাগলো। আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।