প্রথেবারের মত “অ্যাশেজ” এর লাইভ কনসার্টে 🤟 (প্রথম পর্ব)
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
দিনাজপুরে কনসার্ট তাও আবার অ্যাশেজ এর কনসার্ট আর আমি না গেলে কি হয়😁।যদিও প্রথমের দিকে আমার যাওয়ার কোনো কথা ছিল না পড়ে বাধ্য হয়েই গেছি।আসলে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা আর অ্যাশেজ এর গানও তেমন একটা শোনা হয় না এই জন্যই যাওয়ার খুব একটা আগ্রহ ছিল না।কিন্তু কিছু মানুষের জন্যে না গিয়ে পারলাম না।ফেসবুক মূলত ব্যান্ড মিউজিক ফ্যানস দের নিয়ে কত গ্রুপ আছে। উত্তরবঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বড় কমিউনিটি বলা চলে।আর আমিও সেই কমিউনিটিতে ব্যান্ড মিউজিক নিয়ে কাজ করি।তো কমিউনিটি এর সব অ্যাডমিন মডারেটর আর কিছু মেম্বার ওরা সবাই এসেছিল আর সেখানে আমি না গিয়ে কিভাবে পারি।প্রথমে আমার যাওয়ার কথা ছিল সৈয়দপুরে সেখান থেকে অ্যাশেজকে রিসিভ করা।কিন্তু আমার সমস্যার কারণে সেখানে তাদের সাথে যাইতে পারি নাই।এরপর ওরা ওখান থেকে আসার পর আমাকে ফোন দিল আর আমিও চলে গেলাম।কিন্তু ভেনুতে গিয়ে দেখি পুরাই ক্রাওডে ভর্তি রাস্তাই পার হওয়া যায় না এমন অবস্থা।তারউপর হয়ে শুনি ভেনুতে টিকেট নাই,মাথাটা গেলো আরো গরম হয়ে।কিন্তু কপাল ভালো ছিল যে ভাই গুলা বাইর থেকে এসেছিল ওদের কাছে এক্সট্রা টিকেট ছিল।আর ওরা এসেছে কেউ রংপুর,কেউ কুড়িগ্রাম আর দুইজন তো সেই সুদূর চাঁদপুর থেকে এসেছে।আসলে ওরা ব্যান্ড মিউজিক এতটাই ভালোবাসে যেটা অভাবনীয়।এরপর ভিড় ঠেলে কোনরকম ভিতরে ঢুকলাম।ভিতরে ঢুকে দেখি আরো এলাহী কাণ্ড।পুরা মাঠ পোলাপাইন দিয়ে ভর্তি আর এমন দৃশ্য দেখে খুব ভালই লাগলো।আসলে এটাই তো আদের চাওয়া।যেনো প্রত্যেকটা কনসার্ট এমন হাউজফুল হয়। তো ঢুকে দেখি দিনাজপুরের কিছু লোকাল ব্যান্ড পারফর্ম করছে।ওরা আবার কিছু জনপ্রিয় গান কভার করছে।যদিও ওই ব্যান্ড গুলার সাউন্ড কোয়ালিটি অতটাও ভালো ছিল না।তবে খারাপ যে হয়েছে এমনটাও না।
অ্যাশেজ উঠার একটু আগে এই ব্যান্ড টি পারফর্ম করে।বেশ কয়েকটি গান গেয়েছে তবে সবগুলোই গুরু জেমসের গানই তারা কভার করেছে।আর ওই বান্ডটার ভোকালের কন্ঠটাও অনেকটা তরাজ আর জেমসের মতোই ছিল।আর এই গানটি বেশ অনেকদিন পর লাইভে শুনতে পেয়ে বেশ ভালই লাগছিল।
এরপর হুট করে কেই একজন বলে উঠল ইভান ভাই ঢুকে গেছে তারপর পোলাপাইনদের আর পায় কে।মনে হয় নিজের ভাই আসলেও কেউ এত ভাই ভাই করে মুখে ফেনা তুলে না যতটা না ইভান ভাইয়ের প্রতি তাদের ভালোবাসা।আসলে এইসব ভালোবাসা তো আর একদিন হয় নাই।নিজের ট্যালেন্ট আর পরিশ্রম দিয়ে কুড়িয়ে কুড়িয়ে জমানো ভালোবাসা।
এরপর অ্যাশেজ স্টেজে উঠে আর পুরা মাঠ ভর্তি ক্রাওডের চিৎকারে কেপে উঠে পুরা মাঠ।আর কনসার্ট এর এই মুহূর্ত গুলা সবচেয়ে সেরা লাগে।এরপর চলে তাদের সাউন্ড টেস্ট।নিজের মতো করে সাউন্ডটা ঠিক করে নিল আর শুরু হয়ে গেলো এক মহাতান্ডব।আর আমরা একদম স্টেজ এর সবার সামনে ছিলাম জার কারণে কনসার্ট এর প্রপার ফীলটা সেইভাবে নিতে পারছি।
এরপর শুরু হয় গেলো সেই ম্যাজিক।প্রথম গানটাই ছিল অ্যাশেজ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যান্ড তারাবাতি।আর তারাবাতি গানটা জখম শুরু হলো।ইভান ভাই শুধু বলছে সবার মোবাইলের আলো গুলো দেখতে চাই।আর পুরো মাঠটি মোবাইলের আলোয় পরিপূর্ণ।আর এই মুহূর্তটা যদি ড্রোন দিয়ে ক্যামেরা বন্দী করা যেত তাহলে আরো জোস হইতো।
যাইহোক আজকের কনসার্ট শেষে ফিরে অনেক ক্লান্ত।বাকি এখনো অনেক গল্প আছে সেগুলো না হয় কালকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।ততক্ষন পর্যন্ত ভালো থাকেন সুস্থ থাকুন।
অ্যাশেজ আমার অনেক পছন্দের একটা ব্যান্ড আপনি তো সেদিন বললেন আপনাদের এলাকায় আসছে। কনসার্ট চলার সময়ে লাইভে গিয়েছিল অ্যাশেজ পেইজ থেকে বেশ কিছুক্ষণ দেখছিলাম।খুব আফসোস হচ্ছে রে ভাই। ইভান ভাইয়ের ভয়েস মানে অন্য কিছু। দারুণ ছিল সম্পূর্ণ টা।।
হ্যা ভাই।
জোস ছিল পুরা কনসার্ট।আর ক্রাউডে পরিপূর্ণ ছিল পুরো মাঠ। তবে আপনার এলাকায় যদি কখনো হয় আমারে দাওয়াত দিয়েন আমি যাব 😁
বাংলাদেশে ১৯৯০ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত ব্যান্ডের যে ঝড় ছিল তার ছিটাফোঁটাও এখন নেই। আসলে পাইরেসির কারনে অনেকেই ব্যান্ড দল গুটিয়ে ফেলেছে। তারপরেও এখনকার কিছু ব্যান্ড দল চেষ্টা করছে সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে তাদের মধ্যে এশেজ অন্যতম। আপনার শেয়ার করা ভিডিও দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক এঞ্জয় করেছেন। না গেলে সত্যিই মিস করতেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
এইটা ঠিক তখনকার মানুষের রুচি অনেক মানসম্মত ছিল।আর এখন সব সস্তা টিকটকার আর ওভার স্মার্ট ভাবা পোলাপাইন বাইরের দেশের গান শুনে সেই ভাব নেয়।তবে ছিটেফোটাও জেনেই এটা বললে একদম ভুল হবে। বর্তমানে কনসার্টগুলোতে যে ক্রাউড হয় সেটাই বলে দেয় এদেশের মানুষ ব্যান্ড মিউজিক টা কেই বেশি পছন্দ করে।
তারাবাতি গানটা আসলেই জোস। আমিও কোথাও কনাসার্টে গেলে আপনার মত চেষ্টা করি সামনের দিকে থাকতে। যায়হোক আপনার বিডিও গুলো অনেক ভাল লাগলো। ধন্যবাদ।
আসলে কনসার্টের সামনে থেকে উপভোগ করার ব্যাপারটাই আলাদা। একদম সরাসরি উপভোগ করা যায় কোনটা এজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করি সামনের দিকেই থাকতে।