| টিউশনির গল্প|| @shy-fox|| জন্য ১০% beneficiaries |

টিউশনির গল্প


ছাত্র জীবনে সবাই কম বেশি টিউশনি করে থাকে। টিউশনি করলে আপনি নানান ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হবেন। সব স্টুডেন্ট ও এক নয় এবং সব অবিভাবক এক নয়। দেখবেন ক্লাস পঞ্চম টু সপ্তম শ্রেনীর স্টুডেন্ট গুলোর ভিতরে ছেলে মানুষি ভাব রয়েছে কিন্তু অষ্টম শ্রেণি টু দশম শ্রেণীর স্টুডেন্ট গুলোর ভিতরে একটু ভাব আসতে শুরু করে।

20211204_110056_0000.png


আমার দুইটি স্টুডেন্ট রয়েছে। একজন পড়ে ষষ্ট শ্রেণির আরেক জন অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। ষষ্ট শ্রেনির স্টুডেন্টটা ছেলে বারি দুষ্ট প্রকৃতির কোন পড়া শুনা করতে চায় না। সারাক্ষণ শুধু খেলা দুলা নিয়ে ব্যস্ত। অষ্টম শ্রেণির স্টুডেন্টটি মেয়ে খুবই শান্ত প্রকৃতির একজন স্টুডেন্ট পড়া লেখায়ও ভাল কিন্তু বুঝি না অঙ্ক যতই বুঝাই না কেন। তার মাথায় খুব সহজে ঢুকবে না। মেয়েরা মনে হয় অঙ্ক একটু কম বুঝে।

টিউশনির নাস্তা


20211127_181759.jpg

20211119_184518.jpg

মাঝে মাঝে খুব ভালই লাগে আন্টি যখন দাওয়াত করে একটু ভাল মন্দ খাবার জন্য। একদিন আন্টি হঠাৎ ফোন দিল ওয়াসিম তুমি কোথায় একটু আামার বাসার নিচে আস।আমিতো রীতিমত হতবাক এই অবেলায় ফোন টেনশন নিয়ে বাসার নিচে গেলাম গিয়ে কল দিলাম আন্টি আমি নিচে এসেছি। এমনি আামার স্টুডেন্ট ছোট বোন একটি বক্স দিয়ে বলল স্যার এটা আম্মা দিয়েছে আপনার মেসের বন্ধুদে নিয়ে খায়েন। আমিতো রীতিমতো হতবাক মানুষ এতো ভাল হয়। মেসে গিয়ে খুলে দেখি গরুর মাংস বুনা।

৪০দিনে যখন বেতন দেয়


20201027_152042.jpg

ষষ্ট শ্রেণির ছাত্র

সাধারণত টিউশন বেতন গুলো ১০ তারিখ এর আগে দেয় না। তাইলে দেখেন ১ তারিখ টু ১০ কত দিন হয় পাক্কা ৪০ দিন পর বেতন পাই কি একটা অমানুষ একটা রীতি। যদিও অনেক জেন্টেল পরিবার ও আছে যারা ১-৩ এর মধ্যে টাকা দিয়ে দেয়। ছাত্র মানুষ টাকা যদি একটু আগে পাই কতোই না ভাল লাগে। মাস শেষে টান টান আবস্থা। ভাল মন্দ দুই দিকই আছে টিউশিনতে তবুও বেলা শেষে ছাত্র জীবনে টিউশনির কোন বিকল্প নেই।

টিউশনির বিরক্ত কর দিক


20211202_172200.jpg

বাসে করে টিউশনে যাই

টিউশন করাতে তেমন খারাপ লাগেনা কিন্তু যখন ১৫-২০ কিঃমিঃ পারি দিয়ে টিউশনিতে যাওয়া লাগে তখন খুবই খারাপ লাগে আবার যদি স্টুডেন্ট পড়া বা হোম ওয়ার্ক না করে তখনতো মেজাজ আরো চটে যায়। আমার টিউশন বাসাটি যদিও অনেক দূরে খুব কষ্ট করে যেতে হয়। আসতে যেতেই প্রায় ১.৫ ঘন্টা।

আসলে টিউশনে ভাল লাগা মন্দ লাগা দুইটাই রয়েছে তবু্ও বেলা শেষে বলতে হয় ছাএ জীবন অপরিপূর্ণ থেকে যায় টিউশন লাইফ ছাড়া। অবশ্য সবার টিউশন অভিজ্ঞতা এক নয় সবারি আলাদা আলাদা অভিজ্ঞতা রয়েছে
Sort:  
 3 years ago 

ভাই আপনি এমন একটি পোস্ট করেছেন যে পোস্টটি আমাকে নিয়ে গেছে আমার সেই অতীতে। আমার একটা সময় ছিল যে আমি আমার সেইম বেইছের স্টুডেন্ট কে টিউশন করিয়েছি। আবার এ কথাগুলো মনে হলে খুব কষ্ট লাগে। কারণ আমি এমন একটা সময় পার করেছি উচ্চমাধ্যমিকে পড়া অবস্থায় আমার টিউশন করে টিউশনের টাকা দিয়ে আমার পড়ালেখার খরচ যোগাতে হতো। আর সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল আমার একটা টিউশন ছিল অজোপাড়া একটি গায়। আমাদের এলাকাতে ওই পাড়ার্টিকে আমরা অয পাড়াই বলতাম। যে পাড়াতে শিক্ষিত নেই বললেই চলে। তবে ওদের আত্মসম্মানবোধ এবং কি একজন শিক্ষিত মানুষকে কিভাবে সম্মান করতে হয় এ জিনিস গুলো দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে যেতাম। একজন মাস্টারকে ওরা যে পরিমাণ সম্মান প্রদর্শন করত যা কল্পনার বাহিরে। আমার বয়সটা কত ছিল, কিন্তু ওই পাড়াতে বয়স্ক থেকে শুরু করে জোয়ান থেকে ছেলেমানুষ পর্যন্ত খুব সম্মান করতো। যাই হোক আপনি আপনার মনের ভাবগুলো আমাদের সাথে অনেক সুন্দর করে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

ঠিক বলেছেন ভাই টিউশন অনেক কষ্টের কাজ আবার আনন্দও আছে কিন্তু মাঝে মাঝে কষ্ট হয় তখনি যখন টিউশনির বেতন দেরিতে দেয়। কিছু অবিভাবকের আচরণ দেখে আর টিউশনে যাইতে ইচ্ছে করে না💕

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68109.82
ETH 2439.30
USDT 1.00
SBD 2.50