আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বৃহস্পতিবার , অক্টোবর ১৩/২০২২

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। প্রায় দু'মাস আগের কথা আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছিলাম আমার নতুন পাখির খামার তৈরি করার কথা। এই দুই মাসের মধ্যে দেখতে দেখতে আমার পাখিগুলো প্রথমে ডিম দিল আর এখন সেই ডিম গুলো ফুটে সুন্দর সুন্দর বাজরিগার পাখির বাচ্চা বের হয়ে গিয়েছে। আমার খামারের বাজরিগার পাখির বাচ্চা গুলো সত্যি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে তাই আমি চিন্তা করলাম এটা নিয়ে আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট করা যায়। তো চলুন শুরু করা যাক...

প্রথমবার আমার দুই জোড়া বাজরিগার পাখিতে সর্বমোট ১১টি ডিম দিয়েছিল। আর সেই এগারোটা ডিমের মধ্য থেকে ৬ বাচ্চা বের হয়েছে। দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে আজকে সকালেই সেই ৬ টি বাচ্চার মধ্যে একটি বাচ্চা মারা গিয়েছে। ওই বাচ্চাটা মূলত খুবই ছোট আকৃতির হয়েছিল আর প্রত্যেকটি বাচ্চার থেকে সে ছিল অনেক দুর্বল। সেই বাচ্চাটির পায়েও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা ছিল যা আমি দেখেই বুঝতে পারলাম।

প্রতিটি পাখি ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়েছে যার কারণে দেখতে খুবই ভালো লাগছে। প্রত্যেকটি পাখির মধ্যে বেশ কয়েক ধরনের রঙের পালক আমরা দেখতে পাচ্ছি। পাখির পালক গুলো আরো বড় হয়ে গেলে হয়তোবা এগুলো দেখতে আরো সুন্দর দেখাবে।

বর্তমানে দিনের বেশিরভাগ সময় আমি এই পাখির বাচ্চা গুলোর সাথে কাটিয়ে থাকে। প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আমি একটি অথবা দুইটি পাখির বাচ্চা বের করে আনি আর তাদেরকে হাতে করে খাওয়াই। তারাও খুবই স্বাচ্ছন্দের সাথে আমার হাত থেকে খাবার খেয়ে থাকে এটা দেখে আবার আরো বেশি ভালো লাগে। পাখিগুলো হাতের উপর থাকতে কতটা বেশি মজা পাচ্ছে তা আপনারা উপরের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন।

উপরের এই ছবিটি গুলোতে আমি আপনাদের আমার খামারের প্রথম বারের সবগুলো বাচ্চা একত্রিত ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছি। আসলে এই বাচ্চাগুলো দুই জোড়ার তাই আমি আলাদা আলাদা ভাবে ছবি দিয়েছি। কেননা আমি যদি সবগুলো বাচ্চা একত্রিত করে একটা ছবির মাধ্যমে আপনাদেরকে দেখানোর চেষ্টা করতাম তাহলে হয়তো বা একটি বাচ্চার সাথে অন্যটি মিশে যেত আর আমি চিনতে পারতাম না কোনটা কোন জোড়ার বাচ্চা। এই জন্যই আমি মূলত আলাদা আলাদা ভাবে সবগুলো পাখির ছবি ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

শুধুমাত্র আমি নয় আমার ছোট ভাই মুশফিকুর রহমান আল মুবিন ও যখন বাড়িতে আসে সেও সব সময় আমার খামারের পাখির বাচ্চাগুলো নিয়ে খেলা খেলতে পছন্দ করে। আমি চিন্তা করছি এই পাখিগুলোর মধ্য থেকে যদি একটা পাখি আমি শিকারি করি তাহলে খুব ভালো হবে। তার সুন্দর একটা নাম দিয়ে দেবো আর সেই পাখিটি সবসময় আমার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করবে যখনই আমি তাকে সেই নাম ধরে ডাকবো সে আমার কাছে চলে আসবে। আমি এই জন্য বর্তমান সময়ে ইউটিউব থেকে পাখি শিকারি করার বিভিন্ন ধরনের ভিডিও দেখছি আশা করি খুব তাড়াতাড়ি সেই ভিডিওগুলো দেখে আমিও আমার বাজরিগার পাখির বাচ্চা গুলোর মধ্য থেকে একটি পাখিকে শিকারি করতে সক্ষম হয়ে যাব।

আমার বাজরিগার পাখির খামারের এই বাচ্চাগুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবান মতামতের অপেক্ষায় রইলাম। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে দেখা হবে নতুন আরো একটা পোস্ট এর মাধ্যমে।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy