গাছ লাগানো যেন আমাদের নেশায় পরিণত হয়ে গিয়েছে
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে বুধবার , ডিসেম্বর ২১/২০২২
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। গাছ লাগানো নিয়ে ইতিমধ্যে আমি আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটা পোস্ট শেয়ার করেছি। যেখানে আমি আপনাদের মাঝে আমাদের স্কুলে লাগানো গাছগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত শেয়ার করেছিলাম। আসলে গাছ ভালোবাসা না এমন মানুষ পৃথিবীতে হয়তোবা খুঁজে পাওয়া যায় না। আর গাছের গুরুত্ব যারা বোঝে তারা সব সময় চেষ্টা করে যতটা সম্ভব বেশি বেশি পরিমাণে গাছ রোপন করার জন্য। ঠিক তেমনিভাবে আমাদের স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষক এর যেন গাছ লাগানো একটা নেশায় রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছে। আমরা শীতকালীন গাছের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পাতাবাহার গাছ রোপন করতে শুরু করে দিয়েছে যেন আমাদের স্কুল টা দেখতে আরো সুন্দর দেখায়।
যদিও বিগত সময়ে লাগানো গাছগুলোর ফলে আমাদের স্কুল টা দেখতে আরো সুন্দর হয়ে গিয়েছে কিন্তু ইতিপূর্বে আমরা যে গাছগুলো লাগিয়েছি সেগুলো সবগুলোই মৌসুমী গাছ। আর আপনারা খুব ভালোভাবে জানেন যে কাল শেষ হয়ে যাবার পরেই সেই গাছগুলো সব মারা যাবে ফলে আমাদের স্কুলের বাজারের সৌন্দর্য আবার হারিয়ে যাবে। আর এই বিষয়টা আমরা শিক্ষকের কোনভাবেই মেনে নিতে পারি না তাই চেষ্টা করছি যে গাছগুলো শীতকাল বাদেও সৌন্দর্য সবসময়ই ধরে রাখবে তেমন কিছু গাছ স্কুলের রোপন করার জন্য। যদিও আজকে আমি যে গাছটি স্কুলের বাগানে লাগাচ্ছি সেটার নাম আমার জানা নেই কিন্তু এটা খুবই সুন্দর একটা গাছ। সেটা অনেকটা পাতাবাহার গাছের মতো সব সময়ই এই গাছগুলো এইরকম আকার ধারণ করে থাকে। আর এই গাছগুলো দেখতেও অনেক সুন্দর লাগে।
এই গাছ আমাদের স্কুলের উপদেষ্টা নিয়ে এসে দিয়েছে আমাদেরকে। কিছুদিন আগে এই গাছটি আমি আমাদের এলাকার নাসিতে কিনতে গিয়েছিলাম সেখানে নাম বলেছিল ২৫০ টাকা প্রত্যেকটি গাছের মূল্য। কিন্তু আমাদের উপদেষ্টা এই গাছ সাতক্ষীরা থেকে ৭০ টাকা করে ২০ টি গাছ কিনে এনেছেন। বিষয়টি দেখে আমি বুঝতে পারলাম যে আমাদের এলাকাতে গাছের মূল্য অনেক বেশি।
একই সাথে তিনি বড় আকৃতির একটা বাগান বিলাস গাছও নিয়ে এসেছেন আমাদের স্কুলে লাগানোর জন্য। গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমার কোন অলসতা লাগে না তার প্রধান কারণ হচ্ছে আমাদের স্কুলের প্রত্যেকটি শিক্ষকের সহযোগিতা ফলে। প্রথমে যখন আমি বাগান তৈরি করার কথা চিন্তা করেছিলাম তখন যদিও সবাই আমাকে খুব একটা বেশি সাহায্য করত না কিন্তু বর্তমান সময়ে সকলেই দেখছি গাছ লাগানোর প্রতি একটা আগ্রহ প্রকাশ করছে। এখন সবাই চেষ্টা করছে আমার সাথে সাথে গাছ লাগানোর কাজে অংশগ্রহণ করতে। সত্য কথা বলতে তাদের এই অংশগ্রহণে আমার এবং সুমন স্যারের পরিশ্রম অনেকটাই কমে গিয়েছে।
আপনারা যদি কেউ এই গাছটির নাম জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আজকের মতো এই পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্টের মাধ্যমে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনারা সবাই মিলে এত সুন্দর উদ্যোগ নিয়েছেন স্কুলে দেখে অনেক ভালো লাগে।সবাই মিলে সুন্দর সুন্দর গাছ লাগান এবং ফুলের বাগান লাগানের খুব সুন্দর একটি উদ্যোগ নেওয়ায় আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল সবাই যেন এভাবে এগিয়ে যান।
আমাদের সকলের উদ্দেশ্য স্কুলের পরিবেশটাকে আরো সুন্দর করে তোলা।
ভাইয়া আপনাদের উপদেষ্টা কে মন থেকে ছালাম জানাই, তিনির গাছের প্রতি এমন ভালবাসা দেখে সত্যিই খুব ভাল লাগলো। আর গ্রামের নার্সারীতে গাছের দাম একটু বেশিই থাকে। শহরে বিভিন্ন মেলাতে গাছের দাম কম থাকে। আপনাদের গাছের প্রতি ভালবাসা আমাকে মুদ্ধ করেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
কি আর করা যাবে ভাই গ্রামের নার্সারি থেকে ছাড়া কিনতেই হচ্ছে কেননা শহর অনেক দূরে।
সবাই মিলে গাছ লাগাচ্ছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। গাছ লাগানো আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। গাছ লাগানোর কারণে স্কুল আরো দেখতে সুন্দর লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এই গাছ লাগানোর পর থেকে এখন দেখি রাস্তার প্রত্যেকটি মানুষ স্কুলকে সুনাম করে।
আগের পোস্টেই বললাম, যে আপনি আপনার স্কুলের সঙ্গে ওতোপ্রত ভাবে জড়িত।ঠিক ঠিক এই পোস্ট সেটাই দেখলাম। সত্যি গাছ লাগানো একটা নেশা। বিশেষ করে বীজ থেকে যারা গাছ উৎপন্ন করে তাদের জন্য সেই গাছের প্রতি টান আরও বেশি হয়। যাই হোক আপনি একটু বেশি মূল্য দিয়েই না হয় গাছের চারা কিনলেন। পরেরবার থেকে যেখানে একটু কম মূল্য পাবেন, সেখান থেকে নিয়ে আসবেন। এতে আপনার সুবিধা হবে।পকেটের দিকটাও তো দেখতে হবে। আর সত্যিই এই কথা কজন ভাবে যে মৌসুমের গাছ মারা গেলে বাগানে সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাবে, তাই আগের থেকেই গাছ লাগাই। আর আপনার যে গাছ লাগানো বা বৃক্ষ পরিচর্যায় কোন অলসতা নেই সেটাই এর আগেও প্রমাণ পেয়েছি।
পরবর্তী বছর বীজ থেকে চারা উৎপন্ন করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।