আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার , ফেব্রুয়ারি ১০/২০২৩

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। গতকালকে আমি আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম যেখানে আমি বলেছিলাম যে কয়েকদিন আগে বিভিন্ন সবজির বীজ তৈরির বিষয়টি দেখতে গিয়েছিলাম। সেই বীজ তৈরির পর্ব গুলোর মধ্য থেকে আমি আপনাদের মাঝে ইতিমধ্যেই লাল শাকের বীজ তৈরির বিষয়টি শেয়ার করেছি। আজকেও আমি আপনাদের মাঝে একটি বিল তৈরির পদ্ধতি শেয়ার করছে। ছবিগুলো দেখেই হয়তো বা আপনারা বুঝতে পেরে গিয়েছেন কালকে আমি কি বিষয় নিয়ে কথা বলতে চলেছি। কালকে আমি কথা বলব হাইব্রিড টমেটো বীজ নিয়ে।

আসলে এত বড় টমেটোর জমি এর আগে আমি কোন সময় দেখেছিলাম না।। তিন একর জায়গা নিয়ে এই টমেটোর চাষ করা হচ্ছে।আমরা প্রথমে মনে করেছিলাম যে এই টমেটোগুলো বাজারে বিক্রয় করার জন্য চাষ করা হচ্ছে। পরে আমি যখন সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সাথে কথা বললাম তখন তাদের মুখ থেকে জানতে পারলাম যে এগুলো বীজ তৈরির জন্য উৎপাদন করা হয়েছে। আসলে এই টমেটোগুলো দেখলেই আপনার কিছুটা মাথা ঘুরে যেতে পারে। কেননা আমরা সাধারণভাবে অনেক ছোট আকৃতির টমেটো দেখে থাকে কিন্তু টমেটো যে এত বড় বড় আকৃতির হতে পারে তা আমি নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাসই করতে পারতাম না। খুব বেশি হলে ছয় থেকে সাতটি টমেটোতেই এক কেজি হয়ে যাবে। আবার কিছু টমেটো ছিল যেগুলো তিন থেকে চারটিতেই এক কেজি হয়ে যাবে।

জানিনা ছবি দেখে আপনারা টমেটো গুলোর আকৃতি বুঝতে পারছেন কিনা। কিন্তু হঠাৎ করে যদি কোন ব্যক্তি এই ধরনের টমেটো সরাসরি দেখে থাকে তাহলে আমার মনে হয় সে ভয় পেয়ে যাবে। যেমনটি আমারও হয়েছিল।

আধুনিক চাষ পদ্ধতি ব্যবহার করে এই ধরনের ফসলগুলো উৎপাদন করা হয়। মূলত বাংলাদেশের বীজ উন্নয়ন কর্পোরেশন কর্তৃক এই হাইব্রিড টমেটোর বীজ উৎপাদন প্রক্রিয়া চলছে এখানে। এই বীজগুলো যখন প্যাকেট করা হবে তখন সেগুলো ছড়িয়ে পড়বে পুরো দেশের মধ্যে। টমেটোগুলো দেখে আমার কাছে যা মনে হল তাতে যে ব্যক্তিরা এই টমেটোর বীজ ক্রয় করে গাছ তৈরি করবে তারা অনেক বেশি লাভবান হবে। বিশেষ করে যারা ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে এই ধরনের টমেটো চাষ করবে তারা সব থেকে বেশি লাভবান হবে বলে আমার কাছে মনে হয়।

আমরা যখন টমেটোর জমির পাশে পৌঁছালাম তখন দেখতে পেয়েছিলাম কিছু কৃষক টমেটো তুলে আনছে। আর সেই টমেটোগুলো একটা জায়গায় রাখছে নিয়ে যাবার জন্য। জিনিসটা অনেকটা ঠেলাগাড়ির মত। আমি দেখলাম জিনিসটা এবং দেখার পরে সেটাতে একটা ছবিও তুললাম। এই জায়গাটিতে অনেক বেশি ওজনের টমেটো একসাথে নিয়ে যাওয়া যায় এবং এতে তেমন কোন কষ্ট করতে হয় না।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে টমেটোর হাইব্রিড ব্রীজের বিষয়ে কিছুটা লেখালেখি করার চেষ্টা করলাম। বিষয়গুলো আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোষ্টের মাধ্যমে।

আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।

আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

ফেসবুক টুইটার

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy