জেনারেল রাইটিং: আগে থেকেই শীতকালীন ফুলবাগান তৈরির কাজ শুরু
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে শুক্রবার, জুলাই ২১ /২০২৩
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরো একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আপনারা হয়তোবা সবাই জানেন যে আমাদের দেশে শীতকালে প্রচুর পরিমাণে ফুল ফুটতে দেখতে পাওয়া যায়। আর শীতকালে যে ফুলগুলো ফুটে থাকে সেই গাছগুলো আগে থেকেই লাগাতে হয়। আপনারা হয়তোবা অনেকেই দেখেছিলেন এর আগের বছর শীতকালে আমাদের স্কুলের সুন্দর একটা ফুলের বাগান তৈরি করেছিলাম। যদিও আমরা শীত আসার ঠিক আগ মুহূর্তে সেই বাগানটি তৈরি করেছিলাম যার কারণে খুব একটা বেশি ফুলের গাছ লাগাতে পেরেছিলাম না। এজন্য আমরা আগে থেকেই এ বছর সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেন আমরা আমাদের স্কুলের ফুল বাগানে প্রচুর পরিমাণে ফুলের গাছ লাগাতে পারি।
গত বছর স্কুলের এই ফুলগাছ লাগানোর ক্ষেত্রে আমাকে সবথেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন সুমন স্যার। যেহেতু এ বছরে সুমন স্যার স্কুলে নেই তাই আমাকে স্কুলের বড় ছাত্রদের সাহায্য নিয়েই ফুল গাছের বাগান তৈরি করার কাজ চালাতে হচ্ছে। এ বছর আমি বেশ কয়েকটা বড় ছাত্র পেয়েছি যারা পড়ালেখাতে খুব একটা ভালো না হলেও স্কুলের অন্যান্য কাজের দিকে খুবই উৎসাহী। তাই আমি তাদেরকে সাথে নিয়েই এ বছরের ফুলবাগান করার কাজ শুরু করে দিয়েছি।
এ বছর আমি মনে মনে আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি গত বছরে তুলনায় বেশি সংখ্যক ফুলের গাছ স্কুলের বাগানের রোপন করব। এ বছরে আমাদের চারা কেনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে কেননা অন্য বছরের তুলনায় এ বছর আমাদের হাতে প্রচুর পরিমাণে ফুলের চারা রয়েছে। গত বছরে আমরা প্রত্যেকটি ফুলের ছাড়াই নার্সারি থেকে ক্রয় করে লাগিয়েছিলাম যার কারণে আমাদেরকে গত বছরে প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে হয়েছিল। কিন্তু এ বছর আমি লক্ষ্য করে দেখলাম আমাদের স্কুলের বাগানে প্রচুর পরিমাণে গাঁদা ফুলের যারা জন্মেছে যা আমরা স্কুলের প্রায় সব জায়গাতেই লাগাতে সক্ষম হব। চারার সংখ্যা বেশি থাকার কারণে সেই চারা গুলো আমি ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝেও এবছর বিতরণ করতে শুরু করে দিয়েছি। স্কুলের ফুলবাগান দেখে উৎসাহিত হয়ে তারা নিজেরাও যেন বাড়িতে সুন্দর ফুলের বাগান তৈরি করতে পারে এবং সেই বাগান তৈরি করতে যেন তাদের কোন প্রকার খরচ করতে না হয় তাই আমি তাদেরকে চারাগুলো দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। বিনামূল্যে ছাত্রছাত্রীদের চারা দেবার এই বিষয়টির কারণে ছাত্রছাত্রীরা অনেক খুশি হয়েছে। যাইহোক পরবর্তীতে আপনাদের মাঝে আমি পুনরায় আমাদের স্কুলের ফুলবাগান তৈরির ধাপগুলো শেয়ার করব। আজকের মত এ পর্যন্তই পরবর্তী সময়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব নতুন কোন একটা পোস্ট এর মধ্য দিয়ে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
This is a manual curation from the @tipu Curation Project.
Also your post was promoted on Twitter by the account josluds
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 1/7) Get profit votes with @tipU :)
আগে থেকেই কিন্তু এরকম ফুল বাগান গুলো তৈরি করে রাখা ভালো। আপনি আগে থেকে শীতকালীন ফুলবাগান তৈরি করতেছেন এটা দেখে ভালো লাগলো। যেহেতু এই বছর সুমন স্যার নেই তাই আপনি স্কুলের বড় স্টুডেন্টদেরকে সাহায্য নিয়ে বাগানটা তৈরি করতেছেন দেখে ভালো লাগলো। ফুলবাগানটা তৈরি করার পদ্ধতি আমাদের মাঝে এত সুন্দর করে ভাগ করে নিলেন দেখে খুব ভালো লেগেছে। আশা করছি শীতকালে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ফুটবে আপনাদের বাগানে।
এবার শীতে অনেক বড় একটা ফুল বাগান করার ইচ্ছা রয়েছে আমার।
স্কুল প্রাঙ্গনে এভাবে ফুলের বাগান করলে তাহলে স্কুলের পরিবেশ অনেক সুন্দর দেখা যায়। সুমন স্যার না থাকার কারণে আপনার জন্য একটু সমস্যা হয়েছে। স্কুলের বড় ছাত্র গুলো আপনাকে হেল্প করলো শুনে খুব ভালো লাগলো। এবং আপনি ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে কিছু চারা বিতরণ করেছেন এটি ছাত্রছাত্রীর জন্য অনেক ভালো হলো। আর ফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ পৃথিবীতে নেই বলে চলে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তারপরও ছাত্ররা আমাকে অনেক সাহায্য করছে ফুল গাছ লাগানোর কাজে।
শীত আসার আগে এখন থেকে স্কুলের প্রতিষ্ঠানে আপনি ফুলের বাগান করে ফেলতেছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এরকম ফুলের বাগান থাকলে পরিবেশে অনেক ভালই লাগে। যাইহোক সুমন ভাই এইবার আপনাদের সাথে নাই তবে স্কুলে বড় ছাত্র গুলো আপনাদেরকে হেল্প করতেছে চারা লাগানোর জন্য। তবে ফুলের চারা বেশি হওয়াতে কিছু ছাত্রদের ফুলের চারা গাছ দিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে ফুল গাছ লাগানোর অনুভূতি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
চিন্তা করেছি এখন সকল ছাত্র-ছাত্রীদেরকেই গাছের চারা দিব কেননা প্রচুর পরিমাণে চারা রয়েছে এবার আমার কাছে।