ক্রিয়েটিভ রাইটিং : মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে পর্ব ২ঃ উদ্যোক্তা
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে পুনরায় আরও একটা নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলের জীবনের বিষয় নিয়ে একটা সিরিজ তৈরি করার চেষ্টা করছি আশা করি আপনাদের মাঝে সেটা ভালোভাবেই শেয়ার করতে পারব। যেহেতু আমরা প্রায় সকলেই মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান তাই এই সিরিজটা আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। আর এই সিরিজের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু শিখতেও পারবো।
গত সপ্তাহে আমি আপনাদের মাঝে মধ্যবিত্ত ছেলেদের হতাশার বিষয়ে একটা পোস্ট শেয়ার করেছিলাম। সেখানে আমি আপনাদেরকে বলেছিলাম যে একজন মধ্যবিত্ত ছেলে লেখাপড়া শেষ হয়ে যাবার পরে যখন চাকরি পায় না সমাজের মানুষেরা এমনকি পরিবারের মানুষেরা তাকে কিভাবে দেখে। কতটা অবহেলার চোখে দেখা হয় তাকে সেটা আমি সেই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম। যেহেতু বাংলাদেশের জনসংখ্যা অনেক বেশি আর সেখানে সামান্য কিছু সরকারি চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে। তাই এ ধরনের মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদেরকে আগে থেকেই মেনে নিতে হবে যে প্রত্যেকে সরকারি। যখনই একজন ব্যক্তি তার মন থেকে মেনে নিতে পারবে প্রত্যেকে সরকারি চাকরি পাবে না তখন সে একটু ভিন্ন ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাবে। আর সেই ভিন্ন ধরনের চেষ্টাই তাকে হতাশা থেকে দূরে এবং সুন্দর জীবন যাপনের পথে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
যে মধ্যবিত্ত সন্তান আগে থেকেই বিশ্বাস করবে এই বিষয়গুলো সে লেখাপড়ার পাশাপাশি আরও কয়েকটা কাজ চালিয়ে যাবে। আর বর্তমানে যে কাজটা মানুষকে সব থেকে বেশি স্বাবলম্বী করে গড়ে তুলছে সেটা হচ্ছে উদ্যোক্তা। যদিও উদ্যোক্তা হওয়াটা যেন কেন কাজ নয়। তারপরও যারা উদ্যোক্তা হতে পারে তারা যেন প্রত্যেকটি মানুষের কাছেই সম্মানের পাত্র হয়ে যায়। হবে না কেন তার দেখা দেখি আরো মানুষ সেই কাজে উৎসাহ লাভ করে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের উদ্যোক্তা হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি থাকে। উদ্যোক্তা হবার ক্ষেত্রে অনেক অর্থ থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। অল্প কিছু থেকেই আস্তে আস্তে বড় উদ্যোক্তা হওয়া সম্ভব। কোন ব্যক্তি চাইলেই যে রাতারাতি বড় কোন উদ্যোক্তা হয়ে যাবে এটা ভুল কথা। উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই অনেক সময় এবং ধৈর্যের প্রয়োজন হবে। কোথায় আছে না, ধৈর্যশীল ব্যক্তিকে মহান সৃষ্টিকর্তা পছন্দ করে। উদ্যোক্তা হতে হলে সেই বিষয়টা সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা লাভ করতে হবে। আর উদ্যোক্তা হবার ক্ষেত্রে কোনোভাবেই একদিনে অনেক উপার্জন হবে এমনটা ভেবে নেয়া যাবে না। একজন চাকরিজীবী মাস শেষ হয়ে গেলেই তার বেতনের টাকা হাতে পাই কিন্তু একজন উদ্যোক্তা কোনভাবেই নির্দিষ্ট সময়ে তার পরিশ্রমের অর্থ হাতে পায় না। সে অর্থ পেতে পারে সাত দিন পরে, এক মাস পরে অথবা এক বছর পরে। এক কথায় উদ্যোক্তা হতে হলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সে সাথে পরিশ্রম চালিয়ে যেতে হবে। আর এই দুইটা জিনিস যদি কেউ করতে পারে তাহলে আশা করা যায় সে একজন ভালো উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করাতে সক্ষম হবে।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবাসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Posted using SteemPro Mobile
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে সুন্দর একটি শিক্ষামূলক পোস্ট করেছেন। আসলে মধ্যবিত্ত ছেলেরা যদি বুঝতে পারে যে সরকারি চাকরি সবার কপালে নেই। আর সে মতে নিজেকে একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে পারে তাহলে তার জীবন সার্থক। এটা ধৈর্যের পরীক্ষা।ধৈর্য ধরতে পারলে সবই সম্ভব। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই জন্যই তো মধ্যবিত্ত ছেলেদের কে একটু বিকল্প রাস্তা অবলম্বন করতে হয়।