ব্লাড কার্প মাছ রান্নার পদ্ধতি||১০% @shy-fox||
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধুগন
আমি @mostafezur001 বাংলাদেশ থেকে
আজকে সোমবার , এপ্রিল ২৫/২০২২
আচ্ছালামু আলাইকুম আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ব্লাড কার্প মাছ রান্নার পদ্ধতি শেয়ার করতে চলেছি। চলুন শুরু করা যাক.....
ব্লাড কার্প মাছ রান্নার উপকরণ |
---|
ক্রমিক নম্বর | উপকরণের নাম |
---|---|
১ | ব্লাড কার্প মাছ |
২ | পেঁয়াজ |
৩ | রসুন |
৪ | লবণ |
৫ | সয়াবিন তেল |
৬ | জিরা বাটা |
৭ | ধনিয়া বাটা |
৮ | দারচিনি বাটা |
৯ | এলাচ বাটা |
১০ | হলুদের গুঁড়া |
১১ | মরিচের গুড়া |
🍲ধাপ - ০১🍲
প্রথমে আমি একটি শুকনো কড়াই নিলাম তারপরে কড়াইয়ের মধ্যে সয়াবিন তেল দিয়ে গরম করে নিলাম।
🍲ধাপ - ০২🍲
তেল গরম হয়ে যাবার পরে ব্লাড কার্প মাছের টুকরাগুলো তেলের উপর দিয়ে দিলাম ভেজে নেবার জন্য।
🍲ধাপ - ০৩🍲
মাছগুলো ভাজার সময় কেমন আকার ধারণ করেছিল তা আমি আপনাদেরকে উপরের ছবির মাধ্যমে দেখানো চেষ্টা করেছি।
🍲ধাপ - ০৪🍲
মাছগুলো ভাজা শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলো কে আলাদা একটি পাত্রে নামিয়ে রাখলাম।
🍲ধাপ - ০৫🍲
তারপরে আমি একটি শুকনো কড়াই নিলাম এবং সয়াবিন তেল দিলাম। সয়াবিন তেল গরম হয়ে যাওয়ার পরে আমি পেঁয়াজ,রসুন এবং জিরা দিলাম।সবগুলো জিনিস দেয়া হয়ে গেলে আমি সেগুলোকে ভালো করে ভেজে নিলাম।
🍲ধাপ - ০৬🍲
ভাজা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমি সেগুলো নামিয়ে রাখলাম।
🍲ধাপ - ০৭🍲
এরপরে আমি ব্লাড কার্প মাছ রান্না শুরু করে দিলাম। রান্না শুরু করার জন্য প্রথমেই কড়াই এর মধ্যে পানি দিলাম তারপরে হলুদের গুড়া,মরিচের গুড়া এবং ভেজে নেয়া পেঁয়াজ,রসুন, জিরা কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ০৮🍲
সবগুলো উপকরণ দেয়া হয়ে গেলে আমি সেগুলো কিছু সময় ফুটিয়ে নিলাম।
🍲ধাপ - ০৯🍲
পানি ফুটানো শেষ হয়ে যাওয়ার পরে আমি পূর্বে ভেজে নেওয়া মাছগুলো কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিলাম।
🍲ধাপ - ১০🍲
সবগুলো জিনিস দিয়ে দেবার পরে আমি ১০ মিনিট মতো কড়াই এর মধ্যে রেখে জ্বাল দিলাম। এই ১০ মিনিটে আমার তৈরি রেসিপিটি কেমন আকার ধারণ করেছিল তা আমি আপনাদেরকে উপরের ছবির মাধ্যমে দেখানো চেষ্টা করেছি।
🍲পরিবেশন🍲
রান্না শেষ হয়ে যাবার পরে আমি সেগুলো একটি আলাদা পাত্রে নামিয়ে আপনাদের মাঝে পরিবেশন করলাম।
এই ধরনের মাছের রেসিপি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে যে ব্লাড কার্প মাছের রেসিপি শেয়ার করছি সেটির ওজন ছিল ৫ কেজি। আপনাদের কাছে আমার তৈরী এই রেসিপিটি কেমন লেগেছে তা অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন।
আমি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান।আমি বাংলাদেশের খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় বসবাস করি।আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমি বাংলাদেশকে খুবই ভালোবসি।বর্তমানে আমি গ্রীনরেইন ল্যাবরেটরী স্কুলের একজন শিক্ষক।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে নতুন নতুন জিনিস তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।আমি বিশ্বাস করি, আমার এই সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে থেকে কেউ যদি উপকৃত হয় বা নতুন কিছু শিখতে পারে তবেই আমার সৃজনশীল কাজটি সার্থক হবে। তাই আমি চেষ্টা করবো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সৃজনশীল জিনিস নিয়ে উপস্থিত হতে।
আমার কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ফেসবুক টুইটার
আমি সিলভার কার্প,গ্লাস কার্প মাছের নাম অনেক শুনেছি এবং খেয়েছিও। কারণ এই দুটি মাছ আমার অনেক পছন্দের। তবে ব্লাড কার্প মাছের নাম কখনো শুনিনি। মনে হচ্ছে ইউনিক কোনো মাছের রেসিপি। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ব্লাড কাপ মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু, একদিন খেয়ে দেখেন আশা করি এই মাছ এর প্রেমে পড়ে যাবেন।
খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন দেখে লোভ সামলানো মুশকিল আমিতো প্রথম ছবিটা দেখে ভেবেছিলাম মাংসের রেসিপি হবে পরে দেখি নিচে মাছের রেসিপি লেখা রয়েছে ধন্যবাদ ভাইয়া খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য
এটি কি মাছ ভাই গ্লাস কার্প মাছ নাকি? চমৎকার ভাবে রেসিপি শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে। দেখে অনেক ভালো লাগলো। এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
না ভাইয়া এটি গ্লাস কাপ মাছ না। এটিকে ব্লাক কাপ মাছ বলা হয় অথবা ব্লাড কাপ।
ব্লাড কার্প মাছ রান্নার রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে ।আপনি খুব সুন্দর করে আপনার মাছ রান্নার রেসিপি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন ।যেটা ধারা অনেকে এভাবে মাছ রান্না করতে পারবে সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে রান্নাটি অনেক সুন্দর হয়েছিল এটি কে আমি অনেক মজা পেয়েছি আপনারাও চাইলে এটি তৈরি করে খেতে পারেন
আপনি খুব সুন্দর ভাবে গ্লাস কার্ফ মাছের রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে বিশেষ করে রেসিপি কালার দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
রান্না করার ক্ষেত্রে গুড়া মরিচ ব্যবহার করলে রান্নার কালার খুব সুন্দর আসে। একদিন এটি রান্না করে খেয়ে দেখতে পারেন আশা করি অনেক ভাল লাগবে।
আপনি অনেক মজাদার মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন ভাইয়া। আপনি রেসিপি মাছ আমার কাছে একটু অচেনা মনে হচ্ছে। তবে রেসিপি কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। রেসিপি তৈরি প্রতিটি ধাপ এত সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
এই মাছটি বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে পরিচিত তাই হয়তবা আপনার কাছে এটি অচেনা মাছ বলে মনে হচ্ছে আপু
এই পর্যন্ত অনেক ধরনের কার্প মাছ খেয়েছি, কিন্তু আমি কখনো ব্লাড কার্প মাছ খাই নি সত্যি বলতে আমি কখনো এই মাছটির নামও শুনিনি। প্রথমত আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এই অপরিচিত মাছটির সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।
এবার আসি আপনার রেসিপির কোথায়, সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতে যে খুবই সুস্বাদু হবে এতে কোন সন্দেহ নাই বিশেষ করে ভেজে নেয়ার কারণে মাছের স্বাদ আরও অনেক গুণে বেড়ে গেছে এটা আমি দেখেই বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
যদিও এই মাছটি আপনার কাছে অপরিচিত কিন্তু এটি খেতে অনেক সুস্বাদু আপনি একদিন বাজার থেকে এ মাছ কিনে খেয়ে দেখবেন আশা করি এই মাছের প্রেমে পড়ে যাবেন।
ব্লাড কার্প নামের কোন মাছ আছে তা আমার জানা নেই ভাইয়া। তাই এই মাছটি আমার কাছে একদম অপরিচিত। তবে আপনার সুস্বাদু রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে। রান্নার প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সুন্দরভাবে গুছিয়ে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। যা দেখে আমরা খুব সহজেই এই রেসিপিটি তৈরি করতে পারব। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার তৈরি করা এই মাছ এর রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এটা জেনেই আমি খুশি হলাম। একদিন রান্না করে খেয়ে দেখেন আশা করি অনেক মজা পাবেন।
ব্লাড কার্প মাছের নাম আগে শুনেছি বলে আমার মনে হয় না।আমার মনে হয় এই মাছের নাম হবে গ্লাস কার্প ।তবে যাই হোক আপনার রেসিপি কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। কালার দেখে বোঝাই যাচ্ছে এই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সেই সাথে আপনার উপস্থাপনা অনেক ভালো ছিল ভাই। খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন রেসিপির বর্ণনা। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ভাইয়া ব্লাড কার্পকে আমাদের দিকে মিনার কার্প মাছ বলে চিনে বেশি। খেতে ভীষণ মজার হয়ে থাকে। ভাজি করে বা ভুনা করে দুভাবেই খেতে মজা হয়। আপনি খুব সুন্দর করে রান্নার প্রক্রিয়া দেখিয়েছেন।