RE: আবোল-তাবোল জীবনের গল্প [ মূর্খতার আবরণ ]
আমাদের বিবেক অনেকটা বরফের মতো হয়ে গেছে, ভেতরের সব কিছু জমে স্থির হয়ে গেছে, তাই বিবেকহীনভাবে কিছু কিংবা বোকামি করতে আমাদের গায়ে লাগে না।
মূর্খতার আবরণ আমাদের বিবেককে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। আজকাল মূর্খতার আবরণের কারণেই বিবেক বরফের মতো জমে গেছে। আমাদের বিবেক বরফের মতো জমে গেছে বলেই হাস্যকর বোকামি এগুলো করতে আমাদের বিবেকে বাধেনা। আমরা প্রতিনিয়তই দৈনন্দিন কার্যকলাপে মূর্খতার পরিচয় দেই। আসলে আমরা নিজেকে মূর্খ রূপে দেখতে বেশি পছন্দ করি। এটা আমাদের স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যদি আমাদের স্বভাব পরিবর্তন না করতে পারি তাহলে সারা জীবন এই মূর্খতার আবরণে নিজেকে আবদ্ধ রাখতে হবে। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হলে যেমন প্রকৃত শিক্ষিত হওয়া যায় না তেমনি বোকামি গুলোকে প্রাধান্য দিলেন মূর্খতার আবরণ থেকে নিজেকে বের করা যায় না। আমরা যদি নিজেদেরকে শিক্ষিত বলে দাবী করি তাহলে শুধুমাত্র নিজের কথা ভাবলেই হবেনা সকলের কথা ভাবতে হবে এবং আমার দ্বারা যেন কোনো ক্ষতি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অনেক সুন্দর কিছু কথা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। ভাইয়া আপনার লেখা আবোল তাবোল জীবনের গল্প গুলোর মাঝে গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো লুকিয়ে রয়েছে। যেই কথাগুলো আমাদেরকে মূর্খতার আবরণ থেকে বের হতে সাহায্য করবে।
সত্যি আমাদের দৈনন্দিন কার্যাবলী দেখলে মাঝে মাঝে খুবই হতাশ লাগে এবং নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করি। কবে যে আমাদের সঠিক বোধদয় ঘটবে!