রেসিপি-ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তাই মাছ খেতে আমাদের ভালো লাগে। কাতলা মাছ সবার কাছেই ভীষণ প্রিয়। তাই আজকে আমি ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি।


ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল:

IMG_20230129_152343.jpg
Device-OPPO-A15
IMG_20230129_150420.jpg
Device-OPPO-A15


কাতলা মাছ আমার অনেক পছন্দের। তাই ঝাল ঝাল পাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করেছি। কাতলা মাছ যদি বেশি করে ঝাল দিয়ে ঝোল করে রান্না করা হয় তাহলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে আমরা বাঙালিরা মাছের ঝোল খেতে অনেক পছন্দ করি। বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে কাতলা মাছের ঝাল ঝাল এই তরকারি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। দুপুরবেলায় গরম ভাত আর কাতলা মাছের এই ঝোল তরকারি খেতে দারুণ লেগেছিল। অনেকেই হয়তো মাছের ঝোল খেতে পছন্দ করেন। যারা মাছে ঝোল খেতে পছন্দ করেন তারা এই মজার রেসিপি খুব সহজেই তৈরি করে খেতে পারেন। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।


প্রয়োজনীয় উপকরণ:

নামপরিমান
কাতলা মাছ৪ পিস
পেঁয়াজ কুচি৪ চামচ
রসুন বাটা১/২ চামচ
জিরা বাটা১/২ চামচ
মরিচের গুঁড়া১ চামচ
কাঁচা মরিচপরিমাণমতো
হলুদের গুঁড়া১/২ চামচ
লবণপরিমাণমতো
সয়াবিন তেল৩ চামচ

IMG20230129093205.jpg

IMG20230129093647.jpg


ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:


ধাপ-১

IMG20230129093735.jpg

IMG20230129093744.jpg


ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে কাতলা মাছের পিস গুলো ভেজে নিতে হবে। এজন্য প্রথমে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়েছি। এবার মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-২

IMG20230129093806.jpg

IMG20230129094000.jpg


মসলগুলোর সাথে কাতলা মাছের পিসগুলো ভালোভাবে মিক্স করে নিয়েছি যাতে করে ভাজতে সুবিধা হয় এবং খেতে ভালো লাগে। এবার একটি মাছ ভাজার কড়াই চুলার উপর দিয়েছি। এরপর তেল দিয়েছি।


ধাপ-৩

IMG20230129094027.jpg

IMG20230129094210.jpg


তেল গরম হয়ে গেলে মাছের পিসগুলো গরম তেলের মধ্যে দিয়েছি ভাজার জন্য। মাছের পিস গুলো চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-৪

IMG20230129095059.jpg

IMG20230129095152.jpg


এভাবে ভালোভাবে মাছের পিস গুলো ভেজে নিয়েছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে। এবার মাছের ঝোল তৈরি করার জন্য একটি কড়াইয়ের মধ্যে তেল দিয়েছি।


ধাপ-৫

IMG20230129095209.jpg

IMG20230129095226.jpg


তেল গরম হয়ে গেলে এবার এর মধ্যে পেঁয়াজ দিয়েছি। পেঁয়াজ একটু বেশি পরিমাণে দিয়েছি।


ধাপ-৬

IMG20230129095430.jpg

IMG20230129095513.jpg


কিছুক্ষণ সময় চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজগুলো ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি। এবার পরিমাণ অনুযায়ী হলুদের গুঁড়ার, মরিচের গুঁড়া, জিরা বাটা, রসুন বাটা ও লবণ দিয়েছি।


ধাপ-৭

IMG20230129095542.jpg

IMG20230129095609.jpg


সবগুলো উপকরণ দেওয়া হয়ে গেলে এবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভালোভাবে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার মসলা গুলো ভুনা করার জন্য পানি দিয়েছি।


ধাপ-৮

IMG20230129095854.jpg

IMG20230129095908.jpg


মসলা কিছুক্ষণ সময় ভালোভাবে ভুনা করে নিয়েছি। এরপর মাছ প্রস্তুত করেছি এর মধ্যে দেওয়ার জন্য।


ধাপ-৯

IMG20230129095933.jpg

IMG20230129095952.jpg


এবার ভেজে রাখা মাছের পিসগুলো ভুনা মসলার মধ্যে দিয়েছি। এবার চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে ভুনা মসলার সাথে মাছের পিসগুলো মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।


ধাপ-১০

IMG20230129100010.jpg

IMG20230129100038.jpg


মাছের পিসগুলো আরো কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করার পর বেশ ভালোভাবে মিক্স হয়েছে। এরপর সামান্য পরিমাণে পানি দিয়েছি।


ধাপ-১১

IMG20230129100042.jpg

IMG20230129100051.jpg


এবার এই মাছের ঝোল খেতে আরো বেশি মজার করার জন্য কয়েক টুকরো কাঁচা মরিচ দিয়েছি। কয়েক টুকরো কাঁচামরিচ দিলে আলাদা রকমের ফ্লেভার আসে আর মাছের ঝোল খেতে ভালো লাগে।


শেষ ধাপ

IMG20230129100115.jpg

IMG20230129100355.jpg


এবার কিছুক্ষণ পর পর নারাচারা করেছি এবং এভাবে আরও কিছুক্ষণ সময় রান্না করার পর কাতলা মাছের ঝাল ঝাল এই রেসিপি তৈরি হয়েছে।


উপস্থাপনা:

IMG_20230129_153140.jpg
Device-OPPO-A15


ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি হয়ে গেল সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য মাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি। ঝাল ঝাল মাছের ঝোল খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কাতলা মাছের এই ঝাল ঝাল রেসিপি খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। যারা ঝাল খেতে পছন্দ করেন তারা এভাবে মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে খেতে পারেন।


ধন্যবাদ সকলকে।

Sort:  
 2 years ago 

যেকোন বড় মাছের ঝোল খেতে দারুন লাগে। আর মাছটি বড় হওয়ায় তেল ও ছিল মনে হচ্ছে। দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। আমার আবার শীতকালে ধনেপাতা ছাড়া কোন তরকারী ভাল লাগে না। অনেক অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপনি যেকোন বড় মাছের ঝাল খেতে ভালো লাগে। আর মাছ বড়ই ছিল। তাই তো তেল অনেকটা বেশি ছিল। ধনেপাতা দিলে যে কোন তরকারি খেতে আরো বেশি মজা হয়।

 2 years ago 

কাতলা মাছের সাইজ একটু বড় হলে খেতে খুবই ভালো লাগে। তাছাড়া যে কোন মাছের ঝাল বেশি হলে তার স্বাদ অনেক বেড়ে যায়। গরম গরম ভাতের সঙ্গে এরকম কাতলা মাছের পাতলা ঝোল তো খেতে খুব ভালো লাগবেই। আপনার রান্নার পদ্ধতি খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আর তরকারির কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে খুব মজাদার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু কাতলা মাছের সাইজ একটু বড় হলে খেতে আরো বেশি মজার হয়। আমার রান্না করা এই কাতলা মাছ বড় সাইজের ছিল। তাই তো খেতে বেশ ভালো লেগেছে। গরম ভাতের সাথে কাতলা মাছের মজার রেসিপি খেতে দারুণ লেগেছিল।

 2 years ago 

আপু কাতলা মাছের ঝোল দেখতে কি যে লোভনীয় হয়েছে তা বলে বোঝানো যাবে না। মাছের পিস গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে মাছ টা বেশ বড় ছিলো। বড় মাছের স্বাদ অনেক বেশি হয় খেতেও অনেক ভালো লাগে।লোভনীয় রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপু।

 2 years ago 

কাতলা মাছের ঝোল দেখতে যেমন লোভনীয় লাগছে খেতেও অনেক ভালো হয়েছিল। মাছটা সত্যি অনেক বড় ছিল। ছোট ছোট পিস করে কেটে রান্না করার চেষ্টা করেছি। যাতে করে খেতে ভালো লাগে। মতামতের জন্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

কি বলেন আপু? কাতলা মাছের ঝোল দিয়ে তো একসাথে তিন চার প্লেট গরম গরম ভাত খাওয়া যায়। আর আপনি যে সুন্দর করে রেসিপিটি তৈরি করেছেন। আমার তো মনে হয় এরকম ঝোল হলে পাঁচ প্লেট ভাত খাওয়া কোন বিষয়ই না। অনেক সুন্দর ছিল আপনার আজকের রেসিপির উপস্থাপনা। আর দেখে মনে হচ্ছে বেশ ঝাল ঝাল হয়েছে।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু কাতলা মাছের ঝোল দিয়ে তিন চার প্লেট ভাত খাওয়া সম্ভব। তবে এত বেশি ভাত খেয়ে ফেললে আবার চালের দাম বেড়ে যাবে। যাই হোক আপু মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

আমিও কাতলা মাছের ঝোল অনেক পছন্দ করি। আর ঠিকই বলেছেন যেকোনো মাছের ভিতরে বেশি করে ঝাল দিলে সেটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আর আপনার মাছ যে ঝাল হয়েছে সেটা তরকারির চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কাতলা মাছ আমারও অনেক পছন্দ।

 2 years ago 

কাতলা মাছ আমারও ভীষণ প্রিয়। তাই মাঝে মাঝে ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করি। খেতে অনেক ভালো হয়েছিল আপু। গরম ভাতের সাথে খেতে আরো বেশি মজার হয়েছিল। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে তো জিভে পানি চলে এসেছে। রেসিপি এর কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমন রেসিপি হলে তো জমিয়ে খাওয়া যাবে। আপু আপনি তো দাওয়াত দিতে পারতেন।

 2 years ago 

ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল রেসিপি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে এরকম লোভনীয় রেসিপি দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। তাই আপনিও বাসায় তৈরি করে খেতে পারেন ভাইয়া। আপনার দাওয়াত রইলো যে কোনদিন চলে আসুন ভাইয়া।

 2 years ago 

রেসিপি-ঝাল ঝাল কাতলা মাছের ঝোল দেখে অনেক মজাদার মনে হচ্ছে। সত্যিই অসাধারণ রেসিপি তৈরি করেছেন।রেসিপির পরিবেশন আমার খুবই ভালো লেগেছে, শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

কাতলা মাছের এই রেসিপি দেখতে যেমন ভালো লাগছে তেমনি খেতে অনেক মজার হয়েছিল। আমি চেষ্টা করেছি সুন্দরভাবে রেসিপি তৈরি করে পরিবেশন করার জন্য। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 years ago 

আপু আপনার মাছের কালার দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে। আসলে মাছের সাইজ একটু বড় হলে আর একটু ঝাল বেশি হলে খেতে অনেক মজা হয়। আর যদি কাঁচা মরিচ এভাবে দেওয়া যায় তাহলে আরো স্বাদ বেড়ে যায়। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

মাছের কালার যেমন সুন্দর এসেছে তেমনি খেতেও অনেক মজা হয়েছিল। মাছের সাইজ একটু বড় হলে ঝাল দিয়ে রান্না করলে খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। কাঁচামরিচ দিলে আলাদা রকমের টেস্ট আসে এবং খেতে আরো বেশি মজার হয়। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপু আপনার রান্না করা মাছের রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। বড় যেকোন মাছ ঝাল ঝাল হলে খেতে বেশ দারুন লাগে। আপনার উপস্থাপনা খুব সুন্দর হয়েছে। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

জ্বী আপু বড় যে কোন মাছ ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমিও সবসময় চেষ্টা করি ঝাল ঝাল মাছের ঝোল করার জন্য। তাইতো এই মজার রেসিপি শেয়ার করেছি আপু।

 2 years ago 

কাতলা মাছ আমারও বেশ পছন্দের ৷ ঝাল ঝাল ভাবে কাতলা মাছের ঝোল রান্না করলে আরো বেশি ভালো লাগে ৷ আপনি তো বেশ লোভনীয় ভাবে কাতলা মাছের ঝোল রান্না করেছেন ৷ আপনার রেসিপি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে ৷ রেসিপির কালার টাও দারুণ এসেছে ৷ ধন্যবাদ আপনাকে লোভনীয় এবং মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ৷

 2 years ago 

কাতলা মাছ আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। আসলে এই মাছগুলো ঝাল ঝাল করে রান্না করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তাই তো আমি এই মজার রেসিপি তৈরি করেছি এবং আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 58664.80
ETH 2569.75
USDT 1.00
SBD 2.42