রেসিপি-মাছের ঝোল রেসিপি|[১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য]

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার তৈরি করা মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। মাছের ঝোল বাঙ্গালীদের সবচেয়ে প্রিয় খাবার। তাইতো আজকে আমি মাছের ঝোলের মজার একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি।


মাছের ঝোল রেসিপি:

IMG20221027113529.jpg
Device-OPPO-A15


আমরা হলাম মাছে ভাতে বাঙালি। মাছ ভাত হলে আমাদের আর কিছুই চাই না। আর যদি হয় ঝাল ঝাল মাছের ঝোল তাহলে তো কথাই নেই। একটা সময় নদী,নালা,খাল, বিল মাছে মাছে পরিপূর্ণ ছিল। এখন হয়তো সেই মাছগুলো কমে গেছে। কিন্তু বিলের মাছগুলো খেতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে মাছের ঝোল করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আর সাথে যদি হয় গরম ভাত তাহলে একেবারে জমে যায়। মাছের ঝোল আমার ভীষণ প্রিয়। মাঝে মাঝেই মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়। তাই আজকে হঠাৎ করেই মনে হল আপনাদের সাথে এই মজার রেসিপি শেয়ার করে নেয়া যাক। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই মজার রেসিপি তৈরি করেছি এবং কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।


প্রয়োজনীয় উপকরণ:

নামপরিমান
কার্প মাছ৩ পিস
কাঁচা মরিচপরিমান মত
পেঁয়াজ কুচি৩ চামচ
রসুন বাটা১/২ চামচ
জিরা বাটা১/২ চামচ
মরিচের গুঁড়া১ চামচ
হলুদের গুঁড়া১/২ চামচ
লবণপরিমাণমতো
সয়াবিন তেল৩ চামচ

IMG20221027110835.jpg

IMG20221027111156.jpg


মাছের ঝোল রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:


ধাপ-১

IMG20221027111407.jpg


মাছের ঝোল রেসিপি তৈরির জন্য প্রথমে কড়াইয়ের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী তেল দিয়েছি। মাছের ঝোল করতে একটু বেশি পরিমাণে তেল দিলে ভালো হয়।


ধাপ-২

IMG20221027111437.jpg

IMG20221027111637.jpg


এবার পরিমাণ অনুযায়ী পেঁয়াজ দিয়েছি। পেঁয়াজগুলো খুবই চিকন চিকন করে কেটে নিয়েছি। যাতে করে ভাজতে সুবিধা হয়। এবার পেঁয়াজ সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করে তেলের সাথে ভেজে বাদামী রং করে নিয়েছি।


ধাপ-৩

IMG20221027111728.jpg

IMG20221027111755.jpg


পেঁয়াজ ভাজা হয়ে গেলে এবার প্রয়োজনীয় মসলার উপকরণ হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, জিরা বাটা, রসুন বাটা ও লবণ দিয়েছি। এবার সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়ার জন্য নাড়াচাড়া করেছি।


ধাপ-৪

IMG20221027111841.jpg

IMG20221027112019.jpg


মসলার উপকরণগুলো ভালোভাবে মেশানো হয়ে গেলে ভুনা করার জন্য পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি। এভাবে আরও কিছুক্ষণ সময় রান্না করেছি এবং মসলাগুলো ভালোভাবে ভুনা করেছি। যাতে করে মাছের ঝোল খেতে ভালো লাগে।


ধাপ-৫

IMG20221027112039.jpg

IMG20221027112109.jpg


এভাবে আরো কিছুক্ষণ সময় রান্না করার পর মাছের পিস গুলো এর মধ্যে দিয়েছি।


ধাপ-৬

IMG20221027112142.jpg

IMG20221027112328.jpg


এবার মাছের পিস গুলো ভালোভাবে মসলার সাথে মেশানোর জন্য চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করেছি। কিছুক্ষণ সময় নাড়াচাড়া করার পর মাছের পিসের সাথে মসলাগুলো ভালোভাবে মেশানো হয়েছে।


ধাপ-৭

IMG20221027112359.jpg

IMG20221027112420.jpg


এবার মাছের ঝোল তৈরি করার জন্য পরিমাণ অনুযায়ী পানি দিয়েছি। এরপর কয়েক টুকরো কাঁচা মরিচ দিয়েছি। কাঁচা মরিচ দিলে মাছের ঝোল রেসিপিতে আলাদা রকমের ফ্লেভার আসে এবং খেতে ভালো লাগে।


ধাপ-৮

IMG20221027112952.jpg


এভাবে আরো কিছুক্ষণ সময় রান্না করার পর মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি হয়েছে। মাছের ঝোল রেসিপির কালার যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও তেমনি ভালো হয়েছে।


উপস্থাপনা:

IMG20221027113532.jpg
Device-OPPO-A15
IMG20221027113543.jpg
Device-OPPO-A15


মাছের ঝোল রেসিপি তৈরি করার পর ঝটপট বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি।আসলে মাছের ঝোলের সাথে গরম ভাত দারুন লেগেছে খেতে। আমি মাছের ঝোল খেতে খুবই পছন্দ করি। সবজি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনিভাবে মাছের ঝোল করলেও খেতে ভালো লাগে। সবজি খুব একটা খেতে পারি না। তাইতো মাঝে মাঝেই মাছের ঝোল করে খাওয়া হয়। আর বাঙালি বলে কথা। মাছের ঝোলের নাম শুনলেই বাঙালির জিভে জল চলে আসে😋। তাইতো আমিও আমার পছন্দের এই মাছের ঝোল রেসিপি সকলের মাঝে তুলে ধরলাম


ধন্যবাদ সকলকে।

Sort:  
 2 years ago 

রোজ রোজ রীচ খাবার খেয়ে যখন মুখ মেরে যায়,যখন একটু হাল্কা পাতলা খেতে ইচ্ছে করে, তখন গেম চেঞ্জার হয়ে কাজ করে এই রেসিপি গুলো। এটা কোন কার্প। দেখে কিন্তু ভীষণ টেম্পটেটিং লাগছে।যদিও আমি প্রথমে কাতলা ভেবেছিলাম। তবে দেখলাম তুমি কার্প লিখেছো।আমাদের বাড়ীতে যদিও একটু বড় মাছ ভাজা করেই ঝোল করে।

 2 years ago 

সত্যি আপু মাঝে মাঝে যদি মাছের হালকা ঝোলের সাথে গরম ভাত খাওয়া হয় তাহলে খেতে বেশ ভালো লাগে। এই মাছটি কাতলা মাছ নয়। তবে এই মাছ কার্প মাছ নামে পরিচিত। মাছ ভেজে রান্না করলেও খেতে ভালো লাগে। তবে মাছের বড় পিস গুলো এমনিতে ঝোল করলেও আমার কাছে বেশি ভালো লাগে খেতে।

 2 years ago 

আপনি একদম সত্যি কথা বলেছেন, মাছে ভাতে বাঙালি বলে কথা। মাছের ঝোল আমারও খুব প্রিয় তবে ঝালটা হলে গরম ভাতের সাথে জমে যায়। আপনার রেসিপি রন্ধন প্রক্রিয়াটি ছিল অসাধারণ। খালে বিলে নদীতে এখন মাছ একেবারেই নেই বললেই চলে। খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি উপহার দেওয়ার জন্য শুভেচ্ছা রইল।

 2 years ago 

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। তাই মাছের ঝোল খেতে বেশি ভালো লাগে। গরম ভাতের সাথে মাছের ঝোল হলে আর কিছুই লাগেনা। আমার রন্ধন প্রণালী আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।

 2 years ago 

আমি এভাবে মাছের ঝোল রান্না করার সময় ট্মেটো ও ধনেপাতা ব্যবহার করি দারুন হয়। আপনার রান্না করা মাছের ঝোল দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে বেশ মজা হয়েছে। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।

 2 years ago 

ধনেপাতা দিলে যে কোন মাছের ঝোল খেতে বেশি ভালো লাগে। বাসায় ধনেপাতা আনা ছিল না বলে দিতে পারিনি। যাই হোক আপু মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

মাছে ভাতে বাঙালী বলে কথা,একদম লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু। এত সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখে খুব ভালো লাগছে। বিশেষ করে মাছের এই ঝাল ঝাল ঝোল গরম ভাতের সাথে খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে।এত সুন্দর করে রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখামাত্রই লোভ লেগে গেল। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

সত্যি আপু আমরা মাছে ভাতে বাঙালি বলেই মাছের ঝোল দেখলেই লোভ লেগে যায়। তাইতো আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। গরম ভাতের সাথে খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।

 2 years ago 

আপনি ঠিকই বলেছেন একটু ঝাল করে ঝোল ঝোল করে মাছ রান্না করলে সেটা খেতে অনেক ভালো লাগে। মাছের ঝোল দিয়ে ভাত খেয়ে উঠা যায়, আর এটাও সত্যি বলেছেন বর্তমানে দিন দিন মাছ এর সংখ্যা বা মাছের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকবেন।

 2 years ago 

জি ভাইয়া ঝাল ঝাল মাছ রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আর গরম ভাত দিয়ে খেতে বেশি ভালো লাগে। তবে দিন দিন মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। তাই তো মাছের দাম বেড়ে যাচ্ছে।

 2 years ago 

আসলে এভাবে ঝাল ঝাল মাছের ঝোল রান্না করলে সেটি খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে । আমার কাছেও আপনার মত মাছের ঝোল খেতে বেশ ভালই লাগে । আসলে মাছে ভাতে বাঙালি বলে কথা । বেশ চমৎকার রান্নাটি করেছেন । প্রতিটি ধাপের উপস্থাপন ছিল চমৎকার । কালার টি চমৎকার এসেছে । ধন্যবাদ আপনাকে ।

 2 years ago 

সত্যি আপু এভাবে মাছের ঝোল করলে খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনার কাছেও এভাবে মাছের ঝোল করে খেতে ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমরা বাঙালিরা মাছের প্রতি সব সময় দুর্বল। তাইতো মাছের ঝোল দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে।

 2 years ago 

আপনি অসাধারণ সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন।আসলে আমরা মাছে ভাতে বাঙালি তাই মাছের ঝোল দিয়ে ভাত না খেলে আমাদের তৃপ্তি মিটে না।তাই গরম ভাতের সাথে যদি আপনার মত ঝোল তৈরী করে ভাত খাওয়া হয় খেতে অনেক ভাল লাগবে।আপনার আজকে তৈরি করা মাছের ঝোলের কালারটা খুব সুন্দর হয়েছে।

 2 years ago 

সত্যি আপু মাছের ঝোল বাঙালির খুবই প্রিয়। আর গরম ভাত হলে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া যায়। মাছের ঝোলের কালার যেমন সুন্দর হয়েছে খেতেও বেশ মজার হয়েছিল। আপু আপনার মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

 2 years ago 

মাছে ভাতে আমরা বাঙালি। একসময় নদী খাল বিলে প্রচুর মাছ ছিল এবং মাছের অনেক সাধ ও ছিল। আপনার মাছের ঝোল রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো এবং রিসিপির কালারটা অনেক সুন্দর আসছে। রেসিপিটিও মনে হয় অনেক টেস্টি হয়েছিল। ধন্যবাদ সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।

 2 years ago 

মাছে ভাতে বাঙালি এটি চিরন্তন একটি বাক্য।সেই ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছিলাম নানি দাদি দের মুখ থেকে।তবে আপু আপনি যেভাবে মসলাগুলো ভেজে, কাঁচা মাছ মসলায় ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমরা কিন্তু এভাবে মাছ রান্না করি না। আমরা মাছটিকে আগে তেলে ভেজে নিই। তারপরে রান্না করি। তবে আপনার এই রান্নাটা আমার কাছে বেশ লাগলো। খুব সহজেই এটা করা যায়।এত সহজ পদ্ধতিতে মাছের ঝাল ঝাল ঝোল রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয় আপু।♥♥

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 67628.32
ETH 2424.36
USDT 1.00
SBD 2.35