মুখোশের আড়ালে🎭||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। আজ আমি আমার লেখনীর মাঝে ভিন্ন ধরনের কিছু কথা তুলে ধরতে যাচ্ছি। আমাদের বিচিত্র এই মানব জীবনে আমরা বিচিত্র সব মানুষের সাথে চলাফেরা করি। আমাদের এই বিচিত্র জীবন মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকে। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষগুলোর সাথে কেটে যায় আমাদের জীবন। ক্ষুদ্র জীবনে আমরা আসলে নানান রকমের মানুষের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। হয়তোবা তারা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে মুখোশের আড়ালে। আশা করছি আমার লেখা ব্লক সবার কাছে ভালো লাগবে।
মুখোশের আড়ালে:
Source
মুখোশের আড়ালে নিজেকে আড়াল করে রাখতে অনেকেই পছন্দ করে। কারণ মুখোশের আড়ালে সেই কুৎসিত মানুষ ও কুৎসিত মানসিকতাকে তারা লুকাতে চায়। প্রকৃতপক্ষে মুখোশ কি আর সেই কুৎসিত মানসিকতাকে বদলাতে পারে কখনোই নয়। আমাদের মানসিকতা এমনভাবে গড়ে তুলতে হবে যেন আমাদের ভিতরের চেহারা মুখোশ দিয়ে আড়াল করতে না হয়। আমাদের সমাজের এমন কিছু মানুষ আছে যারা নিজের মানসিকতাকে তাদের সেই মুখোশ দিয়ে আড়াল করতে চায়। পশুরূপী মানুষগুলো তাদের চেহারাকে আড়াল করতে চায়। নিলজ্জ মানুষগুলো, পাপিষ্ট মানুষ গুলো মুখোশ দিয়ে তাদের চেহারাকে আড়াল করতে চায়। মুখোশের আড়ালে তারা নিজেকে লুকিয়ে নিজের প্রতিচ্ছবিকে সমাজের চোখে আড়াল করতে চায়। আমি ধিক্কার জানাই সেই সব মানুষকে যারা নিজের ভয়ঙ্কর চেহারা সৌন্দর্যের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। আমি ধিক্কার জানাই সেই মানুষ রুপি জানোয়ারকে যারা এই সমাজের মানুষগুলোকে নির্যাতন করছে।
Source
আমাদের সমাজে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা নিজেকে ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে। তবে তারা তাদের কুৎসিত মানসিকতাকে লুকোতে পারেনি। তাদের এই কুৎসিত মানসিকতার কারণে হাজার হাজার নারী নির্যাতিত হচ্ছে। খবরের পাতা খুললেই দেখতে পাওয়া যায় সেই কুৎসিত মানুষের ছবিগুলো। কোথাও শিশু নির্যাতন, না হয়তো নারী নির্যাতন। সবকিছুই যেন আজকাল দৈনন্দিন ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমার তখনই সবচেয়ে খারাপ লাগে যখন দেখি মানুষরূপী শয়তান গুলো জঘন্যতম কাজে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে। ছোট্ট শিশুটিও সেই মানুষরূপী শয়তানের লালসার শিকার হয়েছে। যখন সেই কথাগুলো মনে হয় তখন হৃদয় কেঁপে ওঠে। মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই মানুষটিকে বারবার ধিক্কার জানাতে ইচ্ছে করে। বারবার মনে পড়ে সেই শিশুটির মুখ। যেই ছোট্ট শিশুটি সরল মনেই তার বাবার বয়সী মানুষটিকে বিশ্বাস করেছিল। মানুষ রুপি জানোয়ার সেই ছোট্ট সরল শিশুর বিশ্বাসের মূল্য দিতে শিখেনি। কারণ তারা মানুষের বিশ্বাসের মূল্য দিতে জানে না। তাদের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে আছে কুৎসিত চেহারা।
Source
মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা সেই মুখগুলোকে যদি দেখতে পাওয়া যেত তাহলে হয়তো আমরা এই মানুষগুলোকে দেখে আঁতকে উঠতাম। তাদের এই মুখোশের আড়ালের ভয়ঙ্কর চেহারা যদি আমাদের সামনে প্রকাশ পেত তাহলে হয়তো হাজারো নারী, হাজারো শিশু তাদের লালসার হাত থেকে রক্ষা পেতে। হয়তো সেই কিশোরী বালিকা তার জীবনের অমূল্য সম্পদ রক্ষা করতে পারত। হয়তো সেই গৃহবধু তার সম্মান বজায় রাখতে পারতো। তবুও তারা বিশ্বাস করতে জানে। আর বিশ্বাস করে বারবার ঠকে গিয়ে সেই মানুষগুলোকে চিন্তা জানে। এই সমাজের মানুষগুলোর উপর নির্ভর করে বাঁচতে চাই আমরা। তবে আমরা বিশ্বাসের সেই ভরসার হাত আমাদের পাশে পাই কিনা সেটা আমরা হয়তো পরে বুঝতে পারি। কারণ আমরা যা ভাবি হয়তো পরিস্থিতি তার থেকেও অনেকটাই আলাদা হয়ে যায়। কারন আমরা এই কুৎসিত মানুষগুলোর মানসিকতা সম্পর্কে কল্পনাও করতে পারি না। কারন সেই কল্পনাগুলো আমাদের গাঁয়ে কাটা দিয়ে যায়। কারণ সেই মানুষগুলো হয়তো ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছে তাদের কুৎসিত চেহারা। নিজেকে আড়াল করে রেখেছে ভালো মানুষের মুখোশ দিয়ে। একেই বলে মুখোশের আড়ালে লুকানো সেই কুৎসিত মুখ।
Source
খবরের পাতা খুললেই যখন চোখে পড়ে বর্বরতার সব কাহিনী গুলো তখনই হৃদয় কেঁপে ওঠে। কারন সেই নিষ্পাপ মায়াভরা মুখ গুলোর আড়ালে যে জানোয়ারের মত মানুষ লুকিয়ে থাকে সেই মানুষগুলোকে দেখে বড়ই আফসোস হয় ও লজ্জা লাগে। কারণ আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হয়েও নিজের ভয়ঙ্কর চেহারাকে মুখোশের আড়ালে আড়াল করতে চাই। আমরা মানব জাতি আমাদের নিজেদেরকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখি। তবুও আমরা নিজেকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব বলে দাবী করি। হয়তো আমাদেরকে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব বলা হয়। কিন্তু আমরা আদৌকি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হতে পেরেছি কিনা তা আমরা নিজেও জানি না। কারণ আমাদের মানসিকতা অনেক ক্ষেত্রেই পশুর চেয়েও খারাপ। আসলে এমন কিছু মানুষ রয়েছে যারা ভালো মানুষের মুখোশ পরে ঘুরে বেড়ায়। যখন তাদের মুখোশের আড়ালে থাকা পশুরূপী মুখগুলো সামনে চলে আসে তখন পশুর মধ্যে ও সেই মানুষগুলোর মধ্যে পার্থক্য খুঁজে পাই না। মাঝে মাঝে মনে হয় পশু গুলো হয়তো সেই সব নিলজ্জ ও বর্বর মানুষগুলোর থেকেও ভালো। কারণ তারা অন্তত নিজেকে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রাখেনি। যেমনটি সেই পশুরূপী মানুষগুলো নিজেকে লুকিয়ে রয়েছে।
Source
আমরা আমাদের নিজেকে যদি বদলাতে না পারি ও নিজের কুৎসিত মানসিকতাকে পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে হয়তো ধীরে ধীরে আমরাও পশুর সাথে নিজেকে মিটিয়ে ফেলবো। ভিতরের অন্তর পশুর মত হয়ে যাবে। আমরা যদি পশুরূপী মানুষগুলো থেকে নিজেকে আড়াল করতে চাই তাহলে অবশ্যই তাদের ভালো মানুষের আড়ালে লুকানো পশুরূপী শয়তান মানুষ গুলোর মুখোশ খুলে দিতে হবে। সেসব মানুষদেরকে মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আর সেটা করতে হবে আমাদের নিজেকেই। কারণ আমরা যদি মানুষ রুপি শয়তান গুলোর মুখোশ খুলে দিতে না পারি তাহলে হয়তো তাদের দ্বারা হাজার হাজার নারী, হাজার হাজার শিশু নির্যাতনের শিকার হবে। হয়তো সেই মানুষগুলো সারা জীবনেউ বদলাবে না। কারণ তারা মুখোশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখতে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। তাদের সেই কুৎসিত চেহারা যখন সবার সামনে প্রকাশিত হবে তখন তারা নিজেদেরকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবে। সবকিছুরই প্রতিরোধ করতে হলে আমরা যদি সেই মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষগুলোকে বদলাতে পারি তবেই আমরা বেঁচে থাকার মত একটি সুন্দর সমাজ পাবো। আমাদেরকে শক্ত হাতে পদক্ষেপ নিতে হবে তবেই তারা নিজেকে শুধরাতে পারবে।
Source
মুখোশের আড়ালে সেই চির চেনা মুখগুলো যখন সামনে আসে তখন নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। কারণ এই দুনিয়ায় এমন কিছু মানুষ রয়েছে যাদের কুৎসিত ও লোভী চেহারা দেখতে অবাক লাগে। কারণ তার সেই ভালো মানুষের চেহারা আর কুৎসিত চেহারার মধ্যে এতটাই তফাৎ থাকে যে আর কাউকে বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে না। কেন জানি বারবার নিজের প্রতি লজ্জা লাগে এবং ধিক্কার জানাতে চাই আমাদের মানব জাতিকে যারা নিজেকে ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে রেখে অন্যের ক্ষতি করে। আমি ধিক্কার জানাই সেসব মানুষকে যারা তাদের লালসার প্রবল থাবায় একটি জীবনকে নষ্ট করে দেয়। যারা একটি ফুলের মত জীবনকে নিমিষেই শেষ করে দেয়। তাই সেসব মানুষকে আমরা আমরা যদি মুখোশের আড়াল থেকে সেই মুখগুলোকে টেনে বের করতে পারি ও হিংস্র চেহারা সবাইকে দেখাতে পারি হয়তো তাহলে অনেক জীবন বেঁচে যাবে। অনেক ফুলের মত জীবন আর ঝরে যাবে না। হয়তোবা এভাবেই আমাদের সমাজের সেই ফুলের মত হাজার হাজার জীবন সুন্দর একটি জীবন পাবে।
আজকে আমি আমার লেখনীর মাঝে আমাদের সমাজের এমন কিছু মানুষের কথা তুলে ধরেছি যারা মুখোশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। আমি জানিনা আমার লেখনী আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তবে আমি চেষ্টা করেছি আমার উপলব্ধি থেকে কিছু কথা আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য। আশা করছি ভালো লেগেছে।
আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনার কথাগুলো আমার কাছে খুবই বাস্তবসম্মত মনে হলো। যারা ভালো মানুষের মুখোশ পড়ে আছে তারাই সবচেয়ে ধোকা বাজ। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
ভাইয়া আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে আপনার অভিব্যক্তি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমি চেষ্টা করেছি মুখোশ পড়া মানুষের সেই কুৎসিত রূপ সকলের সামনে উপস্থাপন করার। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
চরম কিছু কথা লিখেছেন আপু। আপনার লেখার মাঝে প্রতিবাদের ছোঁয়া আছে। যারা মুখোসের আড়ালে লুকিয়ে আছে তাদের কদরই বেশি আমাদের সমাজে একটু খেয়াল করলেই সেইটা দেখা যায়। তবে আমিও মনে করি, আমরা যারা মুখোস পড়ে আছি আমাদের বদলানো দরকার। নিজেদের ভেতরের পশুত্ব দূর করে ভালো মানুষ হয়ে বাঁচতে শিখতে হবে। 🎈
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। যারা মুখোশের আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রাখে তারাই সমাজের মাথা হয়ে অবস্থান করছে। ভদ্রতার আড়ালে নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু এখন আমরা এমন একটা সময়ে এসে দাড়িয়েছি যে।কে ভালো কে খারাপ আমরা বুঝতেই পারি না।এখন আমরা ভালো ভাবছি তারাও কিন্তু ভালো না ও হতে পারে। কারণ হলো একমাত্র সার্থ। সার্থ ছাড়া এক পা ও ফেলতে চায় না।আর হ্যা আপু ওইসব মানুষের মুখোশ আমরা খুলতে পারবো না।এখন এমন অবস্থা হয়েছি কি চোর কে চোর বলা যায় না। অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষের মাঝে কে ভালো কে খারাপ তা বোঝা বড় দায়। আসলে মুখোশের আড়ালে লুকিয়ে থাকা মানুষগুলো সব সময় স্বার্থলোভী। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য প্রকাশ করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
আসলে বর্তমান সময়ে মানুষ চেনা বড়ই কষ্টকর। ভালো মানুষ ও খারাপ মানুষ চেনা যায় না। আসলে একটা খারাপ মানুষ ভালো মানুষের মুখোশ নিয়ে পড়ে থাকে। আসলে একটা কথা যদি আয়নায় মানুষের চরিত্র দেখা যেত তাহলে সত্যিই খুবই ভালো হতো। মানুষ চিনতে ভুল হতো না।খুব সুন্দর লিখেছেন
ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন বর্তমান সময়ে মানুষ চেনা বড়ই কষ্টকর। ভালো মানুষ ও খারাপ মানুষের মধ্যে পার্থক্য করতে গেলে তাদের আসল চেহারা প্রকাশিত হয়। কারণ তারা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে। ভাইয়া আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
খুব সুন্দর আপু বাস্তবতা সম্বন্ধে কিছু কথা শেয়ার করেছেন , আমার কাছে পড়ে খুবই ভালো লাগলো । আপনি একদম ঠিক বলেছেন আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা মুখোশের আড়ালে থেকে অন্যের ক্ষতি করে থাকে । বিশেষ করে খবরের পাতা খুললেই যেন দেখা যায় এসব প্রতিদিনের ঘটনা । আমরা যদি এসব মুখোশধারী ব্যক্তিদেরকে সমাজের মানুষের সামনে নিয়ে আসতে পারি তবে হয়তো অনেক অন্যায়-অত্যাচার , শিশু নির্যাতন , ধর্ষণ থেকে রেহাই পাবে একটি জীবন , একটি পরিবার । মুখোশের আড়ালে পশুত্ব ত্যাগ করে অবশ্যই আমাদের সবাইকে ন্যায় ও নিষ্ঠাবান মানুষ হয়ে সমাজে চলতে হবে ।
আমি চেষ্টা করেছি আমাদের সমাজের বাস্তব দিকগুলো বিবেচনা করে এই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট সকলের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য। সমাজের বাস্তবের চিত্র গুলো আমি আমার লেখার মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার মন্তব্য উপস্থাপন করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।