আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999 বাংলাদেশ থেকে। আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে আমার নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করতে যাচ্ছি। নতুন নতুন মজাদার রেসিপি তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমি সব সময় ভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। বিশেষ করে শুটকি মাছের রেসিপিগুলো করতে আমার বেশি ভালো লাগে। আমি সবসময়ই আমার পছন্দের রেসিপিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করি। আজ আমি আমার প্রিয় একটি রেসিপি "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমি আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
🥗"কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপি:🥗
Device-OPPO-A15
Device-OPPO-A15
কচুশাক খেতে আমি খুবই ভালোবাসি।বিশেষ করে শুটকি মাছ দিয়ে কচুশাক রান্না করলে সেই খাবারের স্বাদ আমার খুবই ভালো লাগে। আমার মায়ের কাছ থেকে শেখা "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। এই খাবারটি গরম ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে। "কচুশাক ও শুটকি মাছ" এবং গরম ভাত খেতে খুবই ভালো লাগে। তার সাথে যদি থাকে লেবু ও শুকনা মরিচ ভাজা তাহলে খাবারের স্বাদ আরও দ্বিগুন বেড়ে যায়।
"কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি তৈরি করতে যে সকল উপকরনের প্রয়োজন সেগুলো হলো:
১.কচুশাক
২.শুটকি মাছ
৩.পেঁয়াজ
৪.কাঁচা মরিচ
৫. রসুন
৬.হলুদের গুঁড়া
৭.লবণ
৮.জিরা বাটা
৯.ধনিয়ার গুড়া
১০.শুকনা মরিচ
১১.লেবু
১২.সয়াবিন তেল
🥗"কচুশাক ও শুটকি মাছ" রান্নার ধাপসমূহ:🥗
🥗ধাপ-১🥗
"কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি কচুশাক গুলো ভালোভাবে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি। এরপর আমি সেগুলো খুব ভালোভাবে ধুয়ে নিয়েছি। এবার আমি কচুশাক গুলোকে সেদ্ধ করে নেওয়ার জন্য একটি পরিষ্কার কড়াই এর মধ্যে নিয়েছি। এবার আমি কড়াইটি চুলার উপরে বসিয়ে দিয়েছি। এরপর আমি পরিমানমত লবন দিয়েছি। কচুশাক সেদ্ধ করার জন্য আমি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
🥗ধাপ-২🥗
কচুশাক সিদ্ধ হয়ে গেলে আমি একটি পরিষ্কার বাটিতে তুলে নিয়েছি। এভাবে আমি প্রথমে কচুশাক গুলো সিদ্ধ করে আমার স্পেশাল রান্না "কচুশাক শুটকি মাছ" রেসিপিটি তৈরি করার জন্য প্রস্তুত করে নিয়েছি।
🥗ধাপ-৩🥗
এবার আমি আমার স্পেশাল রেসিপি "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রান্না করার জন্য প্রথমে একটি পরিষ্কার কড়াই চুলার উপর বসিয়ে দিয়েছি। চুলার আঁচ মাঝারি করে দিয়েছি। এবার আমি কড়াই গরম হয়ে গেলে সয়াবিন তেল কড়াইতে ঢেলে দিয়েছি। এক্ষেত্রে আমি একটু বেশি পরিমাণে তেলের ব্যবহার করেছি। এরপর আমি পূর্বে কেটে রাখা পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি ও কাঁচামরিচ কুচি কড়াই এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজকুচি গুলোকে তেলের সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি।
🥗ধাপ-৪🥗
এবার পেঁয়াজের রং বাদামী হয়ে গেলে এবং অন্যান্য মসলাগুলো ভাজা হয়ে গেলে আমি পূর্বে কেটে ধুয়ে রাখা শুটকি মাছ গুলো কড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এবার আমি এই শুটকি মাছ গুলো ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে তেল ও পেঁয়াজ এর সাথে খুব ভালোভাবে ভেজে নিয়েছি।
🥗ধাপ-৫🥗
শুটকি মাছ গুলো ভালোভাবে তেলের সাথে ভাজা হয়ে গেলে আমি এতে হলুদের গুড়া, ধনিয়া গুড়া, জিরা বাটা ও লবণ দিয়েছি। এবার এই মসলাগুলো তেল ও শুটকি মাছের সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছে।
🥗ধাপ-৬🥗
শুটকি মাছের সাথে মসলাগুলোকে ভালোভাবে মেশানোর জন্য সামান্য পরিমাণে পানি দিয়েছি। এবার খুব ভালোভাবে মসলার সাথে শুটকি মাছ গুলোকে ভুনা করে নিয়েছি।
🥗ধাপ-৭🥗
শুটকি মাছ গুলো খুব ভালোভাবে ভুনা করা হয়ে গেলে আমি পূর্বের সেদ্ধ করে রাখা কচুশাক গুলো শুটকি মাছ ভুনার মধ্যে দিয়ে দিয়েছি। এরপর কচুশাক গুলো শুটকি মাছের সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। শুটকি মাছ গুলো এবং কচু শাক গুলো মিশানোর জন্য ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। বারবার নাড়াচাড়া না করলে কচু শাক গুলো কড়াই এর সাথে লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই খুব ভালোভাবে নাড়াচাড়া করেছি যাতে নিচের অংশ কড়াই এর সাথে লেগেনা যায়।
🥗ধাপ-৮🥗
কচুশাক রান্নার একটি অন্যতম উপকরণ হলো লেবুর রস। আমার রান্নার শেষের দিকে আমি কচুশাক এর মধ্যে সামান্য পরিমাণে লেবুর রস দিয়েছি। লেবুর রস "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি খেতে আরো বেশি সুস্বাদু করেছে।
🥗শেষ ধাপ🥗
আমি আমার রান্নার শেষ ধাপে গিয়ে লেবুর রস কচুশাকের সাথে খুব ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়েছি। এরপর কিছুক্ষণ সময় ধরে নাড়াচাড়া করে নিয়েছি। কচুশাক যখন প্রায় হয়ে এসেছে তখন আমি এর স্বাদ পরীক্ষা করে নিয়েছি। এভাবেই আমি আমার স্পেশাল রান্না "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি তৈরি করেছি। এরপর আমি শুকনা মরিচ তেলে ভেজে নিয়েছি। গরম ভাতের সাথে শুকনা মরিচ ভাজা খেতে অনেক ভালো লাগে।
🥗পরিবেশন:🥗
Device-OPPO-A15
Device-OPPO-A15
আমার পছন্দের ও স্পেশাল রান্না "কচুশাক ও শুটকি মাছ" হয়ে গেলে একটি সুন্দর প্লেটে নিয়েছি পরিবেশনের জন্য। এই খাবারটি খেতে খুবই মজাদার হয়েছে। এরপর আমি গরম ভাতের সাথে এই "কচুশাক ও শুটকি মাছ" খাবারটি খেয়েছি।
আমার এই পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আপনারা চাইলে খুব সহজেই "কচুশাক ও শুটকি মাছ" রেসিপিটি তৈরি করে খেতে পারেন। আশা করি এই রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে।
Cc:
@rme
@blacks
@amarbanglablog
@shy-fox
@hafizullah
@rex-sumon
❣️ধন্যবাদ সকলকে।❣️
কচু শাক বাংলাদেশে অতি পরিচিত একটি শাক, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে কচু শাক খুবই জনপ্রিয়। বাড়ির উঠোনের কোণে, ধানের ক্ষেতের আইলে, বিলের ধারে যত্রতত্র বিনা যত্নে জন্মে বলে এ শাক সহজেই পাওয়া যায়, কিনে খেতে হয় না। এই শাক বিভিন্নভাবে খাওয়া হয়। তবে, কচু পাতা ভর্তা ও তরকারি বেশি জনপ্রিয়। ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুটকি মাছ দিয়ে এ শাকের তরকারি বাংলাদেশে খুবই জনপ্রিয়।
আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভকামনা রইল আপু।
ধন্যবাদ ভাইয়া
কচুশাক ও শুটকি মাছের রেসিপি কখনো বাড়িতে রান্না করে খাওয়া হয়নি।আপনার রেসিপি দেখে খেতে খুব লোপ পাচ্ছে। টুর দিতে গিয়ে কক্সবাজার একটি হোটেল থেকে শুটকি ভর্তা খাওয়া হয়ে ছিল। আপনার রেসিপি দেখে সবাই প্রশসংসা করবে।আপনার জন্য শুভকামনা রইল ধন্যবাদ।
কচু শাক আমারও খুব প্রিয় একটি খাবার তবে কোনদিন শুটকি মাছ দিয়ে ঘন্ট করে খাওয়া হয়নি তবে আপনি যে ভাবে ছবিগুলো উঠেছেন এবং ধাপে ধাপে বর্ণনা করে ঘন্ট করেছেন মনে হচ্ছে খেতে অনেক স্বাদ হবে
আপনি একটা কি উনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যা দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। যাইহোক আপনাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ আপু।
কচু শাক এবং শুটকি মাছের রেসিপি আমি কখনো। তবে ইলিশ মাছ এবং কচু শাকের রেসিপি আমি খেয়েছি।
নতুন একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আন্তরিকভাবে অভিনন্দন
আপু আপনার রেসিপি টি অনেক সুন্দর হয়েছে ৷দেখে জিভে জল চলে এলো৷আমি প্রথমবার এইব়কম ব়েসিপি দেখলাম৷ধন্যবাদ আপু৷
ধন্যবাদ ভাইয়া
অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। কচু শাক আমার বেশ পছন্দের।যদি বন্যার পর পর এখন কচু শাক খুব একটা পাওয়া যায় না।
অনেক সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন।পরিবেশনা অনেক সুন্দর ছিল।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
আপু রেসিপি টা দেখে মনে হচ্ছে এখনই খেতে মন চাচ্ছে। সত্যি একজন নতুন ধরনের রেসিপি আজকে জানলাম। এখান থেকে চেষ্টা করব বাড়িতে রান্না করার। অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর জিনিস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল। অনেক সুন্দর ভাবে জিনিসটি পরিবেশন করেছেন এই রেসিপিটি অসাধারণ ছিল।
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কমেন্টস করার জন্য। অবশ্যই ভাইয়া বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন আশা করি অনেক ভাল লাগবে।
অপ এ পর্যন্ত অনেকগুলো রেসিপি দেখেছি তার মধ্যে আপনাকে আমি বেস্ট জায়গা রাখতে চাই কারণ আপনার প্রত্যেকটা ছবি অসাধারণ ভাবে ফুটে উঠেছে এবং খুব ক্লিয়ার স্মুথ ভাবে দেখা যাচ্ছে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য। আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আপনাদের মাঝে আরো ভালো কিছু শেয়ার করতে পারি।
কচু শাক দিয়ে শুটকি আসলেই অনেক মজার একটি খাবার আরও সাথে যদি থাকে লেবু খাওয়ার মজাটাই অন্যরকম হয়ে যায়। আপনার রেসিপিটি অনেক সুন্দর হয়েছে অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন আপনি আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।