নাটক রিভিউ-লাভ অ্যান্ড ওয়ার|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে একটি নাটক রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। যদিও নাটকটি কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম। তাই আজকে ভাবলাম এই নাটক রিভিউ শেয়ার করি। আসলে কয়েকদিন থেকে ব্যস্ততার মধ্যে দিন কাটছে। তাইতো সেভাবে কোন কিছু তৈরি করা হচ্ছে না। তবুও নিজের ব্যস্ততার মাঝেও এই নাটক রিভিউ পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার শেয়ার করা নাটক রিভিউ সবার কাছে ভালো লাগবে।
নাম | লাভ অ্যান্ড ওয়ার |
---|---|
রচনা | শফিকুর রহমান সান্তনু |
পরিচালনা | সৈয়দ শাকিল |
সম্পাদনা | আকাশ সরকার |
অভিনয়ে | জিয়াউল ফারুক অপূর্ব,তাসনিয়া ফারিন ও আরো অনেকে |
দৈর্ঘ্য | ৪০ মিনিট |
মুক্তির তারিখ | ৪ মে ২০২২ |
ধরন | ড্রামা |
ভাষা | বাংলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
চরিত্রেঃ
- জিয়াউল ফারুক অপূর্ব-অনিক
- তাসনিয়া ফারিন-শিখা
নাটকের শুরুতেই দেখি নাটকের নায়ক অনিক তার অফিসের কলিকদের সাথে সময় কাটাচ্ছে এবং তারা কোথাও পার্টি করার প্লান করছে। এমন সময় অনিকের বাসা থেকে তার মায়ের ফোন আসে এবং তিনি জানান তার মামা তাদের বাসায় এসেছেন। তাই বাজার করতে হবে। অনিক মনখারাপ করে কারণ তাদের পার্টিতে যাওয়া হবে না। এরপর অনিক বাজার করে নিয়ে বাসায় ফিরে। দরজা খুলেই দেখে তার মামাতো বোন দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। এরপর থেকে শুরু হয়ে যায় তাদের ঝগড়া। ছোটবেলা থেকেই অনিক এবং শিখা একে অপরকে সহ্য করতে পারত না। বড় হয়েও তাদের সেই অভ্যাসটা হয়ে গেল। এরপর অনিকের মা এসে সব কিছু সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। রাতে যখন শিখা অনিকের রুমে যায় তখন অনিক তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে ফোনে কথা বলছিল। আর শিখা সেটা শুনে ফেলে। এরপর শিখা যখন সকালবেলা বাইরে কোথায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিল তখন অনিকের মা অনিকে বলেছিল শিখাকে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু অনিক কিছুতেই শিখাতে বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হচ্ছিলনা। এরপর শিখা বলল অনিক রাতে কি করেছে তা অনিকের মাকে বলে দিবে। অর্থাৎ সে যে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে কথা বলেছে এই কথা তার মাকে বলে দিতে চায়। এরপর অনিক তাকে বাহিরে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়।
দুজনে বাহিরে যায় এমন সময় শিখার ফোন আসে যে তার বান্ধবীর জন্য জরুরি রক্তের প্রয়োজন। এরপর শিখা অনিককে অনুরোধ করে রক্ত দেওয়ার জন্য। অনিক প্রথমে রাজি হচ্ছিল না। এরপর সবার অনুরোধে রাজি হয়। এবার রক্ত দিয়ে দুজনে বেরিয়ে আসে। অনিক বলে সে তার গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে যাবে। কিন্তু শিখা একা একা বাসায় গেলে তার ফুফু প্রশ্ন করতে পারে সেজন্য অনিক এবং শিখা দুজনে রেস্টুরেন্টে যায় এবং শিখা আলাদা টেবিলে বসে দুজন। অনিক এবং তার গার্লফ্রেন্ড গল্প করছিল এমন সময় মেয়েটির ফোনে ফোন আসে এবং সে ওয়াশরুমে যায়। এমন সময় শিখাও ওয়াশ রুমে যায় এবং শুনতে পায় মেয়েটি তার অন্য এক বয়ফ্রেন্ডের সাথে কথা বলছে। মেয়েটির এমন আচরণ দেখে শিখা অনেক অবাক হয় এবং মন খারাপ করে। বুঝতে পারে মেয়েটি অনিককে ভালোবাসে না। এরপর বাসায় ফিরে শিখা অনিককে বলে মেয়েটির সম্পর্কে সে কতটুকু জানে। কিন্তু অনিক শিখার কথায় পাত্তা দেয় না। এরপর শিখা অনিককে বলে কাল বিকেল পাঁচটায় জলসিড়ি রেস্টুরেন্টে সে কারো সাথে দেখা করবে। সেখানে গেলে তুমি সবটা বুঝতে পারবে।
অনিক বিষয়টা নিয়ে প্রথমে কিছুই ভাবছিল না। এরপর হঠাৎ করে মনে হলো শিখা এমনি কথা বলার মেয়ে নয়। এরপর অনিক নির্দিষ্ট সময়ে সেই রেস্টুরেন্টে গেল এবং গিয়ে দেখল তার গার্লফ্রেন্ড নিতু অন্য একটি ছেলের সাথে সেখানে হাত ধরে বসে আছে। অনিকের আর কিছু বুঝতে বাকি রইলো না। অনিক অনেক কষ্ট পেল এবং বাহিরে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে সময় কাটালো। এরপর যখন অনিক বাসায় ফিরল তখন বাসায় এসে দেখে শিখাকে দেখতে ছেলেপক্ষ এসেছে এবং শিখাকে তাদের অনেক পছন্দ হয়েছে। সেই সাথে তারা বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেছে। সেই সময় অনিক বাসায় আসে এবং ছেলের সাথে পরিচিত হয়। সব মিলিয়ে অনিকের অনেক মন খারাপ হয়ে যায়। নিজের রুমে গিয়ে মন খারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকে। এরপর শিখা তার রুমে যায়। শিখাকে দেখে অনিক জড়িয়ে ধরে কান্না করে এবং নিজের আবেগ প্রকাশ করার চেষ্টা করে।
দেখতে দেখতে আরো কিছুদিন কেটে যায়। এরপর একদিন হঠাৎ করে ছেলে পক্ষ জানায় তারা শিখার সাথে তাদের ছেলেকে বিয়ে দিতে পারবেনা। এই কথা শুনে শিখা ভীষণ কষ্ট পায়। সেই সাথে শিখার বাবা অনেক কষ্ট পায়। এরপর অনিকের মা বলেন তিনি শিখাকে তার ছেলের বউ করতে চান যদি তারা দুজনে রাজি থাকে। এবার অনিকের মা এবং শিখার বাবা দুজনে দুজনের ছেলে মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করে। এরপর দুজনে রাজি হয়ে যায়। এবার অনিক এবং শিখা দুজনে একে অপরের সাথে কথা বলার জন্য ছাদে যায় এবং তাদের মতামত জানতে চায়। এরপর অনিক বলে সে নিজেই ছেলেটিকে অনুরোধ করেছিল যাতে বিয়েটি ভেঙ্গে দেয়। এই কথা শুনে শিখা অবাক হয়ে যায়। এরপর অনিক বলে শিখা তাকে পছন্দ করে সে এই বিষয়টি জানতে পেরেছিল। আর তাইতো বিয়েটা ভেঙে দিয়েছে। কারণ সেও শেখাকে মনে মনে ভালোবাসতো।
এভাবেই একটি সুন্দর নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
এই নাটকটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ভিন্ন ধরনের একটি নাটকের গল্প ছিল। ছোটবেলা থেকেই হয়তো একে অপরকে পছন্দ করত। কিন্তু কখনো বলতে পারেনি। আসলে কিছু কিছু সম্পর্ক আছে দেখলে মনে হয় একে অপরকে সহ্য করতে পারে না। কিন্তু তাদের মনে একে অপরের প্রতি ভালোবাসা রয়ে যায়। এই গল্পের নায়িকা ছোটবেলা থেকেই নায়ককে পছন্দ করত। কিন্তু তাদের দুজনের ঝগড়া লেগেই থাকতো। হয়তো ঝগড়ার আড়ালে ভালোবাসা লুকিয়ে ছিল। হয়তো কেউ কাউকে কখনো ভালোবাসার কথা বলতে পারেনি। শেষে সবটাই প্রকাশ হয়েছে। সব মিলিয়ে নাটকটি বেশ ভালো লেগেছে।
অপূর্বের নাটকগুলো আমার বেশিরভাগ সময় দেখা হয়। অপূর্ব এবং তাসনিয়ার এই নাটকটা আমার দেখা হয়েছিল। আর এই নাটকটা যখন দেখেছিলাম তখন বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলাম। অনেক ঝগড়ার মাঝে যে ভালোবাসাটা লুকিয়ে থাকে তা অনেক বেশি গভীর এবং অনেক সুন্দর হয়। তারা দুইজন এই নাটকটিতে অনেক সুন্দর অভিনয় করেছে। তাদের দুজনের ঝগড়া লেগে থাকলেও ছোটবেলা থেকে নায়িকা অপূর্বকে খুব পছন্দ করত। সবশেষে নায়ক নায়িকার অনেক সুন্দরভাবে মিল হয়েছে।
আমিও সময় পেলে অপূর্বর নাটক দেখার চেষ্টা করি। আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। নাটকের গল্প আমার অনেক ভালো লেগেছিল। তাইতো এই নাটক রিভিউ শেয়ার করেছি ভাইয়া। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
"There's nothing wrong in love and war"
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিন আমার খুবই পছন্দের অভিনেতা অভিনেত্রী। এই নাটকটি আমার দেখা হয়েছে। কাহিনী বেশ ভালোই লাগলো। ধন্যবাদ নাটকের রিভিউ টি শেয়ার করার জন্য।
জিয়াউল ফারুক অপূর্ব এবং তাসনিয়া ফারিন আমারও খুবই পছন্দের অভিনয়শিল্পী। তাই তো সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। নাটকের গল্প আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে দারুন একটি নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করেছেন। আসলে এখনকার সময় অপূর্বর নাটক গুলো বেশ জনপ্রিয়। আমিও চেষ্টা করি প্রতি সপ্তাহে একটি করে নাটক রিভিউ করার জন্য। সময় পেলে অবশ্যই আপু আপনার এই শেয়ার করা নাটকটি দেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে নাটক রিভিউ এর মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া বর্তমান সময়ে অপূর্বর নাটক বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই তো সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি এবং আপনাদের মাঝে রিভিউ শেয়ার করি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে নিজের মতামত তুলে ধরার জন্য।
আসলে কিছু কিছু ভালোবাসার মধ্যে ঝগড়া একটু বেশি দেখা যায়। আর সেই ঝগড়ার মাঝে তাদের অনেক বেশি ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে, যা তারা প্রকাশ করে না। আর এই ভালোবাসাটা অনেক বেশি সুন্দর হয়। লাভ এন্ড ওয়ার এই নাটকটার রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আপু। সম্পূর্ণ নাটকটার রিভিউ অনেক সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। এই নাটকটা আমার এখনো দেখা হয়নি তাই ভাবছি সময় পেলে নাটকটা দেখব।
ঠিক বলেছেন আপু কিছু কিছু ভালোবাসার মধ্যে ঝগড়া বেশি দেখা যায়। আর সেই ঝগড়ার মাঝেও ভালোবাসা লুকিয়ে থাকে। এই নাটকের থিমটি ঠিক এরকমই ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ভালো লাগার মত একটি নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে রিভিউ করে দেখিয়েছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এমনিতেই আমি অপূর্বের নাটক গুলো খুবই পছন্দ করে থাকি। আর সে অপূর্বের নাটক আজ আপনি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এতে আমি খুশি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া নাটকটি সত্যি ভালো লাগার মতই। এই নাটকটি দেখতে অনেক ভালো লেগেছে। তাইতো আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে রিভিউ শেয়ার করার। ধন্যবাদ ভাইয়া মতামতের জন্য।
অপূর্বের নাটক গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তাছাড়া ফারিন ও অসাধারণ অভিনয় করে। আপনি লাভ অ্যান্ড ওয়ার একটি নাটক রিভিউ দিলেন নাটক আমার অসাধারণ ভালো লেগেছে। প্রতিটি ধাপ আমি খুব সুন্দরভাবে দেখেছি বেশ ভালোই লেগেছে। এই নাটকটি আমাকে দেখতে হবে অবশ্যই কারণ অপূর্বের নাটকগুলো আমার খুব ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ খুব সুন্দর একটি নাটকের রিভিও শেয়ার করার জন্য।
অপূর্বের নাটক গুলো আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। তাইতো সময় পেলেই নতুন নতুন নাটক দেখার চেষ্টা করি। এই নাটকটিও কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম। অনেক ভালো লেগেছিলো আপু।
এই নাটকটি আমি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম। নাটকটি সত্যিই খুব সুন্দর। অপূর্ব এবং তাসনিয়া ফারিন বরাবরই বেশ ভালো অভিনয় করে। অনেক সময় আমাদের কাছের কাউকে খুব ভালো লেগে যায় এবং সেই ভালো লাগা থেকে মনে মনে ভালোবাসাও হয়ে যায়। তবে অনেকে সেটা বলতে পারে না এবং একটা সময় গিয়ে খুব আফসোস করে। তাই অবশ্যই বলে দেওয়া উচিত। যাইহোক এতো সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এই নাটকটি আপনি দেখেছেন জেনে ভালো লাগলো। দুজনেই দারুন অভিনয় করেছেন। আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে ভাইয়া। মতামতের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আহা আপু, কি মিষ্টি একটা নাটক 😍। আমি তো তাসনিয়া ফারিনের অ্যাক্টিং এর অনেক বড় ফ্যান। একদম ন্যাচারাল অভিনয় যাকে বলে। জানেন এই নাটকের খুনসুটি টা বেশি ভালো লেগেছে। ইস্ বাস্তবে যদি কোন মেয়ে এমন থাকতো!! 😍😍🤪 দারুন লিখেছেন শুরু থেকে শেষ অবধি।