আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-২৪||আমার জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে। বন্ধু কিংবা বন্ধুত্ব এই শব্দ দুটি সত্যিই অনেক ছোট। হয়তো কয়েকটি শব্দের মাঝেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু এই শব্দগুলোর মাঝে মিশে আছে অনেক আবেগ, অনুভূতি ভালোলাগা ও মন্দলাগার অনেক স্মৃতি। আমার বাংলা ব্লগ সব সময় ভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এবারের প্রতিযোগিতাটিও দারুন হয়েছে। "শেয়ার করো তোমার জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি" এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা সবাই নিজের জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো তুলে ধরতে পারবো। তাইতো আজকে আমি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের অনুভূতি ও অতীতের সেই স্মৃতিগুলো তুলে ধরতে যাচ্ছি।
আমার জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি:
বন্ধুত্ব শব্দটি সত্যি অনেক মধুর। এই শব্দটি যেমন মধুর তেমনি বন্ধুত্বের সম্পর্কও অনেক মধুর। ছোটবেলা থেকেই আমাদের অনেক বন্ধু তৈরি হয়েছে। হয়তো সময়ের পরিক্রমায় অনেক বন্ধু হারিয়ে গেছে। পরিবারের মানুষগুলোর মতোই প্রিয় বন্ধুরা আপন হয়ে যায়। নিজের সুখ, দুঃখ, হাসি, আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তাদের জুড়ে নেই। মন খারাপের মাঝেও তারা যেমন পাশে থাকে তেমনি আনন্দের দিনেও আনন্দের ভাগীদার হয়। সত্যি বলতে বন্ধুত্বের মতো সম্পর্ক আর হয়তো কখনো তৈরি হয় না। আমাদের জীবনে হয়তো অনেক আপন মানুষ আছে। কিন্তু বন্ধুত্বের চেয়ে আপন আর কেউ নেই। ছোটবেলা থেকেই অনেক বন্ধুকে পেয়েছি। আবার অনেক বন্ধুকে হারিয়ে ফেলেছি। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই বেশ কিছুটা বছর বিভিন্ন জেলায় থেকেছি তাইতো নতুন নতুন বন্ধু পেয়েছি। তবে তাদেরকে ছেড়ে আসতে সত্যি অনেক কষ্ট লেগেছে। এখনো মাঝে মাঝে মনে পড়ে তাদের কথা। কিন্তু তাদেরকে আজ হারিয়ে ফেলেছি। একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি। হয়তো কখনোই আর তাদের দেখা পাবো না। কিন্তু সময়ে অসময়ে তাদের কথা খুবই মনে পড়ে। যখন ধীরে ধীরে বড় হলাম বন্ধুত্বের গভীরতা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে শিখলাম। আসলে বন্ধুত্ব যে শুধু হাসি ঠাট্টার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তা কিন্তু নয়। বিপদে আপদে একে অন্যের পাশে থেকেও বন্ধুত্বের গভীরতা উপলব্ধি করা যায়।
হয়তো স্কুল কিংবা কলেজ জীবনে অনেক বন্ধু পেয়েছি। হয়তো তাদের সাথে আজ যোগাযোগ নেই। সময়ের পরিক্রমায় সবাই ব্যস্ত। কারো খবর নেওয়ার মতো সময় হয়তো কারো নেই। হয়তো দেখা হলে কথা হয় কিংবা হঠাৎ করেই কথা হয়। কিন্তু তাদের সাথে কাটানো মধুর স্মৃতিগুলো কিন্তু আজও স্মৃতির পাতায় রয়ে গেছে। বন্ধুত্ব যেকারো সাথে হতে পারে। ছোট কিংবা বড় সবার সাথেই বন্ধুত্ব হতে পারে। কিন্তু মনের গভীরতা থেকে যেই বন্ধুত্ব তৈরি হয় সেই মানুষগুলোকে সত্যি অনেক আপন মনে হয়। আমি যখন পড়াশোনার জন্য প্রথম অন্য জেলায় আসি তখন মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। আসলে নতুন পরিবেশ ও সব কিছুর সাথে এডজাস্ট করতে বেশ সময় লেগেছিল। সেই সময় আমি এমন একজন মানুষকে আমার পাশে পেয়েছিলাম যার কথা কোনদিন ভুলতে পারবো না। সেই মেয়েটি আজও আমার হৃদয় জুড়ে আছে। মেয়েটির নাম নিশু। খুবই সহজ সরল একটি মেয়ে। যখন আমি প্রথম নিশু আপুকে দেখেছি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। মায়াবী চেহারা আর তার ব্যবহার সবকিছু মিলে তার প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলাম। তার সাথে এক রুমে তিনটি বছর কাটিয়েছি। অনেক হাসি আনন্দ করেছি আমরা। রাত জেগে একসাথে মুভি দেখা, নাটক দেখা, রাত জেগে লুডু খেলা সবকিছু যেন আরো বেশ জমে যেত। নিশু আপু আমার এক ব্যাচ সিনিয়র ছিল। কিন্তু আমার সাথে এতটাই বন্ধুত্ব হয়েছিল যে তাকে ছাড়া এক মুহূর্ত ভালো লাগত না। আপু যেমন আমাকে আপন করে নিয়েছিলেন তেমনি আমিও তাকে আপন করে নিয়েছিলাম।
সবচেয়ে বড় কথা সে অনেক মজার মানুষ ছিল। সারাক্ষণ গান গাইতো। আমি মাঝে মাঝে তাকে বলতাম তুমি এভাবে সবসময় গান গাও পরীক্ষার হলে চার ঘন্টা কি করে পরীক্ষা দাও? সে হেসে হেসে উত্তর দিত আমি তখন মনে মনে কিছুক্ষণ গান গাই এরপর লেখা শুরু করি। সেই স্মৃতি গুলো মনে হলে আজও অনেক হাসি পায়। স্কুল-কলেজের অনেক বন্ধু বান্ধবী আছে। তাদের সাথে হয়তো অনেক গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নিশু আপুর সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। আপু হঠাৎ করেই একটি ছেলের প্রেমে পড়ে গেল। অনেক চড়াই উতরাই পেরিয়ে তাদের প্রেম পরিণতি পেল। আপুর যখন বিয়ে হয়ে গেল তখন সে চলে গেল। সত্যি সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম। আমার খুবই খারাপ লেগেছিল। এরপর থেকে আর কোনদিন তার সাথে দেখা হয়নি। কারণ দেখা হওয়ার মত আর কোন উপায় ছিল না। আমার যখন অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল তখন হঠাৎ করেই রাত ১১.৩০ মিনিটের দিকে আমার ফোনে একটি এসএমএস আসলো। আমি এসএমএস ওপেন করে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বারবার ভাবছিলাম হয়তো রাত জাগার কারণে কিংবা সারাদিন পড়াশোনা করার কারণে চোখে কম দেখছি। বারবার আমি চোখ মুছতেছিলাম আর এসএমএস এর দিকে তাকাচ্ছিলাম। আসলে এসএমএস টা আমার জন্য কতটা কষ্টের ছিল সেটা হয়তো কাউকে বলে বোঝাতে পারবো না। সেখানে লেখা ছিল নিশু আপু মারা গেছে😭😭। এই লেখাটি যখন দেখছিলাম তখন বারবার ভাবছিলাম হয়তো নিশু আপুর মা মারা গেছে কিংবা নিশু আপুর কেউ মারা গেছে। হয়তো ভুল করে এই এসএমএস টা কেউ দিয়েছে।
এরপর ভালোভাবে দেখলাম সত্যিই নিশু আপুই মারা গেছে। একদিকে সকাল বেলায় আমার পরীক্ষা অন্যদিকে এই সংবাদ শোনার পর আমি মানসিকভাবে বেশ ভেঙ্গে পড়ি। সারা রাত এক মিনিটেও জন্যও ঘুমাতে পারিনি। অনেক কেঁদেছিলাম সেদিন। খুব মনে পড়ছিল নিশু আপুর কথা। চোখ বন্ধ করলেই ভেসে আসছিল সেই দুষ্টু মিষ্টি স্মৃতিগুলো। যে স্মৃতিগুলো সারা জীবন হৃদয়ের পাতায় রয়ে যাবে। সেদিন পরীক্ষা খুবই খারাপ হয়েছিল। আসলে যে মানুষটার সাথে এতটা দিন কাটিয়েছি সেই মানুষটার এভাবে চলে যাওয়া কখনোই মেনে নিতে পারিনি। আমি তাকে কথা দিয়েছিলাম পরীক্ষা শেষ হলে তাকে দেখতে যাবো। কিন্তু আমি আমার কথা রাখতে পারিনি। এমনকি আমার প্রিয় বন্ধুকে শেষ দেখাও দেখতে পারিনি। নিশু আপু প্রেগন্যান্ট ছিল। আর অপারেশন থিয়েটারেই সে মারা যায়। মারা যাওয়ার আগে ফুটফুটে একটি পুত্র সন্তান তার পরিবারকে উপহার দিয়ে যায়। হয়তো তার পুত্র সন্তানের মাঝে নিশু আপুর বাবা-মা তাদের মেয়েকে খুঁজে নিয়েছেন। হয়তো সেই বাচ্চাটির মাঝে আজও নিশু অপু বেঁচে আছে। সত্যি কথা বলতে সেদিনের স্মৃতিগুলো আমি আজও ভুলতে পারিনি। প্রত্যেক বছর তার জন্মদিনে যখন আমার ফেসবুকে নোটিফিকেশন আসে দেখে হৃদয় কেঁদে ওঠে। বারবার মন চায় আরেকটিবার যদি তাকে দেখতে পেতাম তাহলে হৃদয়ের মাঝে তার মুখটা ভালোভাবে রেখে দিতাম। যদি কখনো জানতাম সে হারিয়ে যাবে তাহলে হয়তো আর কিছুটা সময় তার সাথে কাটাতাম। মাঝে মাঝে যখন আনমনে বসে থাকি তখন মনে হয় হয়তো কোনদিন সে ফিরে আসবে। কিন্তু সেটা শুধুই আমার কল্পনা। প্রিয় মানুষগুলোকে হারালে সত্যি খুবই কষ্ট হয়। যার হারায় সেই শুধু এই কষ্ট উপলব্ধি করতে পারে। আমি কখনোই মেনে নিতে পারি না সে আজ আমাদের মাঝে নেই। এই মন বারবার কেঁদে ওঠে আর বারবার বলতে ইচ্ছে করে একবার যদি সে ফিরে আসতো তাহলে দুচোখ ভরে তাকে দেখতাম আর একবার জড়িয়ে ধরতাম। ভালোবাসি এই কথাটি হয়তো তাকে কখনো বলা হয়নি। তবে অনেক ভালোবাসি তাকে। দোয়া করি সে যেখানেই থাকুক না কেন ভালো থাকুক।
জীবনে অনেক বন্ধু পেয়েছি কিন্তু নিশু আপুর মত একজন বন্ধুকে পেয়েও হারিয়ে ফেলেছি। আজও ভুলতে পারি না সেই স্মৃতিগুলো। মাঝে মাঝে যখন মধুর স্মৃতিগুলো মনে পড়ে তখন মনের অজান্তেই হেসে ফেলি। এরপর যখন তার চলে যাওয়ার কথাগুলো মনে পড়ে তখন নিজেকে আর শান্ত রাখতে পারি না। বারবার হৃদয়ের মাঝে কয়েকটি শব্দই ভেসে ওঠে। আর বলতে ইচ্ছে করে, তুমি বন্ধু ছিলে, তুমি সাথী ছিলে, তুমি ছিলে আমার অবসরের সঙ্গী। তুমি যেমন আমায় স্নেহে আগলে রাখতে তেমনি আমিও তোমায় ভালোবাসার ও বন্ধুত্বের গভীর বাঁধনে বেঁধে রেখেছিলাম। হঠাৎ করে একটি ঝড় এসে তাকে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। হয়তো কোনদিন আর সে ফিরবে না। কিন্তু স্মৃতিগুলো সারা জীবন থেকে যাবে। আমি জানিনা পরপারে সে কেমন আছে। তবে এতোটুকুই বলতে চাই আমার প্রিয় বন্ধুটি যেন ভালো থাকে। আমার জীবনের সেরা বন্ধু হয়ে সারা জীবন সে থাকবে। হয়তো কিছু কিছু অনুভূতি আছে যেগুলো তুলে ধরা যায় না। তবুও আমি আমার অনুভূতি থেকে আমার জীবনের প্রিয় বন্ধুর কিছু স্মৃতি তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। জানিনা সেই মানুষটির স্মৃতিগুলো কখনো ভুলতে পারব কিনা। তবে চেষ্টা করব বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো সারা জীবন হৃদয়ের মাঝে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
সবার জীবনে ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো হয়তো অনেক মধুর। আমার জীবনেও অনেক মধুর স্মৃতি আছে। তবে আমার জীবনে পাওয়া শ্রেষ্ঠ বন্ধু কে হারিয়ে সেই স্মৃতিগুলো আজকাল কেন জানি ফ্যাকাসে লাগে।মাঝে মাঝে মনে হয় বন্ধুত্বের মধুর স্মৃতি গুলো যেন আজ রং হারিয়ে ফেলেছে। আমি আজও তাকে ভুলতে পারিনি। হয়তো কোনদিন ভুলতেও পারবো না। সবশেষে একটি কথাই বলতে চাই বন্ধুত্ব কখনো শেষ হয়ে যায় না। বন্ধুত্ব সারা জীবন থেকে যায়। কখনো বাস্তবতায়, কখনো হৃদয়ের মাঝে। তবুও আমরা নিজের বন্ধুত্বকে আগলে রাখার চেষ্টা করি। হয়তো সারা জীবন আগলে রাখবো। হয়তো বন্ধুত্বের মধুর স্মৃতিগুলো তাকে বাঁচিয়ে রাখবে সারা জীবন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু বন্ধু এবং বন্ধুত্ব এই দুটি শব্দ বিশাল। আর বন্ধুত্বের মাঝে ছোট বড় এসব কিছু ম্যাটার করে না। বয়সে বড় হলেও বন্ধুত্ব হওয়া যায়। তেমনি মিশু আপুর সাথে আপনার এরকম বন্ধুত্ব হয়েছে। তিনটা বছর একসাথে কাটিয়েছেন। আপনার লেখাগুলো যখন পড়ছিলাম বেশ ভালই লাগছিল। কিন্তু যখন নিশু আপুর মৃত্যুর খবরটা শুনলাম সত্যি খুবই কষ্ট পেলাম। আর আপনার এত প্রিয় বন্ধু কিন্তু শেষ পর্যন্ত শেষ দেখাটা দেখতে পারলেন না। আসলেই এরকম বন্ধুত্ব চিরজীবন বেঁচে থাকে। যেমন এখনো আপনার ফেসবুকে নোটিফিকেশন আসে জন্মদিনের। প্রতিযোগিতা আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ছোট কিংবা বড় বন্ধুত্ব যে কারো সাথে হতে পারে। বয়স কোন ম্যাটার করে না। তাইতো আমার রুমমেট আপুর সাথে দারুন বন্ধুত্ব হয়েছিল। তবে সেই মানুষটিকে হারিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
বন্ধু হারিয়ে যায় কিন্তু বন্ধুত্ব কখনো হারায় না। স্মৃতির পাতায় রয়ে যায় বন্ধুত্ব। কত সুন্দর সময় কত সুন্দর মূহুর্ত গুলো হারিয়ে গেছে হারিয়ে গেছে সেই বন্ধুরা। আপনার নিশু আপুর কথাটা শুনে বেশ খারাপ লাগল। কাছের মানুষ চলে গেলে কতটা খারাপ লাগে সেটা আমি জানি। বেশ সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন আপু।।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া বন্ধু হারিয়ে যায় কিন্তু বন্ধুত্ব কখনো হারিয়ে যায় না। আসলে আমার জীবনেও এমন অনেক বন্ধু আছে যারা হঠাৎ করে হারিয়ে গেছে। এখনো তাদেরকে খোঁজার চেষ্টা করি কিন্তু খুঁজে পাই না। সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুকে হারিয়ে আরো বেশি কষ্ট পেয়েছি।
নিশু আপু বড় হয়েও আপনার বন্ধু হয়েছে এটা আমার কাছে ভাল লেগেছে। কারন বন্ধুত্বের জন্য আন্তরিকতা, ভালবাসা, একজন আরেকজনকে বুঝা দরকার, এখানে বড় ছোট কোন বেপার না। আপনার আর নিশু আপুর বন্ধুত্ব এতটাই গভীর ছিল তাই মোবাইলে মেসেজ দেখেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তার মৃত্যুর খবর। তবে খুব বেশি খারাপ লেগেছে যখন শুনলাম নিশু আপু বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মারা গিয়েছেন। এত গভীর বন্ধুত্ব ছিল বলেই এখনো নিশু আপুর কথা মনে হলে আপনার অনেক খারাপ লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আসলে বন্ধুত্ব ছোট বড় হিসেব করে হয় না। বন্ধুত্ব যে কারো সাথে হতে পারে। হৃদয়ের গভীরতা থেকে বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তাই তো তার সাথে আমার গভীর বন্ধুত্ব হয়েছিল। তবে উনার চলে যাওয়া সত্যিই মেনে নিতে পারি না।
বন্ধুত্বের স্মৃতিগুলো চাইলেই ভুলে যাওয়া যায় না। স্মৃতির পাতায় থেকে যায় আজীবন। আপনার নিশু আপু হঠাৎ এভাবে মারা গেল! আসলে এটা কষ্টের সংবাদ ছিল। তবে বাস্তবতা তো মেনে নিতেই হয়। নিশু আপু আপনার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট হয়ে থাকবে আজীবন।
কিছু কিছু স্মৃতি আছে যেগুলো চাইলেই কখনো ভুলে যাওয়া যায় না। তেমনি নিশু আপুর মৃত্যুর কথা মনে হলেই আমি মানসিকভাবে ভেঙে পরি। অনেকটা সময় তার সাথে কাটিয়েছি। সেই মানুষটি আজ এই পৃথিবীতে নেই কথাগুলো ভাবতেই হৃদয় কেঁদে ওঠে।
বন্ধু সম্পর্কটা এত মধুর যা কখনো ভোলা যায় না। আপনি ভুলতে চাইলেও কখনো ভুলতে পারবেন না। আপনার ফেলে আসা বন্ধুত্বের স্মৃতি গল্প গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। কিন্তু যখন জানতে পারলাম যে আপনার বন্ধু নিশু আপু সন্তান জন্ম দেওয়ার সময় মারা গেছে। তখন আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে। দোয়া করি যাতে আপনার বন্ধু নিশু আপুকে আল্লাহ জান্নাতবাসী করেন। আর আপনার হৃদয়ে বেঁচে থাকুক আপনার বন্ধু আজীবন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রিয় মানুষটি যখন হারিয়ে যায় তখন খুবই কষ্ট লাগে। তাইতো আমি আমার জীবনের প্রিয় একজন মানুষকে হারিয়ে ফেলেছি। হয়তো চাইলেও আর কখনো ফিরে পাবো না। তবে স্মৃতিগুলো আজও রয়ে গেছে আপু।
আসলে যে কোন ভালো বন্ধু পেয়ে হারানোর ব্যথাটা অনেক।নিশু আপুর মত আমারও এক প্রাণ প্রিয় বান্ধবী ছিল। তার নাম মাহমুদা। এইতো দু বছর আগেও আমাদের সবাইকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে। সত্যিই এই স্মৃতি গুলো বড়ই বেদনাদায়ক।♥♥
সত্যি আপু একজন ভালো বন্ধু পেয়ে হারানোর ব্যথাটা অনেক বেশি। আমার মত আপনারও একজন বান্ধবী ছিল এবং সেও আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গেছে জেনে সত্যি কষ্ট পেলাম। আসলে এই মানুষগুলো যখন আমাদের জীবন থেকে একেবারে হারিয়ে যায় তখন মেনে নিতে সত্যি খুবই কষ্ট হয়।
আসলে বন্ধুত্বের সম্পর্কের মতো এতো মধুর কিছু আর হয়না। সত্যিই নিশু আপুর প্রতি আপনার অসম্ভব ভালোবাসা দেখে প্রথমে বেশ ভালো লাগছিলো পড়তে। পরবর্তীতে সন্তান জন্ম দেয়ার সময় তার মৃত্যুর খবরটা সত্যিই খুব খারাপ লেগেছে। তবে আপনার ভেতরের চাপা কষ্টগুলো সত্যিই বোঝা যাচ্ছিল। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন। সত্যিই তাকে আর ফিরে পাওয়া যাবেনা তবে বেঁচে থাকুক বন্ধুত্ব আপনার হৃদয়ে এই কামনা করছি।
সত্যি ভাইয়া বন্ধুত্বের সম্পর্কের মত মধুর সম্পর্ক আর হয় না। তবে নিশু আপুর প্রতি আমার এতটা ভালোবাসা ছিল নিশু আপু চলে যাওয়ার পর আরও বেশি উপলব্ধি করতে পেরেছি। সেই কথাগুলো মনে হলে সত্যিই অনেক খারাপ লাগে।
বন্ধুত্ব ছোট্ট একটি কথা কিন্তু তার মর্ম টা অনেক টা অনেক বড় ৷ বন্ধু কে নিয়ে হাজার কথা বললেও শেষ করা যাবে না ৷ শুধু বলবো বন্ধু মানে একটা জীবন ৷
যা হোক আপু আপনার লেখা নিশু আপুর গল্পটা পড়লাম ৷ যার সাথে তিনটি বছর এক রুমে একসাথে ছিলেন ৷ কিন্তু শেষে সত্যি আপনার মতো আমিও মানতে পারলাম না ৷ যে নিশু আপু মারা গেছে ৷
আসলে মৃত্যুর স্বাদ পেতে হবে তবে কিছু কিছু মৃত্যু কখনো মেনে নেওয়ার মতো নয় ৷ তবুও মেনে নিতে হবে ৷ নিশ্চয়ই তার ফুটফুটে বাচ্চা টি এখনো আছে ৷
সত্যি ভাইয়া বন্ধুত্ব শব্দটি ছোট কিন্তু এর মর্ম অনেক বড়। যা কখনো বলে শেষ করা যায় না। হয়তো হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়। আমার লেখা গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। আসলে আমাদের জীবন থেকেই গল্প তৈরি হয়। আপুকে হারিয়ে সত্যি কষ্ট পেয়েছি। কিছু করার নেই বাস্তবতা মেনে নিতেই হবে।
নিশু আপুর সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল আপনার এই বিষয়টা জানতে পেরে সত্যি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপুর বিয়ে হয়ে গিয়েছে তো কি হয়েছে দেখা হওয়ার মত উপায় ছিল না তো কি আপনি যদি দেখা করতেন তাহলে তো দেখা হতোই। সত্যি বলতে আপু বেশি রাত জাগলে এবং পড়াশোনা করলে চোখে কেউ কম দেখেনা। এসএমএস এর বিষয়ে দেখে সত্যি আমারও অনেক খারাপ লেগেছে।
কিছু কিছু মানুষের সাথে আত্মার সম্পর্ক তৈরি হয়। হয়তো মনের অজান্তেই তাদের প্রতি গভীর ভালোবাসা তৈরি হয়। তেমনি আমার প্রিয় বন্ধুটির জন্য আমার অনেক ভালোবাসা তৈরি হয়েছিল। যাই হোক আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আমি আজকে আপনার পোস্টটি পড়ছি আর আমার বুকের মধ্যে কোথাও একটা ব্যথা অনুভব করছিলাম। কারন আপনার মত আমিও আমার প্রিয় দুজন বন্ধুকে খুব অল্প বয়সে হারিয়েছি। আপনার প্রতি পোস্টটি পরতে তাদের কথা খুব মনে পড়ছিল। আপনার নিশু আপুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল যেন জান্নাত বাসি হন।আর তার ছেলের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল এরকম বন্ধু জন্য সব সময় মন কাঁদে।কিন্তু আর ফিরে পাওয়া যায় না।
আপু আপনি আপনার দুজন প্রিয় মানুষকে অল্প বয়সে হারিয়েছেন জেনে খারাপ লাগলো। আসলে যারা আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যায় তাদের হারিয়ে যাওয়া মেনে নিতে সত্যি খারাপ লাগে। তেমনি আমার প্রিয় বন্ধু মিশু আপুকে হারিয়ে ফেলে আমার খুবই খারাপ লেগেছে। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।