শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম||আমার বাংলা ব্লগ [10% shy-fox]

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার


আমি @monira999 বাংলাদেশ থেকে।আজ আমি "আমার বাংলা ব্লগ" সম্প্রদায়ে একটি ব্লগ তৈরি করতে যাচ্ছি। লেখালেখি করতে আমার ভালো লাগে। আর আমার লেখা পড়ে যারা সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করেন তাদের মন্তব্যে আমি আরও উৎসাহ পাই লেখার জন্য। আজ আমি আমার মনের অগোচরে লুকানো কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আমি যেই বিষয়বস্তুর উপর লিখব সেই বিষয়বস্তুর নাম হল "শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম"। আসলে এই বিষয়বস্তুর নিয়ে লিখার আমার একটাই উদ্দেশ্য যাতে আমাদের মাঝে মানবতা জাগ্রত হয়। আমরা যেন নিজেকে মানবিক গুণে সমৃদ্ধ করতে পারি। তাই আমি আমার লেখার মাঝে কিছু কথা তুলে ধরব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।


শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম:

old-g3f9151132_1920.jpg

Source


বৃদ্ধাশ্রম এই শব্দটি খুবই ছোট। হয়তো গুটি গুটি অক্ষরের মাঝে এই শব্দটি গড়ে উঠেছে। কিন্তু বৃদ্ধাশ্রম শব্দটি শুনলেই মন হাহা করে কেঁদে ওঠে। কারণ এই বৃদ্ধাশ্রমে সেইসব মানুষদেরই ঠাঁই হয় যারা এই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। যখন বৃদ্ধাশ্রমের কথা মনে হয় তখন এই এই সমাজের সেই নিচু মানসিকতার সন্তানদের প্রতি মন বিষিয়ে ওঠে। আসলে আমরা যদি নিজেদেরকে পরিবর্তন করতে পারতাম তাহলে হয়তো বৃদ্ধাশ্রম গড়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তাই পড়তো না। আমাদের সমাজের অবহেলিত বৃদ্ধ বাবা-মারা তাদের শেষ ঠিকানা হিসেবে খুঁজে নিয়েছেন বৃদ্ধাশ্রম। সেই বৃদ্ধাশ্রমের চার দেয়ালে মাঝে তাদের সব ভালোবাসা বন্দী হয়ে গেছে। যে সন্তানদেরকে লালন-পালন করার জন্য তারা নিজের জীবনের সবকিছু বিসর্জন দিয়েছেন সেই সন্তানরাই আজ তাদের বাবা-মাকে নিজের কাছে জায়গা দেয়নি। সত্যিই আমরা ধিক্কার জানাই আমাদের নিজেদের প্রতি। আমরা নিজেকে নিচু মানসিকতার মানুষ হিসেবে প্রমাণ করেছি। আমরা যদি আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন করতে না পারি তাহলে সময়ের ব্যবধানে আমাদেরকেউ সেই শেষ ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে। আজ হয়তো আমাদের আপন জনেরা সেই শেষ ঠিকানায় পৌঁছেছে কাল হয়তো আমাদের নিজেদেরকেই সেই ঠিকানায় পৌঁছাতে হবে। শুধুমাত্র সময়ের ব্যবধান। আমরা যা করব আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম তাই শিখবে। আমরা নিজেরা যদি মানবিক হতে না পারি আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে কি করে মানবিকতা শিখাবো।


old-g11e41176c_1920.jpg

Source


মাঝে মাঝে যখন পেপার-পত্রিকায় বা টিভিতে কোন সংবাদ দেখি তখন অনেক সময় চোখে পড়ে সেই বাবা-মায়ের হাহাকার। তাদের সন্তানদের কাছে আজ তারা লাঞ্ছিত। যে সন্তানকে বড় করতে তাদের শেষ সম্বলটুকু হাসিমুখে বিসর্জন দিয়েছেন সেই সন্তানরাই আজ তাদের শেষ ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়েছে। আসলে একজন সন্তানের সফলতার পেছনে রয়েছে তার সেই পিতা-মাতার হাজার হাজার রক্তেভেজা ঘাম। তার পিতা-মাতার ঘামের গন্ধে মিশে আছে সেই সন্তানের সাফল্য। হয়তো সেই ঘামের গন্ধের দাম আজ আমরা দিতে পারি না তাই আমরা তাদেরকে শেষ ঠিকানায় পাঠিয়ে দেই। সত্যিই আমরা বড় অদ্ভুত মানুষ। যেই মানুষগুলো সারাজীবন আমাদেরকে শুধু দিয়েই গেছেন সেই মানুষগুলোকে আমরা শুধু কষ্টই দিয়েছি। আমি হই বা অন্য কেউ আমারই মত কেউ একজন হয়তো তার বাবা মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠায় প্রতিনিয়ত। যদি এই সমাজে আমাদের মত সন্তানরা নিজের মানসিকতাকে পরিবর্তন করতো তাহলে হয়তো বৃদ্ধাশ্রম নামের কোন ঠিকানা গড়ে উঠত না। সমাজের সেই মানুষগুলো কতটা অসহায় তা শুধু কাছ থেকে উপলব্ধি করা যায়।


old-woman-gd5330373a_1920.jpg

Source


যখন কারো শেষ ঠিকানা হয় বৃদ্ধাশ্রম তখন সে চার দেয়ালের মাঝেই তার বাকি জীবনের স্বপ্ন বুনে। স্বপ্ন দেখে তার পরিবারের, স্বপ্ন দেখে তার প্রিয় মানুষগুলোর। যখন সেই দুচোখের স্বপ্ন ফুরিয়ে যায় তখন দুচোখ ঝাপসা হয়ে যায়। দুচোখের এই ঝাপসা স্বপ্নপূরণের নয় এই ঝাপসা হচ্ছে তাদের অফুরন্ত চোখের জলের। চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থেকে হাজারো স্বপ্ন দেখা অবুঝ মন যেন শিশু হয়ে যায়। হয়তো তারা মনে করে একদিন এই জীবন থেকে তারা মুক্তি পাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন সারাজীবন তাদের স্বপ্নই রয়ে যায়। আসলে সেই স্বপ্নগুলো কখনোই বাস্তবতায় রূপ নেয় না। কারণ যারা তাদের শেষ ঠিকানায় পাঠিয়েছে তারা সেই স্বপ্ন গুলোকে আগেই ভেঙে দিয়েছে। তবুও তারা জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগ পর্যন্ত স্বপ্ন দেখে একটি সুন্দর পরিবারের। স্বপ্ন দেখে যে পরিবার তার ছিল। পরিবারের মায়া তাকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। কিন্তু সেই পরিবার তাকে বেঁধে রাখেনি। এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি লজ্জাজনক। যেই মানুষগুলো আমাদের জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছে সেই মানুষগুলোকে আমরা একটু খানি ভালো থাকতে দিলাম না। তারা তো শুধু চেয়েছিল একটুখানি ভালো থাকতে। অবশেষে পেল তারা সেই শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।


old-g6cc8996c6_1920.jpg

Source


এই সমাজের অবহেলিত সেই মানুষগুলো আজ আর কষ্ট পায় না। কারন কষ্ট পেতে পেতে তাদের দু চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তাদের এই জীবনে কষ্টের কোন অনুভূতি নেই। সেই জীবনে স্বপ্ন দেখা সেতো মরীচিকার মত। বিদ্বাশ্রমের চার দেয়ালের মাঝে তাদের সেই মায়াজাল গুলো বন্দি হয়ে গেছে। যে মায়াজাল থেকে ছিন্ন হতে তারা পারেনা। কারণ তাদের প্রিয় মানুষগুলো তাদেরকে চার দেয়ালে পৃথিবী দান করেছে। একজন বাবা-মা তার সন্তানকে দান করে মুক্ত এই পৃথিবী। আর আমরা সন্তানেরা আমাদের সেই অভাগী বাবা-মাকে দান করলাম চার দেয়ালে বন্দি এক পৃথিবী। যেখানে শুধু রয়েছে ইট-পাথরের সেই মায়াজাল। জীবনের অনুভূতিগুলো যেখানে বারবার ভেঙে চুরে যায়। বৃদ্ধ বয়সে একজন মানুষ যাকে অবলম্বন করে বাঁচতে চায় সে হলো তার প্রিয় সন্তান। আর সেই সন্তানের কাছেই যখন সেই বৃদ্ধ মানুষ গুলো অবহেলার শিকার হয় তখন খুবই খারাপ লাগে। আমি ধিক্কার জানাই সেই মানুষগুলোকে যারা নিজেদের বাবা-মাকে শেষ ঠিকানায় পাঠিয়েছে। আমি ধিক্কার জানাই সেই মানুষরূপী অমানুষ গুলোকে যারা তাদের মানসিকতাকে এতটা নিচু করে দিয়েছে।


old-woman-g1aef60890_1920.jpg

Source


একটি সময় যে সন্তানেরা তাদের বাবা মায়ের স্নেহের আঁচলে লুকিয়ে থাকত আজ কেন সেই সন্তানের স্নেহের আঁচলে তাদের সেই বৃদ্ধ বাবা-মা লুকোতে পারে না। আজ আমরা কেন সেই মানুষগুলোকে আপন করে নিতে পারি না। যারা আমাদেরকে আগলে রেখে বড় করেছে তাদেরকে কেন আমরা আগলে রাখতে পারিনা। একজন বাবা মায়ের কাছে যেমন তার সন্তান শ্রেষ্ঠ সম্পদ তেমনি আমরা কেন আমাদের বাবা মাকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ বানাতে পারি না। এই পৃথিবীর প্রতিটি বাবা-মার কাছেই তার সন্তান হল শ্রেষ্ঠ সম্পদ। কিন্তু আমরা সন্তানেরা বাবা-মাকে নয় বাবা-মার সম্পত্তিকে শ্রেষ্ঠ সম্পদ মনে করি। ব্যাপারটি হাস্যকর হলেও এটাই বাস্তবতা। যখন বাস্তবতা নিয়ে চিন্তা করি তখন নিজের প্রতি নিজেই ধিক্কার জানাই। কারণ আমরা সেই সন্তান আমাদের মত সেই মানুষগুলোই আজ স্বার্থের লোভে নিজের প্রিয়জনকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। যে মানুষগুলো তাদের জীবনের সবটুকু সুখ বিসর্জন দিয়েছে সেই মানুষগুলোই আজ সন্তানের সুখের দিনে তাদের জীবনে একটুখানি ঠাঁই পায়নি। সত্যি সেই মানুষগুলো বড় বেশি অসহায়। তাদের শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম।


grass-gb938fb675_1920.jpg

Source


আমরা বারবার ভুলে যাই আমাদের কাছ থেকেই আমাদের পরের প্রজন্ম শিখছে। আমরা আজ যাদেরকে সবটুকু দিয়ে মানুষের মত মানুষ করে তোলার চেষ্টা করছি কাল তারাই আমাদেরকে হয়তো শেষ ঠিকানায় পাঠাবে। কারণ তারা আমাদের থেকেই শিখেছে। মানুষ যখন ভুল করে তখন হয়তো সেই ভুলগুলো উপলব্ধি করতে পারে না। কিন্তু যখন সেই একই ভুল অন্য কেউ করে এবং তা নিজের উপরে প্রতিফলিত হয় তখনই সেই ভুলের মর্ম বোঝে। আমাদের এই ক্ষুদ্র জীবনে আমরা কি পারি না সবাইকে নিয়ে ভালো থাকতে? সেই মানুষগুলো আমাদের কাছে শুধু একটু ভালোবাসা চায়। তাদের আর কোনো চাহিদা নেই। তারা শুধু চায় তাদের সাজানো এই পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকতে। জীবনের শেষ দিনগুলো তারা তাদের শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রমে কাটাতে চায় না। তারা তাদের স্বপ্নের ঠিকানা নিজের বাড়িতে কাটাতে চাই। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তারা তার পরিবারের মানুষগুলোকে দেখে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চায়। তাদের চাওয়া পাওয়া গুলো খুবই অল্প কিন্তু আমরা সেই অল্প চাওয়া পাওয়ারও মূল্য দিতে ভুলে গেছি। কারণ আমাদের মনুষত্ব আজ হারিয়ে গেছে।


শেষ ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে আমার মনের অব্যক্ত কিছু কথা আমি আমার লেখনীর মাঝে তুলে ধরেছি। আশা করছি আমার এই লেখাগুলো যারা পড়েছেন তাদের কাছে ভালো লেগেছে। আমাদের জীবনের প্রেক্ষাপট ও বাস্তব সমাজের চিত্র থেকে আমি আমার মনের অগোচরে লুকানো এই কথাগুলো ব্যক্ত করেছি।


❤️ধন্যবাদ সকলকে।❤️

Sort:  
 3 years ago 

আপু আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয়ে লিখেছেন আজ। তবে আমি এককভাবে শুধু সন্তানদেরকে দায়ী করি না।সন্তানদেরকে উপযুক্তভাবে মানুষ না করার ব্যর্থতার কারণেই আজ এই বৃদ্ধাশ্রম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি অনীহা। ধর্ম আমাদেরকে শেখায় নৈতিকতা, সদাচরণ, সেইসঙ্গে পিতা-মাতার প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষা না থাকার কারণেই আমি মনে করি বৃদ্ধাশ্রম শব্দটি আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 3 years ago 

পৃথিবীতে এমন কোন বাবা-মা নেই যারা সন্তানকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে চায়না। বাবা মা কখনো ব্যর্থ নয় ব্যর্থ আমরা সন্তানেরা। যারা আমরা সুশিক্ষা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছি। আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 3 years ago 

আপু শুধু তো চাইলেই হয় না। চাওয়াটাকে কাজে পরিণত করা ভিন্ন জিনিস।

 3 years ago 

হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বিদ্যাশ্রম নামটি গুটি গুটি কয়েকটি শব্দ দিয়ে লেখা অনেক ছোট্ট একটা শব্দ যার কষ্টের বিশালতা অনেক বড়। সত্যি পৃথিবীর কোন জিনিস দিয়ে পরিমাপ করা যাবে না। যে সন্তানের জন্য পৃথিবীর যত স্বাদ আহ্লাদ ছিল সব বিসর্জন দিয়ে সবকিছু ব্যয় করেছে সন্তানের পিচে। আর সেই সন্তানের লাঞ্ছিত করে তাদেরকে বৃদ্ধাশ্রম এর ঠিকানায় পৌঁছে দেন। আপনি অনেক সুন্দর করে বিদ্বাশ্রমের মানুষগুলোর কষ্ট গুলো তুলে ধরেছেন, মনুষ্যত্ব জাগ্রত করার জন্য। আসলে সত্যি কথা বলতে কি যাদের অন্তর কাল আছে যতই পানি ঢালান না কেন তাদের অন্তর পরিষ্কার করা যাবে না। একটা প্রবাদ আছে "কয়লা ধুলে, ময়লা যায় না" আর এটাও ঠিক বলেছেন পৃথিবীতে যতগুলো বাবা-মা লাঞ্ছিত হচ্ছে এবং বৃদ্ধাশ্রমে করে কেঁদে কেঁদে চোখের জল শুকিয়ে গেছে যাদের জীবন গড়া দুঃখ দিয়ে তাদের আবার দুঃখ কিসের'' যাই হোক আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছু শিখেছি এবং মানুষের ভিতরে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হোক এটাই কামনা করছি। আর আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 3 years ago 

ভাইয়া আমি আমার লেখার মাঝে সেসব হতভাগা বাবা-মায়ের কথা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার লেখা আপনি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এটা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 3 years ago 
আমাদের সমাজে এমন অনেক লোক এইরকম আছে যারা বৃদ্ধ বাবা মা কে পরিবারের বোঝা মনে করে। এটা চিন্তা করে না আমাদের সবাইকে এক সময় বৃদ্ধ হতে হবে। আমরা আজ যে ব্যবহার আমাদের বাবা মায়ের সাথে করবো কাল সেই কাজের ফিড ব্যাক অবশ্যই পাবো। আপনার লেখা পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
 3 years ago 

ভাইয়া আপনি একদম ঠিক বলেছেন আসলে অনেক মানুষই আছে যারা বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিজেদের পরিবারের বোঝা মনে করে। আপনি অনেক সুন্দর মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।

 3 years ago 

সত্যি কথা বলতে নামটি শুনলেই আমার গা জ্বলে ওঠে। একজন সন্তান কতটা জঘন্য হলে তার জন্মদাতা পিতা মাতাকে এভাবে অবহেলায় ঠেলে দিতে পারে তা বৃদ্ধাশ্রমে না গেলে বোঝা যাবে না। আপনি বৃদ্ধাশ্রম নিয়ে খুবই মর্মান্তিক এবং আবেগময় কিছু কথা লিখেছেন আপু। আমিও আপনার প্রতিটি কথার সাথে সহমত পোষণ করছি। পৃথিবীর সকল পিতা-মাতা ভাল থাক সৃষ্টিকর্তার কাছে দুই হাত তুলে সেই প্রার্থনা করি।

 3 years ago 

ভাইয়া আমার লেখাগুলো আপনি পড়েছেন এজন্য আমার অনেক ভালো লাগলো। আপনি সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা সকলেই প্রার্থনা করি পৃথিবীর সকল বাবা মা যেন ভালো থাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 56477.82
ETH 2390.38
USDT 1.00
SBD 2.33