প্রতিযোগিতা-পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালী সবজির ভর্তা||চিংড়ি দিয়ে কলার থোর ভর্তা|
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
আমি@monira999। আমি একজন বাংলাদেশী। আজকে আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এবারের প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তুটি সত্যিই দারুন ছিল। শীতকাল মানেই মজার মজার সব খাবারের আয়োজন। আর শীতকালে গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। শীতকালীন সবজি দিয়ে ভর্তা করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি অন্য যেকোনো কিছু ভর্তা করলেও খেতে ভালো লাগে। বিশেষ করে সকালবেলায় ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর সাথে যদি হয় ঝাল ঝাল ভর্তা তাহলে একেবারে জমে যায়। তাইতো আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য দুটি ভর্তার রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমার শেয়ার করা ভর্তার রেসিপি গুলো সবার ভালো লাগবে।
(Collage Maker)
পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালী শীতকালীন সবজির ভর্তা(প্রথম রেসিপি):
শীতের সকালে ঝাল ঝাল ভর্তা আর ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত হলে একেবারে জমে যায়। গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে। তাইতো আমি পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালী শীতকালীন সবজির ভর্তা করার চেষ্টা করেছি। শীতকালে বিভিন্ন রকমের সবজি পাওয়া যায়। আর এই সবজিগুলো একসাথে ভর্তা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে সাথে যদি হয় পোড়া ইলিশের দারুন ফ্লেভার তাহলে একেবারে জমে যায়। আর সবজিগুলো যখন একটু পুড়িয়ে এরপর ভর্তা করা হয় তখন ভর্তা টেস্ট আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এই ভর্তাটি খেতে দারুন হয়েছিল। ঝাল ঝাল ভর্তা হওয়ার কারণে খেতে আরো বেশি মজার হয়েছিল। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই রেসিপি তৈরি করেছি। আর মজার এই ভর্তা রেসিপি তৈরি করতে কি কি উপকরণের ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
ইলিশ মাছ | পরিমাণ মতো |
টমেটো | ১টি |
গাজর | ১টি |
শিম | ৫০ গ্রাম |
আলু | ৫০ গ্রাম |
বাঁধাকপি | পরিমাণ মতো |
বেগুন | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ | ১টি |
রসুন | ২টি |
কাঁচা মরিচ | পরিমাণ মতো |
শুকনা মরিচ | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | ৩ চামচ |
পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালী শীতকালীন সবজির ভর্তা তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
এই রেসিপি তৈরি করার জন্য প্রথমে আমি ইলিশ মাছ বেশ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এবার এর মধ্যে হালকা পরিমাণে হলুদের গুঁড়া দিয়েছি।
ধাপ-২
এবার সুন্দর ভাবে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে নিয়েছি। যাতে করে মাছ খেতে ভালো লাগে। এরপর চুলার উপর একটি স্ট্যান্ড বসিয়ে দিয়েছি। এবার এর উপর মাছের মাথা দিয়েছি। যাতে করে মাছের অংশটা ধীরে ধীরে সেদ্ধ হয়।
ধাপ-৩
এবার অন্য একটি চুলায় সবজিগুলো আর প্রয়োজনীয় উপকরণগুলো দিয়েছি আর পুড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আর সবজিগুলোর গায়ে হালকা করে সরিষার তেল মেখে নিয়েছি।
ধাপ-৪
এভাবে বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর মাছ অনেকটা সেদ্ধ হয়েছে। অন্যদিকে সবজিগুলোও সেদ্ধ হয়েছে।
ধাপ-৫
এবার সেদ্ধ মাছের অংশ থেকে সুন্দর করে ছাড়িয়ে নিয়েছি এবং কাঁটা ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার আরো কিছু প্রয়োজনীয় কাঁচামরিচ, রসুন, শুকনা মরিচ এবং পেঁয়াজ পুড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৬
এবার সবগুলো পানির মধ্যে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি। যাতে উপরের অংশের কালো চামড়া গুলো উঠে যায়। এরপর একটি পাটার উপর সবজিগুলো রেখেছি।
ধাপ-৭
এবার ধীরে ধীরে বেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে আমি রসুন, কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, লবণ সবকিছুই দিয়েছি।
ধাপ-৮
এভাবে কিছুক্ষণ বাটার পর ভর্তা সুন্দরভাবে পেস্ট হয়েছে। এবার বাটির মধ্যে তুলে নিয়েছি।
ধাপ-৯
কথায় আছে সরিষার তেল ছাড়া নাকি ভর্তা একেবারেই জমে না। এবার আমি সুন্দর করে একটি কড়াইয়ের মধ্যে সরিষার তেল দিয়েছি। এরপর মরিচ দিয়েছি। আর নাড়াচাড়া করে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-১০
মরিচ ভাজা হয়ে গেলে এবার আমি সুন্দরভাবে ভর্তা গুলো তেলের মধ্যে দিয়েছি।
ধাপ-১১
সুন্দরভাবে নাড়াচাড়া করে ভর্তাগুলো তেলের সাথে মিক্স করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে সরিষার তেলের ফ্লেভার আসে আর খেতে ভালো লাগে। আর এরই ফাকে আমি ইলিশ মাছের উপরের অংশের মাথাটা সুন্দর করে ভেজে নিয়েছি। যাতে করে ভাতের সাথে খেতে ভালো লাগে।
শেষ ধাপ
এবার ভর্তা যখন প্রায় হয়ে এসেছে তখন ধনিয়া পাতা মিক্স করেছি। যাতে করে ভর্তা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর সবকিছুই সাজিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি।
উপস্থাপনা:
পোড়া ইলিশের ফ্লেভার আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ইলিশ মাছের সাথে বেগুন ভর্তা খেয়েছিলাম অনেকবড় তবে এভাবে পাঁচমিশালী সবজির ভর্তা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। পোড়া ইলিশ দিয়ে পাঁচ মিশালি সবজির ভর্তা খেতে দারুণ লেগেছে। জানিনা আমার রেসিপি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। তবে যদি ভালো লাগে অবশ্যই একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন। আশা করছি আমার রেসিপি সবার ভালো লাগবে।
চিংড়ি মাছ দিয়ে কলার থোর ভর্তা রেসিপি(দ্বিতীয় রেসিপি):
চিংড়ি মাছ পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম আছে। চিংড়ি মাছ তো আমার ভীষণ প্রিয়। তাই তো আমি ভাবলাম চিংড়ি মাছ দিয়ে কলার থোর ভর্তা করে ফেলি। আমি জানিনা এই কলার থোর কার অঞ্চলে কি নামে পরিচিত। তবে আমাদের অঞ্চলে এই কলার থোরগুলো অবশ্য কলা গাছের মাঞ্জাল নামে পরিচিত। কলার মোচা কিংবা কলার থোর চিংড়ি মাছের সাথে খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে কলার থোর যেহেতু পেয়ে গিয়েছিলাম তাইতো আমি চিংড়ি মাছের সাথে ভর্তা করার চেষ্টা করেছি। ঝাল ঝাল কলার থোর ভর্তা খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। গরম ভাতের সাথে চিংড়ি মাছ আর কলার থোর ভর্তা একেবারে জমে গিয়েছিল। আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লাগবে। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে আমি এই রেসিপি তৈরি করেছি আর কি কি উপকরণ ব্যবহার করেছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
নাম | পরিমান |
---|---|
চিংড়ি মাছ | পরিমান মত |
থোর | ১৫০ গ্রাম |
ধনিয়া পাতা | পরিমান মত |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণ মতো |
পেঁয়াজ | ১টি |
রসুন | ১টি |
শুকনা মরিচ | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়া | ১/২ চামচ |
লবণ | পরিমাণ মতো |
সরিষার তেল | ১ চামচ |
চিংড়ি মাছ দিয়ে কলার থোর ভর্তা রেসিপি তৈরির ধাপসমূহ:
ধাপ-১
চিংড়ি মাছ দিয়ে কলার থোর ভর্তা করার জন্য প্রথমে আমি কলার থোর গুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এবার কুচি কুচি করে কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-২
কলার থোর গুলো কুচি কুচি করে কাটা হয়ে গেলে এবার কষ ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সেদ্ধ করে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। এজন্য প্রথমে পরিষ্কার পানির মধ্যে দিয়েছি। এরপর হলুদ দিয়েছি।
ধাপ-৩
কিছুক্ষণ সেদ্ধ করার পর কলার থোরের ভেতরে থাকা কষ বের হয়েছে। আর ভালোভাবে সিদ্ধ হয়েছে। এরপর ধুয়ে নেওয়ার জন্য পানি দিয়েছি।
ধাপ-৪
এবার থোর গুলো সুন্দরভাবে চিপে নিয়েছি। যাতে করে পানি গুলো বের হয়ে যায়।
ধাপ-৫
এবার এই থোর বেটে নেওয়ার জন্য পাটার উপর রেখেছি। আর সুন্দর করে বেটে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছি। এবার কলার থোর গুলো সুন্দর করে বেটে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। যাতে করে ভর্তা খেতে ভালো লাগে। এরপর হালকাভাবে তেলে ভেজে নিয়েছি।
ধাপ-৬
এবার চিংড়ি মাছ গুলো ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিয়েছি ভর্তায় দেওয়ার জন্য। এজন্য আমি চিংড়ি মাছগুলো তেলে ভেজে নিয়েছি। এর মধ্যে হলুদের গুঁড়া এবং লবণ দিয়েছি।
ধাপ-৭
চিংড়ি মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে এবার তেলের মধ্যে পরিমাণ অনুযায়ী পেঁয়াজ, রসুন এবং শুকনা মরিচ দিয়েছি। এরপর তেলের মধ্যে ভেজে নেওয়ার চেষ্টা করেছি।
ধাপ-৮
এবার ভর্তা করার জন্য এর মধ্যে চিংড়ি মাছ দিয়েছি। এরপর পেঁয়াজ, রসুন, শুকনা মরিচ, ধনিয়া পাতা, লবণ এবং সরিষার তেল দিয়েছি।
শেষ ধাপ
এবার ধীরে ধীরে সুন্দর ভাবে বেটে নিয়েছি। যাতে করে ভর্তা ভালোভাবে মিক্স হয় আর খেতে ভালো লাগে। এভাবেই আমি এই মজার ভর্তাটি তৈরি করেছি।
উপস্থাপনা:
চিংড়ি দিয়ে কলার থোর ভর্তা খেতে দারুণ হয়েছিল। ভর্তা তৈরি করা হয়ে গেলে সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য সুন্দর করে সাজিয়ে নিয়েছি। গরম ভাতের সাথে এই ভর্তা খেতে দারুন লেগেছিল। ঝাল ঝাল ভর্তা খেতে বেশ ভালো লাগে। তাই তো আমি চিংড়ি মাছের সাথে কলার থোরের ঝাল ভর্তা করেছিলাম। আর খেতেও কিন্তু চমৎকার ছিল। আশা করছি আমার এই রেসিপি সবার ভালো লাগবে।
আমি মনিরা মুন্নী। আমার স্টিমিট আইডি নাম @monira999 । আমি ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স কমপ্লিট করেছি। গল্প লিখতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মাঝে মাঝে পেইন্টিং করতে ভালো লাগে। অবসর সময়ে বাগান করতে অনেক ভালো লাগে। পাখি পালন করা আমার আরও একটি শখের কাজ। ২০২১ সালের জুলাই মাসে আমি স্টিমিট ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করি। আমার এই ব্লগিং ক্যারিয়ারে আমার সবচেয়ে বড় অর্জন হলো আমি "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির একজন সদস্য।
ইলিশ মাছ ও চিংড়ি মাছ দুটোই আমার বেশ পছন্দের। এই দুটি মাছের সাথে সবজি দিয়ে মজাদার রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। তবে কলার থোড়ের ভর্তা তৈরি করে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। আর আপনার ভর্তাগুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ইউনিক ও মজাদার রেসিপি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ইলিশ মাছ এবং চিংড়ি মাছ আপনার পছন্দের জেনে ভালো লাগলো আপু। আমি চেষ্টা করেছি আমারও দুটি পছন্দের রেসিপি সুন্দর করে উপস্থাপন করার। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
যেকোন ভর্তা তৈরির পূর্বে, ভর্তার উপকরণগুলোকে এভাবে একটু আগুনে পুড়িয়ে করলে বেশি টেস্টি হয়। গরম ভাতের সাথে ঝাল ঝাল এমন ভর্তা খেতে সত্যিই দারুন লাগে। আপনার শেয়ার করা এই দুটি রেসিপিই আমার কাছে একটু আলাদা রকমের লেগেছে । আপনার রেসিপি দুটির পরিবেশন টা মারাত্মক সুন্দর হয়েছে আপু। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ এবং অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া যে কোন ভর্তা করার সময় যদি একটু পোড়া পোড়া ফ্লেভার আসে তাহলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আমার রেসিপির পরিবেশন আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
পুড়িয়ে ভর্তা করলে স্মোকি একটা ঘ্রাণ পাওয়া যায় যা বেশ ভালো লাগে।
প্রথমে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে আপু। এত সুন্দর দুইটি রেসিপি নিয়ে আপনি প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করলেন। সত্যিই অনেক ভালো লাগলো এত কষ্ট করে আপনি দুটি রেসিপি তৈরি করলেন। দুটি রেসিপি দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে আশা করি খেতে ও তেমন সুস্বাদ ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আমার তৈরি করা রেসিপি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আপু একদম ঠিক বলেছেন শীতের সকালে ঝাল ঝাল ভর্তা আর এর সাথে ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমিও ভর্তা খেতে খুব পছন্দ করি। তবে আপনি যেভাবে ভর্তা তৈরি করেছেন এই ভর্তাগুলো কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা রেসিপি ও উপস্থাপনা দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার দুটো ভর্তা রেসিপি আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। ধন্যবাদ মজাদার ও ইউনিক ভর্তা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সত্যিই আপু সকালে গরম গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপু একদিন অবশ্যই এই ভর্তাগুলো বাসায় ট্রাই করে দেখবেন। আশা করছি ভালো লাগবে।
আপু আপনি তো দেখছি বেশ দারুন রেসিপি নিয়ে হাজির হলেন। আপনার রেসিপি উপস্থাপনা গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে। বিশেষ করে কলা গাছের থোড় দেখে আমি তো অবাক হলাম। আসলে এই রেসিপি আমার কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে নতুন একটা রেসিপি শিখতে পারলাম। তাছাড়া আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
আপু আপনি অবশ্যই একদিন এভাবে ভর্তা বানিয়ে খেয়ে দেখবেন। আশা করছি ভালো লাগবে। আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো আজকে বেশ ধামাকা একটি রেসিপি তৈরি করলেন। এরকম মজাদার সবজির রেসিপি দেখলে খেতেও বেশ মজা লাগে। আর আপনি প্রতিযোগিতায় এত সুন্দর ভাবে তৈরি করলেন সেটা দেখে আরো ভালো লাগলো। প্রতিযোগিতায় যারাই অংশগ্রহণ করেছেন তারাই বেশ সুন্দর জিনিস তৈরি করেছে। বিশেষ করে কলা গাছের থোড় দেখে অনেকটা ভালো লাগলো। কারণ আপনি একেবারে ভিন্ন রকম ভাবে রেসিপি তৈরি করার চেষ্টা করলেন। মজাদার এই রেসিপিটি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার রেসিপি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ভাইয়া। কলার থোর দিয়ে চিংড়ি মাছের ভর্তাটা খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
দুইটা রেসিপি অনেক লোভনীয় ছিল তবে আমার মনে হয় প্রথম রেসিপিতে ভিন্ন ধরনের টেস্ট উপভোগ করা যাবে। কেননা সবকিছু আগুনে পুড়িয়ে তারপরে ভর্তা করেছেন। আগে জানলে আপনার বাসায় দাওয়াত নিয়ে রাখতাম বুবুজান।
আমার তৈরি করা রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই ভালো লাগলো। আগুনে পুড়িয়ে ভর্তা করলে খেতে অনেক ভালো লাগে। আরেকদিন ভর্তা করলে অবশ্যই দাওয়াত করবো ভাইজান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য প্রথম আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানাই। পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালী সবজির ভর্তা বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। চিংড়ি দিয়ে কলার ফুল ভর্তা দেখে খুব ভালো লাগলো। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এতো চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আমি চেষ্টা করেছি প্রতিযোগিতায় অংশের জন্য আমার পছন্দের রেসিপি শেয়ার করার। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা। বেশ ইউনিক দুটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন । আপনার ভর্তার মধ্যে কিছুটা পোড়া পোড়া গন্ধ হওয়ার কারনে খেতে মনে হচ্ছে কিছু অন্য রকম স্বাদে হবে। ধন্যবাদ সুন্দর দুটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সত্যি আপু পোড়া পোড়া গন্ধ হবার কারণে খেতে অন্য রকমের লেগেছে। খেতে বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাত আর সেই সাথে যদি থাকে ঝাল ঝাল ভর্তা রেসিপি তাহলে খাওয়াটা বেশ জমে উঠে। আর আপনি যেভাবে পোড়া ইলিশের স্বাদে পাঁচমিশালি সবজির ভর্তা, এবং চিংড়ি দিয়ে কলার থোর ভর্তা রেসিপি ডেকোরেশন করেছেন তা দেখেতো এখনই খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ স্বাদ হয়েছিল। আপু এই প্রতিযোগিতায় আপনার অংশগ্রহণ সফল হোক এই প্রত্যাশা করছি।
ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সাথে ভর্তা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। পাঁচমিশালী সবজির সাথে ইলিশ মাছের ভর্তা আর চিংড়ি মাছের ভর্তা খেতে সত্যিই ভালো লেগেছিল।