ভ্রমণ পোস্ট || আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন,আমরা বিভিন্ন ধরনের জীবজন্তুর নমুনার প্রদর্শনী দেখছিলাম। এরপর আমরা বিভিন্ন ধরনের পাখির নমুনার প্রদর্শনী দেখলাম। এতো ধরনের পাখি বাস্তবেও আমি দেখিনি। আর একটু সামনে যেতেই লক্ষ্য করলাম রাজা রাণীর পোশাক এবং অলংকার সমূহ। দেখে তো ইচ্ছে করছিলো রাজার পোশাক পরিধান করে কয়েকটি ফটোগ্রাফি করি। কিন্তু সেটা তো সম্ভব নয়। যাইহোক আরও বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনীর নমুনা দেখে আমরা জাদুঘরের বিল্ডিং থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর টোকেন জমা দিয়ে আমার ওয়াইফ এর ভ্যানিটি ব্যাগ নিলাম। তারপর রিকশা নিয়ে চলে গেলাম কাঁটাবন।
কারণ আমার ওয়াইফ বলেছিলো একটি ময়না পাখি কিনবে। কারণ তার নাকি ময়না পাখি পোষার শখ অনেক আগে থেকেই। ময়না পাখি আমারও খুব ভালো লাগে। কারণ ময়না পাখি স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারে। যাইহোক রিকশা থেকে কাঁটাবন নামলাম পাখির দোকানগুলোর সামনে। তারপর প্রথমে একটি দোকানে ঢুকে জিজ্ঞেস করলাম ময়না পাখি আছে নাকি। দোকানদার বললো ময়না এবং টিয়া পাখি কাঁটাবনে বিক্রি করা হয় না। প্রায় ৮/১০ বছর আগে থেকেই নাকি ময়না এবং টিয়া পাখি বিক্রি করা নিষেধ করা হয়েছে সরকারিভাবে। এটা শুনে তো আমার ওয়াইফ এর মন খারাপ হয়ে গেল। তবুও আমি সেই দোকানদারের কথা বিশ্বাস না করে,আরো কয়েকটি দোকানে যাচাই করলাম। অন্যান্য দোকানদারেরা একই কথা বললো।
তারা বললো ঢাকার বাইরে থেকে ময়না এবং টিয়া পাখির ব্যবস্থা করতে হবে। আমি ভাবলাম তাহলে অন্য কোথাও থেকে ময়না পাখির ব্যবস্থা করবো তাহলে। এর মধ্যে একজন দোকানদার বললো একটি কথা বলা ময়না পাখি এনে দেওয়া যাবে। তবে দাম নিবে ২৮০০০ টাকা। এটা শুনে আমার ওয়াইফ আমাকে বললো এতো টাকা দিয়ে ময়না পাখি কিনবে না। তারপর আমি বললাম তাহলে ঢাকার বাইরে থেকে ম্যানেজ করে দিব। তারপর সে বললো তাহলে অন্য কোনো পাখি কিনবে আপাতত। কয়েকটি দোকান ঘুরার পর সে বাজরিগার পাখি পছন্দ করলো।
তারপর বাজরিগার পাখির ব্যাপারে অনেক কিছু জানলাম দোকানদারের কাছ থেকে। একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে বাজরিগার পাখি কিনলাম পোষার জন্য। যাতে করে বংশ বিস্তার করা যায়। তারপর সুন্দর একটি খাঁচা কিনলাম এবং খাবার ও ক্যালসিয়াম কিনলাম। তারপর রিকশা নিয়ে চলে গেলাম গুলিস্তান। রাজধানী হোটেলে ঢুকে আমার জন্য অর্ডার দিলাম মাটন বিরিয়ানি এবং আমার ওয়াইফ এর জন্য চিকেন বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম। তারপর কোল্ড ড্রিংকস এবং দধি অর্ডার করলাম। খাবারের মান বেশ ভালোই ছিলো। খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিল দিয়ে হোটেল থেকে বের হয়ে গেলাম। তারপর দোয়েল বাসে উঠে ৩০ মিনিটের মধ্যেই বাসায় পৌঁছে গেলাম।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ২৪.৫.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
ভাইয়া আপনি আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ করে প্রতিটা পর্ব খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার ভ্রমণের শেষ পর্ব দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনারা ঘোরাঘুরি করে অবশেষে কাঁটাবন চলে গেলেন পাখি কিনতে। কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলেন ময়না এবং টিয়া পাখি অনেক বছর আগে এখানে এই দুই পাখি বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছে। তবে তারা ঢাকার বাহির থেকে এনে দিতে পারবে কিন্তু এর দাম শুনে তো একদম অবাক হয়ে গেলাম। যাই হোক অবশেষে আপনারা বাজিগর পাখি কিনে নিয়ে আসলেন। এরপর খাওয়া-দাওয়া করে বাসায় চলে গেলেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু,পাখির দাম শুনে অবাক হওয়ার ই কথা। যাইহোক সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘরের ভ্রমণের শেষ পর্ব দেখে। আপনি অনেক জায়গায় ঘুরতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এরকম আরো সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করুন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল
আপনাদের সাপোর্ট এবং দোয়া থাকলে অবশ্যই আরো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। প্রশংসনীয় মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাই আপনি তো ভাবিকে নিয়ে বেশ ঘোরাফেরা করলেন আহসান মঞ্জিল এবং বাংলাদেশ জাতীয় মিউজিয়ামে থেকে অনেক ভালো লাগলো। সেখানে গেলে অনেক সুন্দর সুন্দর প্রদর্শনী দেখতে পাওয়া যায় আপনি ঠিক বলছেন রাজাদের পোশাক গুলো অনেক সুন্দর ছিল। এছাড়া আপনি খুব সুন্দর পাখি কিনলেন এক জোড়া এবং তাদের জন্য খাবার ও কিনলেন। শেষ মুহূর্তের খাবার গুলো অসাধারণ ছিল দেখেই বুঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু আমরা বেশ ভালোই ঘোরাফেরা করেছিলাম। তারপর পাখি কিনে,খাওয়া দাওয়া করে বাসায় ফিরেছিলাম। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনি অনেকদিন থেকে আমাদের মাঝে আহসান মঞ্জিল ভ্রমণ বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করে আসছেন আজ লাস্ট পর্ব আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আমি যেইগুলা পোস্ট আপনার এই বিষয়ে দেখেছি সেই থেকে অনেক ধারণা অর্জন করতে পেরেছি। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করতেন খুবই ভালো লাগতো আমার।
আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। আশা করি সামনেও এভাবেই সাপোর্ট করে যাবেন সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।