ভ্রমণ পোস্ট || আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ (তৃতীয় পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আগের পর্বে আপনারা পড়েছিলেন, আমরা আহসান মঞ্জিল থেকে বের হয়ে জাতীয় জাদুঘরে গিয়ে,প্রবেশ টিকেট কিনে ভিতরে ঢুকলাম। ভিতরে ঢুকে প্রথমে আমার ওয়াইফ এর ভ্যানিটি ব্যাগ জমা দিয়ে টোকেন সংগ্রহ করলাম। কারণ ব্যাগ নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করা নিষেধ। এরপর আমি কয়েকটি ফটোগ্রাফি করলাম। তারপর জাদুঘরের বিল্ডিংয়ের নিচতলায় আমরা কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। তারপর সোজা চলে গেলাম দোতলায়। সামনের দিকে গিয়ে প্রথমেই চোখে পড়লো সুন্দরবনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের নমুনা।
বিভিন্ন ধরনের গাছগাছালি এবং পশুপাখির নমুনার ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। প্রতিটি কাজ এতো নিখুঁতভাবে করা হয়েছে ,যা সামনাসামনি না দেখলে বিশ্বাস হবে না। তারপর অতীতে মানুষজন কিভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতো সেই প্রদর্শনী গুলো দেখলাম। এর মধ্যে বাংলার ঐতিহ্যগত অনেক জিনিস রয়েছে। এতো সুন্দর কাজ এবং পেইন্টিং করা হয়েছে, দেখে মনে হয় একেবারে বাস্তব। কয়েকটি ফটোগ্রাফি ইতিমধ্যে আমি ফটোগ্রাফি পোস্টে আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাইহোক একটু সামনে যেতেই বিভিন্ন ধরনের পাখির নমুনার প্রদর্শনী দেখতে পেলাম। আমার তো দেখে সবগুলো পাখির ফটোগ্রাফি করতে ইচ্ছে করছিলো।
তবে প্রায় প্রতি রুমে সিকিউরিটি গার্ড থাকার কারণে ফটোগ্রাফি করতে পারিনি ভালো করে। তবুও যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি ফটোগ্রাফি করে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। শুনেছি আগে নাকি জাদুঘরে মোবাইল বা ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে দিত না। তবে এখন তো অনলাইনে বেশিরভাগ প্রদর্শনীর ফটোগ্রাফি রয়েছে। তাহলে শুধু শুধু গার্ড দিয়ে কি লাভ কে জানে। আর মানুষ তো এইসব জায়গায় ঘুরতে যায় বিশেষ করে ফটোগ্রাফি করতে এবং ব্লগ তৈরি করার জন্য। আবার অনেকে যায় ক্যামেরাবন্দী করে স্মৃতি হিসেবে রেখে দিতে এবং পরিবার,বন্ধু বান্ধব বা আত্নীয় স্বজনের সাথে শেয়ার করতে। যেহেতু ঈদের সময় ছিলো তখন, সেজন্য মানুষের ভিড় ছিলো লক্ষনীয়।
যাইহোক অল্প একটু সামনে যেতেই লক্ষ্য করলাম বিশাল বড় অজগর সাপের চামড়া। সম্পূর্ণ চিত্রটি ফটোগ্রাফিতে ক্যাপচার করতে পারিনি। কারণ ঐসময় একজন সিকিউরিটি গার্ড ছবি তুলতে নিষেধ করেছিলো। এরপর কয়েকটি সাপের নমুনার ফটোগ্রাফি করলাম। এভাবে হাটঁতে হাঁটতে আরো বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী দেখতে লাগলাম। হাঁটতে হাঁটতে পা ব্যাথা হয়ে গিয়েছিলো। তবুও এতো কিছুর প্রদর্শনী দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিলো। আমরা ঘুরতে ঘুরতে আরো বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী দেখেছিলাম। সেগুলো আপনাদের সাথে পরবর্তী পর্বে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
"চলবে"
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৭.৫.২০২৩ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
Twitter Link
ব্যাগ নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা নিষেধ তাইতো ভাবির ব্যাগ জমা দিয়ে রেখে যেতে হয়েছে। তবে এসব জায়গাগুলোতে নিয়ম কানুন খুবই কড়া। অনেক সময় ফোন দিয়ে ফটোগ্রাফি করতে দেয় না। আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণ করেছেন জেনে ভালো লাগলো ভাইয়া।
হ্যাঁ আপু এসব জায়গাগুলোতে নিয়ম কানুন আসলেই কড়া। তবে আগে নাকি আরো বেশি কড়া ছিলো। যাইহোক সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর ভ্রমণের খুব সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন। আমি জাদুঘর ঘুরেছি তবে এখনো আহসান মঞ্জিল যাওয়া হয়নি। আমি গিয়েছি ২০১৭ সালে তখন টিকেট ছিল ১০ টাকা। জাদুঘরে প্রবেশ থেকে শুরু করে ভিতরে পর্যন্ত কড়া সিকিউরিটি রয়েছে। আপনি তাও কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন আমরা তখন কিছুই তুলতে পারিনি। ধন্যবাদ সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।আহসান মঞ্জিলে ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
কয়েকবার নিষেধ করেছিলো ফটোগ্রাফি করতে। আমি তবুও লুকিয়ে লুকিয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ ভালই তো ভাবিকে নিয়ে দেখি বেশ ভালো ভ্রমণ করে বেড়াচ্ছেন। একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে এসব জায়গায় ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এদের নিয়ম গুলো বেশ কঠিন। যাক সুন্দরভাবে ঘুরে বেরিয়েছেন এটা সবচেয়ে বড় কথা।
হ্যাঁ আপু আমাদের সবার উচিত প্রিয়জনকে নিয়ে মাঝে মধ্যে একটু ঘুরাঘুরি করা। তাহলে মাইন্ড রিফ্রেশ হয়। যাইহোক সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে সাপোর্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আহসান মঞ্জিল এবং জাতীয় জাদুঘর বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দুটি জায়গা। অনেক মানুষ ঘুরতে এসব জায়গায় যায়। আমিও কয়েকবার গিয়েছি। তবে অনেক আগে যাওয়ায় সব মনে নেই। আপনার পোস্ট পড়ে পুরনো কিছু স্মৃতি মনে পড়ে গেল। জাদুঘরের ভিতরের ছবিগুলো সুন্দর লাগছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এর আগে আমি অসংখ্য বার জাতীয় জাদুঘরের সামনে দিয়ে আসা যাওয়া করেছি। তবে কখনো প্রবেশ করা হয়নি। আর ইসলামপুরে কয়েকবার গিয়েছি,তবে আহসান মঞ্জিলে প্রবেশ করা হয়নি। হ্যাঁ ভাইয়া অনেক মানুষ ঘুরতে যায় এই জায়গা গুলোতে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।