ডালের বড়ি দিয়ে শিং এবং মাগুর মাছ রান্নার রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। গতকালকে আমার আম্মু ডালের বড়ি দিয়ে শিং এবং মাগুর মাছ রান্না করেছেন,আর আমি পাশে থেকে ফটোগ্রাফিগুলো করেছি। ডালের বড়ি আমাদের এলাকায় মাসের বড়ি নামে পরিচিত। ২/৩ দিন আগে আমি দেশী শিং এবং মাগুর মাছ ১.৫ কেজি কিনেছিলাম ১০৫০ টাকা দিয়ে। তারপর ডালের বড়ি ২০০ গ্রাম ৬০ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। ডালের বড়ি দিয়ে শিং এবং মাগুর মাছ রান্না আমার ভীষণ পছন্দ। কয়েক বছর আগে আমি আম্মুর হাতের এই রান্নাটি খেয়েছিলাম। শীতকালে শিং এবং মাগুর মাছ খাওয়ার মজাই আলাদা,আর সাথে যদি ডালের বড়ি হয় তাহলে তো আর কোন কথাই নেই। গতকালকে লাঞ্চের সময় এই রেসিপিটা খেয়ে, আমার কাছে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। তো যাইহোক রেসিপিটা আমি ধাপে ধাপে আপনাদের কাছে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আশা করি আপনাদের খুব ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
- শিং এবং মাগুর মাছ ৪টা
- ডালের বড়ি ২০০ গ্রাম
- পেঁয়াজ ৩টা
- কাঁচামরিচ ৬টা
- ধনিয়া পাতা পরিমাণ মতো
- ধনিয়ার গুড়ো পরিমাণ মতো
- হলুদের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- মরিচের গুঁড়ো পরিমাণ মতো
- আদা বাটা পরিমাণ মতো
- রসুন বাটা পরিমাণ মতো
- লবণ পরিমাণ মতো
- তেল পরিমাণ মতো
প্রথমে ডালের বড়িগুলো সয়াবিন তেল দিয়ে ভেজে নিল।
এরপর শিং এবং মাগুর মাছ সয়াবিন তেল দিয়ে ভেজে নিল।
প্রথমে চুলার উপরে একটি কড়াই বসিয়ে দিল। একটু পর কড়াই গরম হলে, পরিমাণ মতো সয়াবিন তেল ঢেলে দিল। তেল একটু গরম হওয়ার পর,পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দিল। পেঁয়াজ হালকা বাদামী কালার হওয়ার পর পরিমাণ মতো হলুদ-মরিচের গুঁড়ো, ধনিয়ার গুঁড়ো,লবন এবং আদা-রসুন বাটা দিয়ে দিল।
তারপর মসলাগুলো একসাথে কিছুক্ষণ কষিয়ে,আগে থেকে ভেজে রাখা ডালের বড়ি, শিং ও মাগুর মাছ দিয়ে দিল। এরপর কাঁচামরিচ দিয়ে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিল এবং ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিল।
৭/৮ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখলো ঝোল অনেকটা শুকিয়ে গেছে এবং তারপর স্টিলের বাটিতে ঢেলে উপরে পরিমাণ মতো ধনিয়া পাতা দিয়ে দিল। ব্যাস রান্না সম্পন্ন হয়ে গেল।
তারপর লাঞ্চের সময় অন্য একটি বাটিতে ঢেলে আমাদের সামনে পরিবেশন করল।
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাল্লাহ দেখা হবে অন্য কোন পোস্টে।সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
ক্যাটাগরি | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ৩০.১২.২০২২ |
আপনাদের এলাকার ডালের বড়ি কে মাসের বড়ি কেন বলে তাইতো বুঝলাম না।এটাকি বারো মাস পাওয়া যায় বলে? ডালের বরি দিয়ে আমি অবশ্য কোন তরকারি খাইনি। ডালের বড়ি তেমন একটা খাওয়া হয় না। তবে শিং ও মাগুর দুটি মাছই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে ডালের বড়ি দিয়ে মাছগুলো রান্না করেছেন আর আম্মুর হাতের রান্নার তুলনাই হয় না। অন্য কারো সাথে এর তুলনা করলে ভুল হবে। মায়ের হাতের রান্নার স্বাদ যেন আর কারো রান্নায় পাওয়া যায় না। ভালো লাগলো আপনার রেসিপিটি।
মাষকলাই ডাল দিয়ে এই বড়ি তৈরি করা হয়, সেজন্য আমাদের এলাকায় মাষের বড়ি নামে পরিচিত। ঠিকই বলেছেন আপু আম্মুর হাতের রান্নার কোন তুলনা হয় না। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ডালের বড়ি এটা প্রথম দেখলাম। ডালের বড়ি দিয়ে শিং মাছ মজা হয়েছে নিশ্চয়। আপনার আম্মু মজা করেই রান্না করেছে।
ওহ্ আচ্ছা, ডালের বড়ি তাহলে এই প্রথম দেখলেন ভাইয়া। একদিন এভাবে খেয়ে দেখবেন, আশা করি খুব ভালো লাগবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
অনেকদিন আগে আপনি আপনার আম্মুর হাতে এ ধরণের রেসিপি খেয়েছিলেন কিন্তু গতকাল লাঞ্চ এ ধরনের রেসিপি আপনার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে এটা জেনে খুবই খুশি হলাম। আসলেই ডালের বড়ি দিয়ে যে কোন ধরনের মাছ রান্না করলেই খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে। আর এই শীতের সময়ে প্রায় সকল জায়গায়ই ডালের বড়ি পাওয়া যায় এগুলো সত্যিই অনেক বেশি সুস্বাদু হয়ে থাকে অন্যান্য সিজনের তুলনায়।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া,শীতকালে প্রায় সব জায়গাতেই ডালের বড়ি পাওয়া যায়। গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ডালের বড়ি, কুমড়ি বড়ি দেখেছি। কিন্তু আমরা কখনোই এভাবে তৈরি করিনি বা এটি খাইনি। শিং মাছ দিয়ে আপনার আম্মু খুব দারুণ করে এটি রান্না করেছেন। আর এটি আমার কাছে খুব বেশি সুস্বাদু মনে হচ্ছে। কারণ যেহেতু বড়ি আগেই প্রসেসিং করা আছে, আর রান্না করার পরে এর স্বাদ অনেক বেড়ে যাবে। যাইহোক রান্নাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু রান্না খুব সুস্বাদু হয়েছে, বড়ি ভেজে নিয়েছিল তাই স্বাদ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। এভাবে রান্না করে একদিন খেয়ে দেখবেন, আশা করি খুব ভালো লাগবে। প্রশংসনীয় মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ডালের বড়ি দিয়ে খুব সুন্দর করে সিং মাছ ও মাগুর মাছের রেসিপি করেছেন। তবে আমি কখনো ডালের বড়ি দিয়ে শিং মাছ এবং মাগুর মাছ রান্না করে খাইনি। তবে আপনার আম্মু খুব চমৎকার একটি রেসিপি করেছেন। আপনি দাঁড়িয়ে রেসিপিটি ফটোগ্রাফি করেছেন। তবে ২-৩ দিন আগে খুব মজার মাছ আপনি বাজার থেকে এনেছেন। তবে আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন দেশী শিং এবং মাগুর মাছের মজাই আলাদা। রেসিপিটা বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন আপু। আপনার মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।