ভ্রমণ পোস্ট || ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্ক ভ্রমণ (শেষ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত পর্বে আপনারা পড়েছিলেন আমি এবং আমার ওয়াইফ রমনা পার্কের কাঠের ব্রিজে হাঁটাহাঁটি করছিলাম। আসলেই লেকের পাড়ে হাঁটাহাঁটি করার মজাই আলাদা। যাইহোক আমরা সেই ব্রিজে আরও কিছুক্ষণ থাকার পর,অপর সাইডে যে আরেকটা কাঠের ব্রিজ রয়েছে, সেই ব্রিজের এক মাথা থেকে অপর মাথা পর্যন্ত হাঁটলাম কিছুক্ষণ। তারপর ব্রিজ থেকে নেমে রমনা পার্কের ভিতরে হাঁটাহাঁটি করতে লাগলাম। সেদিন মানুষের আনাগোনা ছিলো অনেক। এমনিতেই রমনা পার্কে প্রায় সবসময়ই অনেকে হাঁটাহাঁটি করে। তাছাড়া এই শীতকালে এমন জায়গায় সময় কাটাতে আসলেই দারুণ লাগে।
আশপাশে প্রচুর ফুল গাছ ছিলো। ফুলের বাগান দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল। রং বেরঙের বিভিন্ন ধরনের ফুল ছিলো সেখানে। এরপর আমরা অল্প একটু সামনে গিয়ে একটি বেঞ্চে বসলাম। লক্ষ্য করলাম অনেক গুলো কাঠবিড়ালি ছোটাছুটি করছে এদিক সেদিক। দেখতে সত্যিই ভীষণ সুন্দর লাগছিল। আমি কাঠবিড়ালির ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করলাম একেবারে সামনে থেকে। তারপর আমরা রমনা পার্কের সেই অংশ থেকে বের হয়ে, রাস্তা পার হয়ে রমনা পার্কের স্বাধীনতা জাদুঘরের পাশে থাকা লেকের সামনে চলে গেলাম। সেই লেকের পাড়ে অসংখ্য মানুষ বসেছিল তখন। আমরাও কিছুক্ষণ বসে আশেপাশের পরিবেশ উপভোগ করার চেষ্টা করলাম। তখন লেকে কোনো মাছ ছিলো না।
কিন্তু ২/১ বছর আগে এই লেকে ছোট ছোট অনেক মাছ ছিলো এবং পরিষ্কার পানি হওয়ার কারণে মাছগুলো স্পষ্ট দেখা যেতো। মাছগুলো দেখতে সত্যিই খুব সুন্দর লাগতো। যাইহোক আমরা তারপর শ্রী শ্রী রমনা কালী মন্দিরের দিকে হাঁটা শুরু করলাম। যেতে যেতে দেখলাম অনেক ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। যাইহোক এরপর আমরা মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করলাম। আসলে আগে কখনো এই মন্দিরে প্রবেশ করা হয়নি আমার। এমনিতে বাহিরে থেকে দেখেছিলাম মন্দিরটা। যাইহোক মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করার পর, দেখতে পেলাম বড় একটি বিল। বিলের মধ্যে অসংখ্য শাপলা এবং পদ্মফুল রয়েছে। তাছাড়া একটি মূর্তিও রয়েছে। যাইহোক ঘাটে দাঁড়িয়ে বিলের সৌন্দর্য উপভোগ করলাম এবং ফটোগ্রাফি করে নিলাম।
তারপর আরও ভিতরের দিকে যাওয়ার পর, পূজা দেওয়ার ছোট ছোট মন্দির দেখতে পেলাম এবং ভিতরে অনেক গুলো মূর্তি দেখলাম। তাছাড়া দেখলাম মাটি দিয়ে মূর্তি তৈরি করছে। এই প্রথম আমি মূর্তি তৈরি করা দেখলাম সামনাসামনি। মূর্তিগুলো তৈরি করে শুকানোর জন্য রোদে রেখে দিয়েছে। একসাথে এতো গুলো মূর্তি তৈরি করা হচ্ছিল, যা দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছিল। আমি অনেক গুলো ফটোগ্রাফি করেছিলাম আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। যাইহোক আমরা আরও কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে, রমনা পার্ক থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম। সবমিলিয়ে আমরা বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি। এরপর আমরা কেনাকাটা করার জন্য এলিফ্যান্ট রোডের দিকে চলে গিয়েছিলাম রিকশা নিয়ে।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১.২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
X-promotion
আসলে ভাইয়া প্রিয়জনের সাথে আমরা যেখানে ঘুরতে যাই না কেন অনেক ভালো লাগা।আর যদি প্রিয় কোন জায়গা হয় তাহলে তো কথাই নেই। আপনি আপনার ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্কে বেশ ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর কাটানো মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমরা সেখানে বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছি এবং দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছি। যাইহোক পোস্টটি পড়ে যথাযথ মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
প্রিয়জনকে মাঝেমধ্যে একটু বাইরের পরিবেশে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের উচিত। এতে দুজনার মনের মধ্যে আরো গভীর ভালোবাসা জন্মায়। খুবই ভালো লাগলো কিন্তু আপনার সুন্দর এই ব্লগ দেখে। পাশাপাশি রমনার সুন্দর দৃশ্য দেখার সুযোগ হলো।
হ্যাঁ ভাই আমরা সুযোগ পেলেই ঘুরতে বের হয়ে যাই। আমাদের সবার উচিত মানসিক প্রশান্তির জন্য মাঝেমধ্যে ঘুরাঘুরি করা। যাইহোক পোস্টটি পড়ে এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমি কখনো রমনা পার্কে প্রবেশ করিনি তবে এর নাম অনেক বার শুনেছি। আপনি আপনার ওয়াইফকে নিয়ে রমনা পার্ক ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। রমনা পার্কে আপনি আপনার ওয়াইফ সহ খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন। আপনি রমনা পার্কের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন, দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাই আমরা চমৎকার সময় কাটিয়েছি সেখানে। কখনো সময় সুযোগ হলে অবশ্যই রমনা পার্কে ঘুরতে আসবেন। যাইহোক পোস্টটি পড়ে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।