ভ্রমণ পোস্ট || রাঙ্গামাটি এবং পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ভ্রমণ (একাদশ পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে একটি ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করবো। গত সপ্তাহে এই ট্যুরের দশম পর্ব আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম এবং আজকে একাদশ পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি। যাইহোক আমরা সন্ধ্যার অল্প কিছুক্ষণ আগে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে গিয়েছিলাম। তবে পতেঙ্গার রাস্তায় সেদিন প্রচন্ড জ্যাম ছিলো। তাই গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ৭/৮ মিনিট হেঁটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। তো বেশ কিছুক্ষণ পর ড্রাইভার আমাকে ফোন দিয়ে বললো,গাড়ি কোথায় পার্কিং করেছে। আসলে আমাদের প্ল্যান ছিলো রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে থেকে,তারপর বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিবো। যাইহোক আমরা প্রথমে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সামনে চলে গেলাম।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের সামনে গিয়ে মনটা একেবারে ফ্রেশ হয়ে গেলো। কারণ সমুদ্র সৈকত বরাবরই আমার খুব পছন্দ। তাছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্রে প্রচুর জাহাজ ছিলো। জাহাজ গুলো বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের মালামাল নিয়ে এসেছে এবং সেগুলো খালাস করার পর,আবার মালামাল নিয়ে অন্য দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দিবে। এককথায় বলতে গেলে,পতেঙ্গা সমুদ্রে নাকি প্রায় সবসময়ই অনেক অনেক জাহাজ দেখা যায়। তাছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের পাশেই বসার জন্য খুব সুন্দর ব্যবস্থা ছিলো। সবাই বসে খাবার অর্ডার করছিলো এবং সমুদ্রের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি, মজার মজার খাবার খাচ্ছিলো। আমরাও ভাবলাম সেখানে বসে সামুদ্রিক মাছ ফ্রাই করে খাবো। যদিও মানুষের আনাগোনা ছিলো প্রচুর। তাই খালি সিট পাচ্ছিলাম না।
বেশ কিছুক্ষণ খুঁজে কয়েকটি খালি সিট পেলাম। খালি সিটে কয়েকজনকে বসিয়ে, আমরা সামুদ্রিক মাছ দেখতে লাগলাম। আমরা কোরাল মাছ,টুনা মাছ,রুপচাঁদা মাছ সহ আরও কিছু মাছ দেখতে লাগলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে,কোনো তাজা মাছ আমরা পাচ্ছিলাম না খুঁজে। অর্থাৎ কক্সবাজারে গিয়ে যেমন তাজা মাছ খাওয়া যায়, সেখানে তেমনটা পেলাম না। আর কিছু কিছু মাছে তো আগে থেকেই মসলা মাখিয়ে রেখেছে। শুধুমাত্র বললেই ফ্রাই করে দিবে। কিন্তু সেই মাছগুলো দেখে বুঝার কোনো উপায় নেই, সেগুলো তাজা মাছ কিনা। কারণ মসলা মেখে রাখার কারণে বুঝা যাচ্ছিলো না। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেখান থেকে মাছের ফ্রাই খাবো না। তাই আমরা আরও সামনের দিকে আগাতে লাগলাম। সামনের দিকেও দেখলাম যে প্রচুর ভিড়।
তাই আমরা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নিলাম আগে ঘুরাঘুরি করে এবং কেনাকাটা করে, যাওয়ার আগে যদি ফ্রেশ মাছ পাই,তাহলে খাবো নয়তো গাড়িতে উঠে বাসার দিকে রওনা দিয়ে দিবো। যাইহোক আমি পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের আশেপাশে থেকে কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে,অন্য দিকে চলে গেলাম। দেখলাম যে সেখানে বিভিন্ন ধরনের রাইড রয়েছে। সন্ধ্যার পর লাইটিং এর কারণে রাইড গুলো দেখতে দারুণ লাগছিলো। তবে সেখানেও মানুষের আনাগোনা ছিলো প্রচুর। তাছাড়া বেশ কিছু ঘোড়া দেখেছিলাম সেখানে। আমি রাইড গুলোর ফটোগ্রাফি করার পাশাপাশি, ভিডিওগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। ম্যাজিক বোট এবং নাগরদোলায় প্রচুর মানুষ উঠেছিল। যাইহোক এরপর আমরা আর কি কি করলাম, সেটা পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। (চলবে)
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | ভ্রমণ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy Note 20 Ultra 5g |
তারিখ | ১৫.১২.২০২৪ |
লোকেশন | w3w |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক প্রুফ:
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
পতেঙ্গা বিচে আমার এখনো যাওয়া হয়নি। তবে ইচ্ছা আছে খুব তাড়াতাড়ি পতেঙ্গা ভ্রমণ করব ইনশাআল্লাহ। আপনার পতেঙ্গা ও রাঙ্গামাটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পড়ে খুবই ভালো লেগেছে। সেই সাথে দারুণ ফটোগ্রাফি যুক্ত করেছেন। ধন্যবাদ।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত আসলেই খুব সুন্দর। একবার গেলে বারবার যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে দারুন সুন্দর কিছুটা সময় কাটিয়েছেন বুঝতেই পারছি। সমুদ্র সৈকতে যেতে এমনিতেই খুব ভালো লাগে। তার মধ্যে এমন সুন্দর পার্ক এবং সমুদ্র সৈকত যদি থাকে তবে তো কথাই নেই। সমুদ্র সৈকতের পাশে পার্কটি খুব সুন্দর। আর আপনার মাছ খাওয়ার ঘটনাটিও ভালো লাগলো। টাটকা মাছ সব জায়গায় আসলে পাওয়া যায় না। আর টাটকা মাছ ছাড়া খাওয়াও শরীরের পক্ষে উচিত নয়। সেদিক থেকে আপনি একেবারে ঠিক কাজ করেছেন।
এটা আসলে পার্ক না,এটা মূলত খোলামেলা একটা জায়গা। সেই খোলামেলা জায়গায় বিভিন্ন ধরনের রাইডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাইহোক এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।