নাটক রিভিউ || ভবঘুরে ভালোবাসা
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের সামনে একটি নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হয়েছি। নাটকের নাম হচ্ছে ভবঘুরে ভালোবাসা। এই নাটকটি ১ মাস আগে রিলিজ হয়েছে। যাইহোক এই নাটকের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছে ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিম সাইয়ারা তটিনী। এই নাটকটি একটি রোমান্টিক নাটক,তাই দেখতে খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। মাঝে মধ্যে সময় পেলে আমি বাংলা নাটক দেখি। একসময় হিন্দি মুভি অনেক দেখা হতো, তবে এখন এতোটা সময় নিয়ে মুভি দেখার সময় হয়ে উঠে না। তাই বিনোদনের জন্য অল্প সময়ে বাংলা নাটক দেখা হয়। যাইহোক আপনাদের সাথে এই নাটকের রিভিউ শেয়ার করতে যাচ্ছি। আশা করি আপনাদের কাছে খুব ভালো লাগবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যঃ
নাটক | ভবঘুরে ভালোবাসা |
---|---|
রচনা ও পরিচালনা | সাগর জাহান |
অভিনয়ে | ফারহান আহমেদ জোভান, তানজিম সাইয়ারা তটিনী,মিল্টন,মিজান রহমান,অর্পণা,অন্ত ওয়ালিদ,জাহিদ,পলাশ এবং আরও অনেকে |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
প্রচার | ২৮শে এপ্রিল ২০২৫ |
দৈর্ঘ্য | ৪৩ মিনিট |
প্লাটফর্ম | ইউটিউব |
নাটকের সংক্ষিপ্ত কাহিনী নিম্নরুপঃ
নাটকের শুরুতে দেখা যায়, তটিনী এবং জোভান লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে সিরিয়াস কিছু কথা বলছে। এরপর নাটকের কাহিনী অতীতে চলে যায়। রাস্তায় তটিনীর সাথে জোভানের দেখা হয়ে যায়। তো তটিনী জোভানকে বলে, তাকে নাকি দুষ্কৃতকারীরা ক্ষতি করতে পারে। তাই জোভান যাতে তটিনীকে এই ব্যাপারে হেল্প করে। কিন্তু জোভান কোনো হেল্প করতে চায় না। কারণ সে তো তটিনীকে চিনে না। তবুও অনেক বার অনুরোধ করার পর,তটিনীর কথা অনুযায়ী জোভান তটিনীর বয়ফ্রেন্ড সেজে,রিকশা দিয়ে একসাথে যাওয়া শুরু করে। তবে রাস্তায় ডিবির সদস্যরা তাদের রিকশা থামায় এবং দুজনকেই থানায় নিয়ে যায়। আসলে তটিনী বাসা থেকে পালিয়েছিল বিয়ে না করার জন্য। কিন্তু তার বাবা অনেক ক্ষমতাবান লোক। তার বাবার কথা অনুযায়ী ডিবির সদস্যরা তটিনীকে খুঁজে বের করে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
তো থানা থেকে তটিনীর বাবা তটিনীকে নিয়ে যায়, কিন্তু জোভানকে আটকে রাখতে বলে। কারণ তটিনীর বাবা ভেবেছিল,জোভানকে তটিনী ভালোবাসে এবং জোভানের জন্য তটিনী বাসা থেকে পালিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে তটিনী বুঝিয়ে বলার পর,তারা বুঝতে পারে জোভান তটিনীর বয়ফ্রেন্ড না। তারপর জোভানকে ডিবি ছেড়ে দেয়। যাইহোক এভাবেই তাদের পরিচয় হয়। পরের দিন তটিনী জোভানের বাসায় হাজির হয়ে যায়। জোভান আরও দুটি ছেলের সাথে থাকে রুম ভাড়া করে। জোভান এবং তটিনী একে অপরের সাথে মিশতে মিশতে, দুজন দুজনকে পছন্দ করে ফেলে। কিছুদিন পর তটিনী জানতে পারে, জোভান তার একটা কিডনি একজনকে দান করে দিচ্ছে। আর যাকে কিডনি দান করছে, সে হচ্ছে জোভানের ভালোবাসার মানুষ। এটা শুনে তটিনীর মন একেবারে ভেঙে যায়। কারণ তটিনী জোভানকে ভীষণ ভালোবাসে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
যাইহোক জোভান কিডনি দান করার পর,হসপিটালে ভর্তি ছিলো। তখন তটিনী হসপিটালে যায় জোভানকে দেখতে। আর তখন জোভান বলে,সে যাকে কিডনি দান করেছে,সে হচ্ছে জোভানের আপন ছোট বোন। আর জোভানের ভালোবাসার কোনো মানুষ আসলেই নেই। জোভানের ৩ ভাইয়ের আর্থিক অবস্থা অনেক ভালো হওয়া সত্ত্বেও, তারা কেউ তাদের ছোট বোনকে সাহায্য করেনি। কিন্তু জোভান আর্থিকভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে না পারলেও, তার একটা কিডনি দান করে দিয়েছে তার ছোট বোনকে। কারণ এক কিডনি নিয়েও বেঁচে থাকা যায়। তটিনী সবকিছু শোনার পর, জোভানকে নিয়ে গর্ববোধ করে। তো নাটকের কাহিনী বর্তমানে চলে আসে। তারা লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে আছে, আর তখন তটিনী জোভানকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। যাইহোক এরপর কি হলো সেটা জানতে হলে আপনাদেরকে অবশ্যই নাটকটি দেখতে হবে।
ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে
নাটকের লিংক👇👇
ব্যক্তিগত মতামত
কিছু কিছু ছেলে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর, নিজের পরিবারের অর্থাৎ মা,বাবা এবং ভাই বোনের একেবারেই খোঁজ খবর রাখে না। এটা মোটেই উচিত নয়। মা বাবা কতো কষ্ট করে আমাদেরকে বড় করে। কিন্তু বড় হওয়ার পর আমরা যদি তাদের খোঁজ খবর না রাখি,এর চেয়ে বাজে কিছু আর হতে পারে না। এই নাটকেও এমনটা দেখা গিয়েছে। জোভানের ভাইগুলো তাদের ছোট বোনকে সাহায্য সহযোগিতা করেনি বলে,জোভান শেষ পর্যন্ত নিজের কিডনি দান করে দেয় তার ছোট বোনকে। যদি জোভানের ভাইয়েরা সাহায্য সহযোগিতা করতো, তাহলে হয়তোবা জোভানকে কিডনি দান করতে হতো না। যাইহোক সবকিছু জানা সত্ত্বেও তটিনী জোভানকে বিয়ে করতে চেয়েছে। এক্ষেত্রে বলা যায়, জোভানের ভাগ্য খুব ভালো। কারণ বর্তমান যুগে এমন ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়াটা মুশকিল। সবমিলিয়ে নাটকটি খুব ভালো লেগেছে আমার কাছে। জোভান এবং তটিনী এককথায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছে।
আমার রেটিং
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | নাটক রিভিউ |
---|---|
স্ক্রিনশট ক্রেডিট | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ৫.৬.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1930650077661417696?t=4VOQfzfo9F8p1EZpGK8X-Q&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1930650898851590155?t=yqa2I20kRLhxmgvyARhw6A&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1930652037034938529?t=lmTwcJ-rf2JP9pbDs9O95w&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
জোভান এবং তটিনীর অভিনয় বরাবরই দারুন লাগে।ভবঘুরে ভালোবাসা নাটকটির রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো।বিশেষ করে নাটকটির প্রত্যেকটা পার্ট কে সহজভাবে উপস্থাপন করার দক্ষতা পড়ে দারুন লাগলো ভাই।এক কথায় চমৎকার হয়েছে রিভিউটি।
আমার কাছে তটিনীর অভিনয় সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে। এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া আপনি দারুন একটি নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন।জভানের নাটক গুলো আমার কাছে মাঝে মাঝে অনেক ভালো লাগে।তবে আমি বেশিরভাগ মুশফিক আর ফারহানের নাটক দেখি।তো আপনার পুরো নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো এবং চেষ্টা করবো সময় করে নাটকটি দেখে নেওয়ার।ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ফারহানের নাটক আমারও দেখা হয়। এভাবে সাপোর্ট করার জন্য আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আজকে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করে নিয়েছেন। নাটকটার রিভিউ পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। সুন্দর সুন্দর নাটকগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। নাটকটা না দেখা হলেও রিভিউটা পড়ে ভালো লেগেছে।
নাটকের রিভিউ পড়ে এতো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ পড়লাম আজকে। আমি সময় পেলে নাটক দেখার চেষ্টা করি। তবে ব্যস্ততার জন্য খুব একটা নাটক দেখা হয় না। আমার কাছে এরকম সুন্দর এবং শিক্ষনীয় নাটক দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে। তবে আমি নাটকের থেকে মুভি একটু বেশি দেখি। যার কারণে নাটক এখন একেবারেই কম দেখা হয়। আজ আপনি যে নাটকের রিভিউ টা নিয়ে আমাদের সবার মাঝে উপস্থিত হয়েছেন, এটার কাহিনী ভালো লেগেছে আমার কাছে।
এই নাটকের কাহিনী আসলেই খুব সুন্দর। এতো সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে আজকের এই সুন্দর নাটকের রিভিউ পড়ে খুব ভালোই লাগলো। যেভাবে আপনি আজকের সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন তা যেরকম সুন্দর হয়েছে৷ একই সাথে এখানে নাটকের মধ্যে ঘটে যাওয়া সবগুলো ঘটনা আপনার এই রিভিউ এর মধ্যে দিয়ে পড়ে মনে হচ্ছে যেন নাটকটি এখনি দেখে নিলাম৷ আমি অবশ্যই সময় করে পুরো নাটকটি দেখে নেওয়ার চেষ্টা করব৷
চেষ্টা করেছি দারুণভাবে এই নাটকের রিভিউ আপনাদের সাথে শেয়ার করতে। গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।