প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। এই পোস্টের টপিক হচ্ছে,রাত জাগাটা আসলেই খুব কষ্টের। আমার মতে ঘুমের মতো শান্তি আর কিছুতেই নেই। কারণ ফ্রেশ ঘুম হলে মনটা যেমন সতেজ লাগে, তেমনি শরীরটাও হালকা লাগে। এতে করে শরীর স্বাস্থ্যও ভালো থাকে এবং কাজকর্ম করতেও খুব ভালো লাগে। আর পরিমিত ঘুম না হলে,কাজকর্ম করতে একেবারেই ইচ্ছে করে না। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করতাম পরিমিতভাবে ঘুমাতে। যদিও আমার সবসময়ই ঘুমাতে একটু দেরী হয়ে যেতো। যেমন রাত ১টা থেকে ২টা এমনিতেই বেজে যেতো। কিন্তু একটু দেরীতে ঘুমালেও, নূন্যতম ৭/৮ ঘন্টা অবশ্যই ঘুমাতাম। তবে ইদানীং ঘুমের সমস্যা হচ্ছে প্রচুর।

আপনারা অনেকেই জানেন যে, আমার টুইন ছেলে হয়েছে প্রায় ৪ মাস আগে। অর্থাৎ ওয়াফি এবং সাকাফের বয়স ২ দিন পরেই ৪ মাস পূর্ণ হবে। তো ওদের দুজনের জন্মের পর থেকে, বাসার সবার প্রতিদিনের রুটিন একেবারে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। যেমন ঘুম থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়ার সময় পর্যন্ত এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। আমার তো প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে ঘুমাতে ভোর ৪/৫ টা বেজে যায়। তাছাড়া ঘুমানোর পর বারবার ঘুম ভেঙে যায়। আসলে টুইন বাচ্চা হ্যান্ডেল করা খুবই কষ্টকর। কারণ একজন সারারাত ঘুমায় এবং একজন সারাদিন ঘুমায়। তো আমাদেরকে সেই হিসেবে ২৪ ঘন্টা ওদের খেয়াল রাখতে হয়। অনেক সময় দেখা যায়, সাকাফ ঘুমিয়ে থাকলে ওয়াফি অযথাই কান্না করে। এর ফলে সাকাফের ঘুম ভেঙে যায় এবং সেও কান্না শুরু করে। তখন দুইজনের কান্না থামাতে হয় আমাদের দু'জনকে। তো এভাবেই কাটছে আমাদের দিনগুলো।

তাছাড়া রাতের বেলা ঘুম কম হয় বলে দিনে যে ঘুমিয়ে নিবো,সেটারও কোনো উপায় নেই। কারণ দিনের বেলা ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। তবুও মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করি। কারণ এই অবস্থাতেও উনি আমাদেরকে সুস্থ রেখেছেন। আসলে রাত জাগার অভ্যাস আমার কখনোই ছিলো না। যখন সাউথ কোরিয়াতে যাই,তখন শুরুতে একটি কোম্পানিতে নাইট ডিউটি ছিলো। কিন্তু দিনের বেলায় আমার ঘুম আসতো না বলে,আমি সেই জব ছেড়ে দেই। তারপর থেকে সবসময় দিনের বেলা কাজ করতাম। অনেকে দেখতাম বাড়তি টাকার লোভে নাইট ডিউটি করতো। কিন্তু আমি নাইট ডিউটি থেকে সবসময় দূরে থাকতাম। কারণ আমার ঘুম একেবারে পাতলা।

হালকা শব্দ কানে আসলেই আমার ঘুম ভেঙে যায়। তাই দিনের বেলা ঘুম হয় না আমার। কারণ দিনের বেলা তো এমনিতেই এখান সেখান থেকে শব্দ আসে। যাইহোক মাঝেমধ্যে এখন মসজিদ থেকে ফজর নামাজ আদায় করে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেই ঠিকই, কিন্তু একটু পরেই ঘুম ভেঙে যায় শব্দের কারণে। কারণ আমার বাসা হচ্ছে একেবারে রাস্তার পাশে। তাই সকাল হলেই গাড়ির শব্দে ঘুমাতে পারি না ভালোভাবে। তাছাড়া আমার দুই ছেলের কান্নার শব্দ তো আছেই। কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আর সেজন্যই কথাগুলো শেয়ার করলাম। আপনারা সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। যাতে করে আমরা সুস্থ থাকতে পারি। তাছাড়া আপনারা সবাই পরিমিত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। এতে করে শরীর এবং মন দুটোই ভালো থাকবে।