বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে স্মৃতিময় একটি গল্প||পর্ব-২
বৈশাখী মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করা যায়। বিশেষ করে আমাদের গ্রামে বৈশাখী মেলার আয়োজন হয় প্রতি বছর।আর এই বৈশাখী মেলা হয় আমাদের গ্রামে বটতলায়।এই মেলাকে কেন্দ্র করে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করে পুরো গ্রামবাসী। বিশেষ করে এই মেলাতে আমি আমার বাবার সাথে গিয়েছিলাম আর বাবার সাথে মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। আসলে বাবার সাথে মেলাতে চাওয়ার মুহূর্তটা আমার এখনো মনে পড়ে। আর খুবই ভালো লাগে। তো বন্ধুরা আজকে আমি বাবার সাথে মেলাতে গিয়ে আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি, সেই স্মৃতিময় গল্পের দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আজকে এসেছি। আশা করি এই দ্বিতীয় পর্ব পরে আপনাদের ভালো লাগবে।
বৈশাখী মেলাকে কেন্দ্র করে আমাদের গ্রামে এই মেলা আয়োজন করা হয়। আর মেলাতে আকর্ষণীয়ভাবে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা থাকে। সত্যিই ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগীতা দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ আসে এবং দূর দূরান্ত থেকে। অনেক মানুষ প্রতিয়োগীতা দেখার জন্য এখানে এসে।অনেক বড় বড় ঘোড়া নিয়ে আসে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।এই প্রতিযোগীতা দেখতে আমি যখন বাবার সাথে ঘোড়ার দৌড় সেই মাঠে আসলাম, তখন এসে দেখতে পেলাম এখানে অনেক মানুষ এসেছে। এখনো ঘোড়াদৌড় প্রতিযোগীতা শুরু হয়নি। তবে মাঠের মধ্যে দিয়ে অনেক ঘোড়া চলাচল করছে। এগুলো দেখে আমার খুবই ভালো লাগলো। ঘোড়া অনেক সুন্দর দেখতে আর এই ঘোড়াগুলো দেখে আমার ঘোড়াতে উঠতে ইচ্ছে করছিলো।
বাবা বলল তুমি ঘোড়াতে উঠবা,আমি রাজি হলাম।তখন বাবা আমাকর ঘোড়ার কাছে নিয়ে গেলো।আর ঘোড়ার মালিককে বললো, বাবার সাথে আমি একটি সাদা ঘোড়ার কাছে আসলাম। অনেক বড় ছিল সেই ঘোড়াটি।সত্যিই ঘোড়ার কেশ গুলো অনেক সুন্দর দেখতে। আমি যখন এই ঘোড়াতে ওঠার জন্য আসলাম। তখন ভয় পাচ্ছিলাম বাবা বলল ভয় পাওয়ার কিছু নেই। তুমি সাহস রাখো। বাবা তখন আমাকে আসতে করে ঘোড়ার পিঠে উঠিয়ে দিলো। সত্যি ঘোড়ার পিঠে সুন্দর গোধী ছিলো বসার জন্য। অনেক ভালো লেগেছিল তখন এবং ঘোড়াতে উঠতে পেরে আমার অনেক বেশি ভালো লাগতেছিল। তবে একটু ভয়ও পাচ্ছিলাম।তখন আমার সাথে সেই ঘোড়ার মালিক উঠলো। আমাকে সাথে নিয়ে সে মাঠের ভেতর দিয়ে ঘোড়া নিয়ে হাঁটতে লাগল। সত্যিই তার সাথে আমি ঘোড়াতে উঠে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। সেই মুহূর্তগুলো সত্যিই আমার চোখের সামনে ভাসছে।আমি ভয় পাবো বলে ঘোড়া আসতে আসতেই ছুটে চলতে ছিলো।
আমি যে ঘোড়াতে উঠেছিলাম এই ঘোড়াটির নাম বাহাদুর। সত্যিই এই গোড়াটি দেখতে যেমন সুন্দর এর নামটা আমার খুবই ভালো লেগেছে। তার পরে সাড়ে চারটার সময় ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হল। আমি মাঠের পাশে দাড়িয়ে হাততালি দিতে লাগলাম। পাঁচটি ঘোড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলো। আজকে প্রথম রাউন্ডের ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড হবে আগামীতে আরো সেই ঘোড়া গুলো দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশগ্রহণ করবে। প্রতিযোগিতা শুরু হলো, আমি মাঠের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বাহাদুর একটু পিছিয়ে ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় পাক ঘুরতেই যেন বাহাদুর সবার আগে উঠে গেল। যখন বাহাদুর সবার আগে উঠে গেল তখন আমার খুবই ভালো লাগতেছিল। সত্যিই আমি তখন আনন্দে চিৎকার করে উঠলাম এবং প্রতিযোগিতা শেষ হল আর এই রাউন্ডে বাহাদুর ফার্স্ট হয়েছে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
প্রথম পর্ব👇
https://steemit.com/hive-129948/@mohamad786/or-or
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
ছেলেবেলায় বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাওয়ার অসাধারণ গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন ভাইয়া। বাহাদুর ঘোড়ার পিছে চড়ে বেশ মজায় লেগেছিল তাই না? আবার বাবার সাথে দাঁড়িয়ে সেই ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা দেখলেন। বেশ ভালো লাগলো ।
অনেক ধন্যবাদ ভাই
সুন্দর অনুভূতি ছিল আপনার বাবার সাথে বৈশাখী মেলার স্মৃতিময় গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমাদের গ্রামেও বৈশাখী মেলা হত সেখানে ঘোড়ার প্রতিযোগিতা হতো না তবে গরুর লড়াই হতো। অনেক মানুষ একত্রিত হতে বেশ ভালোই লাগতো। অনেক মজার ব্যাপার বাবার সাথে হাত ধরে বৈশাখী মেলায় ঘুরতে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের নাস্তা খাওয়া। আপনি তো সুন্দর বাহাদুর ঘোড়ার পিঠে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
বাবার সঙ্গে বৈশাখী মেলা বেশ ভালোই উপভোগ করেছিলেন ।ঘোড়ার পিঠে চড়তে তো ভয় লাগারই কথা ।আমার ভীষণ ভয় লাগে ।মেলায় ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা হয় এটি জানা ছিল না ।বেশ ভালো ছিল বিষয় টি।আপনার ঘোড়া বাহাদুর নিশ্চয়ই জয়ী হবে মনে হচ্ছে।ধন্যবাদ ।
এতো সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
বাবার সাথে গ্রামের বৈশাখি মেলা দেখার খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। আমাদের এখানেও বিরাট বড় মেলা হতো আর সেই সময় বাবা আমাকেও মেলায় নিয়ে যেতো। তখনকার সময়ে মেলায় যাওয়ার আলাদা আনন্দ খুঁজে পাওয়া যেতে। এখন কেন জানি না সেই আনন্দ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আপনি যে ঘোড়ায় ওঠেছেন সেই ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ফাস্ট হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মতামতের পেয়ে খুবি ভালো লাগছে
বাবার সঙ্গে বৈশাখী মেলায় গিয়ে ঘোড়ায় ওঠা এবং ঘোড়ার প্রতিযোগিতা দেখে বেশ উপভোগ করেছেন দেখছি। তাছাড়া ঘোড়ায় উঠতে একটু ভয় লাগারই কথা। ঘোড়া ধীরে যাচ্ছিলো এবং আপনার বাবার সাহস দেয়াতে আপনার ভয় কিছুটা কমেছিলো। সাদা ঘোড়া দেখতে আসলে খুব চমৎকার লাগে। আপনি এই যেই ঘোড়াটিতে উঠেছিলেন আর সেই ঘোড়াই ফার্স্ট হয়েছে জন্য আপনার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছিলো। আপনার ছোটবেলার গল্প পড়ে ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
ভাইয়া, আপনি আপনার বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে যাওয়ার স্মৃতিময় কথাগুলো খুবই চমৎকার ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বৈশাখী মেলায় গিয়ে আপনার ঘোড়ায় চড়াটা আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। একই সাথে আরো ভালো লাগলো জেনে যে, আপনার পছন্দের ঘোড়া বাহাদুর দৌড়ে প্রথম হয়েছিল। ভাইয়া আপনার এই স্মৃতিময় গল্পের তৃতীয় পর্বটি পড়ার অপেক্ষায় রইলাম।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
বাবার সাথে অনেক আনন্দময় বৈশাখী মেলার মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। বিশেষ করে আপনাদের প্রিয় ঘোড়া বাহাদুর ফার্স্ট হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।
সুন্দর মতামতের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই