বাবার সাথে বৈশাখী মেলাতে স্মৃতিময় একটি গল্প||পর্ব-১
বাবা-মা মানে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।বাবারা সব সময় নিজের সুখের কথা চিন্তা করে না, বাবারা সবসময় সন্তানের সুখের কথা চিন্তা করে। হাজারো কষ্ট বুকে নিয়ে সন্তানের মুখে হাসি ফোঁটানোই দায়িত্ব যেন শুধু বাবার। আসলে যাদের বাবা মা নেই,তাদের যেন বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণাও নেই। আর বাবাকে ছাড়া যেন পৃথিবীটা অন্ধকার। যার বাবা আছে সে হয়তো বুঝতে পারবে না। কিন্তু যাদের বাবা এই পৃথিবী থেকে চলে গেছে,তারা ঠিক বুঝতে পারে।বাবা ছাড়া একদম নিঃস্ব জীবন।তাই বাবাকে কেন্দ্র করে আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার স্মৃতির পাতায় থেকে একটি গল্প শেয়ার করছি, আশা করছি গল্পটি পড়ে ভাল লাগবে।
সময়টা ছিল বৈশাখ মাস। আর বৈশাখ মাসে বিভিন্ন মেলার আয়োজন করা হয়। আমাদের গ্রামের মেলার আয়োজন করেছিল। আর আমি বাবার সাথে এই বৈশাখী মেলাতে গিয়েছিলাম। সত্যিই বৈশাখী মেলাতে গিয়ে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বাবার সাথে মেলাতে যাওয়ার অনুভূতি ছিল অসাধারণ। আমাকে বাবা প্রথমে নিয়ে যেতে চাইনি, আমাকে বলল মেলা থেকে তোমার জন্য অনেক কিছু কিনে আনবনি কিন্তু আমি বায়না করলাম। আমি বাবার সাথে মেলায় যাব। তাই বাবা বাধ্য হয়ে আমাকে মেলায় নিয়ে গেল এবং বাবার সাথে মেলাতে গিয়ে দেখতে পেলাম মেলার অপরূপ সৌন্দর্যময় দৃশ্যগুলো। বিশেষ করে এই মেলাতে নাগরদোলা ছিল। আর আমি প্রথমবার বাবার সাথে নাগরদোলায় উঠেছিলাম।
বাবার সাথে প্রথম নাগরদোলায় উঠেছিলাম। সত্যিই আমি ভেবেছি নাগরদোলাতে উঠে অনেক মজা করব। যখন নাগরদোলা উপরে উঠতে লাগল তখন আমার খুবই ভাল লাগতে ছিলো। কিন্তু যখনই নাগরতলা উপর থেকে নিচে নামতে ছিলো তখন আমি খুব ভয় পেয়েছি। বাবাকে জড়িয়ে ধরে তখন কান্না করে দিয়েছিলাম।বাবা বলল যে ভয় পাওয়ার কিছু নাই। আমি তো আছি, বাবা তখন আমাকে বুকের সাথে শক্ত করে জড়িয়ে নিল। সত্যি নাগরদোলা সেই অনুভূতিটা আমি কখনোই ভুলবো না। সেই অনুভূতিটা সত্যিই আমার সারা জীবন মনে থাকবে।
তারপর নাগরদোলা থেকে নামলাম। নাগরদোলা থেকে নামার পরে আমার মাথায় একটু ঘুড়তে ছিল। তখন বাবা আমাকে নিয়ে একটি দোকানে বসিয়ে রাখলে। সেখানে বসে থাকলাম।তারপর মেলার অনেক খাবার খাওয়া দাওয়া করলাম এবং বাবার সাথে আমি পুরো মেলা ঘুরে দেখতে ছিলাম। আমি মেলা থেকে অনেক খেলনা কিনেছিলাম। সত্যিই মেলাতে ভ্রমণ করতে পেরে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আর মেলা ভিতরে গ্রামীণ ঐতিহ্যবাহী কিছু দৃশ্য রয়েছে। সেই দৃশ্যগুলো দেখতে লাগলাম। সত্যি মেলাতে মাটির তৈরি অনেক পশুপাখি ছিলো। আমি এগুলো কিনলাম। বাবার সাথে সেই মেলাতে অনেক আনন্দময় মুহূর্ত উপভোগ করেছি। বাবা বলল মেলার পূর্বদিকে ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা হবে।ওখানে দিকে তাই আমরা যাওয়া শুরু করলাম। সত্যিই ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতার অনেক ঐতিহ্যবাহী। হাজার হাজার মানুষ এই প্রতিযোগিতা দেখতে আসে।
আজ এখানেই শেষ করছি। আবারো অন্য কোনদিন ভিন্ন কোনো কন্টেট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন, এই দোয়া রইল। আল্লাহ হাফেজ।🙏🤲🙏
আমার নাম মোঃ ফয়সাল আহমেদ ।আমি বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগে সিরাজগঞ্জ জেলায় বসবাস করি। আমি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করি। আমি আমার জন্মভূমিকে খুবই ভালোবসি ।আমি সর্বদাই গরীব-দুঃখীদের সেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। আমি ফটোগ্রাফি করতে খুব ভালোবাসি এবং নতুন সৃজনশীলতার মাধ্যমে কিছু তৈরি করতে আমার খুবই ভালো লাগে।এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
👉বিশেষভাবে ধন্যবাদ সকল বন্ধুদের যারা এই পোস্টকে সমর্থন করছেন🌺🌹🌺
ভাইয়া আপনার পোস্টটা পড়ে চোখের কোনায় জল চলে এলো । জানিনা আপনার বাবা বেঁচে আছে কিনা । কিন্তু আমার বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন । আপনার পোস্টটি পড়ে আমার বাবার কথা মনে পড়ল । বাবার সঙ্গে মেলায় যাবার মুহূর্ত সত্যি অনেক আনন্দের হয়ে থাকে ।ছোটবেলা থেকে বড় বেলায় অসংখ্যবার বাবার সঙ্গে মেলায় গিয়েছি । স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ছিল আপনার পোস্টটি পড়ার সময় । তবে মেলায় নাগর দোলায় চড়তে আমার কাছেও ভীষণ ভয় লাগে । তবে মেলায় কখনো ঘোড়া দৌড় প্রতিযোগিতা দেখিনি । পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
স্মৃতির পাতা থেকে আপনি একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার বাবাকে নিয়ে। আপনার বাবাকে নিয়ে মেলায় যাওয়ার মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। এটা কিন্তু সত্যি যার বাবা বেঁচে থাকে না সেই জানে বাবা হারানোর কষ্ট কতটা কঠিন। আসলেই বাবা হচ্ছে বেঁচে থাকার সম্বল। বাবাকে নিয়ে খুব সুন্দর একটা পোস্ট লিখেছেন আপনি আপনার স্মৃতির পাতা থেকে। ভালোই লেগেছে সম্পূর্ণটা পড়ে আমার কাছে।
এতো সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ
বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার আপনার স্মৃতিময় গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। বৈশাখী মেলায় গিয়ে নাগরদোলায় চড়ার মজাই আলাদা। আর বৈশাখী মেলায় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিসপত্র গুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগে। যাহোক ভাইয়া, বাবার সাথে বৈশাখী মেলায় যাওয়ার আপনার স্মৃতিময় গল্পের পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ