"আসুন আসুন ব্লগারবাসি, ঘটি গরম চানাচুর খেয়ে যান!"
ঘটি গরম চানাচুর! ঘটি গরম চানাচুর! বাংলা ব্লগের অঙ্গনে নতুন স্বাদের সুরভি নিয়ে হাজির আমি, ফয়সাল আহমেদ। আপনার মন চাইছে এক মুঠো মজার চানাচুরের স্বাদ? এই রইলো ফয়সালের মাখানো ঘটি গরম চানাচুর, যা মজাদার মশলা, ঝাল-মিষ্টি স্বাদের জাদুতে ভরপুর। আসেন ভাই, আসেন বোন, দেরি না করে ফয়সালের ব্লগে ঢুঁ মারুন আর ঝটপট চানাচুরের স্বাদ উপভোগ করুন। মজার কথা আর চটপটে রেসিপি নিয়ে বাংলা ব্লগের প্রতিটি পাঠককে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি—চানাচুর প্রেমীদের জন্য এই ব্লগ একটি পারফেক্ট স্পট। একবার পড়ে দেখুন, মজা না হলে টাকা ফেরত! তো দেরি কেন? হাত বাড়ান, ব্লগ খুলুন, আর মজা শুরু করুন!আসেন আসেন খেয়ে যান,গরম গরম ঘটি চানাচুর মাখা।😆😆
এবার আসল কথায় আসা যাক। গতকাল রাতে আমি আর আমার বন্ধু গিয়েছিলাম সংসদ ভবনের পিছনে চন্দ্রিমা উদ্যানের সেই বিখ্যাত ব্রিজে। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত সেখানে মানুষের ঢল নামে। ঢাকার মধ্যে এমন একটা জায়গা, যেখানে প্রকৃতি আর মানুষের মেলবন্ধন ঘটে। নানান ধরনের খাবার আর মানুষের কোলাহল মিশে তৈরি হয় এক ভিন্ন জগৎ।
রাতে গিয়ে বুঝলাম, জায়গাটা আসলে আমাদের মতো বন্ধুদের জন্য নয়, কাপলদের জন্য এক প্রিয় মিলনস্থল। চারদিকে জোড়ায় জোড়ায় মানুষ, প্রেমময় মুহূর্তে ডুবে আছে। হঠাৎ করেই মনে হলো, আমরা যেন ভুল সময়ে ভুল জায়গায় এসে পড়েছি! হিহিহি, কী আর করা, এসে যখন পড়েছি, তখন কিছুটা সময় এখানে কাটিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করলাম।
চন্দ্রিমা উদ্যানের সামনে অনেকেই ঘটি গরম চানাচুর বিক্রি করছে। আমার বন্ধু একটু সন্দেহ নিয়ে বলল, “চানাচুর খাবি?” আমি বললাম, “অবশ্যই, চানাচুর খাব না, এটা আবার হয় নাকি?” তারপর আমরা গেলাম মানিক মামার ঘটি গরম চানাচুরের স্টলে। মামা খুবই হাসিখুশি মানুষ। আশেপাশের কাপলদের নিয়ে মজার মজার কথা বললেন। মামার সাথে এই মজার আড্ডা আমাদের মনটা ভালো করে দিল।
মামাকে বললাম, “দাও মামা, ঝাল কম করে মেখে দাও।” বন্ধু বলল, “আমাকে কম ঝাল দাও।” মামা হাসতে হাসতে বলল, “ঝাল তো চানাচুরের প্রাণ!” এরপর ঝটপট করে ময়-মসলা, টমেটো, শসা আর অন্য মজাদার উপকরণ দিয়ে চানাচুর মাখা শুরু করলেন। মামা চানাচুরের মিশ্রণ তৈরি করলেন খুবই যত্নসহকারে।
এই চানাচুরকে “ঘটি গরম চানাচুর” বলা হয় একটা মজার কারণে। এই চানাচুরের উপর রাখা একটা ছোট মাটির ঘটি, যার ভেতরে থাকে গরম কয়লা। কয়লার তাপেই চানাচুর গরম থাকে, আর এ কারণেই এর নাম “ঘটি গরম চানাচুর।” এর স্বাদ যে দুর্দান্ত, তা দেখেই বোঝা যায়।
আমরা দুজন ২০ টাকা করে মোট ৪০ টাকার চানাচুর কিনলাম। ব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে খাবার মুহূর্তটা উপভোগ করলাম। কিন্তু মজার বিষয় হলো, আমি ঝাল খেতে পারি না। মামাকে বলেছিলাম, “হালকা ঝাল দাও,” কিন্তু মামার ‘হালকা ঝাল’ আমার মুখে আগুন ধরিয়ে দিল! চানাচুর খেতে গিয়ে চোখ-মুখ লাল হয়ে গেল। পানি খেয়ে ঝাল কমানোর চেষ্টা করেও পারলাম না। শেষমেষ, কষ্ট হলেও কিছু অংশ ফেলে দিতে হলো।
চানাচুর খাওয়ার পর, আমরা ব্রিজের উপর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম। রাতের বাতাস, দূরের আলোর ঝলক আর মানুষের কোলাহল মিলিয়ে পরিবেশটা দারুণ লাগছিল। ব্রিজে দাঁড়িয়ে আমরা দুজন অনেক ছবি তুললাম।রাত প্রায় ১১টা। সময় গড়িয়ে চলেছে। তাই আমরা তখন ব্রিজ ছেড়ে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
চন্দ্রিমা উদ্যানের সেই রাত, ঘটি গরম চানাচুরের অভিজ্ঞতা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা—সব মিলিয়ে দিনটা ছিল অসাধারণ। যদিও ভুল সময়ে ভুল জায়গায় গিয়েছিলাম, তারপরও মুহূর্তগুলো আমাদের মন ভালো করার জন্য যথেষ্ট ছিল। আগামীতে আবার সেখানে যাওয়ার ইচ্ছে আছে, তবে এইবার চাই একটু কম ঝাল চানাচুর! 😄
প্রত্যেকটা ছবি তোলার লোকেশন এবং ডিভাইসের নামঃ-
Device:Samsung A33 (5G)
আজ এখানেই শেষ করছি। অন্য কোন একদিন ভিন্ন ধরনের কনটেন্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব। ততক্ষন পর্যন্ত আপনারা সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
ফোনের বিবরণ
মোবাইল | Samsung A33 (5G) |
---|---|
ধরণ | "আসুন আসুন ব্লগারবাসি, ঘটি গরম চানাচুর খেয়ে যান!" |
ক্যমেরা মডেল | A33 (48+8+5+2) |
ক্যাপচার | @mohamad786 |
অবস্থান | ঢাকা - বাংলাদেশ |
প্রথমে ভুলেই গেছিলাম একি আমার ভাই?ঢাকা গিয়ে পাগল হয়ে রাস্তায় চানাচুর বিক্রি করতে নামলো নাকি?যাই হোক ভাই পোস্ট পড়ে অনেক মজা পেয়েছি ,মন একদম ভালো হয়ে গেছে।আর চানাচুর মাখার কথা কি বলবো দেখেই খুদা লেগে গেলো।
কিছুদিন পর ঢাকার রাস্তায় রাস্তায় এভাবে চানাচুর বিক্রি করে চলতে হবে😌
X-Promotion
ওপার বাংলায় যে ঘটি গরম চানাচুর পাওয়া যায় এ কথা আগে জানতাম না। আপনার পোস্ট পড়ে জানলাম। আমাদের এদিকে ও কলকাতায় প্রচুর ঘটি গরম বিক্রি হয় বিশেষ করে গঙ্গার ধারগুলোতে। চানাচুর প্রিয় ছেলে মেয়েদের বেশ ভালই লাগে। যদিও আমি কখনো ঘটি গরম খাইনি।
বেশিদিন হয় নাই ঘটি গরম চানাচুর বাংলাদেশে এসেছে।এখন তো দেখি বাংলাদেশের অনেক জায়গায় এরকম ঘটি গরম চানাচুর পাওয়া যায়। বিশেষ করে ঢাকায় অনেক বেশি দেখা যায়।
আপনি আমাদের জন্য দাওয়াতের আয়োজন করলেন অথচ আমরা যেতেই পারলাম না ভাইয়া। চানাচুর গুলো দেখেই তো মনে হচ্ছে খেতে দারুন ছিল। চানাচুর খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছেন ভাইয়া।
বাংলা ব্লগের সবাইকে নিয়ে একটা পিকনিক করবো এবং সেই পিকনিকে ঘটি গরম চানাচুরের একটা স্টল দেবো আমি।যার যত ইচ্ছা খেয়ে যাবেন।
প্রথমে আপনার পোস্ট পড়ে হাসতে হাসতে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছিলাম। যাইহোক এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো যে বন্ধুর সঙ্গে চন্দ্রিমা উদ্যানে রাতের বেলা দারুন একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। চন্দ্রিমা উদ্যানের সেই বিখ্যাত ব্রিজে দাঁড়িয়ে অনেক আগে দারুন কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত করেছিলাম তবে অনেকদিন হলো সেখানে যাওয়া হয় না। শীতের রাতে ঝাল মুড়ি খেতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একটু সবাইকে হাসানোর জন্যই আজকে এরকম ভাবে পোস্টটি করা।এক ভাবে পোস্ট লিখতে লিখতে একটা বোরিং ফিল হয়।তাই ফানি কিছু নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা।
শীতের সময় এই ধরনের খাবার গুলো খেতে এতটাই মজা লাগে যে সেটা বলে বোঝাতে পারবো না । আপনি দেখছি বন্ধুর সাথে ঘটি গরম খাওয়ার মাধ্যমে দারুন সময় কাটিয়েছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। অনেক ভালো লাগলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
শীতের সন্ধ্যায় বন্ধু-বান্ধব মিলে এরকম চানাচুর মাখা খাওয়ার মজাই অন্যরকম।
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম আপনার পোস্টের ঢোকা মাত্র চানাচুর পেয়ে যাবো খাওয়ার জন্য। যেভাবে লিখেছেন এভাবে যদি চানাচুর নিয়ে রাস্তায় বসেন, তাহলে তো ভালোই বিক্রি করতে পারবেন ভাইয়া। যাইহোক মজা করলাম। আপনার খাওয়া চানাচুর দেখে আমার তো লোভ লেগে গেল। বুঝতেই পারছি কতটা মজাদার ছিল।
আমার পড়াশোনার যে অবস্থা কিছুদিন পরে এভাবে রাস্তায় চানাচুর নিয়ে বসে বিক্রি করতে হইবে
আপনারা এসে খেয়ে যাইয়েন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
চানাচুর খেতে চলে আসলাম, কিরে ভাই নতুন ব্যবসা শুরু করছেন নাকি। দেখতে পেয়ে তো অবাক হয়ে গেলাম। যাই হোক পোস্টটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
ব্যবসা শুরু করে নিয়ে কিন্তু এরকম একটা ব্যবসা দেবার চিন্তা ভাবনা আছে, তাই একটু পরিদর্শন করতে গেছিলাম। হিহিহি