নিজের সমর্থ্য অনুযায়ী দান করা উচিত।

in আমার বাংলা ব্লগ6 months ago

আজ- ৩০শে পৌষ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, শীতকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।




dollar-3313761_1280.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

কেমন আছেন সকলে? আশা করছি ভালো আছেন। আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। ইদানিং ঠান্ডাটা বেশ ভালই পড়ছে। সামনের দিনগুলোতে কি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য তা আসলে বলা যায় না। তাপমাত্রা যদি এভাবে প্রতিদিন কমতে থাকে তাহলে অনেকটাই সমস্যার সম্মুখীন তে হবে অনেক মানুষের । আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই কিন্তু গ্রাম কিংবা উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। আর ওই স্থানগুলোতে এমনিতেই শীতের তীব্রতা অনেকটাই বেশি। তাদের কাছে এই ঠান্ডাটা আসলে অনেকটাই সমস্যা তৈরি করে। ঘন কুয়াশা আর এই মাত্রা অতিরিক্ত ঠান্ডা মানুষের সাধারণ জনজীবনে অনেকটাই ব্যাঘাত ঘটায়।

যদি ও ইউরোপ কান্ট্রি গুলোতে আমাদের দেশ থেকে অনেক বেশি ঠান্ডা কিন্তু তারা এই ওয়েদারটা সাথে বেশ ভালোভাবেই মানিয়ে নিয়েছে আর তাদের এই ঠান্ডার জন্য খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হয় না। কারণওই কান্ট্রি গুলো প্রত্যেকটা কর্মস্থল বাসা বাড়ি সব জায়গায় হিটার। কিন্তু আমাদের দেশে কয়জনের এই সুবিধাটা আছে।

এদেশের মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির মানুষগুলো না হয় কোনভাবে এই ঠান্ডাটাকে সামলে নিতে পারে। কিন্তু যাদের উপযুক্ত বাসস্থান নেই কিংবা গরম বস্ত্র নেই তাদের তো অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হয় ।

গরম ঠান্ডা যেটাই বলুক না কেন উঁচু শ্রেণি মানুষগুলোর কাছে সবগুলোই উপভোগ্য কিন্তু নিম্ন শ্রেণীর মানুষগুলোর কাছে এ বিষয়গুলো অনেকটাই সমস্যার।

আমারা সবাই বলি এই শীতকালটা অনেকটা আনন্দের এবং অনেকটা উপভোগ্য। কিন্তু সেটা অবশ্যই সবার জন্য না। কিন্তু আমরা চাইলে এই সময়টাকে সবার জন্য উপভোগ্য করে তুলতে পারি। আমরা যদি যে যার সামর্থ্য অনুযায়ী ওই সকল নিম্ন শ্রেণী মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াই তাহলে তারা ও এই সময়টাতে কিছুটা হলেও ভালো থাকতে পারে।

আমরা অনেক সময় ভাবি যে আমাদের অনেক অর্থ হলে আমরা দান করব। কিন্তু আসলে এমন মন মানসিকতা আমাদেরকে কখনোই দানশীল করে তুলে না। আমরা যেই যে অবস্থা আছি ওই অবস্থানেই যদি দান করতে শিখি তাহলেই তো প্রকৃত অর্থের দান হবে। দেখবেন অনেক সময় অনেক অল্প আয়ের মানুষগুলো ও চেষ্টা করে নিজের যতটুক আছে অতটুকু সমর্থের মধ্যে দিয়ে অন্যর উপকার করার। আবার অনেক উচ্চ শ্রেণির মানুষ আছে তারা সবসময় চেষ্টা করে নিজেরা কিভাবে আরো অর্থবৃদ্ধি করবে।

আর দান করার বিষয়টি এখন অনেকটা শো আপ এর মত হয়ে উঠেছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে এই জিনিসটার বিরোধিতা করবো না কেননা অন্তত শোআপ এর কারণে হলেও কিছুটা মানুষের উপকৃত হচ্ছে। এবং এর থেকে অন্য মানুষগুলো কিছুটা অনুপ্রেরণা পেতে পারে।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই, এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 6 months ago 

একদম ঠিক বলছেন ভাইয়া যারা যেই পরিবেশে থাকে তারা সেই ওয়াদারের সাথে খাপ খায়ে নিতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে তো শীতকাল সব সময় হয় না। একটা সিজন আমাদের শীতকালের জন্য। তো আমরা সবাই শীতকালটাকে ভালোভাবে উপভোগ করতে চাই। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের জন্য সে শীতকালটা অনেক কষ্টের। কারণ তাদের সামর্থ্য থাকে না শীতের গরম কাপড় গুলো কেনার জন্য। আমাদের সকলের উচিত যারা শীত বস্ত্র পরিধান করতে পারেনা তাদের পাশে দাঁড়ানো। আপনার লিখা গুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।

 6 months ago 

আসলেই এমন তীব্র শীতে নিম্নবিত্ত এবং দিনমজুরদের ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। যারা রাস্তা ঘাটে বা ট্রেন স্টেশনে ঘুমায়,তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে শীতের তীব্রতা কতোটা ভয়াবহ। অবশ্যই আমাদের সবার উচিত নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দান করা। অনেক ধনীরা চাইলেই সাহায্য করতে পারে এসব মানুষদের। কিন্তু বর্তমান যুগে সাহায্য সহযোগিতা করার মন-মানসিকতা অনেকের মধ্যেই নেই। কিছু কিছু মানুষ শুধুমাত্র লোক দেখানো উপকার করে। যাইহোক এমন সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

শুধু যে অর্থই দান করতে হবে এমন ও কিন্তু না। আমাদের বাসা -বাড়তে আগের অব্যবহিত পোশাক ও পরর থাকে অনেক। সেগুলো দিয়েই ইজিলি অনেকে এমন শীতের প্রকোপ থেকে নিজেদের কিছুটা হলেও রক্ষা করতে পারে। বিশেষ করে ছোট শিশু এবং বাচ্চাদের জামাকাপড় বাসায় পরে থাকলে অনুরোধ রইলো যেন ঘরে জমিয়ে না রেখে বা ফেলে না দিয়ে আশেপাশের কোন অসহায় গরীব কে যেন সেগুলো দান করে দেয়।

Posted using SteemPro Mobile

 6 months ago 

এটা একদম ঠিক বলেছেন দাদা , অনেক টাকা ইনকাম করে দান করবো, বড়লোক হলে দান করবো, দান ব্যাপারটা সেইরকম না। এখন আমি যে অবস্থায় আছি এবং আমার যতটুকু সামর্থ্য আছে সেই হিসাবে যদি দান করি সেটাই প্রকৃত দান হবে। নিজের যতটুকু সামর্থ্য আছে সেই হিসেবে অন্যের উপকার করা উচিত। হ্যাঁ দাদা এটা ঠিক কথা বলেছেন, আজকাল অনেকে দেখিয়ে দেখিয়ে দান করে, তবে কেউ যেভাবেই দান করুক না কেন, মানুষের উপকার হওয়া নিয়ে কথা। এই শীতের সময় অনেকেই কষ্টে আছে। আমাদের এই সময়ে সবাইকে শীত কাপড় দিয়ে একটু সাহায্য করা উচিত। আমি আমার পুরনো কাপড় গুলো বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে গরিব মানুষকে দান করে থাকি প্রতি বছর।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 58559.96
ETH 3156.41
USDT 1.00
SBD 2.44