খেটে খাওয়া ঐ সকল মানুষগুলোর পরিস্থিতি।
আজ- ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, হেমন্ত-কাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়াতে একজন রিক্সা চালকের খুব সুন্দর একটি বক্তব্য শুনলাম। রাজনৈতিক কারণে এই সকল অবরোধ, হাততালের ফলে তাদের জীবনে কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই সকল বিষয়গুলো নিয়ে খুব আবেগআপ্লুত হয়ে কিছু বক্তব্য দিয়েছিলেন। আর উনার বক্তব্যের বিষয়গুলো আসলেই বাস্তব এবং নির্মম। দেশের যেকোনো অস্থিশীল পরিবেশে এই সকল মানুষগুলোই সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উচ্চপদস্থ থাকা মানুষগুলো নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে এ সকল মানুষদের ব্যবহার করছে কিন্তু যখনই তাদের স্বার্থ ফুরিয়ে যায় তখনই তারা তাদেরকে দূরে ঠেলে ফেলে দেয়, তাদের কোন পরোয়া করে না। দিন শেষে তাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভাবার কেউ থাকেনা। সকলে সকলের স্বার্থ উদ্ধার হলে দূরে সরে যায়। অথচ নিজেদের স্বার্থের জন্য সব সময় হাতিয়ার হিসেবে এই মানুষগুলোকে সামনে দাঁড় করায় ।
পূর্বের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা দেখতে পাই, এই সকল খেটে খাওয়া মানুষগুলোই কিন্তু দেশের জন্য লড়াই করেছে, রক্ত ঝরিয়েছে নিঃস্বার্থভাবে। কামার, কুমার, জেলে , কৃষক রিক্সা চালক এই জাতীয় খেটে খাওয়া মানুষগুলোই কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়েছিল দেশটিকে স্বাধীন করতে। অথচ আজ তারা সকল কিছু থেকে বঞ্চিত লাঞ্ছিত ।
আমদের প্রত্যেকেরে উচিত এই সকল খেটে খাওয়া মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর তাদের প্রতি একটু সহানুভূতিশীল হওয়া, তাদের সুবিধা - অসুবিধার দিকগুলো বিবেচনা করা । বিভিন্ন সময় দেশের অস্থিশীল পরিস্থিতির কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অন্য যে কোন কিছুতে তারায় কিন্তু বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা যদি দুইদিন ঘরে বসে থাকি তা হলে আমাদের কোন সমস্যা হবে না কিন্তু তাদের ক্ষেত্রে তো সেটা সম্ভব না,কারন তারা যদি ঘরে বসে থাকে তাহলে তাদের পরিবার কিভাবে চলবে।
এইতো কিছু বছর আগে দুঃস্বপ্নের মতো সেই ভাইরাসটি যখন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন তাদের পরিস্থিতিটা কেমন হয়েছিল তা নিশ্চয়ই আমাদের কারো অজানা নয়। সেই সকল ধকল কাটিয়ে সবকিছু স্বাভাবিক হতে অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। আর এখন আবার দেশের এই সকল রাজনৈতিক অস্থিশীল বিপর্যয়ের ফলে তাদের স্বাভাবিক কর্মকান্ডে আবারো ব্যাঘাত ঘটবে।
তারা দেশের এত রাজনীতি এত পক্ষ বিপক্ষ বোঝেনা। তারা শুধু চাই তাদের পাশে দাঁড়ানোর মত একজন সরকার। যারা তাদেরকে নিয়ে ভাববে।
যাইহোক, আজ এ পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবারও ভিন্ন কোন আলোচনায় ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষ সব সময় যুদ্ধ করে যাচ্ছে জীবিকা নির্বাহের জন্য। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রার উপর করোনা ভাইরাস ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিলো। তবে এখনো দেশের অরাজনৈতিকতা এ সকল কেটে খাওয়া মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। আপনি সত্যি বলেছেন ভাই এই সকল মানুষ জন রাজনীতি বোঝেনা শুধু পাশে দাঁড়ানোর মতো সরকার চায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই বেশ সুন্দর একটি পোস্ট বিস্তারিতভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আসলে সাধারণ জনগণ দিন শেষে বেশি ভুক্তভোগী হয়। নিঃস্বার্থ ভাবে রক্ত ঝরিয়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলো কিন্তু উচ্চপদস্থ লোকজন তাদের এই রক্ত ঝরানোর কথা মনে রাখেনা। আসলে আমাদের সমাজ এমনি স্বার্থের জন্য সব করতে পারে আর স্বার্থ ফুরালে কেটে পড়ে। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আসলে ভাই বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঢাকা শহরের একশ্রেণীর লোকজনের বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা পারছে না উপার্জন করতে পারছেনা নিজেদের চাহিদাগুলো মেটাতে তাই বাধ্য হয়ে তারা তাদের ক্ষোভ সেখানে শেয়ার করেছে। তবে দিনশেষে কেউই কিন্তু সেই অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ায় না তারা অসহায়ই রয়ে যায়।
ভাই বর্তমান পরিস্থিতি খুবই খারাপ। প্রথমত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, দ্বিতীয়ত রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মানুষজন ভালোভাবে কাজ করতে পারছে না। সবমিলিয়ে নিম্নবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত মানুষেরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছে। কিন্তু আমাদের দেশের কর্তা ব্যক্তিবর্গরা এসব নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তারা শুধু নিজেদের লাভ এবং স্বার্থের কথা চিন্তা করছে। খেটে খাওয়া মানুষগুলো বাঁচুক কিংবা মরুক, এতে তাদের কিছু যায় আসে না। যাইহোক আমাদের সকলের উচিত খেটে-খাওয়া মানুষ কিংবা দিনমজুরদের পাশে দাঁড়ানো। সময়োপযোগী একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমিও চাই সব সময় যেন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকুক এবং সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হোক। জানিনা এটা সম্ভব হবে কিনা তবে দেখা যাক সামনে কি হয়। ওই রিক্সাওয়ালার বক্তব্য আমিও শুনেছি খুব সুন্দর করে কথাগুলো বলছিলেন। আর হ্যাঁ আপনি ঠিক বলেছেন আমরা যদি ঘরের মধ্যে দুইদিন বসে থাকি, তাও কিছু হবে না কিন্তু যারা দিন আনে দিন খায় তাদের ক্ষেত্রে এটা অনেক কিছু। যাইহোক দোয়া করি যেন সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে আর কারোর যেন কোনো ক্ষতি না হয় এবং নির্বাচনে যেন সঠিক ব্যক্তি জয়ী হয়।
লেখাগুলো পড়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লাম, দাদা। এটাই সমাজের বাস্তব চিত্র যা কিছুই ঘটুক না কেন সাফারিং তো গরিব মানুষকেই করতে হয়। সমাজের অথবা রাষ্ট্রের সবথেকে বড় বড় কাজে এইসব সাধারন মানুষই অবদান রাখে তবে তারা তাদের সঠিক মূল্যায়ন পায় না। এরাই দেশের জন্য লড়াই করে, নিজের রক্ত দিয়ে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে আসে। তবে দিন শেষে এরাই লাঞ্ছিত হয় সমাজের উচ্চপদস্থ মানুষের দ্বারা। রাজনৈতিক রিলেটেড হোক অথবা অন্য যে কোনো সমস্যাগুলো যখন হয়, সেখানে উচ্চ পর্যায়ের মানুষগুলোর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় না । যা ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সাধারণ মানুষেরই হয়। হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই সাধারণ মানুষ গুলোকে। সাধারণ মানুষগুলো জাস্ট একটু ভালো থাকতে চায় কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না তাদের ।
চিরকালেই এক শ্রেণী ক্ষমতাবানদের উপরে ওঠার হাতিয়ার তো এই নিম্নশ্রেণীর মানুষ। তাদের কাঁধে বন্ধুক রেখে গুলি চালানোই তাদের কাজ।আবার যখন স্বার্থ হাসিল হয়ে যায় তখন তাদের কে লাথি মেরে ফেলে দেয়।আমিও শুনেছিলাম রিক্সা আওলার সেই বক্তব্য। ধন্যবাদ পোষ্ট টি শেয়ার করার জন্য।