কাজল নাটকের রিভিউ।
আজ- ২৪ই চৈত্র |১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বৃহস্পতিবার | বসন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবিঃস্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এখানে কাজলের চরিত্রে অভিনয় করেছে - মেহজাবিন চৌধুরী।
কুরেশিস এর চরিত্রে অভিনয় করেছে -তারিক আনাম খান।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাম | কাজল |
---|---|
পরিচালক | মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ । |
অভিনয় | মেহজাবিন চৌধুরী, তারিক আনাম খান, মিলি বাশার, অপ্সরা সহ আরো অনেকে। |
দৈর্ঘ্য | ৪৮ মিনিট। |
ধরন | সামাজিক। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ১৩.০২.২০২২ইং। |
নাটকের সারসংক্ষেপ
এর পর দৃশ্য পরিবর্তন হয় আর আমরা দেখতে পাই তন্নি তার বাবাকে ডাকছে এবং বলছে তার কাছে একটি মেয়ে এসেছে যার নাম কাজল।
এরপর তন্নীর বাবা কাজলের কাছে আসে এবং জিজ্ঞেস করে কে সে? কি চাই এখানে? কেন এসেছেন এখানে? এরপর কাজল জানায় তার পুরনো নাম- শামসুন্নাহার কাজল। এরপর তন্নি মা ও আসে সেখানে, এবং তার পরিচয় জানতে চাই, তখন কাজল বলে, সে শরীয়তপুর থেকে এসেছেন । আর এই কথা শুনে আমরা দেখতে পাই তন্নীর বাবা কিছুটা অবাক হয়ে গেলেন। এরপর কাজল পরিচয় দেয় তন্নীর বাবা হচ্ছে তার বাবার বন্ধু। আর এইকথা শুনে তন্নির মা তন্নির বাবাকে বলতে থাকে তোমার বন্ধুর মেয়ে এসেছে আর তুমি তাকে এখানে দাঁড়িয়ে রেখেছো। আর এই কথা বলে তন্নির মা কাজলকে সযত্নে ঘরে নিয়ে যায়।
এরপর আমরা দেখতে পাই তন্নীর বাবা তন্নির মায়ের সাথে রাগারাগি করছে এবং বলছে চেনা নেই জানা নেই অপরিচিত একটি মেয়েকে ঘরে তুলে নিলে। তখন তন্নির মা বলে সে তো তোমার বন্ধু মেয়ে। ঢাকায় তার থাকার জায়গা নেই। একা একটা মেয়ে কোথায় থাকবে সে,তাই তাকে এখানে থাকতে দিয়েছি।
এরপর আমরা দেখতে পাই কাজলকে গেস্ট রুমে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এবং তন্নি কাজল কে বলছে তার যা কিছু প্রয়োজন হয় তাকে যেন সে জানায়।
এরপর দেখা যায় মধ্যরাতে তন্নির বাবা কাজলের সাথে চুপি চুপি দেখা করতে আসছে। তন্নির বাবা কাজল কে বলে সে কেন সকলের সাথে মিথ্যা বলেছে। তুমি তো আমার বন্ধুর মেয়ে না। এরপর তন্নীর বাবা কাজল কে বলে, তুমি কে? কেন এখানে এসেছ তা আমি কিছুই জানতে চাই না কাল তুমি চলে যাবে এ বাড়ি থেকে। তখন কাজল তন্নীর বাবাকে বলে আমি এখানে থাকতে আসিনি চলে যেতেও আসিনি। আমি এখানে এসেছি আমার অধিকার আদায় করতে।
এরপর দেখা যায় কাজল ধীরে ধীরে বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে এই পরিবারের সকলের সাথে বেশ ভালোভাবে মিশে গেছে। সকলেই কাজলকে বেশ পছন্দ করতে শুরু করে। কিন্তু তন্নির বাবা চাচ্ছেনা কাজল বেশিদিন এই বাড়িতে থাকুক।
কাজল কেন এসেছে এখানে , কি তার পরিচয়, এইসব বিষয় নিয়ে তন্নীর বাবা বেশ চিন্তিত।
এরপর দেখা যায় তন্নির বাবা কাজলকে আবারো জিজ্ঞেস করছে সে কে? কি তার উদ্দেশ্য? তখন কাজল তার পরিচয় বলতে থাকে।
কাজল বলে ২৬ বছর আগের কথা মনে নেই আপনার। যদি মনে থাকত তাহলে আজ থেকে 26 বছর আগে আমার মা যখন আমাকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায় তখন একবারের জন্য হলেও আমার কাছে আসতেন আমাকে কোলে তুলে নিতেন, আদর করতেন পিতা দায়িত্ব পালন করতেন। 26 বছর আগে হুট করে যাকে বিয়ে করেছে সেই রকেয়া কথা মনে নেই আপনার । আপনি তাকে কথা দিয়েছিলেন শহরে এনে সামাজিকভাবে তুলে নেওয়ার। কিন্তু আপনি সে কথা রাখেননি। আর এসব কথা বলতে বলতে কাজল কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। আর তন্নীর বাবা নিরব হয়ে চলে যায়। আর এসব কথার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি তন্নীর বাবা হচ্ছে কাজলের পিতা।
এরপর দেখা যায় তন্নীর বাবা তার সন্তানদের প্রতি আদর যত্ন দেখে কাজলের ও ইচ্ছে করছে তার বাবার আদর পেতে। সেও চায় তার বাবা যেন তাকে এভাবে আদর যত্ন করে। অন্যদিকে দেখা যায় ধীরে ধীরে তন্নীর বাবা কাজলের প্রতি মায়া জন্মাতে থাকে। সে অনুভব করে কাজলের প্রতি সে কত বড় অন্যায় করেছে।
এরপর দেখা যায় তন্নীর বাবা কাজলের জন্মদিনের উইশ করে। আর এটি দেখে কাজল খুব অবাক হয়ে যায় কেননা এত বছর পরে কেউ তার জন্মদিনে উইশ কোরেছে। এরপর তন্নীর বাবা কাজল কে বলে পরেরদিন দুপুরে তারা একসাথে লাঞ্চ করবে ।
একবার দেখা যায় তারা রেস্টুরেন্টে বসে আছে। এবং তন্নীর বাবা কাজলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি তার সমস্ত অন্যায়ের জন্য। সে বলতে থাকে তার মাকে সে কিভাবে পরিস্থিতির চাপে ভুলে গিয়েছে। এখন সে কাজলকে তার সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি দিতে চাই সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে। সে তার অন্য সন্তানদের মত তাকে নিয়ে একসাথে থাকতে চাই। কিন্তু কাজল বলে না আমি তোমাদের জীবনে কোন পরিবর্তন ঘটাতে আসিনি। তুমি আমার মা এবং আমাকে স্বীকার করে নিয়েছ এটাই আমার কাছে অনেক। আমি শুধু চাই প্রত্যেক বছর আমার জন্মদিনে আমাকে একটু সময় দিও। কারন আমি আমার এই দিনটি অন্য কারো সাথে শেয়ার করতে চাই না। আর এসব কথা বলতে বলতে তারা দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে। আর এভাবেই নাটকটি সুন্দর একটি সমাপ্তি ঘটে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ব্যক্তিগত মতামত
এই নাটকটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে খুবই ইমোশনাল একটি নাটক। সবথেকে ভালো লেগেছে নাটকের মিউজিক টি। অসাধারন একটি মিউজিক। সাধারণ একটি গল্পের অবলম্বনে নাটকটি তৈরি করা হয়েছে। তবে সকলের অভিনয় খুবই ভালো ছিল। বিশেষ করে মেহজাবিন চৌধুরীর অভিনয়টি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
ব্যক্তিগত রেটিং
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
কাজল নাটকটি এখনো দেখা হয়নি। জানতাম না নাটকটি রয়েছে । আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম । সময় পেলে অবশ্যই দেখবো । খুব সুন্দর করে গুছিয়ে নাটকটির রিভিউ লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ । ভালোবাসা রইলো ভাই
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
নাটকের রিভিউ পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া ।নাটকটি অনেক সুন্দর পুরো রিভিউটি পড়েছি । আপনি খুব সুন্দর ভাবে নাটকটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেছেন। আমার খুব খারাপ লাগে যখন কাজল তাকে পরিচয় দেয় যে তিনি তার প্রথম বিয়ে করা 26 বছর আগে রোকেয়ার মেয়ে যে তাকে জন্ম দেওয়ার সময় মারা গেছে এবং তার পর থেকে তিনি একটা বারের জন্য তার জন্য খোঁজ খবর নেননি ।তিনি এ বাড়িতে এসেছেন তার অধিকার আদায়ের জন্য। তবে পরক্ষনেই যখন তার বাবা তাকে মেয়ের মর্যাদা দেন তার জন্মদিন উইশ করেন বিষয়গুলো খুব ভালো লেগেছে এবং কাজলের জীবনের একটি খুশির মুহূর্ত চলে এসেছে। এত সুন্দর একটা রিভিউ দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল।
সময় নিয়ে নাটকের রিভিউটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। নাটকের মিউজিকটি খুবই সুন্দর বারবার শুধু এই শুনতে ইচ্ছে করে।
আসলে ভাই নাটক বলেন আর সিনেমা বলেন যেগুলোর কাহিনী ইউনিক হয় সেগুলোই বেশি হিট হয়। কাজল নাটকটি আমার দেখা হয় নাই তবে নাটকের গল্প পড়ে আমার কাছের অসাধারণ লেগেছে। নাটকের শেষের অংশটা অনেক আবেগ প্রবল ছিলো। বাবা তার মেয়ের কাছে তার সব ভুল স্বীকার করে তাকে মেয়ের মর্যাদা দিতে চায়। যাইহোক আমি নাটকটি দেখবো আমার কাছে খুবই ভালো লাগছে।
যেসব নাটকগুলোর হ্যাপি এন্ডিং সেই সব নাটক গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে।
নাটকের রিভিউটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া। অবশেষে কাজল তার অধিকার আদায় করে নিয়েছে এবং তার বাবার ভালোবাসা পেয়েছে এটা জেনে অনেক ভালো লেগেছে। আসলে কাজলের মত অনেক সন্তান আছে যারা বাবার স্নেহ থেকে বঞ্চিত। এই নাটকটির রিভিউ পড়ে আমার এই নাটকটি দেখার প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেল। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি অনেক সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️
রিভিউটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে সত্যিই খুব খুশি হয়েছি।
মেহজাবিন চৌধুরী আমার খুবই প্রিয় একজন অভিনয়শিল্পী। আসলে অভিনয়শিল্পীর দক্ষতা নাটকটি আরো বেশি সুন্দর করে তুলেছে। আপনার নাটক রিভিউটি যখন আমি পড়ছিলাম তখন বারবার মনে হচ্ছিল যেন আমি নাটকটি দেখতে পাচ্ছি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে প্রতিটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন। এই নাটকটি আমি না দেখেও নাটকটি সম্পর্কে অনেক সুন্দর ধারণা পেয়েছি। আসলে একজন মেয়ে তার বাবার পরিচয় পেতে চেয়েছে। তার বাবার ভালোবাসা ও আদর স্নেহ পেতে চেয়েছে। কাজলের মত অনেক সন্তান আছে যারা এভাবেই তাদের প্রিয় মানুষকে হারিয়ে ফেলে। বাবা নামক শব্দটি খুবই ছোট। কিন্তু এর গভীরতা অনেক বেশি। প্রত্যেক সন্তানই চায় তার বাবার ভালোবাসা পেতে। যেমনটি কাজল চেয়েছে। যাইহোক গল্পের শেষটা অনেক সুন্দর ছিল। আপনার এই নাটক রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লেগেছে আমার। অনেক সুন্দর ভাবে দারুন একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনাকে।
আমাদের সমাজে কাজলের মত এমন কিছু সন্তান রয়েছে যারা অন্য আর পাঁচটা সন্তানদের মত বাবা বেঁচে থাকা সত্বেও বাবাকে ডাকার সে সুযোগ পায় না।
কাজল নাটকটির রিভিউ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে করেছেন। কাজল নাটকটি আমি দেখেছি এবং রিভিউ পড়ে আরো ভালো লাগলো, কারণ এই নাটকের কাহিনী আমাদের বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার মধ্যে অনেক রয়েছে। এটি বাস্তবের সাথে অনেক মিল রয়েছে। যাইহোক কাজল তার অধিকার ফিরে পায় এটা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে রিভিউ করেছেন আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
আমাদের সমাজে কাজলের মত এমন অনেক মেয়ে আছে যারা বাবা থাকা সত্ত্বেও বাবার স্নেহা থেকে বঞ্চিত হয়।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
মেহজাবিন চৌধুরীর অভিনয়গুলি আমার খুবই ভালো লাগে।তাছাড়া বাংলাদেশের নাটকগুলো সবসময় শিক্ষণীয় ও মজার হয়ে থাকে যেটি আমি সবসময় বলে থাকি।আপনি কাজল নাটকটি খুব সুন্দর করে রিভিউ করেছেন ভাইয়া, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ, মেহ্জাবিনের নাটক আমার আগে থেকেই অনেক ভালো লাগে, আজ আপনার রিভিউ পড়ে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া।