দারিদ্রতার কাছে মানুষ কতটা অসহায়।steemCreated with Sketch.

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

আজ- ১লা,কার্তিক , | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল ||


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

আজ আমি আপনাদের সাথে এক মর্মান্তিক ঘটনার বিবরনি শেয়ার করব।




portrait-gdf0fb839f_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

অর্থের অভাবে মানুষ কতটা অসহায় হয়ে পড়ে। আমাদের চারপাশে এমন সব ঘটনা ঘটে থাকে যা সত্যিই আমাদেরকে দুঃখে ভারাক্রান্ত করে।

প্রযুক্তি কিংবা শিক্ষাখাতের দিক থেকে বাংলাদেশ আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি লাভ করলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতি খুব একটি হয়নি। নিজের দেশ নিয়ে বদনাম করছিনা। দেশের জনগণ হিসেবে উচিত দেশের সম্মান করা । তবে শুধুমাত্র দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে কথাগুলো বলতে বাধ্য হচ্ছি।


করোনার মহামারীর সময় স্বাস্থ্যসচেতনতায় বাসায় যে কাজের খালা ছিল তাকে বিদায় করে দাওয়া হয়েছে । কেননা ঐ সময়টাতে বাহিরের মানুষ ঘরে আনা খুব একটা নিরাপদ ছিল না। তবে বছরখানেক পর পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়। তখন নতুন এক কাজের খালা রাখা হয় বাসায়। দেড় বছর ধরে তিনিই আমাদের বাসায় কাজ করে যাচ্ছে। খুব ভালো এবং নর্ম ভদ্র স্বভাবের খুব হাসিখুশি এছাড়াও তার কাজ খুব সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।

দুই দিন হয়ে গেল তিনি বাসায় আসছে না। তার সাথে যোগাযোগ করার কোন মাধ্যমে নেই আমাদের। কেননা তিনি কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করে না। আমাদের বিল্ডিংয়ের আরো বেশ কয়েকটি বাসায় ওনি কাজ করে। তাই তাদের ওখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাদের বাসায় ও আসেনি দুইদিন ধরে। তাদের কাছে ও কোন খোঁজখবর নেই।

যাইহোক এভাবে আরো দুই দিন কেটে গেল। তার এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আসলে এর আগে এমনটা কখনো হয়নি। উনি যদি কাজে না আসে কিংবা ওনার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে অন্তত দেখা করে কিংবা বিভিন্ন উপায় সকলকে জানিয়ে দেয় । আমরা সকলে ভেবে নিয়েছি উনি হয়তো বাড়িতে গিয়েছি কিংবা অসুস্থ যার কারনে আসতে পারছি না।

যাইহোক এমন করে চারটা দিন কেটে যায় এবং পঞ্চম দিনের দিন উনি বাসায় আসে কাজ করতে। দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে সে বলছে এতদিন কাজে না আসার কারণ।

ওনি জানায় তার স্বামীর হঠাৎ করে প্রচন্ড পেটে ব্যথা উঠে। ব্যথার তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, সে ঠিক মতো কথা ও বলতে পারছিল না। আর তখন রাত প্রায় দুইটা বাজে। এই অবস্থায় কী করবে বুঝে উঠতে না পেরে তাড়াহুড়া করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জানায় তার খুব দ্রুত একটি অপারেশন করা প্রয়োজন। তা না হলে রোগী যেকোনো বিপদ হতে পারে।


man-g6ab53a3bb_1920.jpg
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

বছরখানেক আগেও ঠিক একইভাবে তার স্বামীর প্রচন্ড পেটে ব্যথা হয়। এবং তখন ও ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে, ডাক্তার তখনো ঠিক একই কথা বলে যে, তার একটি অপারেশন করা প্রয়োজন। এবং কিছু মেডিসিন দেয় আর বলে যে , এগুলো খাওয়ার পর কিছুটা সুস্থ হলে তার অপারেশন টা করিয়ে নিতে। ওষুধগুলো কিছুদিন খেয়ে কিছুটা সুস্থ বোধ করলে তারা অপারেশন করার বিষয়টি মাথা থেকে একদমই ঝেড়ে ফেলে দেয়। দুবেলা দুমুঠো কোনমতে ছেলে মেয়ে নিয়ে খেয়ে পড়ে দিন কাটছে তাদের। এর মধ্যে এতগুলো টাকা দিয়ে কিভাবে তারা অপারেশন করবে। তাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব এতগুলো টাকা দিয়ে অপারেশন করানো। তাই তারা বিষয়টি মাথা থেকে বাদ দিয়ে দেই। মাঝেমধ্যে হালকা-পাতলা ব্যথা উঠলে ওষুধ খেয়ে দমিয়ে রাখত।

ওষুধ খেয়ে কোনমতে ব্যথাটি দমিয়ে রাখলেও হঠাৎ করে ওইদিন ব্যথাটি আবার উঠে। আসলে ওনার এপেনডিক্সের ব্যথা ছিল যার কারণে ওষুধ খেয়ে কখনো এটি নিরাময় করা সম্ভব নয়। যাইহোক ডাক্তারা রোগীর অবস্থা দেখে খুবই কড়া ভাবে আদেশ দিয়েছে যে অপারেশন টা এখনই করিয়ে নেওয়ার। আর এ অপারেশনটি করতে ৬০ হাজার টাকা লাগবে। এবং ডাক্তাররাও আশা দেয় যে অপারেশন করার পর রোগী সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠবে।

কিন্তু এতগুলো টাকার ভয়েই ও তো তারা প্রথম থেকেই এ অপারেশনের ব্যাপারে এড়িয়ে গিয়েছে সব সময় । তারা ডাক্তারের কাছে গিয়ে খরচের ব্যাপারটা কিছুটা কমাতে বলে, তবে ডাক্তার জানাই সর্বোচ্চ তারা ১০ হাজার টাকা কামাতে পারবে। তাদের আথিক অবস্থার বিবেচনা করে। কিন্তু তার পরে ও তো এতগুলো টাকার জোগাড় করাটা তাদের পক্ষে অসম্ভব ছিল। তাই তারা কমদামি ছোটখাটো একটি ক্লিনিক এ নিয়ে গেলে যেখানে 20,000 টাকার বিনিময় অপারেশন টা করিয়ে দেওয়ার কথা বলে।

অনভিজ্ঞ ডাক্তার এবং অনুন্নত যন্ত্রপাতি ও কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও কোন প্রকার বন্ড সই ছাড়াই রোগীর অপারেশন করিয়ে নেয়। অপারেশন করার সাধারণত কয় ঘন্টা পর রোগীর জ্ঞান ফিরে আসে কিন্তু সে জায়গায় এখানে রোগীর জ্ঞান ফিরে আসেনি। বেশ কয়েক ঘন্টা পর রোগীর যখন জ্ঞান ফিরে তখন তার পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়, তাই তারা দ্রুত অন্য একটি হাসপাতলে নিয়ে যায় । অন্য হাসপাতালে রোগীর অবস্থা দেখে ভর্তি করাতে চাচ্ছিল না তারা। কিন্তু বহুকষ্টে অনেক আকুতি মিনতির করার পর তাঁকে ভর্তি করানো হয়।

তারপরে হাসপাতালে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার মাধ্যমে জানায় যে তার অপারেশনটি ভুল হয়েছে এবং তার ব্রেনের সমস্যা হয়ে গিয়েছে। এদিকে যে ডাক্তার অপারেশন করিয়েছে তাকে আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না কেননা সে পালিয়ে গিয়েছে।

ব্রেনের সমস্যা হওয়ার দারুন সে উল্টাপাল্টা কথা বলছে এবং মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে। দু-একদিন কোনভাবে হাসপাতালে রাখা হলেও তারা এখন বর্তমানে রোগীকে বাসায় নিয়ে এসেছে কেননা ওখানে থাকাটা তাদের জন্য ব্যয় বহুল। এখন রোগী ভালো কিংবা সুস্থ হওয়া এটি সম্পূর্ণ সৃষ্টিকর্তার ওপর।

এই ঘটনাটির মধ্য দিয়ে আমরা কাকে দায়ী করবো? যে কিনা টাকার অভাবে একটি ভালো হসপিটালে ভালো ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করাতে পারেনি , নাকি যে অজ্ঞ ডাক্তার কম খরচের মাধ্যমে অপারেশনের করে রোগীকে সারা জীবনের মতো পঙ্গু করে দিয়েছে তাকে।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কঠিন পরিণতি ভাই। নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্ত মানুষগুলোর অবস্থা কাহিল। নিজের দুর্ভাগ্য কোন ব্যাধি হলে অথবা মেজর কোন অপারেশন করতে হলে বিনা অপারেশন ও ওষুধপত্র ছাড়াই মরতে হবে। এটাই হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের বাস্তবতা। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 2 years ago 

এই ঘটনাটির মধ্য দিয়ে আমরা কাকে দায়ী করবো?

যারা অনেক কষ্টে নিজের খাবারের জোগাড় করে তাদের কাছে চিকিৎসার খরচ ব্যয় বহন করা সত্যি অনেক কষ্টের। হয়তো তারা চাইলেও ভালো কোন হাসপাতালে অপারেশন করতে পারত না। একদিকে তারা চেয়েছিল কম টাকায় অপারেশন করতে অন্যদিকে সুস্থ হতে চেয়েছিল। কিন্তু হ বিপরীত হয়ে গেল। এই ঘটনাটি পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো ভাইয়া। আমাদের চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছে যারা এরকম পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। আমার মতে এসব গরীব, দুঃখী, অসহায় মানুষদের চিকিৎসা এবং অপারেশনের খরচ সরকারের বহন করা উচিত। সরকারি হাসপাতালগুলোতে সবকিছুই আছে কিন্তু পুরোটাই যেন গাফিলতিতে ভরা। সাধারণ মানুষরা সেখানে গিয়ে নানান ভোগান্তির শিকার হয়। আমাদের এই দেশ আগের তুলনায় কিছুটা উন্নতি হলেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে এখনো সেই গাফিলতি রয়ে গেছে। দোয়া করি তিনি যেন সুস্থ হয়ে ওঠেন।

 2 years ago 

আমাদের দেশে টাকা ছাড়া ভালো চিকিৎসা কখনোই সম্ভব না।

 2 years ago 

এই ঘটনাটির মধ্য দিয়ে আমরা কাকে দায়ী করবো? যে কিনা টাকার অভাবে একটি ভালো হসপিটালে ভালো ডাক্তারের মাধ্যমে অপারেশন করাতে পারেনি , নাকি যে অজ্ঞ ডাক্তার কম খরচের মাধ্যমে অপারেশনের করে রোগীকে সারা জীবনের মতো পঙ্গু করে দিয়েছে তাকে।

আমি এখানে দায়ী করবো অজ্ঞ ডাক্তার কে। কারণ সে যদি অপারেশন করে রোগটিকে ভালো করতে না পারে। তাহলে এমন অপারেশন করে রোগীকে সারা জীবনের মতো পঙ্গু করে দেওয়ার কি দরকার। আসলে আমাদের এই দেশে এখন সব জায়গাতেই অসৎ খারাপ লোকজন রয়েছে। যাদের ভিতরে মানুষত্ব্যবোদ বলে কিছু নেই। তারা অসহায় মানুষদের উপর এভাবেই নির্যাতন করেন। ঘটনাটি পড়ে ভীষণ কষ্ট লাগলো। দোয়া রইল তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ 🤲 ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

আসলে চিকিৎসা ক্ষেএে উন্নতি হয়েছে তবে যোগ্য ডাক্তারদের, অযোগ্য ডাক্তারদের বরং উন্নতি হয়নি।তাদের পাওয়ার আর টাকার ভিড়ে যোগ্য ডাক্তাররা হারিয়ে যাচ্ছে। আমি দেখেছি সরকারি ডাক্তার অল্প বেতনে চাকরি করে৷ poor fund এ টাকা জমিয়ে গরীব অসহায় রোগীদের চিকিৎসা করাচ্ছে।আর যারা অযোগ্য তারাও শুরুতেই টাকা দিয়ে চান্স পায়, সেই টাকা উঠাতে রোগীদের উপরই ভরসা করে থাকে।তাছাড়া এখন ছোট খাট কোন ডিগ্রি নিয়েই হাসপাতাল খুলে বসে কম টাকায় অপরেশন করবে বলে,তাদের লাইসেন্স দেয় তো উচু উচু কর্মকর্তারা।আসলে মেধাবী ডাক্তাররা ঠিকই পরিশ্রম করে আস্তে আস্তে উন্নতি দিকে যাচ্ছে, বরং আমাদের দেশেই কোন দাম দিচ্ছে না তাদের।ভুল হলে,ক্ষমা করবেন।ধন্যবাদ

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন, মেধা এবং যোগ্যতা ছাড়াই পয়সার বিনিময়ে কোনমতে তারা ডিগ্রী অর্জন করছে। আর যার ফলে এইধরনের ভুল চিকিৎসার শিকার হচ্ছে রোগীরা।

 2 years ago 

হুম,,ভাইয়া খুব কাজ থেকে দেখেছি।আমার ভাই ও একজন সরকারি ডাক্তার। করোনার সময় তাদের ঘুম দেওয়ার ও সময় ছিলো না,ঈদের সময় বাড়ি আসিনি,হাসপাতালো ঈদ করেছে।অথচ তারেই বন্ধু যে কিনা তার পেছনের স্টুডেন্ট ছিলো,ঔ ভাইয়া রাজনীতির জোরে এখন আরো উপরের পোস্টে চলে গিয়েছে,যে ডিগ্রি করতে পাঁচ বছর লাগে সেই ডিগ্রি করে উপরের পোস্টে যেতে হয়।কিন্তু তার ঐ ডিগ্রি অর্জন করা লাগেনি।

 2 years ago 

আমার মনেহয় এর জন্যে দায়ী একমাত্র আমাদের সমাজ আর সরকার ব্যবস্থা।সে যদি ভালো কোথাও অপারেশন এর সুযোগ পেতো তাহলে নিশ্চয় এসব খারাপ ডাক্তারের কাছে যেতে হতোনা।আর এসব খারাপ ডাক্তার এখনো টিকে আছে কিভাবে!নিশ্চয় আইনের ফাঁকফোকর এ।এসব ভাবতেই অবাক লাগে,টাকার কতো দাম!

 2 years ago 

হায়রে মানুষ 🙂। যেখানে তিন বেলা খাওয়ার টাকা নেই সেখানে উল্টাপাল্টা চিকিৎসা করিয়ে রোগীর অবস্থা আরও খারাপ করে দিল। এরকম সিচুয়েশনে টাকাই অনেক কিছু। টাকা থাকলে আজ হয়তো এমন দৃশ্য দেখতে হতো না। ডাক্তার চাইলেই স্বল্প টাকায় করাতে পারতো। এখানে আমি দুটোর অভাব দেখছি। টাকা ছাড়া মানুষ যে কতটা অসহায় তারই প্রমাণ পাওয়া গেল।

 2 years ago 

আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না এপেনডিক্স তো পেটে হয় তাহলে ব্রেনের সমস্যা কিভাবে দেখা দেয়।তাহলে কি মূর্খ ডাক্তার সামান্য কুঁড়ি হাজার টাকার লোভে পেটের জায়গায় মাথায় অপারেশন করেছে।আমার তো মনে হচ্ছে ওই ডাক্তারকে ধরে ব্রেনের অপারেশন করা উচিত।গরিব মানুষের জীবন নিয়ে এভাবে খেলা করে এরা।ঈশ্বরের কাছে প্রে করি যাতে ওই মানুষটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যায়।

Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.

Come and visit Italy Community

 2 years ago 

আসলে আজকে পোস্টটি পড়ে খুবই খারাপ লাগলো। আমাদের সমাজের মানুষ টাকার পাগল। টাকা ছাড়া যেন কিছুই হয় না। এভাবে আজ টাকার বিনিময় চিকিৎসা পেল না। সত্যি আমাদের দেশে চিকিৎসা ব্যবস্থা খুবই খারাপ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনা পয়সায় চিকিৎসায় করালে সেটা যেন ভালো হয় না। কারণ ডাক্তাররা মন দিয়ে বিনা চিকিৎসাগুলো করেনা। কিন্তু তারা পাইভেট হসপিটালে টাকার বিনিময় ঠিকই ভালোভাবে চিকিৎসা দেয়। এই জিনিসগুলো আমাকে খুবই কষ্ট দেয়।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59403.33
ETH 2607.28
USDT 1.00
SBD 2.38