মজাদার রসভরি পিঠা রেসিপি।
আজ- ৯ ই, ফাগুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | মঙ্গলবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে মজাদার রসভরি পিঠা রেসিপি শেয়ার করব।
শীত প্রায় শেষ হতে চলল তবুও ঘরে পিঠার আমেজ শেষ হয়নি। এবারের শীতে গ্রামে যাওয়া হয়নি। তাই গ্রামের সেই আমেজ গুলো বাসায় বসেই পূরণ করার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে আম্মুর কাছে বায়না করে বসি পিঠা বানানোর জন্য। যাই হোক আজ আমি আপনাদের কাছে আমার আম্মুর হাতের তৈরি খুব মজাদার একটি পিঠা রেসিপি শেয়ার করব। এই পিঠাটি খেতে খুবই মজা। আর সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমার আম্মু এই পিঠাটি খুব ভালো বানায়। এবং পিঠাগুলো খেতে এতটাই নরম হয় যে জিভে দিলেই গলে যায় এছাড়া এই পিঠাটি বানানো খুবই সহজ মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে খুব সুন্দর করে অল্প সময়ের মধ্যেই তৈরি করা যায়।
এই পিঠাটি কে আমরা রসভরি বলে। এই পিঠাটি বানানো যেমন সহজ তেমন কঠিন বটে কেননা পিঠাটি উপকরণ এবং পরিমাপ ঠিকঠাক না হলে পিঠাটির পুরা টেস্টটাই বদলে যায় এবং শক্ত হয়ে যায়।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- চালের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- চিনি।
- ডিম।
- তরল দুধ।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো চালের গুড়া নিয়ে নিবো। এবং এতে দু-চামচ চিনি এবং স্বাদমতো লবণ দিয়ে দিব। এরপর ভালোভাবে সবগুলো উপকরণকে মিশিয়ে নেব।
 |
|
ধাপ-২ঃ
- এরপর এতে পরিমাণ মতো হালকা গরম পানি দিয়ে দিব। এখানে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা করতে যাবেননা এতে পিঠাগুলো পুরোপুরি পারফেক্ট হবে না আবার বেশি গরম পানি ব্যবহার করতে যাবেন না। এই পিঠার পানির পরিমাণ ঠিকমতো দিতে হবে। পিঠার ডো টা বেশি পাতলা করা যাবে না আবার ঘন করা যাবে না মিডিয়াম রাখতে হবে।
ধাপ-৩ঃ
- এবার এতে একটি ডিম দিয়ে দিব। এরপর সবগুলো উপকরণকে ভালো ভাবে মিশিয়ে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর অন্য একটি পাত্রে দুধ গরম করতে দিব। দুধের মধ্যে স্বাদমতো চিনি দিয়ে দিব। এবার ভালোভাবে দুধ ফুটিয়ে ঘন করে নিব।
ধাপ-৫ঃ
- এবার একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব তেল গরম হয়ে গেলে পিঠা ভেজে নেবে।
 |
|
ধাপ-৬ঃ
- পিঠা গুলোকে হালকা করে ভেজে নিব। বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই বেশি কড়া করে ভাজলে পিঠাগুলো শক্ত হয়ে যেতে পারে। সবগুলো উপকরণ এবং সবকিছু পারফেক্ট হলে পিঠাগুলো তেলে দেওয়ার সাথে সাথে ফুলে উঠবে।
 |
|
ধাপ-৭ঃ
- সবগুলোকে পিঠা ভেজে নেওয়ার পর গরম গরম দুধের সিরাতে পিঠা গুলোকে ঢেলে দেবো।
ধাপ-৮ঃ
- বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুধের সিরাতে পিঠা গুলোকে ডুবিয়ে রাখবো। কিছুক্ষণ পর দেখা যাবে সবগুলো পিঠা সিরা চুষে নিয়েছে। এবং পিঠাগুলো একদম নরম তুলতুলে হয়ে গেছে।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
রসভরি পিঠার নাম আককেই প্রথম শুনলাম। সত্যি বলতে এই রেসিপিটি আমার কাছে একদম নতুন। তবে আপনার রেসিপিটি প্রথম দেখাতেই অনেক ভালো লেগেছে। তবে পুরো রেসিপি দেখে বুঝলাম তেল পিঠাকে দুধে ভিজিয়ে রসভরি পিঠা বানানো হয়েছে।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অবশ্যই এই রেসিপিটি আম্মুকে তৈরি করতে বলবো। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই ইউনিক রেসিপিটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাই রসভরি পিঠার রেসিপি আগেও সম্ভবত কেউ একজন পোস্ট করেছিলো কিন্তু তার তুলনায় আপনারটি আমার কাছে বেশি ভালো লাগলো। পিঠা গুলো দেখতে যেমন সুন্দর হয়েছে আশা করি খেতেও তেমন সুস্বাদু হয়েছিল। রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আরো আগে হাফিজ ভাই ও একবারে এই পিঠাটির রেসিপি দিয়েছিল কিন্তু এরপরে কেউ এই পিঠার রেসিপি দিয়েছে নাকি তা আমার জানা নেই।
ভাইয়া আমি আপনার এই কথাটির সাথে সহমত পোষণ করছি। শীত প্রায় শেষ হয়ে এল কিন্তু এখনো ঘরে ঘরে পিঠার আমেজ রয়েছে। শীতের শুরুতে পিঠা খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি শীতের শেষে পিঠা খাওয়ার আমেজ রয়ে যায়। আমাদের সকলের প্রিয় শ্রদ্ধেয় আন্টি অনেক সুন্দর ভাবে মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পিঠা তৈরীর রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি রান্নায় বেশ পারদর্শী। আন্টির পিঠা তৈরীর রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি খুবই ভালো রান্না করেন। আন্টির হাতের পিঠা মানেই অসাধারণ কিছু। অনেক মজাদার একটি পিঠা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া। আমার তরফ থেকে আন্টির জন্য শুভকামনা রইল।
এই পিঠাটি আমি আগে কখনো খাইনি তবে তেলে ভেজে খেয়েছি। এভাবে দুধে ডুবিয়ে খাইনি মনে হচ্ছে তেলের ভিতরে দেওয়ার পরে একেবারে ফুলে উঠেছে দেখতে খুব লোভনীয় লাগছে ।খেতেও মনে হয় অনেক মজা লাগবে পিঠাটি। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আমি এই পিঠাটি একদিন অবশ্যই ট্রাই করব। ধন্যবাদ ভাইয়া মজার একটি পিঠার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এই পিঠাগুলো এমনি খাওয়া যায়। তবে দুধের সিরাতে দিলে খেতে অনেক মজা লাগে।
শীতকাল এলেই গ্রামে এক অন্যরকম উৎসব শুরু হয়। সকলের ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা তৈরীর উৎসব। আসলে এই উৎসব শুধু গ্রামে গেলেই অনুভব করা যায়। তবে আপনি যেহেতু এবার গ্রামে যাননি তাই বাসায় পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করেছেন। আসলে মায়ের হাতের পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। মায়ের হাতের পিঠার স্বাদ অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। মায়ের কাছে বায়না ধরার কথা শুনে আমারও অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল ভাইয়া। আমিও মাঝে মাঝে বায়না ধরি আমার প্রিয় পিঠাগুলো তৈরি করার জন্য। আপনার মা অর্থাৎ আমাদের আন্টি অনেক মজাদার "রসভরি পিঠা" তৈরি করেছেন। পিঠা তৈরীর প্রক্রিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমারও ইচ্ছা করছে আন্টির হাতের পিঠা খাওয়ার। অনেক লোভনীয় একটি পিঠা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং আন্টির হাতের মজার পিঠা তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এ জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া।
আমরা অনেকের হাতেই তো পিঠা খেয়ে থাকি কিন্তু মায়ের হাতের পিঠা যে এত স্বাদ সেটা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আর আপনার আম্মু যে পিঠাটি তৈরি করলেন তা দেখে সত্যিই খুব লোভ লাগছে। মনে হচ্ছে যদি একটু খেতে পারতাম। রসে ভরা পিঠা খেতে আহা! কি মজা লাগে। আর এই মজার পিঠাটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনার রসভরি পিঠা রেসিপি দেখে পিঠা খাবার ইচ্ছা জেগে উঠলো ছোটবেলায় এরকম মায়ের হাতে বানানো অনেক মজার পিঠা খেয়েছি। এ ধরনের পিঠাকে আমাদের এলাকায় দুধ পিঠা বলা হয়ে থাক। পিঠাগুলো খেতে খুব মজার হয় কিন্তু আমরা ডিম ব্যবহার করি না ডিম দেয়াতে আপনার পিঠার স্বাদটা একটু বেশি হবে মনে হচ্ছে। এভাবে খেয়ে দেখতে হবে রসভরি পিঠা তৈরির রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
অঞ্চলভেদে একই জিনিসের বিভিন্ন নাম হয়। আপনাদের এলাকায় দুধ পিঠা বলে কিন্তু আমরা সাধারণত রসভরি বলি।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
এই পিঠাগুলো খুবই মজাদার দুধ দিয়ে ভিজেয়ে দিলে স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আমাদের বাসায় মাঝে মাঝে বানানো হয়। আপনার রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করে। এই রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আন্টির জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল আল্লাহ তাকে আরো শক্তি এবং হায়াত বাড়িয়ে দিক।
আমিন।
আসলেই এই পিঠা গুলো খেতে খুবই মজা। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।