" মূল্যহীন অথচ অমূল্য" পুরনো কিছু কয়েন।
আজ - ১২ই কার্তিক ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |বৃহস্পতিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে আমার পুরনো কয়েন সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করব।
এইতো কয়েকদিন আগে বাসায়র সে পুরনো আলমারিটা পরিষ্কার করতে গিয়ে পুরনো অনেক কিছুইখুঁজে পেলাম। আর এসব জিনিস গুলো দেখে পুরনো স্মৃতিগুলো যেন চোখের সামনে ভেসে উঠলো। পুরানো অনেক জিনিসই ছিল ওই আলমারিটাতে। কিন্তু একটি জিনিস দেখে আমার চোখ যেন আটকে গেল। অনেক পুরনো কিছু কয়েন এর একটি ব্যাগ খুঁজে পেলাম। আর এই কয়েন গুলো যে আমি নতুন দেখছি তা কিন্তু নয়। অনেক বছর আগেও দেখেছিলাম এই কয়েন গুলোকে। কিন্তু এই কয়েক বছর ধরে এগুলোর কথা একদমই মাথা থেকে যেন ছুটে গিয়েছিল। আর এখন এত বছর পর এই কয়েন গুলো কে দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। আর এই কয়েন গুলো কিন্তু আমার নয়, আমার আব্বুর জমানো কয়েন। আমার আব্বু কয়েন জামাতে খুব পছন্দ করতেন। তিনি আমাদের জন্য এইসব পুরনো কয়েন রেখেছেন যাতে আমরা এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এই সকল পুরানো কয়েন গুলো সম্পর্কে ধারণা রাখতে পারি।
এছাড়াও আমি আমার আব্বুকে ছোট বেলা থেকে দেখেছি বিভিন্ন পুরানো জিনিস সংগ্রহ করতে এবং অনেক কয়েন জমাতে। আমার মনে হয় না আমার আব্বু জীবনে কখনো কোন কয়েন খরচ করেছে। তিনি যখন যা কয়েন পেতেন তখন তাই জমিয়ে রাখতেন। যদিও এ ভালো অভ্যাসটি আমার মধ্যে এক দমই নেই। আমি হাজার চেষ্টার পরেও কখনো কোন কয়েন জমাতে পারেনি। আমার কাছে কেন জানি কয়েন গুলো হারিয়ে যেত। মাটির ব্যাংকে ও অনেকবার রাখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু কয়েকদিন পরে আমার আর ধৈর্য মানতো না। এক দুই সপ্তাহ জমানোর পর আমি ব্যাংকটি ভেঙে ফেলতাম এটি দেখার জন্য যে কতগুলা কয়েন হয়েছে।
ছবি বাংলাদেশের পুরনো কিছু কয়েন।
যাইহোক আপনার ছবিতে যে কয়েনগুলো দেখতে পাচ্ছেন ওই সব কয়েনগুলো সম্ভবত ১৮০০ থেকে ১৯০০ সালের দিকে। আর আমার এখানে প্রায় ৫ ধরনের কয়েন আছে। যেমনঃ ৫ পয়সার, ১০ পয়সার, ২৫ পয়সার, ৫০ পয়সার দুই ধরনের। আর এখানে ৫ পয়সার, ১০ পয়সার যে পয়সা গুলো আছে ওই পয়সা গুলো মূলত সিসা দিয়ে তৈরি। আর ওইসব কয়েন গুলো অনেক দিনের পুরনো হওয়ায় অনেক লেখাই মুছে গিয়েছে।আর বাস্তবে লেখা গুলো কিছুটা বোঝা গেলো ও ক্যামেরায় পুরোপুরি তা বোঝা যাচ্ছিল না।
তাই আর আলাদা আলাদা করে ছবি দিতে পারেনি। আমি চেয়েছিলাম একটা একটা করে কয়েনের ছবি দিয়ে এবং তার সাথে কয়েনগুলোর পরিচয় দিতে। কিন্তু সেটি তো আর পারলাম না। আর এইখানে যে কয়েন গুলো আছে ওগুলোর মধ্যে ৫০ পয়সার ব্যবহারটা আমি দেখেছি। আমার ছোট বেলায় দেখেছি কিছু লজেন্স পাওয়া যেত যেগুলোর দাম ছিল ৫০ পয়সা। আর অন্যায় সব কয়েন গুলো অর্থাৎ ৫, ১০,২৫ পয়সা এগুলোর ব্যবহার আমি কখনো দেখিনি। হয়তো আমাদের আব্বুদের আমলে এই কয়েন গুলার প্রচলন ছিল। যাইহোক এই কয়েন গুলো আমার কাছে অনেক স্পেশাল এবং মূল্যবান ও বটে। আমি সবসময় চেষ্টা করব এই কয়েন গুলোকে আমার কাছে যত্ন সহকারে রাখার। আর এইগুলোকে শুধুমাত্র কয়েন বললে ভুল হবে, এগুলো আমার কাছে পুরনো কিছু স্মৃতির মতো। কেননা আমার আব্বুর নিজে হাতে জমানো এই কয়েন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি কখনো পয়সা দেখিনি কিন্তু আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আটানা দিয়ে লজেন্স কিনে খেয়েছি। হলুদ জিলজিলে কাগজে মোড়ানো আট আনাতে চারটে লজেন্স দিতো। আমি চার আনা ও আটানার কয়েন দেখেছি কিন্তু কখনো পয়সার কয়েন গুলো দেখি নি। আমি আব্বুর কাছে শুনেছিলাম তার দাদারা নাকি এক টাকা দিয়ে ব্যাগ ভর্তি বাজার করে আনতো। ভাইয়া খুব সুন্দর একটি পোষ্ট তৈরি করেছেন আপনি। কয়েন গুলো দেখে আমার আব্বু ও দাদীর থেকে শোনা এইসব কয়েন নিয়ে অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ওয়াও ভাইয়া আপনার কয়েন গুলো দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। আপনি খুব সুন্দর করে এত পুরনো কয়েন সংগ্রহ করে রেখেছেন।। দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার পোস্টটা পড়ে পুরোনো দিনে ফিরে গেলাম।
বাহ অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন তো ভাইয়া। আপনার পোস্টটি দেখেই 5 পয়সা আর 10 পয়সা কে চিনে ফেলেছি। বাকিগুলো ঠিক মনে করতে পারছিনা, কারন অনেকদিন ধরে এই পয়সাগুলো দেখা হয়না।কেন যেন পাঁচ পয়সা আর দশ পয়সাকে বেশি আপন মনে হচ্ছে।আর এখন বাংলাদেশে কি কি পয়সার চল এখনোও রয়েছে তাও ঠিক মত বলতে পারবোনা।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া পুরনো কিছু স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
ভাইয়া আমার কাছে একটা আছে ফুলের মতো কয়েনটি। আব্বু ওইটা দেখিয়ে বলে এই পয়সা দিয়ে কত কি খেয়েছি আর তোরা হাজার টাকার নোট খুজছ। 😂
আপনার কাছে তো ভাইয়া অনেক বেশি আছি দেখছি।
আপনার বাবার মতন এই অভ্যাসটা আমার ও আছে ভাইয়া। আমার রুমেও এমন অনেক কয়েন রয়েছে যার মূল্য না থাকলেও আমিও অমূল্য রত্ন মনে করি। কিছু কিছু জিনিসের মূল্য আসলেই টাকা দিয়ে হয় না।
ভাইয়া আপনি অনেক স্মৃতি বিজড়িত একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আর সেটি হচ্ছে অমূল্য কিছু কয়েন নিয়ে। আমি জানিনা ভাই আপনার বয়স কত আর জানার চেষ্টা করছি না আপনি 50 পয়সার ব্যবহার দেখেছেন ঠিক আছে। আমি দেখেছি পাঁচ পয়সা থেকে 25,10 এগুলোর ব্যবহার দেখেছি। বাবার দেওয়া স্মৃতি এটা সত্যি অমূল্য একটা রতন। অনেক মানুষই আছে পুরাতন জিনিসের কদর বোঝে না। অথচ প্রতিটি মানুষকেই পুরনো দিনের স্মৃতিগুলো আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে হয়। আমরা বর্তমান যুগে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে যেভাবে ছুটছে সেই তুলনায় আমরা কি অতটা সুখী হচ্ছি। না। কারণ আগে মানুষের মধ্যে অভাব থাকলেও একজন আরেকজনের প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিল না। আমার স্মৃতি বিজড়িত একটা জিনিস ছিল। সেটা হচ্ছে আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি সবার ছোট ছিলাম আঁট ভাই-বোনের মধ্যে আমি একটা ঘড়ি পেয়েছিলাম বাবার। ঘড়ি টা এখনো আমার কাছে আছে কিন্তু অযত্নে পড়ে আছে। আপনার পোষ্টটি পড়ে মনে পড়ল এবং খুবই খারাপ লাগছে যে বাবার স্মৃতি টা আমি যত্ন নিতে পারেনি যথাযথভাবে। আমাদের সাথে এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
কিছু কিছু জিনিষ মূল্যহীন হয়েও মূল্যবান হয়। আপনার টাইটেল টা অনেক বেশি ভালো লাগছে আমার।
আমার কাছেও কিছু কয়েন সংগ্রহে ছিলো কিন্তু ভাগিনা ভাগনিরা সব নিয়ে গেছে।
আপনার আজকের পোস্টটা ও একদম অমূল্য ছিলো।
দাদা অসাধারণ অসাধারণ , এই কয়েন গুলু দেখে আমার ও ছোটবেলার অনেক কথা মনে পরে গেলো , যা সত্যি দারুন লেগেছে আমার , আপনার বাবা অনেক সৌখিন মানুষ ছিল ,যেটা আমি বুঝতে পারলাম। এই কয়েন গুলু দিয়ে কত খেলেছি। এই কয়েন গুলু দেখে যে কতটা ভালোলাগা কাজ করছে দাদা বলে বুঝতে পারবোনা ,অনেক ধন্যবাদ দাদা ছোট বেলার স্মৃতি গুলু মনে করে দেয়ার জন্যে।