ফেরিওয়ালাদের নিয়ে আমার কিছু মতামত। (ছোটবেলা একটি মজার ঘটন)
আজ - ১০ই অগ্রাহায়ণ ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ |বৃহস্পতিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
যাইহোক সবথেকে সুখের সংবাদ হলো এটাই যে, দিনে দিনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত লোকের সংখ্যা কমে আসছে। আশা করছি কোন একসময়ে এ ভাইরাসের নামটি আমাদের মধ্যে থেকে হারিয়ে যাবে। যদিও এই নামটি হারিয়ে যায় কিন্তু এই মহামারীর কারণে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়া হারানোর মানুষগুলোকে কি কখনোই ভুলা যাবে? আর এই মহামারীর কারণে যে শুধুমাত্র স্বজনহারা কষ্ট ভোগ করতে হয়েছে তা কিন্তু নয়। অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সম্মুখীন হতে হয়েছে। অনেক মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারদেরকে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যেতে হয়েছে শুধুমাত্র জীবিকা নির্বাহের জন্য।
এ মহামারীতে সাধারণ মানুষ গুলোর তুলনায় নিম্নবিত্তের মানুষগুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর তেমনই এক নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষ ফেরিওয়ালাদের নিয়ে আমার আজকের আলোচনা। আর আলোচনা শুরুর আগে একটি কথা বলে রাখি। আপনারা হয়তো ভাববেন আমি হঠাৎ করে কেন এই মহামারী নিয়ে কথা বলছি। আসলে এই সিজনটাতেই কিন্তু আমাদের পৃথিবীতে এই মহামারীর আগমন ঘটেছিল।
শহর কিংবা গ্রামের রাস্তা গুলোর মধ্যে অতি পরিচিত একটি মুখ হচ্ছে ফেরিওয়ালা। তারা তাদের ভ্যানে করে বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি করে। একজন ফেরিওয়ালা কখনোই কোনো একটি নির্দিষ্ট পণ্য বিক্রি করে না। সময়োপযোগী পণ্যই তারা বিক্রি করে। যেকোনো সময় দেখবেন দোকান থেকে খুব কম দামেই তারা পণ্য সামগ্রী বিক্রি করে থাকে। যখন এই পৃথিবীতে করোনাভাইরাস এর আগমন ঘটে তখন এই ফেরিওয়ালাদের যেন দুবেলা-দুমুঠো খেয়ে পড়ে বাচাঁটা অনেক কষ্টের হয়ে যায়।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে এই ফেরিওয়ালা নিয়ে আমার ছেলেবেলা একটি মজার ঘটনা আছে।
আমি আমার ছোটবেলার কিছুটা সময় গ্রামে কাটিয়েছি। আমাদের গ্রামের বাড়িটা ছিল মেইন শহরের দিকে । আর আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল বড় রাস্তা। তাই সর্বক্ষণই ফেরিওয়ালাদের যাতায়াত ছিল। আর আমি ফেরিওয়ালা দেখলেই বায়না করে বসে থাকতাম কিছু না কিছু কিনে দেওয়ার জন্য। আম্মু এই বিষয়টা নিয়ে খুব রাগারাগি করতো এমনকি মাইরও দিতে প্রচুর। কিন্তু তাতেও আমার এই বাইনার কোনো পরিবর্তন আসেনি। আসলে আমার এত সুন্দর সুন্দর খেলনা বেলুন এগুলো দেখলে হুশ থাকতো না। সব কিনে নিয়ে আসতে ইচ্ছা করত। একদিন দুপুরের দিকে বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে ছিল। আর আমি উঠানে বসে খেলা করছিলাম। আর ওই সময় রাস্তার পাশ দিয়ে ফেরিওয়ালা চিৎকার করতে করতে যাচ্ছিল। আর আমি এটা দেখে দৌড়ে ফেরিওয়ালা কাছে গিয়েছিলাম। ওই ফেরিওয়ালা টি মূলত মূলত কটকটি বিক্রি করছিল। আপনাদের কাছে হয়তো এ কটকটি নামটা অপরিচিত লাগতে পারে। আসলে এটির শুদ্ধ বা সঠিক নামটি আমার জানা নেই। তবে কটকটি গুলো দেখতে কিছুটা মিঠার মত শক্ত শক্ত বেশ মজা খেতে কেটে কেটে দেওয়া হয়। ওখানে গিয়ে দেখছি আমার মত অনেক ছেলেপেলে এসে হাজির ওই ফেরিওয়ালাটির কাছে। ফেরিওয়ালা টাকা ছাড়াও ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র জিনিস দিলেও এই মিঠা গুলো বিক্রি করে। আর এটা তো আমার জন্য বিরাট বড় সুযোগ কেননা আমার কাছে তো টাকা নেই। আর আম্মু তো ঘুমাচ্ছে এছাড়াও আম্মুকে বললাম টাকা দিবে না। যাইহোক, দৌড়ে বাড়ি গেলাম জিনিসপত্র আনার জন্য।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
প্রথমে চোখ গেল দাদার পিতলের সেই সুরতা অর্থাৎ সুপারি কাটার যন্ত্রটির উপর । আর রান্নাঘর থেকে কিছু পাতিল, আর মুরগির টং এর জন্য রাখা টিন গুলো। এই তিনটি জিনিস নিয়ে দৌড়ে ছুটে গেলাম ফেরিওয়ালাটির কাছে। আর এই জিনিসগুলো পেয়ে ফেরিওয়ালা অনেক খুশি। সে আমাকে বেশ অনেকগুলো মিঠা দিল । আর আমিও এগুলো পেয়ে বেজায় খুশি। এরপর আম্মু যখন জানতে পারল যে এসব জিনিস গুলো ফেরিওয়ালার কাছে দিয়ে দিয়েছি। তখন প্রচুর বকা ও মাইর দিয়েছে। আসলে তখনতো খুব ছোট ছিলাম তা বুঝতাম না ওসব জিনিস গুলোর মূল্য কতটুকু। যাইহোক ওইসব মার এবং বকা শোনার পর ও আমি কিন্তু শোধরায়নি। এরপর অনেক বার এই রকম কাণ্ড ঘটিয়েছে। আর আম্মু এসব নিয়ে আমার উপর খুবই বিরক্ত, কেননা আম্মু দেখছে কোন কিছুতেই কোন কিছু হচ্ছে না। আর এই ব্যাপারটা যখন আব্বুকে বলা হয় আব্বু তখন আমাকে বলে ওরা ছেলে ধরতে আসে তুমি যখন একা যাবে তখন ওরা বস্তা ভরে তোমাকে ধরে নিয়ে যাবে। আর এসব শুনে আমি অনেক ভয় পেয়েছিলাম তখন। তাই আর কখনো ভয়ে ফেরিওয়ালাদের কাছে যেতাম না। এরকম অনেক ছোটখাটো অনেক ঘটনা আছে ছোটবেলার ।
আসলে আমি ছোটবেলায় জানতাম যে ফেরিওয়ালা মানেই হচ্ছে সেগুলো যারা বেলুন বিক্রি করে কিংবা খেলা বিক্রি করে তারা। কিন্তু এখন বুঝতে পারছি এসবএর বাহিরেও অনেক ফেরিওয়ালা আছে।
তো আজ এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমার একটাই আফসোস যে আমি এই কটকটি জিনিসটি খেতে পারিনি। আসলে এই কটকটি আমিও অনেক শুনেছি আমার চাচাতো বড় ভাই আপুরা বলতো যে ওরা কটকটি কিনে খেয়েছে। তবে আমি গ্রামে যাওয়ার পর যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে বিভিন্ন জিনিসপত্র দিয়ে নারিকেলের আইসক্রিম বিক্রি করতো যা আমার কাছে এখনও অন্য কোন আইসক্রিমের মতো লাগে না। আসলে ওই আইসক্রিমের মতো মজা আমি আজ পর্যন্ত কোনো আইসক্রিম এই পাইনি।আমি তখন জানতাম না যে তাদের ফেরিওয়ালা বলে। আমার অভিজ্ঞতা কিছুটা আপনার মতই। আপনার আজকের লিখাটি পড়ে ভালো লাগলো।
কটকটি এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে আমাদের ছোটবেলার টাতে এই কটকটির প্রচুর প্রচলন ছিল । আর হ্যাঁ নারকেলের আইসক্রিম প্রচুর খেয়েছি ছোটবেলায়।
ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পোষ্টটি পড়ে ছোটবেলার সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কটকটি কিনে খাওয়ার ঘটনা আমার খুবই ভালো লেগেছে। ছোটবেলায় আমিও মাঝে মাঝে নতুন নতুন জিনিস নিয়ে গিয়ে ফেরিওয়ালাকে দিয়ে কটকটি কিনে খেতাম। এজন্য মায়ের হাতের মার খেতাম অনেক। সত্যি কথা বলতে ফেরিওয়ালা গুলো দেখলে এখনো সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে। আমি একদিন আমার মায়ের নতুন একটা পাতিল নিয়ে কটকটি ওয়ালাকে দিয়েছিলাম এরপর মা যখন পাতিল খুঁজছিল তখন আমি ভয়ে দৌড়ে পালিয়ে ছিলাম। আপনার পোষ্টটি পড়ে কেন জানি সেই পুরনো স্মৃতি গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পুরনো স্মৃতির সাথে সাথে আমার নিজের কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Please consider to approve our witness 👇
Come and visit Italy Community
মহামারীতে দিনমুজুড়রা খুব কষ্ট করে তাদের দিন গুলো পার করেছেন। তাদের মধ্যে এসব ফেরিওয়ালা তো রয়েছেই। যদিও অনেক কষ্টের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস। কয়েকদিন আগে দেখলাম নিউজে এই করোনায় আপাতত মৃত্যুর সংখ্যা নেই বললেই চলে। এসব ফেরিওয়ালারা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদিও অনেক মানুষরাই তাদের এই গুরুত্ব বোঝেনা। কটকটি খাবারের নাম টি আমি আমার আম্মুর মুখে শুনেছিলাম প্রথম। পরে একদিন আব্বু এই খাবারটি এনেছিলো বাসায় ভালই লেগেছে আমার কাছে। আজকের লিখাটি অনেক ভাল ছিল ভাইয়া। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আমিতো ভাবছি আপনারা কটকটি নামটা হয়তো চিনবেন না। কিন্তু দেখছে তা না আপনারা অনেকেই এ নামটি জানেন।
যাইহোক খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
এই ফেরিওয়ালা নিয়ে আমার ছোটবেলার একটি মজার ঘটনা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় আমি একটা ব্যাপার খেয়াল করতাম ফেরিওয়ালারা শুধুমাত্র দুপুরের দিকে আসতো বেশি। আর আমিও প্রতিদিন ফেরিওয়ালাদের আশায় বসে থাকতাম কখন তারা আসবে আর কখন তাদের কাছ থেকে বাদাম ভাজা, ঝুরিভাজা, দিলখোশ, শোনপাপড়ি কিনে খাবো। বেশিরভাগ দিনই আম্মু এইসব খাবার কিনে খাওয়াটা পছন্দ করতেন না ,অনেক বকাবকি করতেন। আর আমি তখন বোলতাম আর খাবো না শুধু আজকেই কিনে দাও, তাহলে আমি আজকে দুই ঘন্টা বেশি পড়বো। আপনার পোষ্টটি পড়ে ফেরিওয়ালাদের নিয়ে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
আপনার ছোটবেলার খুব সুন্দর একটি মজার স্মৃতি শেয়ার করেছেন। পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমার ক্ষেত্রেও ঠিক এমনটাই হতো।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
সত্যিই ভাইয়া কারোর কোন তেমন কষ্ট এই মহামারিতে না হলেও। দিনমজুরদের কষ্ট যেন শেষ ছিল না। তারা যে এই মহামারিতে কিভাবে দিন কাটিয়েছে শুধু তারাই জানে। দিনশেষে যাদের কষ্ট বা জার কষ্ট সেই শুধু বুঝে কষ্ট টা কি। ফেরিওয়ালা অনেক পরিচিত একটি মুখ। অবশেষে আপনার মত আমি অনেক শয়তানি করেছি ছোটবেলায় এই কটকটি খাওয়ার জন্য। তবে এর সবচেয়ে এই অনুচ্ছেদের মধ্যে ভাল লেগেছে আপনার বাবা যখন আপনাকে বলেছে যে ওরা ছেলে ধরা আসলে আপনাকে তুলে নিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল অনুচ্ছেদ টি। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার মূল্যবান বক্তব্য আমাদের সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
আমাদের সবার ছোটবেলাটা অনেক সুন্দর ও দুষ্টামিতে ভরপুর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর মতামতের জন্য।
হাহাহা,ভাইয়া আপনি তো দেখছি পুরো ঘরই ফেরিওয়ালাকে দেয়ার চিন্তা করেছেন সেই কটকটির জন্য। আমি এই কটকটি চিনি,আমাদের এলাকায়ও প্রায় ফেরিওয়ালা যেত কটকটি নিয়ে। সেটার মজাই আলাদা। খুব মজার ছিল আপনার ছোটবেলার মূহুর্ত। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আমিতো ভাবছি কটকটি নামটা আপনারা কেউ কিনবেন না। কিন্তু দেখছি তা না আপনিও এটিকে চিনেন। আমাদের কার সময়ে কটকটি প্রচুর প্রচলন ছিল।
আমরা ছোট বেলায় দেখেছি, এখন আর নেই।
ভাইয়া আপনার গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে গল্পটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। কটকটির কথা মনে পড়ে গেল। আমি ছোট বেলাতেই গ্রামের দোকান থেকে এই কটকটি কিনে খেতাম। কটকটির কথাটা আজ মনে পড়ে গেল। সেই দিনগুলো অনেক আনন্দের ছিল। কটকটি খেতে অনেক মজা লাগে।
আসলেই ছোটবেলার মুহূর্তগুলো সবসময় অনেক মজার হয়। এখনো আমার ইচ্ছে করে কটকটি খেতে। কিন্তু এখন তো আর এটি পাওয়া যায় না।
হ্যাঁ ভাইটি মহামারীর কারণে অনেক মানুষ তার প্রিয়জনদের হারিয়েছেন এবং আসলেই মহামারী পুরো পৃথিবীটাকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছিল।মানুষের ভিতরে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়ে গেছিল। হ্যাঁ এখন ভাইরাস নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। এখন মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। হ্যাঁ দোকানে যেগুলো অধিক দামে পাওয়া যায় সেগুলো ফেরিওয়ালার কাছে অনেক কম দামে পাওয়া যায়। এজন্য মানুষ ফেরিওয়ালা কাছ থেকে নেয়। কেনার মাধ্যমে তাদের দুবেলা-দুমুঠো খাবার জোটে অনেক কষ্টের সহিত অনেক ভাল বলছেন ভাইয়া। হ্যাঁ ভাইয়া আপনার মতোই ছিলো শৈশবকালে গ্রাম অঞ্চলে বিশেষ করে একটি ফেরিওয়ালার যখন আসতো তার কাছে অনেক জিনিসপত্র থাকত এবং মায়ের কাছে বায়না ধরতাম কিনার জন্য। এবং তাদের মুখে হাসি ফুটত একটি জিনিস কেনার মাধ্যমে। যাইহোক আপনি মিঠা খেয়েছেন তারপর আম্মুর কাছ থেকে ধোকা খেয়েছেন😅হ্যাঁ এমন কথা শোনা গেছে যে ছেলে ধরা এমনভাবে আসে এটা এক সময় শোনা গেছে।অনেক ভালো কথা লিখেছেন ফেরিওয়ালা সম্পর্কে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মতামতের জন্য।