বিষন্নতা আমাদের জীবনে ভাল কিছু বয়ে আনে না।
আজ - ১৯ই আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |সোমবার| শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে বিষন্নতা বিষয়ক আমার মতামত শেয়ার করব।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আজও আমি প্রতিবারের মত নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে। আজ আর কোন উপদেশ মূলক বাক্য নয়। তবে আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব আজ। আচ্ছা এতক্ষণে হয়তো আপনারা আজকে টপিকের বিষয়বস্তুতে টাইটেলে দেখে জেনে গিয়েছেন। তবুও আবার বলি আজকের টপিক এর বিষয়বস্তু হচ্ছে বিষন্নতা। যাই হোক আর ভূমিকা না বাড়িয়ে মূল আলোচনায় ফিরে আসি।
বিষন্নতা যেটিকে ইংরেজি ভাষায় ডিপ্রেশন বলে। আমরা আমাদের জীবনের নানা সময় নানা ঘটনার কারণে খুবই বিষণ্ণতায় ভুগি । আর এই বিষন্নতা আমাদের প্রত্যাহিক কর্মকাণ্ড থেকে শুরু করে সকল কিছুতেই বাধাগ্রস্ত করে। আর এর বিষন্নতার কারণ এ মনের উপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। যদিও এটি কোনো রোগ নয় তবে সব রোগের মহা রোগ এই বিষন্নতা। কেননা এ বিষন্নতার কারণে মানুষের মাঝে নানা রোগের জন্ম হয়।আর এর বিষন্নতার কারনে সবকিছুতে মানুষ যেন আস্থা হারিয়ে ফেলে। বিষন্নতা মানে হতাশা আর হতাশা মানে চিন্তা আর চিন্তা থেকে অনিদ্রার, মানসিক চাপ এই সবকিছু তৈরি হয়। সবকিছুতেই বিষণ্ণতাকে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে দায়ী করা যাই।
যেকোনো কাজের চিন্তা করে নেওয়াটা খারাপ কোন বিষয় নই। তবে অতিরিক্ত চিন্তা কখনোই আমাদের জন্য কাম্য নই। কেননা যে কোনকিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। এক কথার প্রসঙ্গে আপনাদের একটি উদাহরণ দিই, যেমন ধরেন ঘুম আমাদের শরীর ও মনের জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি বিষয়। চিকিৎসা শাস্ত্র অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির দিনে ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর প্রয়োজন। আর এই সময়ের থেকে যদি কেউ কম ঘুমায় তবে সেটি তার জন্য ক্ষতিকর। এখন আপনি যদি দিনে 10 থেকে 12 ঘণ্টা ঘুমান তবে সেটি শরীরের জন্য ভালো। কিন্তু যদি দিনে 20 থেকে 21 ঘণ্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন তবে সেটা আপনার শরীরের উপকারের বদলে অপকার করবে। তাই বলছি, কোন কিছুই মাত্রা অতিরিক্ত করা ঠিক নয়।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছে যারা ছোটখাটো যেকোনো বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে বিষন্নতা তৈরি করি। তারা অল্প কিছুতেই ভাবে যে তার দ্বারা হয়তো কোনো কাজ সম্ভব নয়। কেনই বা তার সাথে এসব ঘটনা ঘটছে ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর মনের মধ্যে এসব চিন্তা ভাবনা থেকেই নিজের অজান্তেই জন্ম হয় বিষন্নতার। বিষন্নতা থেকে সৃষ্টি হয় চিন্তা, চিন্তা থেকে সবকিছু। আর এর ফলে উল্লেখিত সমস্যাটি আর অন্যদিকে বিষন্নতা। এই দুই মিলে যেন আরও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করে। আমি মনে করি, এমন কোন বিষয় নিয়ে আমাদের বিষণ্ণতায় ভোগা উচিত না, যে বিষয়টি আমাদের হাতে নেই বা যে বিষয়টি আমরা চাইলেও পরিবর্তন করতে পারবো না। আমরা এমন সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে পারি যে বিষয়গুলো আমাদের দ্বারা পরিবর্তন করা সম্ভব বা মেধা, শ্রম অথবা যেকোনো কিছু দিয়ে আমরা বিষয়টিকে বা পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারব।
আজ এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর মনের মধ্যে সব আজেবাজে চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন। একটি কথা মনে রাখবেন যে সকল রোগের ওষুধ থাকলেও এই চিন্তার কোন ওষুধ ওষুধ নেই। আর বিষণ্নতা আমাদের জীবনে কখনোই কোনো সমস্যার সমাধান করতে পারে না বরং সমস্যা আরো বৃদ্ধি করে। নিজের মন থেকে যথাসম্ভব হতাশা এবং বিষন্নতা দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
ভাইয়া আপনি ঠিক বলেছেন। বিষন্নতা নিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। আসলে বিষন্নতা জীবনে কোনো সফলতা বয়ে আনতে পারে না। বরং বিষন্নতা মানুষকে কুরে কুরে খায়। ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলো নিয়ে ভেবে বিষন্ন না হয়ে ভবিষ্যতের জন্য চিন্তা করা উচিত। যাই হোক অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাই। ধন্যবাদ আপনাকে।
এই কথাটার সাথে আমি একদম পুরোপুরি সহমত। কারণ সামান্য কোন বিষয় নিয়ে যদি মানুষ অতিরিক্ত বিষন্ন ভাব নিয়ে থাকে। তাহলে সেটি খুবই জটিল ধারণ করে। আর তাই আমার মতে মানুষকে এড়িয়ে চলাই ভালো।
এতে করে সে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবে এবং প্রতিটা ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করবে। আর তাই আপনার পোষ্টটি পড়ে এটি বুঝতে পারলাম। বাস্তবিক একটা চিন্তাধারা আপনি এখানে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এর জন্য আপনাকে।
বিষন্নতা কখনই কোনভাবেই কোন ভালো কিছু বয়ে আনতে পারবেনা।
এটা আপনি একদম সঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া।
আসলে বিষণ্নতা মানুষকে কুড়ে কুড়ে খায়! মানুষের ভালো দিকটা কেও নষ্ট করে দেয়!
ভাইয়া আপনার পুরো লেখাটা খুব মনোযোগ দিয়ে পড়লাম। খুব সুন্দর ভাবে বিষন্নতা সম্পর্কে লিখেছেন। সত্যি মানুষের জীবনে চিন্তা আর সেই চিন্তা থেকে বিষন্নতার সৃষ্টি। আর যার মধ্যে বিষন্নতা কাজ করে সে কখনো ভালো কিছু করতে পারে না। আমাদের সবারই উচিত এই চিন্তা ও বিষন্নতা মন থেকে দূর করে খারাপ সময় গুলোকে আপন করে নিয়ে ভালো থাকা ও মনকে সবসময় আনন্দে রাখা। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
বিষন্নতাকে কেন্দ্র করে আপনি খুব সুন্দর একটি পোস্ট তৈরী করেছেন। বিষন্নতা কখনোই জীবনে সফলতা বয়ে আনতে পারে না। আমরা যখন সফলতা অর্জনে ব্যর্থ হই তখন বিষণ্নতা আমাদেরকে কুরে কুরে খায়। আর আমরা যদি বিষণ্ণতাকে কাটিয়ে উঠে নতুন পথের সন্ধানে এগিয়ে যাই তবে জীবনের সফলতা অর্জন করতে পারবো।
মেধা শ্রম দিয়ে আমরা বিষন্নতাকে কাটিয়ে উঠতে পারব এটা অনেক চমৎকার একটি কথা। বিষন্নতা কেবল যে আমাদের জীবনের জন্য ক্ষতিকর তা নয় বরং এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কারণ আমরা বিষন্ন থাকলে আমরা আস্তে আস্তে আমাদের সুস্বাস্থ্য কে হারাতে থাকব। সব সময় হাসিখুশি প্রাণখুলে থাকার মধ্যে শারীরিক ভালো থাকার ব্যাপারও জড়িত রয়েছে।
আমাদের মাঝে যদি আবার পড়তে থাকে যে আমি যে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আছি এই মুহূর্তে আমার সুন্দর কাটাতে চাই তাহলে বিষণ্নতা আমাদের স্পর্শ করতে পারবে না। আমাদের চিন্তাধারা এমনই হওয়া দরকার কিন্তু তা না করে আমরা অতীত নিয়ে পড়ে থাকে অতীত আমাদের কখনো আনন্দ এবং ভালো কিছু দিতে পারে না, বিষন্নতার যত কারণ তা খুঁজে বের করতে হবে এবং সেখান থেকে পরিত্রাণের জন্য নিজের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হবে।
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক ভাল কিছু কথা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
বিষন্নতা চলার গতিতে বাধাগ্রস্থ করে,ফলে জীবন চলা ব্যহত হয়।যাইহোক অনেক ভালো একটি পোস্ট করেছেন,সেজন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
অনেক সুন্দর ভাবে বিষন্নতা বিষয় রচনাটি লিখেছেন।আর রচনাটা পড়ে আমার অনেক ভালো লাগলে ভাইয়া।বিষন্নতা কারো জীবনে ভালো কিছু বয়ে নিয়ে আসে না।তবে আমাদের উচিত বিষন্নতা কাটিয়ে উঠিয়ে নতুন পথে চলার সন্ধান করা।এতে সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।