গাব মাখা খাওয়ার মুহূর্ত।
আজ - ১লা আষাঢ় |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
যাইহোক, আজ মূলত এসেছি গ্রামে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনার সাথে শেয়ার করতে। আপনাদেরকে বলেছিলাম আমার গ্রামে বাড়িতে যাওয়ার সে বিষয়টি। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেও বেশ মজা করেছি সেখানে ।
গাছে গাছে ধরে আছে গ্রীষ্মের নানা ধরনের ফল। গাছে ধরে থাকা ফলগুলো দেখলে যেন চোখের অন্যরকম একটা শান্তি কাজ করে। শহরে তো এই ধরনের দৃশ্য খুব একটা দেখা যায় না। আর আমাদের প্রতিবার গ্রামে যাওয়া হয় শীতে তাই
সে সিজনে সচারচর গাছে খুব একটা ফল থাকে না। শীতকালে আসলে ফলের সিজনে তুলনায় সবজি সিজন সব থেকে বেশি থাকে। আর অন্যদিকে গ্রীষ্মকালে সব থেকে বেশি ফল পাওয়ার যায়। তাই গ্রীষ্মকালের আরেক নাম হচ্ছে মধুমাস। আর আমাদের এই সিজনটাতে খুব কম গ্রামে যাওয়া হয়েছে তাই গ্রীষ্মের এই ফলগুলো বেশিরভাগ সময় নিজের চোখে এত কাছ থেকে দেখা হয়নি।
যাইহোক, প্রত্যেকটি ফল গাছে থোকায় থোকায় ফল ধরে থাকার এ বিষয়টি স্বচক্ষে দেখে খুবই ভালো লাগছিল। আমার খুবই পছন্দের একটি ফল হচ্ছে গাব। শহরে তো গাব খুব একটা পাওয়া যায় না। কিন্তু গ্রামে দেখলাম প্রত্যেকটি বাড়িতে গাছের গাছে এত গাব ধরে আছে যে কোন খাবার মানুষই নেই। কেউ চোখ তুলে তাকায় না পর্যন্ত এই গাব এর দিকে। কার গাব কে খায়! তবে আমার তো এই গাবের প্রতি অন্যরকম এক ভালোলাগা রয়েছে। একে তো এভাবে গাছে গাছে ধরে থাকা গাব গুলো সে সেটা আমার এত প্রিয় ফল দেখে আমি তো খুশিতে আটখানা।
আমাদের বাড়িতে বাগানে অনেক অনেক গাব গাছ আর প্রত্যেকটা গাব গাছে অসম্ভব পরিমাণের গাব ধরে আছে। যদিও গাবগুলো বড় হয়েছে তবে এখনো কাঁচা, এখনো পাকার সময় হয়নি আরো বেশ কয়েক মাস পর গাবগুলো পেকে যাবে।
গাবগুলো দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেছে ছোটবেলায় গাবগুলো দিয়ে যে কত মাখা খেয়েছে তার কেন হিসাব নেই। পাকা গাবের তুলনায় কাচা গাব বেশি খাওয়া হত। আর কচি গাব ভেতরে থাকা ছোট ছোট সে বিচিগুলো ছিল আমার সবথেকে বেশি পছন্দের। অনেক বছর পর এ পছন্দের জিনিসগুলো আবার ফিরে পেয়ে সত্যিই খুব ভালো লাগছিল।
বড় একটি লাঠি নিয়ে গাব পাড়া শুরু করলাম গাছ থেকে। অসংখ্য গাছের ভিতরে কোন গাছ থেকে গাছ পারবো সেটাই চিন্তায় ছিলাম পরে আমার এক কাজিন সাজেস্ট করল কোন গাছের গাব গুলো ভালো সে গাছটা থেকে গাব পারলাম। অনেক প্রচেষ্টার পর কয়েকটা গাব পেরেছি। আমার কিন্তু বেশ ভালোই লাগছিল গাব গাছ গাবগুলো পারতে। অবশ্য এটা পারতে গিয়ে ন্যাকানি চোকানি খেতে হয়েছে অনেক। প্রতিবার গাছে বাড়ি দেওয়ার সাথে সাথে ময়লাও এসে পড়ছে আমার চোখে মুখে। এছাড়াও গাব ধারার কারণে হাতও চুলকাচ্ছিল প্রচুর।
এবার গাব মাখা আমার পালা। গাব পেড়ে দিয়েছি কিন্তু এবার মাখা করে খাওয়ানোর পালা কিন্তু মেয়ে সদস্যদের। দা, ছুরি, বঠি যা কিছু লাগে সব কিছু নিয়ে আমরা সকলে উঠানে বসে পড়লাম। আড্ডা দিতে দিতে ওখানে কেটে কুটে সকলে মিলে গাব মাখা তৈরি করে নিলাম। ঐদিন কিন্তু প্রচন্ড গরম ছিল আর ওই গরমের মধ্যে এই গাব মাখা খেতে অসম্ভব ভালো লেগেছিল। আর ওই গাব মাখাটা ও খেতে দারুন হয়েছিল।
যাইহোক এই ছিল আমার গ্রামে কাটানো সুন্দর একটি সময়। এখানেই বিদায় নিচ্ছি আজ। দেখা হবে পরবর্তী দিন অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ঠিকই বলেছেন আমরা যারা শহরে থাকি গাব বেশি একটা দেখাই যায় না। যখন ছোট ছিলাম। নানুর বাড়িতে দু-একবার খাওয়া হয়েছে। কাঁচা গাব আচার দিয়ে মেখে খাবার মজাটাই আলাদা। আপনার গাব মাখা দেখে খুব লোভনীয় লাগছে। এবং খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি গাব মেখে খাওয়ার মুহূর্ত আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
বেশ কিছু বছর আগে এই গাব খেয়েছিলাম ভাইয়া । তবুও ছিল সেটা পাকা গাব । কাঁচা গাব কখনো খাওয়া হয়নি । কাঁচা গাব যে মেখে খাওয়া যায় এটি আমার জানাই ছিল না ।আপনার কাছ থেকে নতুন একটি জিনিস জেনে নিলাম । বেশ ভালো লাগলো । খেতে মনে হয় বেশ ভালই লাগবে । এটি খেতে কেমন টক না মিষ্টি বুঝতে পারছি না । যাইহোক বেশ ভালো ছিল আপনার গ্রামে কাটানো মুহূর্ত গুলো ।ধন্যবাদ ।
গাবগুলো কাঁচা অবস্থায় অনেক কস থাকে। তবে পাতলা পাতলা করে কেটে তেঁতুল চিনি দিয়ে মাখা বানানোর পর টক মিষ্টি এক ধরনের টেস্ট আসে।
গাব ফল মাখানো কখনোই খাওয়ার ইচ্ছা হয়নি আমি। তবে আপনার গাব ফল মাখানো দেখে মনে হচ্ছে এরকম গাব ফল মাখানো খেতে খুবই মজাদার লাগে। এ ধরনের গাব হলে হাত চুলকায় এটা আমি অনেক আগে থেকেই জানি। যার কারণে গাব ফল খাওয়ার আগ্রহ কখনোই করিনা। তবে চেষ্টা করব আপনার এই পদ্ধতিতে আগামী দিনে গাব ফল মাখিয়ে খেতে।
অনেক ছোটবেলায় খেয়েছিলাম এই গাব ফলটি।তারপর এই গাব আর চোখেও দেখি নি।কাচাগাব যে এভাবে মেখে খাওয়া যায় তা জানা ছিল না। তবে রেসিপির পুরো প্রসেসটি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছিল। এটার স্বাদ যে কেমন হবে গাবফল এনে খেয়ে বুঝতে হবে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।