তিল থেকে তাল নয় তাল দিয়ে মিষ্টি তৈরি (তালের রসভরি তৈরির রেসিপি)।
আজ- ১১ই ভাদ্র |১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে তালের রস ভরি তৈরির রেসিপি শেয়ার করব।
ভাদ্র মাস কে বলা হয় তাল পাকার মাস। ভাদ্র মাসের এই প্রচণ্ড গরমেই মূলত তাল পাকে। আগে এক সময়ে এই ভাদ্র মাসে গ্রামগঞ্জের হাটগুলোতে পাকা তালের ঘ্রাণে ভরে থাকতো। তবে সেইদিন এখন আর কই। আমার মনে আছে ভাদ্র মাস আসলেই পাকা তাল দিয়ে পিঠা তৈরীর এক অন্যরকম আয়োজন শুরু হতো ঘরে ঘরে।
আমাদের গ্রামে তালতলি নামে একটি জায়গা ছিল ওখানে ভাদ্র মাসে তাল পাকা সিজনে পাকা তাল দিয়ে এক ধরনের একটি মিষ্টি তৈরি করা হতো। ঐ মিষ্টির স্বাদ এখনও যেন আমার জিভে লেগে আছে। এতোটা মজার ছিল মিষ্টিগুলো যা বলার মতো না। এখন অবশ্য গ্রামে এ মিষ্টিগুলো আর পাওয়া যায় না।
যাই হোক, এই তালপাকার মৌসুমে তাল না খেলে কি চলে। তাই তো আজ আমি হাজির হয়েছি আপনার সাথে আমার খুবই পছন্দের একটি তালের পিঠা রেসিপি নিয়ে।
তাল তো দিয়ে অনেক পিঠা তৈরি করা যায়। তবে তাল দিয়ে এইপিঠটি আমার খুবই পছন্দের এবং পিঠাটি তৈরি করতে খুবই সহজ। ঘরে থাকা মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে খুব সহজে এই পিঠা তৈরি করা যায়। আপনারা চাইলে এভাবে পিঠাটি তৈরি করতে পারেন আশা করছি আপনাদের খুব ভাল লাগবে খেতে।
তো চলুন রেসিপি শুরু করি -
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- তাল।
- চিনি।
- লবণ।
- তেল।
- চালের গুড়া ।
- লেবু।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে একটি তাল নিয়ে নিব এবং তলের খোসা ছাড়িয়ে এর পিউরি বের করে নিব ।
ধাপ-২ঃ
- এরপর তালের পিউরির মধ্যে চালের গুড়া, লবণ , চিনি, খাবার সোডা দিয়ে দিব।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর সবগুলো উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মেখে নিব ।
ধাপ-৪ঃ
- এরপর ছোট ছোট করে তেলের মধ্যে পিঠাগুলো কে ভেজে নিব।
ধাপ-৫ঃ
- পিঠা গুলো যখন কিছুটা লাল লাল হয়ে আসবে তখন পিঠাগুলোকে নামিয়ে নিব।
ধাপ-৬ঃ
- এরপর চিনির সিরাতে, ভেজে নাওয়া পিঠাগুলোকে দিয়ে দিব।
ধাপ-৭ঃ
- পিঠা গুলোকে চিনির সিরাতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে নেওয়ার পর উঠিয়ে নিব। বেশিক্ষণ ভিজিয়ে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই কেননা বেশিক্ষণ সিরাতে ভিজিয়ে রাখলো পিঠাগুলো নরম হয়ে উঠবে।
ধাপ-৮ঃ
- ব্যাস এভাবে তৈরি হয়ে গেল মজাদার তালের রসভরি।
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
কালার টা কি সুন্দর হয়েছে !! আমরা এই অবদি করেছি কিন্তু চিনির সিরাতে ভিজিয়ে করিনি। একটা নতুন আইডিয়া দারুন লাগল কিন্তু। ধন্যবাদ সুন্দর একটা আইডিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
তাল দিয়ে বড়া বানিয়ে খেয়েছি, তবে এভাবে রসডভরি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখতে তো খুবই লোভনীয় লাগছে খেতেও নিশ্চয় অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। অবশ্যই ট্রাই করব একদিন, দেখব খেতে কেমন লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তিল কে তাল বানানোই হলো বাঙ্গালীদের কাজ😀ভাইয়া আপনি খুব সুন্দর করে তালের মিষ্টি বানিয়েছেন, তালের বড়া তালের পিঠা খেয়েছি কিন্তু তালের মিষ্টি কখনো খাওয়া হয়নি।নতুন একটা রেসিপি শিখতে পারলাম, ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য।
তালের বড়া গুলো দেখে জিভে জল চলে আসলো। এ বছর এখন একবারও তালের ভরা খাওয়া হয়নি। আপনার তালের বড়া গুলো মনে হয় খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তালের বড়া খেতে অনেক ইচ্ছে করছে। একবার তৈরি করে খেতে হবে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আহা!! ভাইয়া কি রেসিপি দেখালেন, সুস্বাদু তালের রসভরি দেখেই তো ভীষণ খাওয়ার লোভ হচ্ছে। আমাদের এদিকে তালের এই রেসিপিকে রসভরি পিঠা বলে থাকে। খেতে খুবই দারুণ লাগে। তবে অনেকদিন হয়ে গেল এই তালের রস ভরি পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার পোস্টে দেখে খাওয়ার লোভটা জেগে বসলো। তাই খুব দ্রুতই চেষ্টা করব আপনার তৈরি রেসিপি অনুসরণ করে তালের রসোভরি পিঠাটি খাওয়ার জন্য। এত সুস্বাদু ও মজার একটি রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভাইয়া আপনার রেসিপি সাথে সাথে আপনার টাইটেলটিও আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনি তিলকে তাল না বানিয়ে তালকে বড়া বানিয়েছেন। আসলেই এই মৌসুমের তালের পিঠা খেতে না পারলে যেন ভালই লাগে না। আমি তো প্রায় দুদিন পর পরই খেয়েছি কারণ আমাদের নিজেদের তালগাছে প্রতিদিনই প্রায় তাল পড়তো। খুবই মজা লাগে আমার কাছে তালের তৈরি যে কোন পিঠা অসাধারণ হয়েছে আপনার পিঠাগুলো।
আমাদের বাসায় একবারে চিনি দিয়ে তারপর ভাজে,তাহলে আর আলাদা করে চিনির সিরাতে ভিজানো লাগে না।পিঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
তালের পিঠা বরাবরই আমার খুবই খুবই ফেভারেট নিজে প্রস্তুত করিনি তবে মায়ের হাতের প্রস্তুত করা এই পিঠ া সিজন আসলে মাঝে মাঝেই খাওয়া হয়।। তবে আমাদের দিকে এই পিঠা প্রস্তুত করে কখনো ভিজিয়ে খেতে দেখেনি কারো আপনার এই প্রথম দেখলাম।। আপনার এরকম ভাবে প্রস্তুত করে খাওয়া দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে ভাবছি মাকে বলতে হবে খুব শীঘ্রই এভাবে প্রস্তুত করতে।। প্রস্তুত প্রণালী খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।।