নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলে চাহিদার সীমাবদ্ধ থাকাটা জরুরী।

কেমন আছেন সবাই আশা করি ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালই আছি। তবে খুবই ব্যস্ত এবং ঝামেলার মধ্যে আছি। বাসাভর্তি মানুষজন। কোথাও বসে যে একটু নিরিবিলি মনোযোগ দিয়ে পোস্ট লেখার কাজ করব তারও কোনো উপায় নেই। এছাড়াও ঢাকা থেকে আসার পর জার্নিতে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে আছি। আর আমি জার্নি তেমন একটা করতে পারিনা। যদিও ঢাকার থেকে আসার সময় তেমন একটি খারাপ লাগেনি কিন্তু। কিন্তু চট্টগ্রাম থেকে ডিরেক্ট টাঙ্গাইল যাওয়ার সময় আমাদের সকলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছিলো। তাই আমি আপনাদের সাথে বিয়ের ব্লগ গুলো শেয়ার করতে পারেনি। আসলে সারারাত অরঘুমা এরপর এতদুর জার্নি করে সত্যি খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আর গত এক সপ্তাহ ধরে সত্যি সব কাজ গুলো এলোমেলো হয়ে গিয়েছে। এখন আস্তে আস্তে সবগুলো কাজকে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করছি। আর সেই লক্ষ্যে আমি আমার কাজের গতি দ্বিগুন বাড়িয়ে দিয়েছি।

যাই হোক কাজ তো কাজই জীবনে বেঁচে থাকতে হলে কাজ করতে হবে। আর সেই কাজ হোক জীবনের দৈনন্দিন কাজ অথবা জীবিকা নির্বাহের কাজ। এছাড়াও আমি মনে করি জীবিকা নির্বাহের জন্য আমরা বর্তমানে যে প্রফেশনে আছি এর থেকে সহজ কোন কাজ আছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সহজ কাজটিকে আরো সহজ করে ফেলার চেষ্টা করি। আমি এখানে কাজকে সহজ করা বলতে কাজে ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি কি বুঝিয়েছি। বাংলাতে একটি কথা আছে না যে - খাইতে দিলে শুইতে চাই। আমাদেরও ঠিক এমন অবস্থা। আমাদের এত সুযোগ সুবিধা থাকার পরেও আমরা আরো অনেক সুযোগ সুবিধা খুঁজে বেড়াই।

কিন্তু বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছে যারা শুধুমাত্র কোনমতে বেঁচে থাকার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা রোজগার করতে অনেক অনেক পরিশ্রম করে। অথচ সে তুলনায় আমাদের পরিশ্রম যৎসামান্য।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

আর একটি কথা আমি সবসময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সেটি হচ্ছে - নিজের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলে নিচের মানুষগুলোর দিকে তাকাতে হবে অর্থাৎ যারা আমাদের থেকে কষ্টে আছে অভাবে আছে তাদের দিকে। এতে কি হবে, আমরা আমাদের নিজেদের অবস্থান উপলব্ধি করতে পারব। আমরা বুঝতে পারবো যে আমরা কতটা সুখে আছি ভালো আছি।

কিন্তু আমরা যদি সবসময় উপরতলা মানুষগুলোকে দেখি অর্থাৎ যারা আমাদের থেকে ভালো অবস্থানে আছে তাদের দিকে, তখন আমরা নিজেদের মধ্যে হতাশা উপলব্ধি করতে পারব। কেননা আমরা তখন আমাদের জীবনের সাথে ঐ উচ্চ বিলাসী জীবনের না পাওয়া বিষয়গুলো খুঁজতে থাকি। এতে করে আমরা আমাদের পাওয়ার বিষয় গুলো কে বাদ দিয়ে না পাওয়া বিষয়গুলোকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলি। আর এতেই আমাদের মধ্যে চলে আসে হতাশা। কিন্তু উচিত ছিল আমাদের মধ্যে কি কি নেই সে বিষয়টি কে বাদ দিয়ে কি কি আছে সে বিষয়গুলোতে খেয়াল রাখার।

এছাড়া আমি মনে করি যার মধ্যে যত কম চাহিদা থাকবে সেটা তো সুখী হতে পারবে। কেননা যত বেশি চাহিদা তত বেশি না পাওয়ার কষ্ট পাও যায়। যদি মানুষের চাহিদার কোন শেষ নেই। এক চাহিদার শেষ হওয়ার পর আমাদের মধ্যে আরেকটি চাহিদা চলে আসে। আরএকটি বাস্তব সত্য কথা আছে সেটি হচ্ছে - যার যত বেশি আছে সে তো আরো বেশি চাই। তবুও বলবো নিজেদের মধ্যে চাহিদার সীমাবদ্ধ রাখাটা জরুরি।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।

এইতো এই ছিল আমার আজকের আলোচনা। যদি ও আজকের আলোচনাটি শুরু করেছি একটি টপিক নিয়ে আর শেষ করেছি অন্য টপিক দিয়ে৷ আসলে আজকে বুঝতে পারছিলাম না কি নিয়ে লিখব। কোন নির্দিষ্ট একটি টপিকে সিলেক্ট করতে পারছিলাম না। কি লিখবো কি লিখবো এমনটা আমার ভাবতে ভাবতেই অনেকটা সময় পার করে দিয়েছিলাম। পরে ভাবলাম মাথায় যেটাই আসে সেটাই লিখবে। তাই আজকের আলোচনা গুলো কেমন জানি খাপছাড়া হয়ে গিয়েছে। যাই হোক আজ এ পর্যন্তই সকলে ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন। পরবর্তীতে ভিন্ন কোন কিছু নিয়ে হাজির হব।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||