ঝাল মুড়ি রেসিপি।
আজ- ৯ জ্যৈষ্ঠ | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ভাবুনতো, বাহিরে প্রচণ্ড বৃষ্টি সাথে ঝমঝম শব্দ, হাতে এক কাপ গরম গরম চা এবং বেশ ঝাল দিয়ে ঝাল মুড়ি খেতে খেতে টিভি দেখা। কেমন লাগবে ব্যাপারটি।
ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশে ঝাঁজালো সরিষার তেল, পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ দিয়ে আচ্ছা করে মাখিয়ে ঝাল মুড়ি খেতে কেমন লাগবে। কি লোভ লাগছে তাইনা। আমারও খুব লোভ লাগছিল যখন এই ঝালমুড়ি খাওয়ার কথা মনে পরল। তাই আর কিছু না ভেবে বাসায় ঝাল মুড়ি বানিয়ে নিলাম। এবং ঝাল মুড়ি খেতে খেতে বাহিরে বৃষ্টি দেখা কিংবা পরিবারের সকলে মিলে একসাথে টিভি দেখতে দেখতে আড্ডা দেওয়া, সত্যি অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। আর এভাবে সময় কাটানোর মধ্যে দিয়ে বৃষ্টি বাদলের সময় বদ্ধ ঘরে বিকেলটা বেশ আনন্দের সাথে পার করা যায়। আর সবথেকে বড় কথা এই বৃষ্টি বাদলের দিনে ঝাল মুড়ি খাওয়ার আলাদা একটা মজা আছে। ।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচ ।
- লবণ।
- তেল।
- চানাচুর।
- মুড়ি ।
- টমেটো।
- লেবু।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
- প্রথমে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, ধনেপাতা ও টমেটো কুচি কুচি করে কেটে নিব।
ধাপ-২ঃ
- এরপর কুচি করে রাখা সবগুলো উপকরণকে একসাথে লবণ এবং লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেব।
ধাপ-৩ঃ
- এরপর এতে সরিষার তেল দিয়ে দিব এবং ভালোভাবে মেখে নিব।
ধাপ-৪ঃ
- এরপরের মধ্যে চানাচুর দিয়ে দিব এমন ভালোভাবে মাখিয়ে নেবে।
ধাপ-৫ঃ
- মাখানো হয়ে গেলে এর মধ্যে পরিমাণমতো মুড়ি দিয়ে দিব আবারো ভালোভাবে মাখিয়ে নিব।
ধাপ-৬ঃ
সকলকে ধন্যবাদ।
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
সত্যি বলতে ভাইয়া আমি ইদানিং যাবত সন্ধ্যার সময় বেশিরভাগ ঝাল মুড়ি খাচ্ছি। এখন আপনার পোস্ট দেখে বুঝতে পারছি না এটারও কি কোনো সিজন চলছে নাকি। হিহিহি 😁। ভালোই লাগে মুড়ি মাখানো খেতে। অনেক ধন্যবাদ এত লোভনীয় রেসিপি এত সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভাইয়া। মুড়ি মাখানো দেখেই সন্ধ্যার সময় খুব ক্ষুধা লেগে গেল। তাই বেশী কথা না বলি, ভালো থাকবেন সব সময়।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ঝাল মুড়ি আমার ভীষণ পছন্দের ভাই। আপনি ঠিক বলেছেন বৃষ্টির সময় যখন ঠান্ডা ঠান্ডা আবহাওয়া থাকে তখন যদি ঝাল মুড়ি মাখিয়ে খাওয়া যায় তাহলে কিন্তু ব্যাপারটা দারুন হয়। আমার বাসায় মাঝে মাঝে ঝাল মুড়ি তৈরি করে খাওয়া হয় কেননা সবাই ঝালমুড়ি পছন্দ করে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সহজেই আমাদের মাঝে ঝাল মুড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সামনে আসছে বর্ষাকাল যখন তখন নামবে অঝর ধারা বৃষ্টি তখন যেন ঝাল মুড়ির বিকল্প নেই। এমন দিনে তো বাইরে যাওয়ার ও উপায় থাকেনা তখন এমনিভাবে ঝালমুড়ি মেখে খেতে কার না ভাল লাগে।
ভাইয়া আপনার এই লেখাগুলো পড়েইতো ঝাল মুড়ি খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে গেল। যখন বাহিরে বৃষ্টি পড়ে তখন যদি ঝাল মুড়ি খাওয়া হয় এবং সবার সাথে আড্ডা দেওয়া হয় তাহলে খুবই ভালো লাগে। আর সাথে যদি এক কাপ গরম চা হয় তাহলে একেবারে জমে যাবে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আপনার অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তবে যাই হোক ঝাল মুড়ি রেসিপি দারুন হয়েছে ভাইয়া। আপনি অনেক সুন্দর করে এই রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। সময়োপযোগী একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো ভাইয়া। ❤️❤️❤️
মুড়ি চানাচুর মেশানোর আগে থেকে আমি চানাচুর খাওয়া শুরু করে দেই😁।
বর্ষার সময় ঝালমুড়ি খেতে খেতে সময় পার করা আসলেই খুব চমৎকার একটা ব্যাপার।খিচুড়ি হলে আর তো কথাই নেই।
শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য 🌸
অফিস থেকে প্রতিদিন বাসায় ফিরে বউয়ের হাতে ঝাল মুড়ি খেতে না পারলে মনে কোন যুক্তি আসে না ঝাল মুড়ি অনেক প্রিয়। আপনার মত আমিও বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কম্পিউটারে কাজ করি আর ঝাল মুড়ি বানিয়ে খাই। আসলে সময়টা ধারুণ উপভোগ্য। যার মধ্যে একজনের প্রশান্তি কাজ করে। ভাই আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভাল লেগেছে ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আমি কাচা পেঁয়াজ দিয়ে ঝাল মুড়ি খাই না।শুধু পেয়াজ ছাড়া খাই।বৃষ্টির সময় ঝাল মুড়ি খেতে বেশ ভালো লাগে।ভাইয়া ছবি দেখে বেশ খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার নামে মামলা হওয়া উচিত। এমন সুন্দর পরিবেশে ঝাল মুড়ি বানিয়ে একা একা খেলেন আর আমাদের দেখাচ্ছেন শুধু ছবি। এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা। বৃষ্টি বাদলার দিনে ঝাল মুড়ি না খেলে যেনো কিছু একটা অপূর্ণ থেকে যায়। ঝাল মুড়ি তৈরির একেবারে পারফেক্ট ফর্মুলা দিয়েছেন আপনি। ধন্যবাদ
ভাইয়া চোখ বন্ধ করে ভাবতে ভাবতে তো সেই আনন্দঘন মুহূর্তে চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এখন ঝাল মুড়ি পাই কোথায়। এই মুহূর্তে আমি বাড়ি থেকে অনেক দূরে অবস্থান করছি। সত্যিই এখন আমার ঝাল মুড়ি খেতে খুব ইচ্ছা করছে। তাই এখনই ঝাল মুড়ির বিকল্প হিসাবে ছোলা বুট মুড়ি ও চানাচুর মাখা খেয়ে ফেললাম। আমি যেখানে দাড়িঁয়ে কমেন্ট করছিলাম তার পাশে একটি দোকানে ছোলা বুট বিক্রি করে। তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম না লেখা বন্ধ করে শুরু কালাম খেয়ে আবার লিখছি। ভাইয়া আমিও আপনার মত বৃষ্টির দিনের মুহূর্তগুলো খুব উপভোগ করি। আমার বৃষ্টির দিনে চাউল ভাজা দিয়ে চা খেতেও আমার খুব ভালো লাগে।সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।