দেহ থেকে প্রাণ বের হলেই মানুষ অচল কেন?
আজ - ৮ ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভাল আছেন ।
চারিদিকে এত এত দুর্ঘটনার খবর পাচ্ছি যে, সবকিছুই যেনো কেমন এলোমেলো লাগছে । মাঝে মাঝে চিন্তা করি এসব দুর্ঘটনায় কোনটিতে যদি আমি থাকতাম, তাহলে অবস্থা টা কেমন হতো, এ যেমন ধরুন গতকালকেও ফেসবুকে দেখলাম ঢাকার কোথায় যেন আগুন লেগেছে । সত্যি বলতে আসলেই অনেক খারাপ লাগে যখন এসব দুর্ঘটনার নিউজগুলো দেখি , কারণ ওই দুর্ঘটনাটা আমার সাথেও হতে পারতো , তখন অবস্থা কি হতো । এসব ভেবে মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায় তাই এসব চিন্তা মাথায় আনি না । যাহোক আজকে অন্য একটি টপিক নিয়ে লেখার জন্য বসছি । এ সপ্তাহে জেনেরেল রাইটিং পোস্ট তেমন একটা করা হয় নি, তাই ভাবলাম আজকে আপনাদের সাথে আমার নিজের উপলব্ধি নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করি । আজকে আমার লিখার টপিক টি হচ্ছে
" দেখা থেকে প্রাণ বেরোলে মানুষ অচল কেন ? "
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে সত্যি বলতে আমরা মানব জাতিরা অনেক বড়ই অদ্ভুত। আমাদের আচরণ প্রতিনিয়ত প্রতি মিনিটে পাল্টে যায় । আজ আমাদের মন একরকম চাইছে তো কাল আরেক রকম । এটা আমাদের কোন দোষ নেই আল্লাহ আমাদের এভাবেই সৃষ্টি করেছেন । প্রতিনিয়ত নিজের ইচ্ছা এবং অকাংখা গুলো পরিবর্তিত হতে থাকে।
যেমন যে মানুষটিকে আজকে আমার প্রচন্ড ভালো লাগে, সে মানুষ টি কে কালকে ভালো নাও লাগতে পারে। যার জান্য আমি আজকে দিন রাত উজাড় করে দিচ্ছি, কাল হয়তো তার অনুপস্থিতি আমাকে বিন্দু পরিমাণও বিচলিত করবে না । হুম এটাই সত্য এবং এটাই বাস্তব।
আসলে আমদের মানুষের দেহে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাণ আছে ততক্ষণই পর্যন্ত আমরা সবার জন্য ভালো । যখনই আমাদের দেহ থেকে প্রাণটা চলে যাবে , তখনই আমাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই তোরজোড় শুরু করে দিবে আমাদের কবরস্থ করার জন্য । কারণ তখন যে আমাদের দেহের কোন দাম নেই । দেহ থেকে প্রাণ টা যে চলে গিয়েছে। এখন এই দেহ মুল্যহীন হয়েছে পড়েছে।
গতকাল পর্যন্ত যে সকল ভাই-বোনরা, আত্মীয়-স্বজনেরা, প্রিয়জনেরা আমাকে সব সময় কাছে রাখার চেষ্টা করত, দেহ থেকে প্রাণ চলে গেলে তারাই কাছে আসতে ভয় পাবে । কারণ আমি যে তখন একটা জড় পদার্থ হয়ে যাবো। যারা আমার সাথে সবসময় কথা বলতে চাই তো । রাতের আধারে তারা আমার কররস্থানে আসতে ভয় পাবে।
আসলেই ব্যাপার গুলো কতই না অদ্ভুত, তাই না । শুধু দেখা থেকে প্রাণ চলে গেলেই, মুহূর্তে ই সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায় । জীব থেকে আমরা জড় পদার্থ হয়ে যাই ।
সাথে আল্লাহতালার সৃষ্টি গুলো ও বড়ই অদ্ভুত, তার থেকে বেশি আশ্চর্য কর হচ্ছে আমাদের মানব জাতির কর্মকাণ্ডগুলো । আমার উপলব্ধি বা মতামত গুলো হয়তো অনেকের ভালো নাও লাগতে পারে । আমি চেষ্টা করে আমার মতামতগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। নিজের ভালোলাগা খারাপ লাগাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য । এটাই ছিল আমার আজকের উপলব্ধি বা মতামত।
আজ তাহলে এ পর্যন্তই সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও ভিন্ন কোন আলোচনা নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
জি ভাই দেহ থেকে প্রান চলে গেলে আসলেই কোনো দাম নেই৷ ধনি গরীব যাই হোক কেন ৷আত্নীয় স্বজন সবাই ব্যস্ত হয়ে যাবে সৎকার করার জন্য ৷ কারন তাদের কাছে আমার আর কোনো মূল্য নেই ৷ দিনশেষে তবুও মানুষ হিংসা বিদ্বেষ এসব কাজে লিপ্ত ৷ স্বার্থের জন্য প্রতিনিয়ত ছোটাছুটি ৷
যা হোক বর্তমান সময়ে দূর্ঘটনা অধিক হারে হচ্ছে যেটা সত্যিই দুঃখজনক ৷
দেহ থেকে প্রাণ বের হলেই মানুষ অচল এটা তো একদম খাঁটি কথা।দেহের দাম তখন নেই।যতক্ষন প্রান ততক্ষণই মানুষের দাম।তার চাইতেও বড় একটা সত্যি আপনি দেখবেন বেঁচে থেকে।আপনার টাকা-পয়সা আছে তো আপনার অনেক কদর করবে আপন জন,পাড়া প্রতিবেশী।আপনার টাকা নেই কদর ও নেই।এ এক আজব মন মানসিকতা মানব সমাজের।দূর্ঘটনার নিউজগুলো দেখলে আমার ও ভীষণ খারাপ লাগে।কষ্ট পাই ভেবে।আমার সাথে এমনটা হলে কি করতাম।
এরকম পোস্টগুলো পড়লে নিজের মনের মধ্যে নিজেকে বোঝার মত একটি মন মানসিকতা তৈরি হয়ে যায়। আপনি যথার্থ পূর্ণ কথা বলেছেন ভাইয়া আজকের পোস্টে, তোমাদের দেহে যতক্ষণ পর্যন্ত প্রাণ আছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা জীব কিন্তু প্রাণ বের হয়ে গেলেই আমরা পরিণত হয়ে যাই জড় বস্তুতে। যার ফলে যারা আমাদের সর্বদা তাদের কাছাকাছি রাখতে চাই তো বা সব সময় কথা বলতে চাইতো তারাই আমাদের নিকটে আসতে অনেক বেশি ভয় পাবে এবং আমার দেহটিকে খুব তাড়াতাড়ি নিষ্কাশন করার জন্য উঠে পড়ে লাগবে। আর এরকম অগ্নিকাণ্ডগুলো কিংবা হঠাৎ দুর্ঘটনা গুলো মনকে অনেক বেশি বিচলিত করে তোলে। যে আমি যদি ওই সময় ওখানে থাকতাম তাহলে আমি কি বেঁচে থাকতে পারতাম। আপনার পোষ্টের প্রতিটি কথার সাথে আমি সহমত প্রকাশ করছি ভাইয়া।
আপনার এই কথাটা পড়ার পর মূহুর্ত্তের মধ্যে আমার মধ্যে একটা অস্থিরতা শুরু হয়ে গেল। আমি আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না। গতকাল ঢাকার ডেমরায় আগুন লেগেছিল। আর সত্যি ভাই আমাদের প্রাণ চলে গেলে আমাদের অনেক আপনজনও আমাদের কাছে থাকতে চাই না। সত্যি কী অদ্ভুত। ঐটা ছাড়া আমাদের এই দেহটা শুধুমাত্র একটা জড় পদার্থ।
আসলেই ভাই, এই যে এতোকিছু দুনিয়ার জন্য দিনশেষে মারা গেলেই শেষ। এ পৃথিবীর মানুষ আর কতদিন মনে রাখবে। বলতে গেলে নিষ্ঠুর এক পৃথিবীতে বসবাস করছি। মারা গেলেই কবরে দেয়ায় ব্যস্ত হয়ে যায়। মানুষের উচিত এ ব্যাপারগুলো নিয়ে ভাবা, তাহলে খারাপ কোনো কাজে কেউ জড়াতো না।
আসলেই কিছু দিন ধরে এতো এতো দুর্ঘটনা ঘটছে যেগুলো কথা শুনে সত্যিই ভীষণ খারাপ লাগছে ৷ মানুষের জীবনের যেনো কোনো মূল্য নেই ৷ মুহূর্তে সব শেষ হতে পারে ৷ আর জীবনটা চলে গেলেই সব কিছুর থেকে পর আপনি ৷ কি অদ্ভুত নিয়ম , এসব কথা চিন্তা করলে আসলেই অবাক লাগে ৷ অদ্ভুত সব নিয়ম রহস্যময় দুনিয়ায়
রাজধানীর ডেমরার একটি বিল্ডিংয়ে আগুন লেগেছে এবং ডেমরা আমার বাসা থেকে মোটামুটি কাছাকাছি। যাইহোক চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। মাঝেমধ্যে মনে হয় যে এই পৃথিবীটা কিছুই নয়। আমরা একটু ভালো থাকার জন্য কতো আয়োজন করি,কতো পরিশ্রম করি,কিন্তু আমরা কিন্তু পৃথিবীতে দুই দিনের মেহমান মাত্র। আমাদের আপন মানুষগুলোও আমাদেরকে ভয় পাবে মারা যাওয়ার পর। হয়তো কেউ বছরে একদিনও যাবে না কবরস্থানে আমাকে দেখতে। তাই বেঁচে থাকতে বেশি বেশি নেক আমল করা উচিত আমাদের। যাতে করে পরকালে ভালো থাকা যায়। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।