ভোগান্তি।
আজ - ২৬ই, শ্রাবণ | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | বর্ষাকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ভোগান্তির সূত্রপাত সেই 2008 সালে। যখন আমার আম্মু প্রথমে এন আই ডি এর জন্য ফরম পূরণ করেন । 2008 সালে বাংলাদেশ সরকার সর্বপ্রথম এনআইডি সিস্টেম চালু করেন। এই এনআইডি রেজিস্ট্রেশন এর জন্য যখন সবার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ফরম পুরণ করা হয়। তখন আমার আম্মুর এন আই ডি ফর্ম পূরণ করে। আম্মুর আসল নামের জায়গায় ডাক না দিয়ে দেই। কেননা তখন এন আই ডি কি, কিনবা এটি কি কি কাজে লাগবে তা নিয়ে কেউ তেমন একটা ভাবত না, সোজা কথা তখন কেউ এটা নিয়ে গুরুত্ব দেই নি।
পরবর্তীতে এটা নিয়ে শুরু হয় এক, ভোগান্তির পর ভোগান্তির। যেটা পরবর্তীতে শুধুমাত্র আম্মুর ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ থাকেনি আমাদের ওপর ও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
কেননা আমার আম্মু এন আই ডি তে যে নাম দিয়েছিল, সেই নামই আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এর সার্টিফিকেটে দিয়েছি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত এটা নিয়ে কোন সমস্যা হয় নি কিন্তু, ২০১৭ সালে যখন আমার আব্বু মারা গেলে তখন ই আম্মুর এই নাম নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। এখানে বলে রাখি আমার আব্বু ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা, আমার আব্বু মারা যাওয়ার পর আব্বু যে পেনশন পেতেন সেটা আমার আম্মুর নামে ট্রান্সপার হয়। কিন্তু আমার আম্মুর কাবিন এ আরজিনিয়াল নেমটা দেওয়া থাকে, যেটা কিন ভোটার আই ডি কার্ডের নামের সাথে কোন মিল নেই। যার কারণে উনার পেনশন এপ্রুভ হই নাই, তাই বাধ্য হয়ে আম্মুর নাম সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হয় এবং দীর্ঘ ২ বছর অনেক ভোগান্তির পর আম্মুর কাবিনের সাথে ভোটার আই ডি কার্ডের নাম সেইম হয়। এবং আম্মুর পেনসন চালু হয়।
কিন্তু আম্মুর ভোগান্তি শেষ হলেও আমাকে পড়তে হয় আরেক বিড়ম্বনায়, কেননা আমি যখন আমার এন আই ডি করি তখন আমি আম্মুর আরজিনাল সঠিক নামটি ই দিই। কিন্তু আমার সকল একাডেমিক সার্টিফিকেটে আম্মুর ডাক নামটি লিখা থাকে, যেটা পুর্বে আম্মুর এন আই ডি কার্ডে দেওয়া ছিল। এখন আমার সার্টিফিকেট এর সাথে আমার এন আই ডির মাতার নামের আমিল হয়ে যাই।
তাই এখন আমাকে বাধ্য হয়ে আমার একাডেমিক সার্টিফিকেট এ মাতার নাম সংশোধনের আবেদন করতে হচ্ছে, আর সার্টিফিকেট এ যে কোন নাম সংশোধন যে কি পরিমান জামেলার আপনারা নিশ্চয় সে বিষয় এ জানেন। যদিও আমার থেকে সব লিগ্যাল ডুকমেন্টস আছে। তবুও মনে হয় না ৪-৫ মাসের আগে হবে।
গেল কয়েকদিন সার্টিফিকেট এর নাম সংশোধন নিয়েই ব্যস্ত আছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন যেন , আমার সার্টিফিকেট এ আম্মুর টা নাম টা তাড়াতাড়ি সংশোধন করে ফেলতে পারি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এন আই ডি কার্ডের ভোগান্তিতে আমিও অনেকদিন যাবতই ভুগছি। আমি আমার এন আই ডি কার্ড টা হারিয়ে ফেলার কারণে আজ ওমূল কপি পাইনি। আমি দোয়া করব যাতে আপনি আপনার এন আই ডি কার্ড তাড়াতড়ি সংশোধন করে হাতে আসে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আপনার ভোগান্তির অবসান হবে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
আমাদের এই সোনার বাংলাদেশ কখন যে কোন কাগজটি হীরার খন্ড বলে দাবী করে বসে তার নেই ঠিক । আমার জীবন পুরো উলটা পালটা করে দিয়েছে এমন এক টুকরা কাগজ । ২০১৪ তে যখন আমি এন আইডি করি তখন একে বারেই নগণ্য একটুকরা ডকোমেন্ট ছাড়া আর কিছুই ছিলনা তার স্বাক্ষ্য হিসেবে । কপালে ফের ছিল নাকি কে জানে । আমি যে শার্ট পরে ছবি উঠিয়েছিলাম কাগজটিও সেই শার্টের পকেটেই ছিল । বের করতে মনে নেই । আর আম্মু শার্ট টি কেঁচে ফেলেছে। তখন ই আমি পরিষদে খবর নিলাম যে কোন সমস্যা হবে কিনা । তারা বলল সমস্যা হবে না ।
এর দুই বছর পরেও আমি এন আইডি কার্ড হাতে পাইনি । এদিকে ডিপ্লোমা শেষ চাকরী আবেদন করতে গেলেই এন আইডি কার্ড প্রয়োজন । কোন অনলাইন কপিও তুলতে পারছিলাম না সেই কাগজটি নষ্ট হওয়ার কারণে । শেষে ২০১৮ তে এসে স্মার্ট কার্ড হাতে পেলাম । ততদিনে যা ক্ষতি হওয়ার হয়ে গেল । না হলো পড়াশোনা না হলো অন্য কিছু ।
এদেশে ভাল কিছু কখনই ভালো ভাবে হয়না । এটাই আফসোস ।
ভাইয়া আপনি যেন খুব তাড়াতাড়ি আপনার সার্টিফিকেটে মায়ের নাম পরিবর্তন করতে পারেন এই দোয়া করি। তবে এই কাজগুলো খুবই ঝামেলার। আমার আব্বু একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। আব্বু যখন কুমিল্লায় কর্মরত ছিলেন তখন আব্বু আম্মুর ভোটার আইডি কার্ড করা হয়েছে। কুমিল্লা সেনানিবাসের ঠিকানা অনুযায়ী তাদের ভোটার আইডি কার্ড করা হয়েছে। সেজন্য আব্বু আম্মুর ঠিকানার সাথে আমাদের ঠিকানার মিল নেই। জানিনা ভবিষ্যতে কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। যাইহোক ভাইয়া আপনি আপনার সমস্যা তাড়াতাড়ি কাটিয়ে উঠুন এই দোয়া করি।
সার্টিফিকেটে মায়ের নাম সংশোধনের জন্য আপনাকে প্রথমে ৩০০ টাকার স্ট্যাম্পে লটারি পাবলিকেশনে এফিডেভিট করতে হবে ভাইয়া। এরপর সংশোধনের জন্য কাজ করতে হবে। ভাইয়া আপনি যেন খুব শীঘ্রই আপনার সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারেন এই দোয়া করি। ভাইয়া আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ❤️❤️❤️
ভাইয়া সম্পুর্ণ ঘটনাটি পড়লাম ৷আপনি তো খুব জটিল সমস্যায় পড়েছেন ৷আসলে এই ঝামেলা গুলো খুবই বিরক্তি কর লাগে ৷
ভুলটা তখনি হয়েছিল যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে এন আই ডি কাজ করেছিল ৷তখনি যদি ভালো ভাবে করতো ৷তাহলে হয়তো বা আজ এই ঝামেলার সমুক্ষিন হতে হতো না ৷সর্বপরি আপনার সবকিছু যেন সমাধান হয় ৷এই কামনা
আসলে ভাই আপনি যে এই আপনার আম্মুর নাম নিয়ে খুবই ঝামেলায় আছেন বোঝাই যাচ্ছে। আসলে এটা বাংলাদেশ এখানে এইগুলো নিয়ে বেশী ঝামেলা পোহাতে হয়। আর অনেক সময় লাগে আর টাকা পয়সার ব্যাপারটা তো থাকেই। তবে এরকম ভোগান্তিতে কখনো পড়েনি তবে আল্লাহ কাছে দোয়া করি যেন না পড়ি এই দেশে বসে এরকম ভোগান্তিতে না পড়াই ভালো।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
একদম ঠিক বলেছেন ভাই সমস্যার সম্মুখীন অনেকেই হয়েছিল এখনো হচ্ছে। এই তো কয়েক মাস আগে আমার এক প্রতিবেশী তার ছেলের সরকারি চাকরি হয়েছিল। কিন্তু সার্টিফিকেট এবং এনআইডি কার্ডের নাম পার্থক্য থাকার কারণে কি ভোগান্তিটাই না ভুগলো। সেটা তো একটা সমস্যা ছিল কিন্তু আপনারটা তো উভয় দিকে। অনেক কষ্টে আন্টির নাম সংশোধন করতে পেরেছেন এটা খুব ভালো লাগার বিষয়। কিন্তু এখন অনেক বড় ভোগান্তি হবে আপনার সার্টিফিকেটের নাম গুলো সংশোধন করা। আসলে এটা অনেক বড় ঝামেলার কাজ। আশা করছি সমস্যার সমাধান খুব দ্রুতই করে নিতে পারবেন।
ভাইয়া, বর্তমানে আমাদের দেশে সার্টিফিকেট এবং জন্ম নিবন্ধনে নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়। পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হয়। আমি গত চার মাস আগে এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছিলাম। অনেক হয়রানি এবং কষ্টের পর আমি আমার নামের সংশোধনী করতে পেরেছিলাম। আমি দোয়া করি আপনি যেন আপনার মায়ের নামের সংশোধনটি খুব দ্রুত করতে পারেন।