হঠাৎ বিপদ।
আজ- ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, গ্রীষ্মকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
![blood-pressure-1584223_1280.jpg](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmNuiE5hbCT75k5QQtNst5vBVb7DSXn6KxcRUyYHuaaYSt/blood-pressure-1584223_1280.jpg)
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
ঝড় বৃষ্টি কিংবা যেকোনো দুর্যোগ যায় কিছু হোক না মানুষের অসুস্থতা যেন কোন কিছুকে আটকে রাখে না। কথায় আছে বিপদ হঠাৎ করে আসে, বিপদ কখনো কাউকে বলে কয়ে আসেনা। তেমনি ঐদিন ঝড় বৃষ্টির রাতে অনেক বড় একটি বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছে । আপনারা হয়তো সকলে জানেন যে, আমরা তিনজন কয়েকদিনের জন্য ট্যুরে গিয়েছিলাম। আর ওখান থেকে ওই দিনই ফিরেছিলাম যেদিন ঝড় বৃষ্টি এবং জলাবদ্ধতায় একেবারে যা তা অবস্থা হয়েছিল। বাসা থেকেই নিষেধ করছিল যাতে ঐদিন ফিরে না আসি তবে আমি কোন কিছু না ভেবে ওই দিনই ফিরে আশার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
বিকাল পাঁচটার বাসে উঠলাম রাত ৯ টা নাগাদ বাসায় এসে পৌছালাম। এদিকে আম্মু প্রচন্ড চিন্তা করছিল আমার জন্য কেননা মুষলধারে বৃষ্টি তার উপরে জলবদ্ধতা তাছাড়া আবার মোবাইলে চার্জ ছিল না তাই মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যার ফলে যোগাযোগটাও একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তবে আম্মুর অতিরিক্ত চিন্তার ফলে হঠাৎ করে শরীরটা খারাপ হয়ে যায়।
আর তার এতটা খারাপ হয়ে যাওয়া দেখে আমরা প্রত্যেকে একদম হতভম্ব হয়ে যায়। কি করব মুহূর্তে কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। বাসার সামনে কোমর পরিমাণ পানি তার ওপর গ্যারেজেও পানি উঠে গিয়েছে ওই পরিস্থিতি আম্মুর হঠাৎ করে এই অসুস্থতা দেখে আসলে নিজেকে নিজে মেন্টালি কোনভাবে স্ট্রং থাকতে পারছিলাম না। এ ঝড় বৃষ্টির রাতে কি করব কিছুই যেন মাথায় আসছিল না। পরবর্তীতে ফার্মেসি থেকে ডাক্তার এনে প্রেসার চেক করে দেখা যায় ব্লাড প্রেসার অনেক বেড়ে গিয়েছে । ফার্মাসি বলে দিয়েছেন প্রেসার কমাতে না পারলে জরুরী ভাবে উনাকে হসপিটালে নিয়ে যেতে। তা না হলে যেখানে মুহূর্তে একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
এরপর তেতুলের পানি এবং মেডিসিন খাওয়ার বেশ খানিকক্ষণ পর আম্মু কিছুটা স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে। এবং প্রেসারও নরমাল হয়ে ওঠে। আর তখন আমার মনে যেন কিছুটা স্বস্তি অনুভব হয়।
সব সময় আমাদের অসুস্থতা নিয়ে আমাদের মায়েরা কতটা চিন্তা করতে থাকে, আমাদের যত্নের প্রতি তারা কতটা সচেতন থাকে। অথচ নিজেদের অসুস্থতা গুলো কখনোই আমাদের সামনে প্রকাশ করে না। আমরা যখন অসুস্থ হয় তখন মায়ের যত্নে এবং ভালোবাসায় আমরা অনেকটাই সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু সেই মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সন্তানের দুনিয়াটা যেন অন্ধকার হয়ে যায়। সকলের জন্য দোয়া করি যেন প্রত্যেকের মা খুব ভালো থাকে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
![](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRsJKf2r9DWRdqqiCgFRUu5YUjJBJQDYwV131Y9fgbQ7K/asa.png)
![](https://steemitimages.com/0x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmfRETShxA5EQdPmpF6ChkQd5MkXJPifATT3TZdvk5sEC1/standard_Discord_Zip.gif)
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
![Heroism_3rd.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRejDSNMUFmRz2tgu4LdFxkyoZYmsyGkCsepm3DPAocEx/Heroism_3rd.png)
VOTE @bangla.witness as witness
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
OR
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community
এবারের ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পরিবেশ স্বাভাবিক হলেও ক্ষয়ক্ষতি পোষাতে অনেকটা সময় লেগে যাবে। যাই হোক সে দিন রাতে এত বড় রিস্ক না নিলেও পারতেন। এবারের ঘূর্ণিঝড় খুবই ভয়ংকর ছিল আর এতে আপনাদের ক্ষতি হতে পারতো। তবে বাধা বিপত্তি কাটিয়ে সুস্থ ভাবে বাসায় এসেছেন জেনে ভালো লাগলো। কিন্তু আপনার এই খামখেয়ালির জন্য আপনার মা অসুস্থ হয়ে পড়ে জেনে খারাপ লাগলো। যাদের ব্লাড প্রেসার থাকে তাদের টেনশন না দেওয়াই ভালো। আপনার জন্য চিন্তা করে আপনার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে,তাও আবার এমন একটি সময় যেই সময় বাহিরে যাওয়াও অসম্ভব। অবশেষে সবকিছু নরমালে আনতে পেরেছেন এটাই শুকরিয়া। সত্যিই যখন বাবা মা অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন যেন দুনিয়াটা অন্ধকার লাগে। ভাইয়া আপনার মায়ের জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল।
ঘূর্ণিঝড়ে বাসার বাইরে থাকা অনেকটাই রিস্কি।এরপর আবার আপনার ফোন বন্ধ ছিল তাই আপনার আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন চিন্তায় প্রেসার বেড়ে ।আর এই হঠাৎ বিপদ গুলোতে বেশ হতভম্ব হতে হয়।অবশেষে তেঁতুলের পানি এবং লোকাল ফার্মেসির লোক নিয়ে এসে প্রেসার চেক করে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
মা যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন সন্তানের দুনিয়াটা যেন অন্ধকার হয়ে যায়--একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। আপনার মায়ের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। আশাকরি উনি দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিতে ঢাকায়ও অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল তবে চট্রগ্রামের অবস্থা বেশী খারাপ ছিল। যাক, দুর্যোগ আবহাওয়ার মধ্যেও আপনি ভ্রমণ থেকে ফিরে মায়ের চিকিৎসা করতে পেরেছেন এটাই স্বস্তির খবর। হঠাৎ বিপদ শিরোনামে লেখাটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
যেহেতু রাস্তায় পানি আবার আপনাদের বাসার পার্কিং স্পটেও পানি জমে গিয়েছিল তাই কেউ অসুস্থ হলে সেটা নিয়ে একটু বাড়িতে টেনশনে পড়তে হয়। তবে প্রেসার একটু কমে যাওয়ার কারণে হয়তো বড় কোন অঘটন থেকে মুক্তি পেয়েছেন সবই সৃষ্টিকর্তার রহমত। আন্টির জন্য দোয়া রইল তিনি যেন অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে যান।
প্রত্যেক মা-বাবাই তার সন্তানদের নিয়ে অনেক চিন্তা করে থাকে। আপনাকে নিয়ে আসলে আপনার মা প্রচন্ড চিন্তা করার কারণেই হয়তো এরকম অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এবং প্রেসার হাই হয়ে গেছিল। যাইহোক, এখন যেহেতু উনি একটু সুস্থ আছেন, জেনে খুব ভালো লাগছে। তবে আপনার বাইরে থেকে বাড়ি আসাটা যদি দুর্যোগের সময় না হতো, তাহলে হয়তো উনি এতটা চিন্তা করতেন না।
আসলে কার কখন বিপদ আসবে, সেটা কেউ বলতে পারে না। দুশ্চিন্তা খুবই খারাপ একটি জিনিস। আন্টি আপনার জন্য টেনশন করেছিলো বলেই উনার ব্লাডপ্রেশার বেড়ে গিয়েছিলো। আর বাসার সামনে যেহেতু পানি জমে ছিলো, সেহেতু আন্টিকে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার অবস্থাও ছিলো না। যাইহোক আন্টির ব্লাডপ্রেশার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া করি উনি যাতে খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যান। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
আসলে বাবা মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য অনেক বেশি চিন্তা করে থাকেন। এমনিতে ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল তার উপর আবার আপনার মোবাইল চার্জ না থাকার কারণে কল দিয়েও পাচ্ছিলো না। যার কারণে আপনার আম্মু অনেক বেশি টেনশন করেছিলো যার কারণে হয়তোবা এমন হয়েছিল। যাইহোক এখন আপনার আম্মু সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।