গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান।
আজ - ৭ই, বৈশাখ |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | গ্রীষ্ম-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
গরমকালে লোডশেডিং এটি নতুন কোন বিষয় না সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি গ্রীষ্মকাল মানেই লোডশেডিং। তবে এই লোডশেডিং এর মাত্রা মাঝে মাঝে এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে তা সহ্য করা সত্যিই কষ্টের। যদিও যাদের আইপিএস কিংবা জেনারেটর আছে তাদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন তবে দেশের শতকরা ৭০ পার্সেন্ট লোকই মধ্যবিত্ত তাই অনেকের ঘরে আইপিএস কিংবা জেনারেটর নেই। তাই এই সকল মধ্যবিত্ত পরিবারের এ গ্রীষ্মকালটা সবথেকে কষ্টদায়ক একটি সিজনের পরিণত হয়।
তবে কিছু করার নেই মানিয়ে নিতেই হবে প্রকৃতির সাথে খাপ খাইয়ে নিতেই হবে। যদিও প্রকৃতির আজ এই সকল বিপর্যস্তের কারণ কিন্তু আমরাই। আমরাই আমাদের প্রয়োজনে গাছ কাটি এবং এখন আমরা আমাদের বিলাসিতা জীবন যাপনের জন্য প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত । আর যখন প্রকৃতি তার বিরূপ প্রভাব দেখায় তখনই আমরাই আবার প্রকৃতির দোষারোপ করি। আসলে আমরা মানুষ জাতি এমন একটি জাতি যারা কিনা যে থালায় খায় সে থালায় ফুটো করে দেই। আমরা যে পৃথিবীতে বসবাস করছি কিভাবে আমরা সেই পৃথিবীটাকে আগলে রাখবো, ভালো রাখবো তা না বরং সে পৃথিবীটাকে দিন দিন ধ্বংসের মুখে ফেলে দিচ্ছি।
উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে যদিও প্রকৃতি রক্ষায় কিছুটা সচেতন তবে আমাদের মতো নিম্ন ও মধ্যবিত্ত দেশগুলোতে এ সকল বিষয়ে কোনো সচেতনতাই নেই। তবে দেশ ভিন্ন হলে কি হবে আমাদের বাসস্থান তো একটাই এক দেশে প্রভাব তো অন্য দেশে প্রভাবিত হবেই। তাই তো আজ পুরো বিশ্বের এমন ভয়ংকর অবস্থা।
তবে একটা ভালোলাগার বিষয় যে, আমরা এখন উপলব্ধি করতে পারি যে প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণের জন্য একমাত্র আমরাই দায় । তাই মানুষের মধ্যে প্রকৃতি রক্ষায় কিছুটা সচেতনতা তৈরি হয়েছে। যেমন কিছুদিন আগে একটি প্রতিবেদনে দেখলাম, একটি সংগঠন গাছ লাগানোর সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রায় দুই হাজার এর মত গাছ লাগানো হয়েছে। এর আগেও ২০২০ সালের দিকে একটি প্রশাসনিকভাবে কোটি বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। আসলে এ সকল উদ্যোগ গুলো সত্যিই প্রশংসনীয়। এ ধরনের সুন্দর কিছু উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা চাইলে অনেক গাছ লাগানোর মধ্যে দিয়ে প্রকৃতির সে চিরচেনা রূপটি ফিরিয়ে আনতে পারি। এছাড়াও জনগণের মধ্যে গাছ না কাটা এবং গাছ লাগানোর উপকারিতা সম্পর্কে জানান দাওয়া মাধ্যমে প্রকৃতি রক্ষা করা সম্ভব। স্কুল-কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের মধ্যে এই গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর বিষয়গুলো তুলে ধরা এবং গাছ লাগানোর প্রতি উৎসাহ জাগ্রত করা। এছাড়া ও বিনা কারণে গাছ কাটার এ বিষয়টিকে অপরাধ বলে গণ্য করার মাধ্যমে আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ সকল বিষয়গুলোর মাধ্যমে আমরা চাইলে প্রকৃতিকে সুন্দর করতে পারি।
সর্বশেষ একটা কথাই বলতে চাই, এই পৃথিবী আমার না, আপনার না, আমাদের সকলের। তাই এই পৃথিবীকে রক্ষা করতে হলে আমাদের সকলেরই এগিয়ে আসতে হবে, প্রচুর গাছ লাগাতে হবে এবং প্রকৃতি সবুজ করতে হবে।
যাহোক আজ এ পর্যন্তই। এখানেই শেষ করছি আমার আজকের আলোচনা। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন দেখা হচ্ছে পরবর্তী দিনে। আল্লাহাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আসলেই বর্তমান এই পরিস্থিতির জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। গাছ কাটার সময় ঠিকই আছে কিন্তু গাছ লাগানোর সময় আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় না। একটি সংগঠন গাছ লাগানোর সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে জানতে পেরে ভালো লাগলো। আসলে বর্তমানে এইসব প্রতিযোগিতার খুবই দরকার। আর সবার মাঝে গাছ লাগানোর উপকারিতা গাছ কাটার অপকারিতা সম্পর্কে জানান দেওয়া প্রয়োজন। আর সবার নিজের থেকেই যতটুকু সম্ভব গাছ লাগানো উচিত। আপনার লেখাগুলো পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এই সুন্দর পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত মানুষদের আরো বেশি কষ্ট হয়েছে। অনেকের হয়তো আইপিএস কেনার সামর্থ্য নেই। তবে গরমের মাত্রা যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে করে সাধারণ মানুষরা আরও বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে। আসলে আমরা যদি ভালো থাকতে চাই তাহলে পরিবেশ ভালো রাখতে হবে। আর পরিবেশ ভালো রাখতে গেলে নিয়মিতভাবে গাছ লাগাতে হবে। ভাইয়া আপনার লেখাগুলো পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আমরাই গাছপালা কেটে পরিবেশকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছি প্রতিনিয়ত। যে যার মত গাছ কেটে ফেলছে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে। দিনশেষে কিন্তু আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এটা আমরা জানলেও মানতে চাই না। আপনি ঠিক বলেছেন পৃথিবীটা আমাদের সবার। তাই আমাদের উচিত যতটা সম্ভব গাছ রোপণ করা এবং পরিবেশ রক্ষা করা। পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ক্লাস ফাইভ অথবা সিক্স থেকে যখন পরিবেশ নিয়ে রচনা লিখতে শিখেছি সে তখন থেকেই এই একটা লাইন মোটামুটি আমরা সবাই পড়েছি, গাছ লাগান পরিবেশ বাঁচান। কিন্তু সত্যি বলতে আমাদের এই শিক্ষাটা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। বাস্তবে আর কয় জনই বা প্রয়োগ করেছি! আর সেজন্যই হয়তো আমাদের এই দুর্দশা। তবে এখনো সময় আছে বলে আমি মনে করি। শুধু প্রয়োজন সঠিক পদক্ষেপ এবং বাস্তবায়ন। তা না হলে যেভাবে বরফ গলছে, আমাদেরকেও সমুদ্রের অতল গর্ভে তলিয়ে যেতে হবে একদিন। বেশ চমৎকার একটা আর্টিকেল লিখেছেন ভাই। ভালো লাগলো খুব।
জি ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন, পৃথিবীটা আমাদের সকলের জন্য। তাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর পরিবেশ রক্ষা করার জন্য আমাদের সকলের উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে বেশি বেশি গাছ লাগানো। বর্তমান সময়ের বৈশ্বিক উষ্ণতা দূর করার জন্য অবৈধভাবে গাছ কাটা রোধ করার সাথে সাথে আমাদেরকে প্রচুর পরিমাণে গাছ লাগাতে হবে। খুবই সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ভাইয়া আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি ভাই যাদের জেনারেটর বা আইপিএস কেনার সামর্থ্য নেই তাদের এই গরমের মধ্যে তাদের বেঁচে থাকাটা অনেক কষ্টকর। আর বর্তমান সময় যদি আমাদের এই পরিবেশটা গাছ দ্বারা আবৃত থাকত তাহলে সবার জন্য খুবই সুখকর এবং আনন্দঘন সময় অতিবাহিত হতো।